ইনসাইড পলিটিক্স

গাইবান্ধার বিনিময়ে জাপাকে কাছে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ?

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনের ভোট আগামী ৪ জানুয়ারি পুনর্নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ১২ অক্টোবর গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’ রুখতে না পেরে ৫১ কেন্দ্রে ভোট স্থগিতের পর গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটই বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পরদিন অনিয়মের তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে ইসি। ভোটে অনিয়মের দায়ে ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই নির্বাচন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু। এই আসনে জয়ের ব্যাপারে মরিয়া ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। তার সপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে ছুটে গেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনও। তবে সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে আওয়ামী লীগ।

জানা গেছে, আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ নয় আওয়ামী লীগ। বরং নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয় সে দিকে মনোযোগী আওয়ামী লীগ। আর সেজন্য দলটি চাইছে যে, নির্বাচন কমিশন যেভাবে চায় সেভাবে নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ। আর এব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে সবোর্চ্চ সহযোগিতা করা হবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য যে, গাইবান্ধা হলো জাতীয় পার্টি অধ্যুষিত এলাকা। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে জাতীয় পার্টির কর্তৃত্ব রয়েছে। কিন্তু গত অক্টোবরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি দখলে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সহ দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ কমে গেছে।

এদিকে সরকারের সমালোচনায় মুখর থাকা সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে বশিভূত করেছে আওয়ামী লীগ। যেকারণে এখন দলটির চেয়ারম্যান সরকারের বিরুদ্ধে কম কথাবার্তা বলছে। ইতোমধ্যে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখন গাইবান্ধা-৫ আসন ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য হলো আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগের কৌশল সফলতার মুখ দেখে কিনা।

গাইবান্ধা-৫   উপনির্বাচন   জাতীয় পার্টি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

১/১১’র কুশীলবদের পরিকল্পিত চক্রান্ত রুখে দেবার আহ্বান শেখ পরশের

প্রকাশ: ০৭:১৭ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ‘আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা, আপনাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন, কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়ে। এই উপহারগুলো আপনাদের অধিকার। এগুলোকে অনুদান মনে করবেন না। সরকার সর্বদা সচেষ্ট আছে আপনাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আজকে বিশ্বমন্দা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দামের উর্ধ্বগতি হওয়াতে আপনাদের যে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা অনুভব করি। কিন্তু আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী যুবলীগ আপনাদের পাশে আছে এবং চিরদিন থাকবে।’

শনিবার (১ এপ্রিল) কামরাঙ্গীরচরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মাঠে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ অনুষ্ঠোনে তিনি এসব কথা বলেন। 

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সাথে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। এদেশের জনগণকে আমরা সব সময় আমাদের সাথে পেয়েছি। এ দেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আমাদের পাশে ছিল এবং সব সময় থাকে। জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সাথে এই দেশের মানুষ আছে।’ 

তিনি বলেন, ‘একটা ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে, যে সাধারণ মানুষ যেন সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। আর এ নীলনঁকশার বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন এক-এগারোর কুশীলবরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এখন বেশ জোরেশোরে চলছে। দেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর হয়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের মাঠে নামানোর এক পরিকল্পিত প্রয়াস চলছে। কিছু গণমাধ্যম এখন খুবই নগ্নভাবে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ। যার ন্যাক্কারজনক বহিঃপ্রকাশ সম্প্রতি জনগণের সম্মুখে এসেছে প্রথম আলোর হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এটাকে শুধু হলুদ সাংবাদিকতা বলা যায় না। এই ধরণের সাংবাদিকতা সমগ্র সাংবাদিক পেশাজীবীদের কলঙ্কিত করেছে। এর মাধ্যমে শিশু সরলতাকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করা হয়েছে ‘

পরশ বলেন, ‘আমি নিজে একজন সাংবাদিকের সন্তান হিসেবে ভিশনভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। আমি প্রথম আলোকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য সকল মহলকে আহ্বান করছি এবং প্রথম আলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি করছি। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু ওই সমালোচনা যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও দেশবিরোধী হয়, তাহলে তার প্রতিবাদ করার অধিকার জনগণের আছে। প্রথম আলোরা এই সকল চক্রান্তমূলক কাজে লিপ্ত। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দেশটাকে ঝুঁকিপূর্ণ, সংকটময় দেখানোর ন্যাক্কারজনক অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সরকার ব্যর্থ এটি প্রমাণ করতে মরিয়া এরা। এ সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা সুযোগ সন্ধানী। দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারলেই এদের পোয়াবারো। এদের কারণে গণতান্ত্রিক সরকার বার বার সংকটে পড়ে। অগণতান্ত্রিক শক্তি ডালপালা মেলে। ’৭৫-এর প্রেক্ষাপট একটু খতিয়ে দেখলে দেখবেন। হলিডে ও গণকণ্ঠ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল। একশ্রেণির ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী, দেশ গেল বলে আর্তনাদ করেছিল। মুনাফাখোর, কালোবাজারি, মজুদদাররা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তুলেছিল। সেই পুরানো খেলা চলমান। আজ তিন মেয়াদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এতো দীর্ঘ দিবস-রজনী ক্ষমতা থেকে দূরে থাকাটা তথাকথিত সুশীলসমাজের কীভাবে সহ্য হবে? তাই শুরু হয়েছে সেই পুরোনো খেলা। চারদিকে হতাশার নানা বাদ্যযন্ত্র বাজানো হচ্ছে। কয়েকজন সুশীল তাঁদের নিয়ন্ত্রিত কিছু গণমাধ্যম, কিছু মতলববাজ সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্ত, ক্ষমতার মধু খাওয়া কিছু নব্য মোশতাক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ কেউ (যারা এখনো নিজেদের প্রভু ভাবেন) আরেকটি এক-এগারোর আয়োজন করতে চাচ্ছে।’

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জানেন, জনগণই তাঁর শক্তি। তাই তিনি বার বার আমাদের জনগণের কাছেই পাঠান। আর আমরা আপনাদের কাছে বার বার ফিরে আসি। আপনারাই আমাদের ভরসা।’ 

তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেক কাজ। আপনারা যদি যুবলীগ করতে চান, তাহলে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে হবে। জনগণের পাশে থাকতে হবে। শেখ হাসিনা যেই রাজনৈতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছেন- সেটা অনুসরণ করতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সাথে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমাদের আগামীতে এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোন জনবিচ্ছিন্ন সুশীলদের পূর্ব-নির্ধারিত সুশাসনের সংজ্ঞা দ্বারা আমাদের পরিচালিত হতে হবে না। আমাদের সুশাসনের সংজ্ঞা জননেত্রী শেখ হাসিনা রচিত করেছেন ইতিমধ্যে, সেটা হচ্ছে মানবিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতা।’


প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘রোজার মাসে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্যই বিএনপি অকারণে আন্দোলন করছে। আর আওয়ামী লীগের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা। তাদের ভালমন্দ দেখা। তাই আজকে যুবলীগের উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে রোজাদারদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ।’ 

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল সূচকে অভূতপূর্বক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে আজ সম্মানের সাথে দেখা হয়। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। ’৭১-এর পরাজিত শক্তি জামাত-বিএনপি আবারও মাথাচারা দিয়ে উঠছে, দেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। এই সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে যুবলীগকেই।’


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মহামারি করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন টালমাটাল সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘূর্ণায়মান। আর আমাদের আছে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। আজ ইউরোপে ১ ডজন মুরগী কেনা যায় না, ৫ লিটার তেল কেনা যায় না, ২ কেজি টমেটো কেনা যায় না। সেখানে একজন শেখ হাসিনা নাই বলেই আজকে বন্ধ হয়ে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক, সিগনেচার ব্যাংক, সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। আর বাংলাদেশে একজন শেখ হাসিনা আছে বলেই কোন ব্যাংক বন্ধ হয় না, ইন্স্যুরেন্স বন্ধ হয় না, না খেয়ে কেউই থাকে না।’

 

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘আজ বিএনপির নেতারা গণতন্ত্র নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন। বিএনপি কারা করে- আপনারা ভাল করেই জানেন। যারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ তারাই বিএনপি করে। বিএনপির জন্ম সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। জিয়াউর রহমান বন্দুকের গুলিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল। তার সন্তান তারেক রহমান। ২০০২-২০০৬ সাল বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছিল। সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছিল। বাড়ি-ঘর করতে গিয়ে চাঁদা দেওয়া লেগেছে, ব্যবসা করতে গিয়ে চাঁদা দেওয়া লেগেছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির যারা কুলাঙ্গার আছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করবই করবো।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. আবদুল হাই, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয় প্রমুখ। 


১/১১   কুশীলব   শেখ পরশ   যুবলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৬:০৪ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে, প্রতারণা করে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। এই সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তারা পরাজিত হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

শনিবার (১ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এখনো সতর্ক হোন, সজাগ হোন, যারা আজকে ক্ষমতাকে বেআইনিভাবে জোর করে ধরে রাখার জন্য সমস্ত ভিন্নমতকে দমন করছে, হত্যা করছে, গুম করছে, নির্যাতন করছে, কারাগারে নিচ্ছে। তাদের হাত থেকে আপনারও পার পাবেন না। তাই আজকে সকলের দায়িত্ব ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি মিটিং হয়েছে, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন- নির্বাচনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে আগাম নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। অর্থাৎ তারা ভিন্ন কৌশল নিতে চায়। আগেভাগে নির্বাচন করে গোটা জাতিকে বোকা বানিয়ে আগের মতো ক্ষমতায় যেতে চায়। এবার জনগণ আপনাদের কোনো কৌশলকেই সফল হতে দেবে না। আপনাদের কোনো ফাঁদে জনগণ পা দেবে না। এবার তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আপনাদের সমস্ত চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেবে।’ 

‘সব সময় বলে এসেছি এ সরকার গণতন্ত্র মানে না। এ সরকার মানুষের মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেয় না; তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা। তাদের অধীনে দুটো নির্বাচন করে বন্দুকের নলের মুখে জোর করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে।’ 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এদেশের মানুষ কখনোই অন্যায়কে মেনে নেয়নি। সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে।’

অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজ যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছেন, তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যদি কেউ সমালোচনা করেন তাহলে তাদের গায়ে লাগে। কারণ, তারা গণতান্ত্রিক নন।’ 

তিনি বলেন, ‘জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। দেশের যে সংকট সেটা এই সরকার নিরসন করতে পারবে না। তাই জনগণ এই সরকারকে চায় না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।’ 

অবস্থান কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, তানভীর আহমেদ রবীন, মহানগর সদস্য হাজী মো. নাজিম, আকবর হোসেন নান্টু ভূঁইয়া, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক সুমন ভূঁইয়া ও বদরুল আলম সবুজ, খিলক্ষেত থানা বিএনপির দেওয়ান ফরিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রেনু, দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন রতন, যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন তালুকদার, মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দুলু, কোতোয়ালি থানা বিএনপির আনোয়ারুল আজিম, আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন সরকার, শ্যামপুর থানা বিএনপির মো. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট রেজওয়ানুল সাঈদ রোমিও, মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুম খান রাজেশ, যাত্রাবাড়ী থানা ৪৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির মো. জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা প্রমুখ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তরুণ প্রজন্মকে হতাশা ও উস্কানি দেওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে প্রথম আলো: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

প্রথম আলো তাদের প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে, তরুণ প্রজন্মকে হতাশা ও উস্কানি দেওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়টি যে আমাদের রাজনৈতিক জীবনের সংকট ঘনীভূত করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কী করব? শিরোনামের সংবাদ এই ষড়যন্ত্রটির একটি অংশ। এই সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সাত বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে বক্তব্য নেওয়া, সেটা কি সাংবাদিকতা। স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের দেশাত্মবোধ সৃষ্টির এক অনন্য দিন, অথচ, এই দিনে পলিটিক্যাল সিলেক্টটেড বিশেষ এক এজেন্ডা সেটিং এর উদ্দেশ্য এই সংবাদটি প্রকাশ মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার সামিল নয়?

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুম, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের র্শীষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


ওবায়দুল কাদের   প্রথম আলো   ষড়যন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সারাদেশে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি আজ

প্রকাশ: ০৯:২২ এএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার (১ এপ্রিল) সারাদেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় দলটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ কর্মসূচিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়,  আজ শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। একই দিন বিএনপি ছাড়াও সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো স্ব স্ব উদ্যোগে পৃথক সময়ে এ কর্মসূচি পালন করবে।

শনিবার বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য, সিনিয়র নেতারা এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একই দিন সারাদেশে জেলা ও মহানগরে এসব অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-পীড়ন, গণ গ্রেফতার, নির্যাতন, খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আমাদের সংগ্রাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা সংগ্রাম করছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে পল্লবী থানা বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংগ্রাম করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এমন একটি সরকার আমাদের ওপরে চেপে বসেছে, যে সরকার মানুষের মর্যাদা দিতে জানে না, মানুষের জীবনের মূল্য দিতে জানে না! তারা যে কোনো উপায়ে হোক ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে চায়। কেউ বাদ যাচ্ছে না। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা না, সাধারণ মানুষও বাদ যাচ্ছে না। নওগাঁর একজন নারীকে র‍্যাব কি কারণে তুলে নিয়ে গেল? কিভাবে তা মৃত্যু হলো- তা এখনো জানা যায়নি।

ডিজিটাল আইনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। এই অপপ্রয়োগের ফলে একজন অসহায় নিরাপরাধ নারীকে জীবন দিতে হলো। এর দায় কে নেবে? এর সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে। প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে শুধু মামলা না, এই সরকার আরও তিনজন সম্পাদককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। তারা হলেন- সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান। অসংখ্য নেতাকর্মীকে নির্যাতন হয়রানি করছে। আর এখন সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে। আজকের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, কোনোটাই নেই দেশে।

তিনি বলেন, সরকার আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে নাই, কিন্তু রাজনৈতিক দলের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। তারা আবারও একটা নতুন নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। ১৪ ও ১৮ সালের মতো রাতের আঁধারে ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু এদেশের জনগণ তা হতে দেবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দশ দফা দিয়েছি। সেখানে বলেছি, এই সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনে যদি বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়, তার মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এর মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামত করা হবে। কারণ বর্তমান সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।

এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন