ইনসাইড পলিটিক্স

১০ ডিসেম্বর কি জলিলের ট্রাম্পকার্ড হতে যাচ্ছে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আব্দুল জলিল। ২০০৪ সালে আকস্মিকভাবে তিনি ঘোষণা করলেন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পতন ঘটবে। কিভাবে ঘটবে, কেন ঘটবে তার কোনো বিশদ ব্যাখ্যা তিনি দেননি। তিনি শুধু বলেছিলেন যে, তার কাছে ট্রাম্পকার্ড আছে। ৩০ এপ্রিল এই ট্রাম্পকার্ড দেখানো হবে। এর ফলে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পতন ঘটবে। সেই সময় বিএনপি-জামাত জোটের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিলো সংসদে। দেশের পুরো নিয়ন্ত্রণ, কর্তৃত্ব ছিল হাওয়া ভবন এবং বেগম খালেদা জিয়ার কাছে। তারপরও আব্দুল জলিল কেন এই ট্রাম্পকার্ড তত্ত্ব হাজির করেছিলেন, তা নিয়ে রাজনীতিতে এখনও নানা বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পকার্ড তত্ত্ব একটি কৌতুকে পরিণত হয়েছিল। ৩০ এপ্রিল বিএনপির পতন ঘটেনি। বরং বিএনপি নেতারা এ নিয়ে আওয়ামী লীগকে নানারকম বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করেছিল। এতো বছর পর আবার যেন আব্দুল জলিলের ট্রাম্পকার্ড তত্ত্ব ফিরে আসছে রাজনীতিতে। ১০ ডিসেম্বর নিয়ে রাজনীতিতে মাতামাতি করছে ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। বিএনপি নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বরের পর সরকারের কর্তৃত্ব দেশে থাকবে না, খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। এখন তারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বরের পর দেশে এক দফার আন্দোলন শুরু হবে। আবার বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘণ্টা বাজবে। এরপর সরকারের পতন হবে সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিএনপি নেতারা কেন, কোন যুক্তিতে এই কথা বলছেন তার কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না।

বিএনপি দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে। ক্ষমতার বাইরে থেকে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের আন্দোলন করার চেষ্টা করেছিল। সেই চেষ্টাগুলোয় একে একে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। ২০১৩ সালে বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু সেই আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তাদের জ্বালাও-পোড়াও, হঠকারিতা মানুষ প্রত্যাখ্যান করে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির বাধা সত্বেও। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ তার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করে। ওই সংসদের প্রথম বছর পূর্তি উপলক্ষে আবার বিএনপি সরকার পতনের ডাক দেয়। বেগম খালেদা জিয়া অবস্থান গ্রহণ করেন গুলশানে তার কার্যালয়ে। তিনি ঘোষণা দেন যে, সরকারের পতন ছাড়া তিনি ঘরে ফিরবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের পতন ঘটেনি। বিএনপি যে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছিল সেই অবরোধও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করার সুযোগ পায়নি। বিএনপির সেটিই ছিল শেষ আন্দোলন। এরপর আন্দোলনের মাঠে বিএনপিকে আর পাওয়া যায়নি।

তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন সময় আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন যে, ঈদের পর আন্দোলন হবে। কখনও তিনি বলেছিলেন যে, শীঘ্রই সরকার পতনের আন্দোলন করবে। এরকম বারবার ঘোষণার পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহণ করে এবং ওই নির্বাচনে শোচনীয় ভরাডুবি ঘটে বিএনপির। এখন বিএনপি নতুন করে আন্দোলনের চেষ্টা করছে এবং প্রথমবারের মতো বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তাঁরা যে বিভাগীয় সমাবেশগুলো করছে সেখানে লোকসমাবেশ তাদেরকে চমকিত করেছে, বিস্মিত করেছে এবং অতি উৎসাহিত করেছে বটে। আর এখান থেকেই বিএনপি এখন সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপি নেতারা বলছেন যে, ১০ ডিসেম্বরের পর সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না। তবে ১০ ডিসেম্বরের আগে থেকেই বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাচ্ছে, তারা পালানোর পথ পাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু একটি সরকারের পতনের জন্য যে ধরনের আন্দোলন দরকার সেই আন্দোলনের ধারে কাছেও বিএনপি নেই। কয়েকটি সমাবেশ করে সরকারের পতন যদি ঘটানো যেত তাহলে পৃথিবীতে কোনো দেশেই কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের টিকতো না। তাই আগামী ১০ ডিসেম্বর দেশে কি হবে, তা নিয়ে রাজনীতিতে এখন কৌতুক শুরু হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর কি আব্দুল জলিলের মত আরেকটি ট্রাম্পকার্ড দেখবে দেশের মানুষ? ১০ ডিসেম্বর কি রাজনীতিতে আরেকটি প্রহসন মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে? এটিই এখন দেখার বিষয়।

বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনের সময় কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ: কাদের

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময়  ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’। 

মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। 

নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে। 


ওবায়দুল কাদের   উপজেলা নির্বাচন   সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতও ধোঁকা দিলো বিএনপিকে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে। 

বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সামনে আরও যে দুটি তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে স্বাধীনতাবিরোধী এই রাজনৈতিক দলটির আরও ৬৩ জন প্রার্থী হতে চলেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে সবুজ সঙ্কেতও দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের এটি প্রতারণা। 

তবে কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, বিএনপিকে কাছে পেতে এবং বিএনপির সঙ্গে থাকার জন্য জামায়াত ইচ্ছা করে এই ধরণের কৌশল নিয়েছে। যেহেতু জামায়াতের কোন রাজনৈতিক নিবন্ধন নেই এবং তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারে না, কাজেই কারা জামায়াতের, কারা হেফাজতে ইসলামের এটি বোঝা দুষ্কর। তা ছাড়া জামায়াতের নেতারা যেহেতু তেমনটা পরিচিত নয় তারা অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ডের মতো করে কাজ করেন, সে কারণে অনেকেই জামায়াতের নেতাদেরকে চেনে না। তারা বিভিন্ন ইসলামিক দাওয়াত, ইসলামী শিক্ষা ইত্যাদি আলোকে এখন জামায়াতের রাজনীতি অনেকটা গোপনেই প্রচার করছে। এ কারণে কারা জামায়াতের রকন, কারা সাথী বা কারা বড় নেতা এটা সাধারণভাবে বোঝার উপায় নেই। তবে স্থানীয় পর্যায়ে যারা রাজনীতি করেন তারা জামায়াতের নেতাদেরকে চেনেন এবং তাদের সাথে তাদের ওঠা বসা হয়েছে। 

বিএনপি যখন নির্বাচন বর্জনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন জামায়াতও ঘোষণা করেছে যে, তারা এই নির্বাচনে দাঁড়াবে না এবং যারা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তাদেরকে সরে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জামায়াতের প্রার্থীদের কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। আগামী ২২ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ে উপজেলা নির্বাচনগুলোতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। 

জামায়াতের বিভিন্ন সূত্র বলছে, এই সময়ে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না। বিএনপির নেতারা এখন মনোনয়ন টিকিয়ে রাখার জন্য এবং নির্বাচন করার জন্য তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দেন দরবার করছেন। এই সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বোঝাচ্ছেন যে, জামায়াতও নির্বাচন বর্জন করেছে। কিন্তু বিএনপির স্থানীয় নেতারা বলছেন, জামায়াত নির্বাচন বর্জন করেনি। বরং জামায়াত নির্বাচনের মাঠে আছে। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রকাশ্য জামায়াত নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কৌশলগত কারণে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে সমস্ত উপজেলাগুলো তারা শক্তিশালী সেখানে তারা প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী সহ অন্তত ১২টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জামায়াত ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থীদেরকে নিয়ে মাঠে আসছে। 

বিভিন্ন মহল মনে করেন যে, একাধিক কৌশলগত কারণে জামায়াত তাদের পরিচয় গোপন করে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। প্রথমত, জামায়াত মনে করছে, যদি সরকারের দিক থেকে জানাজানি হয় যে, জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সংশ্লিষ্টরা জামায়াতের প্রার্থীকে প্রতিহত করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাদের বিরুদ্ধে আবার হয়রানি গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এ কারণে জামায়াত নির্বাচনের প্রার্থিতার কথা প্রকাশ করছে না।

দ্বিতীয়ত, বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য জামায়াত বাইরে থেকে বলছে যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না।

তৃতীয়ত, জামায়াত তার সাংগঠনিক শক্তি কতটুকু, তাদের কর্মী সমর্থকদের অবস্থান কী তা যাচাইয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে উপজেলা নির্বাচন। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক কর্ম তৎপরতা হিসেবে বিবেচনা করছে। আর এ কারণে জামায়াত তাদের নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করছে না। 

তবে বিএনপির মাঠের নেতারা বলছেন, এটি জামায়াতের আরেকটি প্রতারণা এবং বিশ্বাসঘাতকতা। জামায়াত যে বিভিন্ন সময় প্রতারণা করে এটি তার প্রমাণ। বিএনপির নেতারা আরও বলছেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পরও জামায়াত বিএনপির সঙ্গে একই ধরনের প্রতারণা করেছিল। বিএনপিকে সরকার গঠনের সমর্থন দেওয়ার পর জামায়াত আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন করেছিল। এখন জামায়াত সেই প্রতারণার আরেক রূপ প্রকাশ করছে। এই উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা একদিকে যেমন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করছে অন্যদিকে নিজেদের সংগঠনকে গুছিয়ে নিচ্ছে।

জামায়াত   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কী হচ্ছে বিএনপিতে?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপির মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। সেই অস্থিরতা এখন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে বলেই ভিতরের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে। বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। একজন নেতা অন্যজনকে বিশ্বাস করছেন না এবং দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই আতঙ্কিত।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে যে সব বিষয় নিয়ে তোলপাড় চলছে তার মধ্যে রয়েছে- এক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কতটুকু সঠিক ছিল? বিএনপি নেতারা ধরেই নিয়েছিলেন যে, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না। আর এই নির্বাচনের স্বীকৃতি না পেলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। নির্বাচনের পর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসবে। পশ্চিমা দেশগুলো আওয়ামী লীগকে বর্জন করবে। ফলে সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বিএনপির মধ্যে এখন প্রশ্ন উঠেছে যে পশ্চিমা দেশের উপর অতিনির্ভরশীলতা সঠিক ছিল কিনা বা এই অতিনির্ভরশীলতা কারা সৃষ্টি করেছিল?

বিএনপির মধ্যে দ্বিতীয় যে প্রশ্ন এসেছে তা হল সংগঠন পুনর্গঠন করা। বিএনপির নেতারা, বিশেষ করে তৃণমূল থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে আন্দোলনের আগে দরকার সংগঠন পুনর্গঠন। সংগঠনকে না গুছিয়ে, শূন্যপদ পূরণ না করে বিএনপিকে কখনই একটি আন্দোলনমুখী অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। এ নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন যে, সংগঠন পুনর্গঠন, নেতৃত্ব পরিবর্তন এবং দলের কাউন্সিল অধিবেশন এখন সময়ের দাবি। কিন্তু এ নিয়ে সবাই মুখ খুললেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। সবাই তাকিয়ে আছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার দিকে। তারেক জিয়া কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

তৃতীয়ত, উপজেলা নির্বাচন বর্জন। উপজেলা নির্বাচন বিএনপি কেন বর্জন করল, উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি কী পেল? সেটি এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে। তারা মনে করছেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না, সে কারণে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করা উচিত হয়নি।বরং এই নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা দাঁড়ালে তাদের শক্তি সামর্থ্য হতো। কিন্তু তারেক জিয়া কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি নিয়ে বিএনপির মধ্যে এখন চলছে তোলপাড়।

চতুর্থত, দল চলছে কীভাবে? বিএনপি কীভাবে চলছে সেটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। এমনকি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও এই প্রশ্নটি উত্থাপন করেছেন। দলের সিনিয়র নেতারা ঘুমিয়ে আছেন এমন সময়ে সিদ্ধান্ত জারি হচ্ছে। যেমন বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলছিলেন, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটি তিনি টেলিভিশনের স্ক্রলে দেখেছেন, এর আগে তিনি ঘুণাক্ষরও জানতেন না। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এককভাবে সব ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আর এই সমস্ত সিদ্ধান্তের জন্য কোন জবাবদিহিতাও নেই।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে যে, বিএনপিতে তাহলে স্থায়ী কমিটি আছে কেন? সব কিছু মিলিয়ে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের গুমোট পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নেতাদের মধ্যে একটা থমথমে ভাব, কেউ কারও সাথে মন খুলে কথা বলছেন না। বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, দলটি এখন বিস্ফোরন্মুখ। বিস্ফোরণের অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   তারেক জিয়া   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্বজনদের বিরুদ্ধে কেন কঠোর অবস্থানে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।

শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সবাই পিতার পথ ধরেই রাজনীতিতে আসা। প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসেছেন উত্তরাধিকার রাজনীতি ধরেই।

আওয়ামী লীগের এবার নির্বাচনেও দেখা গেছে চট্টগ্রামে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নিজে নির্বাচন না করে তার পুত্রকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন এবং তার পুত্র আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিল। রংপুর থেকে আশিকুর রহমান চৌধুরী নিজে প্রার্থী না হয়ে তার ছেলে রাশেদ চৌধুরীকে প্রার্থী করেছিলেন। যদিও তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে পারিবারিক সংস্কৃতি এবং প্রভাব। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় দেখা যায় যে, পিতার মৃত্যুর পর তার সন্তান বা আত্মীয়রা নির্বাচন করেন। আওয়ামী লীগের এক সময়ের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সেখানে এমপির মনোনয়ন পেয়েছেন। এমপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত। যদিও গতবার নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। 

এই ধারা চলছে আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে। নেতার ছেলে নেতা হবে এটাই যেন রাজনীতিতে একটা সংস্কৃতি হয়ে আছে। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি কেন ঘুরে দাঁড়ালেন, কেন কঠোর অবস্থান নিলেন, এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানামুখী আলাপ আলোচনা চলছে। 

একাধিক সূত্র বলছে, যারা পিতার হাত ধরে বা মায়ের হাত ধরে বা নিকটাত্মীয়দের হাত ধরে রাজনীতি করে বড় হয়েছেন তাদের জন্য এই ধরনের বিধিনিষেধ ছিল না। বরং আওয়ামী লীগ সব সময় বিশ্বাস করে যে আওয়ামী লীগ একটি আবেগ এবং সম্পর্কের নাম। যারা আওয়ামী লীগ করেছেন তারা বংশপরম্পরায় আওয়ামী লীগ করবেন এবং এভাবে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধরে রাখবে বলেই তারা মনে করেন। কিন্তু এবার নির্বাচনে যেভাবে প্রার্থী করা হয়েছে তা স্রেফ পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। 

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, স্বাভাবিকভাবে পিতার পর পুত্রের রাজনীতিতে আসা একটি ইতিবাচক দিক। কিন্তু এলাকা দখল করার জন্য বা অন্য কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পুত্রকে রাজনীতিতে নামিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান করা এবং এলাকায় রাজত্ব কায়েম করাটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বজনদের রাজনীতির বিরুদ্ধে নন। আওয়ামী লীগ একটি পরিবার এবং সেই পরিবারের বংশ পরম্পরায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চা হবে। এটি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের ওই নেতা। 

কিন্তু সমস্যা হলো, লোভ এবং আদর্শহীনতার ক্ষেত্রে। যখন দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগের নেতারা লোভে পড়ে এলাকা দখলের জন্য তার নিজস্ব আত্মীয়স্বজনকে নির্বাচনের প্রার্থী করেন তখন প্রশ্ন ওঠে এবং বিতর্ক তৈরি হয়। এর ফলে সাধারণ ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হয়। এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় এক ধরনের পারিবারতন্ত্র। এটি বিকৃতি। স্বাভাবিকভাবে যখন কেউ আওয়ামী লীগের উত্তরাধিকারের রাজনীতিতে আসে সেটি হলো একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ। কিন্তু যখন কোন আত্মীস্বজনকে রাজনীতির মাঠে নামিয়ে রাতারাতি নেতা বানিয়ে দেওয়া হয় বা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী করা হয় তখন সেটি রাজনীতিতে বিকৃতি এবং পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা। যার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতি অবস্থান নিয়েছেন বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   আওয়ামী লীগ সভাপতি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বহিষ্কার হতে যাচ্ছেন দুই শতাধিক স্থানীয় বিএনপির নেতা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নাটকীয় এবং কঠোর অবস্থান নিয়ে বিস্মিত সকল মহল। বিএনপি নেতারাও এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না। দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেই বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করছেন এবং জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইতোমধ্যে প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচনে প্রায় ৪৭ জন বিএনপির নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী ২২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। কিন্তু এই দিনে মনোনয়নপত্র তারা আদৌ প্রত্যাহার করবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ব্যাপারে তাদের কোনও আগ্রহ নেই এবং এরকম কোন চিন্তা ভাবনাও তারা করছেন না। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, যদি মনোনয়নপত্র তারা প্রত্যাহার না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে একইরকম কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল বিএনপি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তৈমুল আলম খন্দকার, মনিরুল হক সাক্কুসহ একাধিক জনপ্রিয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও অন্যান্যবারের চেয়ে ভিন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপির নেতারা এবারের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছেন যে, এই সিদ্ধান্তটি অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। 

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলেছেন যে, তারেক জিয়া এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদেরকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে। আর এরকম বাস্তবতার সারা দেশে বিএনপির অন্তত দুইশ জন উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী বহিষ্কারের ঝুঁকিতে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রথম পর্যায়ে ৪৭ জন ছাড়াও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার নির্বাচনে বিএনপির আরও অন্তত দেড় শতাধিক প্রার্থী আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন যে, বিএনপির যতই তাদেরকে বহিষ্কারের ভয় দেখাক না কেন তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে তারা তিনটি যুক্তি দেখাচ্ছেন।

প্রথমত, এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরকে সহজে হারাতে পারবেন। কারণ আওয়ামী লীগ বিভক্তভাবে নির্বাচন করেছে এবং দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। দ্বিতীয়ত, তারা মনে করছেন যে, জনগণের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা আছে। ভোটারদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে দেখেছেন, ভোটাররা চায় তারা অংশগ্রহণ করুক। কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এক ধরণের চাঞ্চল্য এবং উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য নির্বাচন করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন।

তৃতীয়ত, সংগঠন গোছানোর জন্য এই নির্বাচনে কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। তারা মনে করছেন যে, বিএনপিকে যদি তৃণমূল থেকে গড়ে তুলতে হয়, তাহলে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে উপজেলা পর্যায়ে সংগঠনগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

আর এ কারণেই বিএনপির নেতারা ধারণা করছেন যে, তাদেরকে যদি বহিষ্কারও করা হয় তাহলেও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের পর যদি তারা নির্বাচিত হন তাহলে দলের সাথে এ নিয়ে একটি দরকষাকষি করবেন। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে বহিষ্কার নিয়ে দুই ধরনের মতামত পাওয়া গেছে।

অনেকেই বলছেন যে, যদি উপজেলা নির্বাচন করে কেউ জিততে পারে তাহলে হয়তো আস্তে আস্তে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। অতীতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। অনেকে মনে করছেন, যাদেরকে বহিষ্কার করা হবে তাদেরকে আর ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নেই। আর এ কারণেই বিএনপির মাঠ পর্যায়ের প্রায় দুইশ নেতা এখন বহিষ্কারের ঝুঁকিতে।

উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   তারেক জিয়া   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন