রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
তিনি বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি এই ভোটে অংশগ্রহণ করছে না। আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও পরে দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। এখন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী না থাকায় তাদের ভোট লাঙ্গলে পড়বে বলে আশা করছি।’
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাব এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান সদ্য সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
শুধু বিএনপি-জামায়াত নয়, বিভিন্ন দলের ভোটাররা লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেবেন বলে দাবি করে জাতীয় পার্টির এই প্রার্থী বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে ভোট চেয়েছি। আমি যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি তখন সব দলকে সমান গুরুত্ব দিয়েছি। মেয়রের চেয়ার একদম নিরপেক্ষ। বিগত সময়ে এই চেয়ারে বসে দলবাজি হলেও আমি কোনো দলবাজি করিনি। এ কারণে দলমত নির্বিশেষে সকলের ভোট আমি প্রত্যাশা করছি। অনেক দলেরই একটা বিশাল অংশের ভোট আমি পাব ইনশাআল্লাহ।’
সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে পরশুদিন কথা হয়েছে, আজ আবার কথা বলব। রংপুরে যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন হয় সেজন্য তাদেরকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনে অনুরোধ জানাব। কোনো ধরনের সংঘাত ছাড়াই যেন একটি শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য সকল প্রার্থীকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জেলা জাপার সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফারুক আলম, জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসানুজ্জামান নাজিম, মহানগর ছাত্রসমাজের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত আসিফ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সিটি করপোরেশন গঠন করার পর রংপুরে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এবার মেয়র পদে ৯ জনসহ সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ জন এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
জাতীয় পার্টি রংপুর সিটি নির্বাচন বিএনপি জামায়াত
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়া বিএনপি ব্রিটিশ দূতাবাস সারা কুক
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ঢাকাস্থ ব্রিটিশ দূতাবাসে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল ব্রিটিশ দূতাবাসে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক এক ঘণ্টার বেশি সময় তাদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় ব্রিটিশ দূতাবাসে অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।