ইনসাইড পলিটিক্স

তারেকই কি জামায়াতের প্রধান নেতা?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

জামায়াতের আমীর ডা. মোঃ শফিকুর রহমানকে গত সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তাকে এখন সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জামায়াতের আমিরের টেলিফোনের কল লিস্ট এবং অন্যান্য তথ্য উপাত্ত ঘেটে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জামায়াতের আমীর হলেও সার্বক্ষণিকভাবে লন্ডনে যোগাযোগ করেছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন যে, তারেক জিয়ার সঙ্গে তাঁর দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার যোগাযোগ হয়। ডা. মোঃ শফিকুর রহমান এটাও স্বীকার করেছেন যে, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি এখনো ঘনিষ্ঠ এবং গভীর যোগাযোগ রয়েছে। বিএনপি গত কিছুদিন ধরেই বলার চেষ্টা করছে যে জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নাই। এই জন্য ২০ দলকেও অকার্যকর করে রেখেছে। কিন্তু থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে যখন বিএনপির ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। বিএনপির ১০ দফা আন্দোলনকে জামায়াত সমর্থন করে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রায় একই রকম দাবি দাওয়া দিয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। ১৩ ডিসেম্বর তারা 

বিক্ষোভ মিছিলও করে। আর এর পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াতের সঙ্গে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতাসহ সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ পায়। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতার করার পর এখন জিজ্ঞাসাবাদে ডা. শফিকুর রহমান অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, জামায়াতকে মূলত বিভিন্ন নাশকতা সৃষ্টি করার কাজে তারেক জিয়া ব্যবহার করছিলেন। আর একারণেই জামায়াতের আমিরের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ করছিলেন। জামায়াতকে তারেক জিয়া তিনটি দায়িত্ব দিয়েছিল।

প্রথম দায়িত্ব হলো, বিএনপি যে আন্দোলনের কর্মসূচি গুলো করছে সেই আন্দোলনের কর্মসূচি প্যারালাল কর্মসূচি পালন করা। এর জন্য জামায়াত যুগপৎ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল।

দ্বিতীয়ত, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থাপনা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর আক্রমণ চালানো এবং হামলা করা। যাতে সমাজে একটি আতঙ্ক তৈরি হয়।  

তৃতীয়ত, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলোর নেটওয়ার্ক তৈরি করা এবং এই জঙ্গী সংগঠন গুলো যেন বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাস সহিংসতা এবং আচমকা হামলার ঘটনা ঘটায় সেই ব্যাপারে তদারকি করা। 

আর এই তিন কাজের জন্য জামায়াতের আমিরকে তারেক জিয়া ব্যবহার করতেন এবং তারেক জিয়ার নির্দেশেই তিনি এই কাজগুলো করছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন যে, ডা. শফিকুর রহমান এখন রিমান্ডে আছেন। রিমান্ডে তার কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। আর তাহলেই তারেক জিয়ার পরিকল্পনার নীলনকশাটাও পরিষ্কার হবে। তবে তারেক জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের কথোপকথন একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে যে, তারেক জিয়া কি তাহলে জামায়াতের প্রধান নেতা?

তারেক জিয়া   জামায়াত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অশান্ত হয়ে উঠছে রাজনীতি

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিএনপি সরকারকে আর সময় দিতে রাজি নয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে কোণঠাসা করতে চায়। এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

আজ রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর এবং তার স্ত্রীর সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একই সাথে অন্য এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার জন্য বলা হয়েছে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রাজনীতিবিদরা রক্ষক তারা কখনও ভক্ষক হতে পারেন না। অর্থাৎ এই দুইটি মামলায় হাইকোর্টের দণ্ডপ্রাপ্ত হবার কারণে এ দু'জনকে এখন জেলে যেতে হবে। ফলে রাজনীতির মাঠে উত্তাপ-উত্তেজনা আরো বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এই দুজন নেতা সাম্প্রতিক সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে বড় ভূমিকা রাখছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ রায়কে ফরমায়েশি রায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফলে বিএনপি ওই রায়ের পর রাজনীতিতে সহিংসতা এবং বড় ধরনের গোলযোগের শঙ্কা তৈরী হল বলেও কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকেও যখন দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত করা হয়েছিল, তখনও অনেকে মনে করেছিল যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হবে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় কারান্তরীণ থাকা অবস্থায় বিএনপি কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। তাছাড়া দুর্নীতি দমনের মামলার রায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত বহাল রেখেছে। এরকম বাস্তবতায় এই রায় নিয়ে বিএনপির যদি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তবে সেটি সাধারণ মানুষ গ্রহণ করবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে গত কিছুদিন ধরেই সরকার নতুন করে বিএনপি নেতাদের ধরপাকড় গ্রেপ্তার শুরু করেছে। বিশেষ করে পুরনো মামলাগুলোয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হয়রানি করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছে যে, কোনভাবেই বিরোধী দলের উপর কোনরকম দমননীতি বা নিপীড়ন করা হচ্ছে না। আইন সকলের জন্য সমান। যারা আইনের দৃষ্টিতে অন্যায় করেছে বা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।

কিন্তু দুই পক্ষ যে বক্তব্যই দিকনা কেন, নির্বাচনের আগে যখন বিরোধী দল বিএনপি বড় ধরনের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এই মামলা এবং দন্ড আন্দোলনকে প্রভাবিত করবে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন তারা। বিএনপি'র পক্ষ থেকে তাদের জোট গুলোকে নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সারা দেশে শান্তি সমাবেশ এবং গণসংযোগের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে নিজেদের কর্তৃত্ব অব্যাহত রাখতে চাইছে। ফলে নির্বাচনের আগেই একটি উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করে সংকট সৃষ্টি করতে চায়: কাদের

প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের নিরুৎসাহিত করে দেশে সংকট তৈরির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবরে বিএনপি নেতারা খুশি নয়।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা প্রতিবাদ জানান তিনি। 

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আরজি নিয়ে বিএনপি কেবল চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকে। 

সরকারের রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা কেবল দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আর্জি নিয়ে চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকে, তারা রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না, সেটাই স্বাভাবিক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো অগ্রগতি ও সফলতায় বিএনপির গাত্রদাহের বহিঃপ্রকাশ মির্জা ফখরুলদের নেতিবাচক বক্তব্যের মধ্যদিয়ে বারবার উন্মোচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যার সফল নেতৃত্বের কল্যাণে বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতোই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার অর্থপাচার রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির স্থাপন করেছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট শাসনামলে দুর্নীতি ও অর্থপাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল।

আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বরং বিএনপিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আগুন দিয়ে শত শত নিরীহ, নিরাপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এমনকী কানাডার উচ্চ আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু তারা তাদের অতীত অপকর্ম নিয়ে অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণিত হয়েছে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপি   রেমিট্যান্স   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গাজীপুর নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের তলব করবেন প্রধানমন্ত্রী


Thumbnail

সম্প্রতি শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন জয়ী হয়েছেন। গাজীপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতা এবং গাজীপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। কিন্তু তিনি পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতারাও দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লা’র পক্ষে নিবাচনী প্রচারণা, নির্বাচন পরিচালনা, এমনকি সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। কিন্তু গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর নাটকীয় পরাজয় ঘটে। কিন্তু এই পরাজয়ের কারণ কি?- এই নিয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠেছে।

দলের শীর্ষ পর্যায় অর্থাৎ দলীয় সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে আলোচনা করতে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নেতাদের তলব করবেন বলে জানিয়েছে একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্র বলছে, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় নেতা। দলের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গাজীপুর নির্বাচনের ব্যাপারেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। এমনকি একজন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যকেও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সার্বিক তদারকির সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

সূত্রমতে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেনসহ যারা যারা ছিলেন- তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী ডাকবেন। কি হয়েছিল গাজীপুর নির্বাচনে?- এ ব্যাপারে তিনি সবার বক্তব্য শুনবেন। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়াও গাজীপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত জেষ্ঠ্য মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেলকেও এ নির্বাচনের ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ দিতে ডাকা হতে পারে।

এছাড়াও, গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গাজীপুর আওয়ামী লীগে একটি শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র। আবার অনেকে মনে করছেন, নির্বাচনের আগে শুদ্ধি অভিযান না করে, গাজীপুর আওয়ামী লীগের বিভক্তিকে যেন প্রশমিত করা হয়। সূত্রটি বলছে, দলীয় কোন্দল, বিভক্তির কারণেই গাজীপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী মহল। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমত উল্লা খান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ সবিস্তরে তুলে ধরেছেন।   
  
উল্লেখ্য যে, গাজীপুর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে প্রতীকী প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। জায়েদা খাতুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা। প্রথমবার বহিস্কৃত হওয়ার আগে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদকের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার কারণে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও বহিষ্কৃত হন। সেই থেকেই গাজীপুর আওয়ামী লীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। 

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ে গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বিধা-বিভক্তিকেই মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বলছেন,গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনই আওয়ামী লীগের দখলে। গাজীপুর থেকে আওয়ামী লীগের দুজন মন্ত্রীও রয়েছেন। এইসব আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, মন্ত্রীরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কি করেছেন? - এটাই প্রশ্ন। গাজীপুর সিটি নির্বাচন বিষয়ে এইসব আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদেরকেও দলীয় সভাপতির দপ্তরে তলব করা প্রয়োজন।

গাজীপুর নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কি হবে আজমত উল্লা’র?


Thumbnail কি হবে আজমত উল্লা’র?

সম্প্রতি শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে প্রতীকী প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। জায়েদা খাতুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা। প্রথমবার বহিস্কৃত হওয়ার আগে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদকের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার কারণে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও বহিষ্কৃত হন। সেই থেকেই গাজীপুর আওয়ামী লীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ে গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বিধা-বিভক্তিকেই মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।  

সেই সঙ্গে পর পর দুই দফায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান ভোটে পরাজিত হওয়ার কারণে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেছিলেন কেউ কেউ। আজমত উল্লা একজন ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতা। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। একজন শিক্ষিত সজ্জন ব্যক্তি, আদর্শের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি দলের এই দুঃসময়ের সাথী। তাই এমন একজন নেতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কি শেষ হয়ে গেল? -এমন প্রশ্নই ওঠেছিল রাজনৈতিক অঙ্গনে। 

কিন্তু গতকাল রোববার (২৮ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমত উল্লা খানের এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবিস্তরে তুলে ধরেন। সাক্ষাৎ শেষে তিনি তার নিজের লেখা দুইটি বই ‘রাজনীতির মহাকবি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এবং ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বগুণ : আদর্শ ব্যক্তি ও জাতি গঠনে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত’- শীর্ষক দুইটি বই প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। 

এই সাক্ষাতের পর থেকেই আলাপ-আলোচনা ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূন্য হয়। ওই শূন্য আসনে আজমত উল্লাকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলেও বলছেন কেউ কেউ।

আবার কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত উল্লা। কেননা, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন, তাকে যেমন শাস্তি দেন- আবার যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন- তাকে একই সঙ্গে সব দেন, পুরস্কৃত করেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর- ভোটকে ঘিরে যে আচরণ করেছেন- সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমত উল্লাকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে- সে আজমত উল্লাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।

তবে এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর যে নাটকীয় পরাজয় হয়েছে, তাতে আজমত উল্লা ব্যর্থ বলেই প্রতীয়মান হয়েছেন। কেননা তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দলের সভাপতি হিসেবে এলাকায় তার একটা নিয়ন্ত্রণ, তার একটা জনপ্রিয়তা- তাকে এই নির্বাচনে জয়ী করে তুলতে পারতো। সেখানে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ। একথা সত্য যে, দলের দুঃসময়ে তিনি অবদান রেখেছেন, দলের জন্য নিবেদিত ছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তার প্রাপ্তির বিষয়টি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তবে যে সমস্ত গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তা ফলপ্রসূ হতে হলে কেবলই সময়ের অপেক্ষা। সময় বলে দিবে কি হবে আজমত উল্লা’র?

আজমত উল্লা   গাজীপুর   সিটি নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কিসের জাদুতে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে: প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের

প্রকাশ: ০৭:৫৫ পিএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার হঠাৎ করে বলছে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে! কি এমন জাদু তৈরি হলো যে রেমিট্যান্স বেড়েছে। এর মূল কারণ হলো চুরি হওয়া টাকা ফেরত আনছে লুটেরা।

সোমবার (২৯ মে) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েকদিন আগে সরকার খুব লাফালাফি করেছিল। এখন কিন্তু থেমে গেছে। এখন বলেন, আমরা সংঘাত চাই না। আলোচনায় বসতে চাই। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে এসেছি। এ আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। আমাদের দশ দফার আন্দোলনের প্রথম দফা সরকারের পদত্যাগ। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবর্তন চাই, আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। 

তিনি সকলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মনে রাখতে হবে, তারা (সরকার) আমাদের ফাঁদে ফেলতে চাইবে। গাড়ি পুড়াবে, অগ্নিসংযোগ করবে তারা, দায়ভার দিবে আমাদের। 

প্রয়াত জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তার মৃত্যু সংবাদে সারাদেশ ছিল বাকরুদ্ধ। যে জিয়া মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে কোনো লাভ নেই।
 
দেশের কঠিন সময়ে এই জাতির সামনে ত্রাণ কর্তা হিসেবে হাজির হয়েছিলেন তিনি। যতই মিথ্যাচার করেন না কেন তাকে কারো মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না। যেখানে ভবিষৎ নেই সেখানে তিনি আশার আলো তৈরি করেছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, সে গণতন্ত্র আজ ১৫ বছর যাবৎ ভূলণ্ঠিত। সে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হলে জিয়াউর রহমানকে জানতে হবে। কিভাবে তিনি একটি অন্ধকার জাতিকে আলোর পথে পথ দেখিয়েছিলেন। কিভাবে প্রতিটি জাতীয় সংকটে ত্রাণকর্তার ভূমিকা রেখেছেন। 

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে সফল, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও সফল। সৈনিক হিসেবেও সফল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে মৌলিক পরিবর্তন এনেছিলেন। ৭২ থেকে ৭৫ সালে অর্থনীতি লুটপাট হয়েছিল। অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে ফেলেছিল। সেখান থেকে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিল জিয়াউর রহমান। 

তিনি বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় তারা জিয়াকে ভয় পায়। তাই তার সম্পর্কে অবান্তর কথা ছড়ানো হচ্ছে। আজকে তারা (সরকার) বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না। মিথ্যাচার করে নতুন প্রজন্মের কাছে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। দেশকে চলমান সংকট থেকে মুক্ত করতে জিয়ার আদর্শিত সৈনিকদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির লজ্জিত হবার কোনো ইতিহাস নেই, গৌরব করার মতো ইতিহাস আছে। আমরা সামরিক শাসন জারি করি নাই, গণতন্ত্র হত্যা করিনি। এ আওয়ামী লীগ ১/১১-এর অবৈধ সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। বিএনপি কর্মী হিসেবে বলতে পারি বিএনপি শুধু স্বাধীনতা ঘোষকের দল নয়, গণতন্ত্র রক্ষাকারী দল। বিএনপির শাসনামলেই জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পেয়েছিল। জিয়াউর রহমানকে আজ শ্রদ্ধা করা উচিত। অথচ আজ তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে, মিথ্যাচার করা হচ্ছে। মানুষ তাকে ভুলে নাই। স্বার্থবাদীরা ভুলেছে। 

তিনি বলেন, আজ দেশকে শেষ করে দেয়া হচ্ছে। বিদেশিরা আজ এ সরকারের ভোট চুরির কথা জানে। গণতন্ত্র কুক্ষিগত করে রাখার কারণে সারাবিশ্বে বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। 

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি সৈনিকদেরও নেতা ছিলেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ছিলেন। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন। আজকে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ব কি চিন্তা করছে তা আজ সবাই জানে। আমেরিকায় গণতন্ত্র সম্মেলনে পৃথিবীর ১০৭ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানালেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমেরিকার ভিসা নীতিতো আগেই ছিল, তবে কেনো বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসা নীতি করতে হলো? কারণ দেশের গণতন্ত্র আজ ভূলণ্ঠিত তা আজ বিশ্ব অবগত। 

সেলিমা রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগের অত্যাচারের ইতিহাস আজ নতুন নয়। এর আগেও তারা গণতন্ত্র কুক্ষিগত করে রেখেছিল। অবাধ লুটপাটের কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিল। মুক্তিযুদ্ধাদের মধ্যে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে, তা ভূলণ্ঠিত করেছে এই আওয়ামী লীগ।

আমেরিকা   রেমিট্যান্স   মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন