ইনসাইড পলিটিক্স

যশোর জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

যশোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন লাখো মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে যশোর।

বিস্তারিত আসছে...


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গুলশানে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের টিকিট?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail গুলশানে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের টিকিট?

সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠানের (চিত্রনায়ক ফারুক) আসনে আগামী ১৭ জুলাই উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ নির্বাচন কমিশন ভবনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। গুলশান অঞ্চলের এই ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের তফসিলে আগামী ১৫ই জুন মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ আগামী সপ্তাহেই নির্বাচনের মনোনয়ন বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরু করবে। কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন- এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জল্পনা-কল্পনা। কারণ বিএনপি অন্যান্য নির্বাচনগুলোর মতো এ নির্বাচনও যে বর্জন করবে- তা মোটামুটি নিশ্চিত। 

গুলশান থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন বিজেপি নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ। তার এখানে নির্বাচন করার কথা শোনা গেলেও তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ৬ মাস আগে এই নির্বাচন রাজনীতিক মাঠে তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও আওয়ামী লীগের অনেকেই এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কে প্রার্থী হবে- সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং ব্যক্তি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। 

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সুত্র থেকে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আরাফাত এই আসনে নির্বাচনে আগ্রহী। তিনি ইতিমধ্যেই একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে তিনি এখানে না বলতে পারবেন না। এর ফলে তার এখানে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল মনে করেন। মোহাম্মদ আরাফাত আওয়ামী লীগে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি মার্কিন ইস্যুতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়েও তিনি আওয়ামী লীগের কর্ম-কৌশলের অন্যতম নীতি নির্ধারক বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে। কিন্তু মোহাম্মদ আরাফাত শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাবেন কি না- সেটি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 

আওয়ামী লীগ ঘরানার অভিনয় শিল্পী ফেরদৌসও এই আসনে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। ফেরদৌসের সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত গুলশান এলাকায় কেন মনোনয়ন পাবেন- এই নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে। তাছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ৬ মাস আগে এরকম একটি জায়গায় বাইরের কাউকে মনোনয়ন দিলে দলের মধ্যে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হবে সেটিও বিবেচনায় নিবে আওয়ামী লীগ। এছাড়াও, গুলশান এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল উদ্দিন এ নির্বাচনের জন্য আগ্রহী এবং তিনি মনোনয়ন চাবেন বলে জানা গেছে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও বটে। 

রাজধানীর গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট ও ভাষানটেক থানার ১৫, ১৮, ১৯, ২০ ও ৯৫ নম্বর ওয়ার্ড এবং ক্যান্টনমেন্ট ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন। এখন দেখার বিষয় এখানে স্থানীয় কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, নাকি আওয়ামী লীগ মনোনয়নের ক্ষেত্রে নতুন কোনো চমক দেখায়।  


গুলশান   আওয়ামী লীগ   উপনির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে যুবলীগের আনন্দ মিছিল

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে যুবলীগের আনন্দ মিছিল

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৫ টায় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে রাজধানী ঢাকায় এই আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’- শীর্ষক বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

সমাবেশে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এত বড় বাজেট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখছেন। এ বাজেট মানবতার বাজেট, এ বাজেট মানুষের অধিকারের বাজেট, এ বাজেট মানুষের কল্যাণের বাজেট। এ বাজেটকে সামনে রেখে একটি কুচক্রীমহল মানুষের মনে নানা ধরনের ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। মনে রাখবেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এই উন্নয়নমুখী বাজেট নিয়ে যদি জামায়াত-বিএনপি ও কুচক্রীমহলের লোকেরা কোনো ধরণের ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে যুবলীগ।’ 

নিখিল বলেন, ‘যদি একজন দক্ষ, সৎ নিষ্ঠাবান মানুষের হাতে দেশ থাকে, সে দেশ সম্মানের সাথে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবেই; সেটি আজ প্রমাণিত। আজকের বাজেটকে সারা দেশের যুবসমাজ স্বাগত জানাচ্ছে। এই বাজেটে দেশের সাধারণ মানুষ আনন্দিত, উৎফুল্লিত। প্রতিটি মানুষ এই বাজেটের মাধ্যমে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছেন। আজকের এই আনন্দ মিছিল থেকে সারা দেশের যুবসমাজের পক্ষ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি স্মার্ট বাজেট পেশ করায় মানবিক প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও অভিবাদন জানাচ্ছি।’

সমাবেশ এবং আনন্দ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাবিবুর রহমান পবন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আবদুর রহমান, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, সহ-সম্পাদক বাবলুর রহমান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. শওকত হায়াত, ইঞ্জি. মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, বজলুল করীম মীরসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। 


বাজেট   যুবলীগ   আনন্দ মিছিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্র কি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন দিবে?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail যুক্তরাষ্ট্র কি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন দিবে?

নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এবং সে নির্বাচন হতেও দিবে না। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে সমর্থন করে নাই। বরং যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক। এর বাইরে তাদের কোনো বক্তব্য নেই। এমনকি ব্লিঙ্কেনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো বিশেষ দলকে নির্বাচনে আনা না আনার দায়িত্ব তাদের নয়, বাংলাদেশ কিভাবে নির্বাচন করবে সেটি তাদের বিষয়। তবে পর্দার আড়ালে, বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে গেলে বিএনপির অংশগ্রহণ জরুরি- এমন কথা মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন। 

মার্কিন দূতাবাসের একাধিক কর্মকর্তা এরকম একটি বার্তা বিভিন্ন জনের কাছে দিয়েছেন। তবে বিএনপির বাইরেও সুশীল সমাজের একটি অংশ নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে সমর্থন দিচ্ছেন। তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরনা দিচ্ছেন, তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়- এরকম একটি বক্তব্য যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়, সেই প্রস্তাবও রাখছেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কথা বলেনি।  

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি আইনগত এবং সাংবিধানিক সমস্যা রয়েছে। কারণ বর্তমান সংবিধানে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের  কোনো বিধান নেই। আর সে কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে গেলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তাছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই মেরুতে অবস্থান করছে। এই অবস্থায় রাজনৈতিক সমঝোতা সম্ভব নয়। বিভিন্ন সূত্রমতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা চাইছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকারের একটি মাঝামাঝি অবস্থা যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করতে চায়, যেখানে সকল দল অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা, নির্বাচনকালীন সরকারের ক্ষমতা হ্রাস করা এবং নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল যেন প্রভাব বিস্তার না করতে পারে, সে ব্যাপারে বাস্তবানুগ এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হলেই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের উপর সুশীলদের একটি বড় প্রভাব রয়েছে। অতীতেও দেখা গেছে, সুশীলরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। বিশেষ করে এক-এগারোর সময়ে সুশীলদের প্ররোচণাতেই যুক্তরাষ্ট্র এক-এগারো সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিল এবং একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে সহায়তা করেছিল। এমনটি কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও করবে? সেরকম সম্ভাবনা কতটুকু?- এসব প্রশ্ন নিয়ে নানামুখী আলাপ-আলোচনা হচ্ছে।

তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে আগামী পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায়। নির্বাচনের আগে সরকার কি ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করে, প্রশাসনের কি অবস্থান থাকে- ইত্যাদি তারা পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা করতে চায়, তারপর তারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে চায়। হঠাৎ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে সমর্থন দিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ অবস্থান ক্ষুন্ন হবে এবং বিষয়টি স্পর্শকাতর এমনটি মনে করছেন কেউ কেউ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশুগুলো এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প হিসেবে একটি রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছে এবং সেই সমাধানে যেন সব রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছে সেই চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা সফল না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 


যুক্তরাষ্ট্র   তত্ত্বাবধায়ক   সরকার   সমর্থন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বরিশালে কি হাল ছেড়ে দিল আওয়ামী লীগ?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর বরিশালের জয় ছিনিয়ে আনার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারকদের উদ্যোগ ছিল, আগ্রহও আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের যারা বরিশাল নির্বাচনের দায়িত্বে আছেন, তাদের মধ্যে এক ধরণের উদাসীন ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রমও রহস্যজনক। তার ভোটের আগেই প্রশ্ন উঠেছে বরিশালে কি আওয়ামী লীগ হাল ছেড়ে দিল?

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পর্কে তার কঠোর অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে আর যাই হোক কোন কারচুপি করা যাবে না, প্রশাসনকে ব্যবহার করা যাবে না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজেদের পক্ষে কাজে লাগানো যাবে না। আর এই বার্তা স্থানীয় মাঠ প্রশাসনেও দিয়ে দেয়া হয়েছে। কোন অবস্থাতেই যেন ভোটে কোন অনিয়ম না হয়, নির্বাচন নিয়ে যেন কোন প্রশ্ন না উঠে সে ব্যাপারে তিনি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে। আর এ কারণেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ছিল। বরিশালেও যদি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একই ভূমিকা পালন করে তাহলে বর্তমান বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের বিজয় সেখানে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মনোনয়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ চমক আনে। বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বদলে মনোনয়ন দেয়া হয় তার চাচা খোকন সেরনিয়াবাতকে। খোকন সেরনিয়াবাত আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ছোট ভাই। কিন্তু ছোট ভাই হলেও তার মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি মেনে নেননি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও তার ছেলে। আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর নিজেও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য ছিলেন। ওই মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও তিনি করেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত সাদিক আবদুল্লাহকে যেন মনোনয়ন দেয়া হয় সেজন্য নানা রকম যুক্তি দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তার চেষ্টা সফল হয়নি। বরিশালে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পান খোকন সেরনিয়াবাত।

সাদিক আবদুল্লাহকে মনোনয়ন না দেয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল পাঁচ বছর মেয়র হিসেবে তার স্বেচ্ছাচারিতা, উশৃঙ্খলতা এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। আর একারণেই আওয়ামী লীগ আসা করেছিল যে, খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগের জন্য তা ইতিবাচক হবে। জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি যেমন উন্নত হবে, তেমনি জনগণ তাকে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রেও আগ্রহী হবেন। কিন্তু এই নির্বাচনের মনোনয়ন দেয়া পর পরই বরিশালের রাজনীতিতে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দেয়। আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং তার পক্ষের লোকজন এই নির্বাচনে এখন পর্যন্ত নিরবতা পালন করছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চাপে কেউ কেউ নির্বাচন প্রচার অভিযানে নামমাত্র অংশগ্রহণ করছেন। কিন্তু শেখ পর্যন্ত তারা আসলে কি ধরণের ভূমিকা গ্রহণ করবেন তা নিয়ে খোদ খোকন সেরনিয়াবাতেরই সংশয় রয়েছে।

এই নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন জমে উঠেছে। বিভক্ত আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে পেরে উঠবে কিনা সেটি নিয়েও বরিশালে নানামুখী আলাপ আলোচনা চলছে।

এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ভোটের ব্যাপারে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে প্রেনি। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার চেয়ে নিজেদের হতাশার বিষয়টি নিয়েই তারা আলাপ আলোচনা করছে। দলের ভেতর বিভক্তি এমন প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে যে, এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর আক্রমণ পর্যন্ত করছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরিণতি কি হবে তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। অনেকেই মনে করছেন যে নির্বাচনের আগেই হয়ত আওয়ামী লীগ বরিশালে হাল ছেড়ে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে দেখা গেছে তারা বরিশালে জয়ের চেয়ে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। তারা বলছেন, এই নির্বাচনে হার জিত কোন বিষয় না। ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করতে চায় যে, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আর তা প্রমানের জন্যই এই নির্বাচনটি সুষ্ঠু করা গুরুত্বপূর্ণ। জয়ী হওয়া নয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলনে জয়ী না হলে কি হবে? বিএনপি’র তৃণমূলের প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলন করছে। বিএনপি’র নেতারা বলছেন শুধু দশ দফা নয়, এক দফা দাবীতে তারা আন্দোলন শুরু করতে চান। আর এটি শুরু করার জন্য তারা এখনই উপযুক্ত সময় মনে করছেন। এ নিয়ে বিএনপি’র মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। কোন কোন বিএনপি নেতা মনে করছেন যে আস্তে আস্তে আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। সেপ্টেম্বরকে টার্গেট করে তারা চুড়ান্ত আন্দোলন করতে চাইছেন। কিন্তু বিএনপি’র একটি অংশ মনে করছে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বোকামি, এখনই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করা দরকার।

বিএনপি যে সমস্ত শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার জন্য নিয়মিত বৈঠক করছে, তারাও এখন দ্রুত আন্দোলন শুরু করার তাগাদা দিচ্ছে। বিশেষ করে নাগরিক মঞ্চসহ কিছু ছোট ছোট রাজনৈতিক দলও জুনেই এক দফা আন্দোলন শুরু করার কথা বলছে। এ নিয়ে বিএনপি জেলা পর্যায়ে তৃণমূল নেতাদের সাথে বৈঠক করেছে। এ বৈঠকে তৃণমূল নেতারা কিছু মৌলিক প্রশ্ন তুলেছে। তারা জানতে চেয়েছে যে, এক দফা আন্দোলন শুরু করার পর যদি আন্দোলনে জয়ী না হই তাহলে কি হবে? বিএনপি নেতারা আন্দোলনের কৌশল এবং আন্দোলনের বাস্তবতা নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন যে, আমরা আন্দোলন পক্ষে। কিন্তু আন্দোলনের বিকল্প কিছুও ভেবে রাখতে হবে।

বিএনপি’র জেলা পর্যায়ের একজন নেতা বলেছেন, আমাদের নেতাদের এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী, হয়রানি এবং মামলা হচ্ছে। এখন এ সমস্ত মামলার পরিধি বেড়েছে এবং ধরপাকড় আগের থেকে বেড়েছে। বিএনপি’র দুইজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের মামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ওই জেলা পর্যায়ের নেতা বলেন, সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক নেতার বিরুদ্ধেই মামলা হতে পারে এবং তারা দণ্ডিত হতে পারেন। তাহলে আমরা কি আন্দোলন করে জয়ী হতে পারব? আন্দোলনের গতি যতই তীব্র হবে ততই এ সকল গ্রেপ্তার এবং এ ধরণের মামলাগুলো নিষ্পত্তির প্রবণতা বাড়বে। সেরকম পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতারা কি করবে? এমন প্রশ্ন করেছেন ওই জেলা নেতা।

অন্য একজন জেলা নেতার বক্তব্য হলো, আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও বিএনপিকে রাখতে হবে। শেষ পর্যন্ত যদি একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বিএনপিকেও নির্বাচনে যাবার জন্য একটি শর্ত আরোপ করে, কিংবা এই নির্বাচন যদি মার্কিন মধ্যস্থতায় হয় তাহলে বিএনপিকে আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে যেতে হবে। তার প্রস্তুতি বিএনপি’র কতটুকু আছে? এসব প্রশ্নগুলোর উত্তরে বিএনপি নেতারা তেমন কিছুই বলতে পারেনি।

তবে বিএনপি তৃণমূলের নেতারা মনে করছেন যে, বিএনপি যতটা না আন্দোলনের উপর নির্ভরশীল হয়ে আছে, তার চেয়ে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের উপর। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি শেষ পর্যন্ত কোন কারণে বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে বলে, তাহলে বিএনপি’র কি হবে সেটিই এখন ঘুরে ফিরে একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে বিএনপি কর্মীদের কাছে এসেছে। তাছাড়া বিএনপি’র বিভিন্ন নেতাদের ধরপাকড় গ্রেফতারের ব্যাপারে এবং পুরনো মামলাগুলো চাঙ্গা হবার ব্যাপারেও বিএনপি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না এমন অভিযোগ করছেন তৃণমূলের নেতারা। তাই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরুর আগেই বিএনপি এক ধরণের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ছে।

বিশেষ করে বিএনপি’র নেতারা মনে করেন যে, বড় ধরণের আন্দোলন করতে গেলে আগে ঢাকায় আন্দোলন করতে হবে। কিন্তু ঢাকায় সেরকম শক্তিশালী সংগঠন না থাকা এবং আন্দোলন করার মত নেতা না থাকার বিষয়টি নিয়েও দলের ভিতর সমালোচনা হচ্ছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপি কি আন্দোলনে যাবে নাকি নির্বাচনের পথে হাঁটবে? সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হিসেবে নেতাকর্মীদের সামনে এসেছে। 



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন