কূটনীতিকপাড়ায় প্রতিযোগিতায় নেমেছে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। সাম্প্রতিককালে রাজনীতিতে কূটনীতিকদের অযাচিত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে এসেছে। কূটনীতিকপাড়াতে বিএনপির তৎপরতা বেশ কয়েক মাস ধরেই আলোচিত হয়ে আসছে। আর ফলশ্রুতিতে কূটনীতিকরা অনেকেটা বিএনপির নেতাদের ভাষায় কথা বলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আছে বিএনপির নেতারা কূটনীতিকপাড়ায় বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে ধরনা দিচ্ছে এবং কূটনীতিকরাও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে এক পাক্ষিক অযাচিত মন্তব্য করছে। বিশেষ করে ৭ ডিসেম্বরে নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একাধিক দূতাবাস বিবৃতি দিয়েছে। বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের সূত্র ধরেই তারা এ ধরনের বিবৃতি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে বলে বিশ্লেষকরা দাবি করছে। তবে বিগত কয়েকদিনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো কূটনীতিকরা যেভাবে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছে তাতে নড়েচড়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে যে, একটা সময় কূটনীতিকপাড়া তাদেরই দখলে ছিল। কিন্তু নানা কারণেই তারা সেটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি এবং বিএনপি কূটনীতিকপাড়ায় মিথ্যাচার করছে বলেও কোনো কোনো নেতা অভিযোগ করেছে। তবে এরই মধ্যে কূটনীতিকপাড়ায় সরব হয়েছে আওয়ামী লীগও। গতাকাল আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার এবং ডেস্ক অফিসার ড. মারিও জিওরি। এর আগের দিন জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। শুধু গতাকলই নয়, এর আগে গত ২৮ নভেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকার ৭ ডিসেম্বরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলোতে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এদিকে সক্রিয় রয়েছে বিএনপিও। সবকিছু মিলিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি কূটনীতিকপাড়ায় এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতায় নেমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় এই প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত কে জয়ী হয়।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।