আজ
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুপুর
২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। রাজশাহীর গণসমাবেশের মধ্য
দিয়ে ঢাকার বাইরে বিএনপির কর্মসূচি শেষ হচ্ছে। ৮টি শর্তে দলটিকে এই সমাবেশ করতে দেওয়ার
অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ের শেষ কর্মসূচি ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। পদে পদে বাধা, পুলিশি তল্লাশি উপেক্ষা করে দুই থেকে চার দিন আগে থেকে রাজশাহীতে প্রবেশ করে বিএনপি নেতা কর্মীরা। তবে বিএনপির অন্য বিভাগের সমাবেশের মত রাজশাহীর সমাবেশের আগে থেকেই মাঠে প্রবেশ করতে পারছেন না নেতাকর্মীরা। পাশেই ঈদগাঁ মাঠে সামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান নেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বিএনপির এই সমাবেশ ঠেকাতে সরকার নানা কৌশল করেছে। পরিবহন ধর্মঘট করেছে। এতকিছুর পরও মানুষকে আটকানো যায়নি। হাজার হাজার মানুষ এসেছেন। তিন দিন ধরে তারা তিন ঘণ্টার সমাবেশের জন্য অপেক্ষা করছেন। সমাবেশ ইতোমধ্যে সফল হয়ে গেছে।
এদিকে, রাজশাহীতে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। গতকালও কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। রাজশাহীতেও ঢোকেনি কোনো বাস। ঢাকাগামী বাসগুলোও বন্ধ। বিকল্প হিসেবে অটোরিকশা বা ছোট বাহনে গন্তব্যে পৌঁছেছেন যাত্রীরা। বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে তাদের। ট্রেনেও চাপ বেড়েছে। গতকাল দুপুর থেকে হঠাৎ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলারেরও ধর্মঘট শুরু হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু জানান, পুলিশি বাধা ও হয়রানি উপেক্ষা করে কয়েক লাখ নেতা-কর্মী রাজশাহী শহরে ঢুকেছেন। অনেকে রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠের পাশে ঈদগাহ মাঠে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁবু টানানোর ব্যবস্থা করা হলেও পুলিশ প্রথম দিকে তাতেও বাধা দেয়। ফলে অনেক নেতা-কর্মীকে রাতে খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার যেভাবে বাধা দিচ্ছে, তাতে বিএনপির উপকারই হচ্ছে। আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা আসছেন। এক জেলার নেতা-কর্মীর সঙ্গে অন্য জেলার নেতা-কর্মীদের বোঝাপড়া গড়ে উঠছে।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।