ইনসাইড পলিটিক্স

আ লীগের সম্মেলন: শেখ হাসিনার দশম, হ্যাটট্রিকে ওবায়দুল কাদের!

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের সৃষ্টির পেছনে এই দলের ভUমিকা যেমন অপরিসীম, তেমনি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতার মসনদেও এই দলটি। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে এ দেশের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাও আওয়ামী লীগের হাত ধরে। দলটির চোখ এখন আগামী জাতীয় নির্বাচনে। নির্বাচনের আগেই ২২তম জাতীয় সম্মেলন করতে যাচ্ছে দলটি। স্বাভাবিকভাবেই দলের নেতৃত্ব নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সবার মধ্যেই যে কারা আসছেন দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে?

১৯৮১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ নিয়ে কৌতূহল নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ‘অবিকল্প’ মনে করে এই পদটিতে তাকেই দেখতে চায় দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। ফলে সম্মেলনে সবার নজর থাকে সাধারণ সম্পাদক পদের দিকে। ধারণা করা হচ্ছে এবার সেটিও নেই। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ পদে যে ‘হ্যাটট্রিক’ করতে যাচ্ছেন, তা অনেকটাই নিশ্চিত সংশ্লিষ্টরা। ফলে এবার আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সবার দৃষ্টি ন্থাকবে  ‘প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক’ পদে। যদিও নেতৃত্ব চূড়ান্ত হবে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ-পর্যায়ের নেতাদের কথা অনুযায়ী, সম্মেলনের গঠিত কমিটিতে তেমন কোনো বড় পরিবর্তন আসবে না। কিছু পদোন্নতি, দায়িত্বে রদবদল ও খুব অল্পসংখ্যক নেতাকে বাদ দেয়ার পাশাপাশি নতুন অন্তর্ভুক্তি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে।

বিগত ২১টি সম্মেলনে আওয়ামী লীগ মোট ছয়জন নতুন সভাপতি ও ৯ সাধারণ সম্পাদক পেয়েছে। এবারও সেই সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেই ধারণা দলের নেতাদের। সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দশম বারের মতো এবং ওবায়দুল কাদের টানা তৃতীয় মেয়াদ অর্থাৎ হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন।

সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে নেতা নির্বাচিত হয়। সভাপতি পদে শেখ হাসিনাকেই সবসময় কাউন্সিলররা সমর্থন করেন। তার বিকল্প নেই। একইসঙ্গে তাকেই নেতৃত্ব বাছাইয়ের সর্বময় ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু-কন্যা দলের প্রতিটি পদে নেতৃত্ব মনোনীত করেন। এবারও তার ব্যত্যয় হবে না।

দলটির নেতৃত্ব নির্বাচনের রেওয়াজ অনুযায়ী, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রথমে সভাপতির নাম প্রস্তাব করবেন একজন নেতা। পরে আরেকজন নেতা তা সমর্থন করেন। সবার কণ্ঠভোটে সেটি পাস (অনুমোদন) হবে। একই প্রক্রিয়ায় সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচন করা হয়। পরে বাকি পদগুলোতে নেতাদের নাম ঘোষণা করেন দলের নব-নির্বাচিত সভাপতি। বেশিরভাগ সময় ৮১ সদস্যের কমিটিতে কিছু পদ খালি রাখা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে শূন্য পদগুলো পূরণ করা হয়।

তবে নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগ একাধিক নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতা জানান, সামনে জাতীয় নির্বাচন। টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসা অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে শক্ত হাতে সামাল দিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে হবে আওয়ামী লীগকে। এজন্য নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। পাশাপাশি তার রানিংমেট হিসেবে সবপক্ষের সঙ্গে সুসমন্বয়ের জন্য দক্ষ, অভিজ্ঞ, পরিশ্রমী, কর্মঠ ও একে-অন্যকে খুব সহজেই বোঝেন- এমন নেতৃত্ব প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অনেকের বিবেচনায় ওবায়দুল কাদের এগিয়ে।

ওবায়দুল কাদেরের প্রতি ‘সন্তুষ্ট’ শেখ হাসিনাও

দলের রানিং মেট হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতা ওবায়দুল কাদেরের প্রতি সন্তুষ্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। ওবায়দুল কাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় দক্ষভাবে সামাল দিচ্ছেন বলেও রীতিমতো ‘সার্টিফিকেট’ দিয়েই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সময়ে বক্তৃতায় শেখ হাসিনার মুখে ওবায়দুল কাদেরের প্রশংসা শোনা গেছে।

গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বঙ্গবন্ধু টানেলের একটি টিউবের কাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শেখ হাসিনা। সেখানে তার সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার একপর্যায়ে ওবায়দুল কাদেরের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের, তার মতো কর্মঠ লোক খুব কম আছে। তাকে পার্টির সেক্রেটারি করার পর আমার চাপ অনেক কমে গেছে।’

কাদেরও কি ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েছেন?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের। এমন গুঞ্জন সবখানে। তবে এ নিয়ে আরও বেশি ‘আত্মবিশ্বাসী’ দেখা গেছে খোদ ওবায়দুল কাদেরকে। সম্মেলনের দুদিন আগেও বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে তার পদে থাকার বিষয়ে আরও স্পষ্ট করে বক্তব্য দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি জানান, সম্মেলনের মাধ্যমে আগামীতে যে কমিটি আসছে, তাতে বড় কোনো পরিবর্তন করা হবে না। বরং জাতীয় নির্বাচনের পর আগাম একটি সম্মেলন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার এমন বক্তব্যের পর দলের নেতারা বলছেন, সাধারণ সম্পাদক পদে হ্যাটট্রিক দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়ে হয়তো ওবায়দুল কাদের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়ে গেছেন!

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের বলেন, ‘সবার দৃষ্টি তো এখন দলের সাধারণ সম্পাদক পদের দিকে। গণতান্ত্রিক দল হিসেবে এ পদে প্রার্থী হতে অনেকের ইচ্ছা থাকতে পারে। আমার জানামতে, এ পদে অন্তত ১০ জন অভিজ্ঞ ও যোগ্য প্রার্থী দলে আছেন। তবে কে হবেন, এটা নেত্রীর ইচ্ছা ও কাউন্সিলরদের মতামতের ওপর নির্ভর করছে। সবকিছুর প্রতিফলন ঘটবে দ্বিতীয় অধিবেশনে। কাজেই আমি কারও নাম বলতে পারবো না। তবে এবারের সম্মেলনে কমিটিতে তেমন বড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। প্রয়োজনে পরবর্তী সম্মেলন নির্বাচনের পর আগামও করতে পারি। তখন একটা বড় ধরনের পরিবর্তন হয়তো হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, ধানমন্ডি, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা ও নেতাদের আড্ডায় চাওর আছে- ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি হতে আগ্রহী। এজন্য তিনি নির্বাচনের পরে আগাম সম্মেলনের কথা বলছেন। বস্তুত আগাম সম্মেলন না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে নেত্রী তাকে (ওবায়দুল কাদের) যদি এ পদে রাখতেই চান এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি বানাতে বা সরিয়ে দিতে চান, তবে তার সঙ্গে যুগ্ম সম্পাদক এমন কাউকে দেবেন, যাতে সাধারণ সম্পাদকের অবর্তমানে তিনি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে মেয়াদ শেষ করতে পারেন।

নজর সবার ‘প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক’ পদে

ওবায়দুল কাদেরের ওপর দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সন্তুষ্ট। শীর্ষ নেতারাও বলছেন- সব দিক বিবেচনায় উনি (কাদের) এগিয়ে। আবার কাউন্সিলরদের মনোভাবও ইতিবাচক। ফলে টানা তৃতীয় মেয়াদে ওবায়দুল কাদেরের দলের সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া শুধুই সময়ের ব্যাপার মাত্র। শেষ পর্যন্ত যদি সেটাই হয়, তাহলে সবার দৃষ্টি থাকবে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে।

কারণ রাষ্ট্রপতি হওয়া বা বয়স ও শারীরিক জটিলতায় পড়লে ওবায়দুল কাদেরের অবর্তমানে দায়িত্ব চালিয়ে নিয়ে যাওয়া লাগতে পারে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের। রীতি অনুযায়ী- দলের প্রথম বা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকই ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হয়ে থাকেন। ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ্য বা এ পদে আসতে আগ্রহীদের সবার দৃষ্টি এখন ‘প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক’ পদে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ওবায়দুল কাদেরকে যদি সত্যিই এবারও সাধারণ সম্পাদক পদে রেখে দেওয়া হয়, তাহলে বর্তমান কমিটির প্রথম ও দ্বিতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনিকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হতে পারে। তাদের পদে আনা হতে পারে ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে। অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন হাছান মাহমুদ ও বাহাউদ্দিন নাছিম।

তারা আরও জানান, বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন অথবা মির্জা আজম হতে পারেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া সক্রিয় কয়েকজন সম্পাদক ও সদস্যের পদোন্নতি হতে পারে। বাদ পড়তে পারেন কয়েকজন। নতুন যুক্ত হবেন কিছু সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা-নেত্রী।

৭৪ বছরে আওয়ামী লীগের ছয় সভাপতি

দলটির প্রথম দিকে চারটি কাউন্সিলে (১৯৪৯-১৯৫৭) সভাপতি হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। ১৯৬৪ সালে পঞ্চম কাউন্সিলে আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সভাপতি হন শেখ মুজিবুর রহমান। টানা চার কাউন্সিলে সভাপতি হওয়া শেখ মুজিব ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত পদে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে দশম কাউন্সিলে সভাপতি হন এ এইচ এম কামরুজ্জামান।

১৯৭৮ সালে একাদশ কাউন্সিলে সভাপতি হন আবদুল মালেক। দ্বাদশ কাউন্সিলেও তিনি বহাল থাকেন স্বপদে। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দলের ১৩তম কাউন্সিলে সভাপতি হন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২১তম কাউন্সিলেও তিনি একই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ২২তম কাউন্সিলে নির্বাচিত হলে তিনি দশম বারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি হবেন।

২১ সম্মেলনে ৯ সাধারণ সম্পাদক

১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। এরপর ১৯৫৩-১৯৬৬ সাল পর্যন্ত চারবার দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ঐতিহ্যবাহী এ দলটির দ্বিতীয় সাধারণ সম্পাদক। ১৯৬৬-১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। তিনি তৃতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপর ১৯৭২-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে জিল্লুর রহমান দলটির চতুর্থ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

একাদশ ও দ্বাদশ সম্মেলনে টানা দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হন আবদুর রাজ্জাক। তিনি পঞ্চম সাধারণ সম্পাদক। ১৯৮৭ সালে ১৩তম সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ষষ্ঠতম সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি টানা দুই মেয়াদ ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। এর ১৫ ও ১৬তম সম্মেলনে জিল্লুর রহমান আবারও দুই মেয়াদে ২০০২ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

২০০২ সালের ১৭তম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হন আবদুল জলিল। তিনি দায়িত্বে ছিলেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত। ওইবছর দলের ১৮তম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন ২০১৬ সাল পর্যন্ত। ২০১৬ সালের ২০তম কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়ে দশম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান ওবায়দুল কাদের। ২১তম সম্মেলনেও তিনিই আবারও দায়িত্ব পান। এবারের ২২তম সম্মেলনে দায়িত্ব পেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হ্যাট্রিক করবেন তিনি।

সারাদেশে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা শাখা। এরমধ্যে ৩৯টির সম্মেলন হয়েছে, বাকি ৩৯টির সম্মেলন হয়নি। সম্মেলন হওয়া ৩৯টির মধ্যে প্রায় সবকটিতেই সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা হয়েছে। এরমধ্যে নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে মাত্র সাতটিতে। নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়নি ২৪টিতে এবং নেতৃত্বের আংশিক পরিবর্তন হয়েছে আটটিতে। সেই হিসাবেও বলা যায়, এবার কেন্দ্রেও এ চিত্রের প্রতিফলন ঘটবে। তেমন বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না নেতৃত্বে।

প্রস্তুতি শেষ, মঞ্চে চেয়ার থাকবে ১২০টি

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ১১টি উপ-কমিটি কাজ করছে। প্রথা অনুযায়ী- সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ও সদস্যসচিব সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন সফল করতে রাত-দিন পরিশ্রম করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। দফায় দফায় বৈঠক, দাওয়াতপত্র বিতরণ, গঠনতন্ত্র সংযোজন, বিয়োজন, ঘোষণাপত্র পরিমার্জন, মঞ্চ সাজসজ্জাসহ আনুষঙ্গিক সব কাজ প্রায় শেষ করেছেন। এবারের সম্মেলনের স্লোগান ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’।

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের মূল মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পর্বের জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা মঞ্চ। মূল মঞ্চে চারটি সারিতে চেয়ার সাজানো হবে। প্রথম সারিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বসবেন। দ্বিতীয়টিতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সিনিয়র নেতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাকি দুটিতে বসবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সবমিলিয়ে ১২০টি চেয়ার রাখা হবে মঞ্চে।

আওয়ামী লীগের মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির সদস্যসচিব ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, পদ্মা সেতুর ওপরে নৌকার আদলে তৈরি ৮০ ফুট বনাম ৪৪ ফুট মঞ্চ তৈরির কাজ শেষপর্যায়ে। মূল মঞ্চের উচ্চতা হবে সাত ফুট। মূল মঞ্চে চার ভাগে চেয়ার সাজানো হবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ এলইডি মনিটর থাকবে। তাতে সম্মেলনের কার্যক্রম দেখা যাবে।

বাজেট কমেছে, দাওয়াত পাননি বিদেশিরা

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বাংলাদেশেও। অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এবারের সম্মেলন সাদামাটাভাবে করছে আওয়ামী লীগ। প্রথম থেকেই খরচ কমানোর তাগিদ দিয়ে আসছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। সেভাবেই মঞ্চ তৈরিসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। ২০১৯ সালের সর্বশেষ সম্মেলনে বাজেট ছিল তিন কোটি ৪৩ লাখ। এবারের সম্মেলনে বাজেট তিন কোটি ১৩ লাখ। দলের জাতীয় কমিটি এ বাজেট অনুমোদন করেছে।

এদিকে, এবারের সম্মেলনে দাওয়াত দেওয়া হয়নি বিদেশিদেরও। তবে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মেলনে দাওয়াত দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথম অধিবেশন

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসবেন। এরপর আধা ঘণ্টাব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে। পরে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিল অধিবেশন

প্রথম অধিবেশন শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন। এ অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন।


আওয়ামী লীগ   সম্মেলন   শেখ হাসিনা   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের ভাই, ভাতিজা, মামা, শ্যালকদের কী হবে?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। 

উল্লেখ্য, এবার উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক মন্ত্রী-এমপি তাদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাতিজা, শ্যালক, মামা, ভাগ্নে এবং অন্য আত্মীয়স্বজনকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। যারা এরকম পরিবারতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন তার মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। তিনি তার খালাতো ভাইকে উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। শাজাহান খান তার ছেলেকে মাদারীপুরের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান তার ছেলেকে, বগুড়ার সাহাদারা মান্নানের ছেলে এবং ভাই দুইজনই বগুড়ার দুটি উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। 

এ রকম দীর্ঘ তালিকা তালিকায় দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক মন্ত্রী-এমপি তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনকে প্রার্থী করেছে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অবস্থান গ্রহণ করেছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে কেউ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না এবং দলগতভাবে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না মর্মেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারা তার নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তি বা মাইম্যানদেরকে জয়ী করাতে মাঠে নেমে পড়ে এবং এর ফলে তৈরি হয় নতুন সংকট। 

একদিকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি উপজেলাতেই তিন বা ততোধিক প্রার্থী রয়েছে, তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে- এটিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানিয়েছে পরোক্ষভাবে। কারণ আওয়ামী লীগ মনে করে, যেহেতু বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, কাজেই আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, একটা নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির কঠোর নির্দেশনা ছিল যে, মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কিন্তু মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষ থেকে এই বাণীকে কর্ণপাত করা হয়নি। বরং তারা তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনকে নির্বাচনের মাঠে নামিয়েছে তাদের এলাকায় পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আর এর ফলে আওয়ামী লীগ সভাপতি একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

প্রশ্ন হল, শেষ পর্যন্ত যদি দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপি এবং প্রভাবশালী নেতাদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হন, সে ক্ষেত্রে কী হবে? আওয়ামী লীগ কী কঠোর হতে পারবে?

অতীতে দেখা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থান গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সেই কঠোর অবস্থান শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচন করে এবং পরবর্তীতে তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। এবার জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রবেশ দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। ফলে ৫৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এবার উপজেলায় আওয়ামী লীগের এই আত্মীয় স্বজনকে প্রার্থী করা যাবে না- এই নির্দেশনা কয়জন মানবেন এটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ ব্যাপারে যদি আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে না যায় তাহলে আওয়ামী লীগের ভেতর এক ধরনের গুমোট পরিবেশ তৈরি হবে। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় জমিদারি প্রথা চালু হবে এবং মাইম্যানদের দাপটে সাধারণ জনগণ এবং অন্যান্য কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। এটা আওয়ামী লীগের জন্য একটা বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ১০:১৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সোয়া ১২টায় বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে বিএনপি মহাসচিবের গাাড়ি প্রবেশ করে। এক ঘণ্টা ৭ মিনিটে হা্ইকমিশন থেকে মহাসচিবের গাড়ি বেরিয়ে আসে।

বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সাথে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। 

ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে বিএনপির তিন নেতার সাথে হাইকমিশনারের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেছে। ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক। 

তবে বৈঠক শেষে বিএনপির নেতারা বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কোনো কথা বলেননি।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার   বিএনপি   আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী   শামা ওবায়েদ   সারাহ কুক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় কেন 'মাইম্যান' চান মন্ত্রী-এমপিরা?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কেউ মন্ত্রী হয়েছেন, কেউ সংসদ সদস্য। কেউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, এমনকি প্রেসিডিয়াম সদস্য। তারপরেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এই প্রভাবশালী নেতাদের এত আগ্রহ কেন? এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক মুখরোচক আলোচনা চলছে। অনেকেই এ নিয়ে কৌতুকও করেছেন। 

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এটি একটি নতুন উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, এমপি এবং নেতা-পাতি নেতারা এলাকায় নিজস্ব ব্যক্তিদেরকে শুধু প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন না, তাদেরকে নির্বাচিত করতে চাচ্ছেন। কেন মাইম্যানদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করতে আগ্রহী মন্ত্রী-এমপিরা?

এই প্রশ্নের উত্তরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, একাধিক কারণে উপজেলায় মাইম্যানদেরকে চাচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিরা। প্রথমত, এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মধ্যে সুস্পষ্ট বিভক্তি হয়েছে। যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন সেখানে ওই প্রার্থীর বিরোধীপক্ষ নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছেন। সেই কারণে এলাকায় তাদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের বিরোধ এমপি-মন্ত্রীদেরকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। এ কারণে কর্তৃত্ব রক্ষার জন্য তারা নিজস্ব লোকজনকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য মাঠে নেমেছেন। 

দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষকে দমন। এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এখনও কোন্দলে বিভক্ত আওয়ামী লীগের যারা জিতেছেন বা হেরেছেন তাদের প্রতিপক্ষরা শক্তিশালী। প্রতিপক্ষকে দমনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণটা অত্যন্ত জরুরী। আর এই কারণেই প্রতিপক্ষকে দমনের লক্ষ্যে উপজেলায় চোখ গেছে মন্ত্রী-এমপিদের।

তৃতীয়ত, দুর্নীতি এবং অনিয়ম। উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনেক বরাদ্দ থাকে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে টেন্ডার এবং অন্যান্য কার্যক্রমগুলো উপজেলায় সংঘটিত হয়। আর একারণেই নিজের ব্যক্তি উপজেলার চেয়ারম্যান হলে এমপিদের পক্ষে অনিয়ম এবং দুর্নীতি করাটা সহজ হয়। আর এ জন্যই তারা অন্য কারও ওপর ভরসা করতে পারছেন না। নিজের আত্মীয়স্বজনকে উপজেলায় বসিয়ে অনিয়ম এবং দুর্নীতি করার ক্ষেত্র উন্মুক্ত করতে চাচ্ছেন।

চতুর্থত, ভবিষ্যতের রাজনীতি। যারা তাদের পুত্র এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে রয়েছে সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য। এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পরের বার এমপি। বিশেষ করে যাদের বয়স বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রাজনীতিতে আগামীতে নাও থাকতে পারেন এমন আশঙ্কা রয়েছে, তারাই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য সন্তান এবং নিকট আত্মীয়দেরকে রাজনীতির মাঠে নিচ্ছেন। যেমন- সাহাদারা মান্নান তার পুত্রকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন। ভবিষ্যতে যেন তিনি এমপি হতে পারেন। একই অবস্থা সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নানের ক্ষেত্রেও। শাজাহান খানের ক্ষেত্রেও সে রকম একটি কৌশলই দৃশ্যমান হচ্ছে।

সবকিছু মিলিয়ে এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, প্রভাব বিস্তার এবং পুরো এলাকায় নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্যই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা এবার উপজেলার দিকে ঝুঁকেছে। উপজেলাগুলোর মাধ্যমে তাদের নিজেদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার অভিযান শুরু করেছেন মন্ত্রী-এমপিরা। এখন দেখার বিষয়, উপজেলায় মাইম্যান বসিয়ে মন্ত্রী-এমপিরা কি অর্জন করতে পারেন।

উপজেলা নির্বাচন   মন্ত্রী-এমপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পরিবারতন্ত্রের কবলে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জোর প্রচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন এলাকায় মন্ত্রী এমপিরা তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করে ক্ষমতার শিকড় আরও গভীর করতে চাইছেন। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চাইছেন। 

প্রায় অর্ধশত এমপি তাদের নিকট আত্মীয়কে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছেন এবং তাদের জন্য নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেছেন। এর ফলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পরিবারতন্ত্রের কবলে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাতিজা, শ্যালক, মামা, ভাগ্নেসহ আত্মীয় স্বজনও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন এবং এ সমস্ত আত্মীয় স্বজনকে জয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এমপি ও নেতারা তাদের অনুগতদের মাঠে নামিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত যদি তাদের আত্মীয় স্বজনরা বিজয়ী হন তাহলে ওই সমস্ত উপজেলা গুলোতে আওয়ামী লীগ থাকবে না, সেখানে পরিবার লীগ প্রতিষ্ঠিত হবে। 

তবে ইতোমধ্যে পরিবারতন্ত্রের ব্যাপারে কঠোব সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। উপজেলা নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–এমপিদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা ভোটে অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখন দেখার বিষয় যে, যে সমস্ত মন্ত্রী–এমপিদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তারা এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মানেন কিনা কিংবা নির্বাচন থেকে সরে যান কিনা। 

বগুড়ার সারিয়াকান্দি এবং সোনাতলা উপজেলায় এমপি সাহাদারা মান্নান তার ছেলে সাখাওয়াত সজল হোসেন এবং ছোট ভাই মিনহাজ জাহানকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। সোনাতলার প্রার্থী হচ্ছেন ছোট ভাই আর সারিয়াকান্দিতে প্রার্থী হয়েছেন তার ছেলে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে তীব্র কোন্দল এবং অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সাহাদারা মান্নান বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি এবং এই দুই উপজেলায় যদি তার ভাই এবং ছেলে চেয়ারম্যান হন তাহলে বগুড়া-১ আসনে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। 

টাঙ্গাইলে-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলায় দুইজন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনীত করছেন। এই প্রার্থীরা তার ঘনিষ্ঠ এবং মাইম্যান হিসাবে পরিচিত। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ধনবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এই লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার আপন খালাতো ভাই এবং নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী করেছেন। 

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় লুৎফুল কবির হাবিবকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের শ্যালক। 

মাদারীপুর সদর উপজেলায় নিজের ছেলে আসিবুর রহমান খানকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। 

এই সমস্ত এলাকাগুলোতে যখন শ্যালক এবং সন্তানরা বিজয়ী হবে তখন তাদের একক রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। 

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মান্নানের ছেলে সাদাত মান্নানকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। এম এ মান্নান নিজেও বিভিন্ন আয়োজনে ছেলের পক্ষে প্রচারণা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর ফলে সুনামগঞ্জে মান্নান তন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। 

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা এবারও প্রার্থী। তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। একই উপজেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার বেগমের ছেলে যুবলীগের নেতা ফজলে রাব্বি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। 

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন। তিনি মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুপাতো ভাই।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মাহবুব উল আলম হানিফ এর চাচাতো ভাই আতাউর রহমান বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি আবারও নির্বাচন করছেন।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলীকে, সুবর্ণচর উপজেলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলের হয়ে প্রচারণা অংশগ্রহণ করছেন। 

নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী এলাকা। তার নির্বাচনী এলাকায় এমপিরা পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছেন।

মৌলভিবাজার বড়লেখা উপজেলায় নির্বাচনে ভাগ্নে সোয়েব আহম্মেদকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন মৌলভিবাজার-১ আসনের এমপি সাহাবুদ্দিন। 

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগার টগর তার নির্বাচনী এলাকা দামুরহুদা উপজেলায় আপন ভাই আলী মনসুর বাবুকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছেন। 

নরসিংদী-৩ আসনে এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার নির্বাচনী এলাকা শিবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হবেন তার স্ত্রী ফেরদৌসি ইসলাম। তিনি তাকে সমর্থন জানাবেন। 

এভাবে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে পল্লবিত হচ্ছে পরিবারতন্ত্র। আগে ‘মাইম্যান’ কে বসানো হত, এবার সেই লজ্জা শরমের মুখোশ খুলে ফেলে আওয়ামী লীগের এমপি এবং মন্ত্রীরা তাদের নিজের আত্নীয় স্বজনকেই উপজেলা চেয়ারম্যান করতে চাচ্ছেন এলাকায় নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এটি কীভাবে প্রতিহত করেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।

পরিবারতন্ত্র   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এমপি-মন্ত্রী পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করতে পারবেন না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৫:২৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের কেউ প্রার্থী হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এ নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে দল বহিষ্কারাদেশসহ কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, শুধু সন্তান, পরিবার বা নিকটাত্মীয় ছাড়াও মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের প্রকাশ্যে বা গোপনে উপজেলা নির্বাচনে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না হওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ে নিজের প্রভাব বাড়ানোর জন্য মন্ত্রী–সংসদ সদস্যরা আত্মীয়–পরিজন ছাড়াও ‘মাই ম্যান’ তৈরি করার লক্ষ্যে পছন্দের প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামছেন। এতে দলের তৃণমূলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে দলের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও ব্যবহারের চেষ্টা করছেন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা। এ জন্যই কড়া অবস্থান।

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল।

আর দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, এ ধাপে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ এপ্রিল, বাছাই ২৩ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। এই নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, দেশের ৪৮১টি উপজেলায় চার ধাপের নির্বাচন শুরু হবে ৮ মে, শেষ হবে জুনের প্রথম পক্ষে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই ধাপের তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন