রংপুরে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বড় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘রংপুরের নির্বাচনে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিনি। দুর্বলতা যেখানে সেখানে ব্যবস্থা নিচ্ছি। একই সঙ্গে দু-একদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সেখানে নানা বিষয় থাকে। সেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়েও ছিল। আমাদের ভেতরে সমস্যা ছিল। আমরা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাইনি, আমরা জানি জাতীয় পার্টি এগিয়ে ছিল। আমরা এগিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করে চেষ্টা করিনি, বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রংপুরের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এক সপ্তাহের মধ্যে বড় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি রংপুরের ক্ষেত্রে। খেলা হবে জাতীয় নির্বাচনে। যা বলেছি ১১ বছরে তাই করেছি, রংপুর এরশাদ সাহেবের প্রভাবিত। মোস্তফা ব্যক্তিগতভাবে পপুলার।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রার্থী বাছাইয়ে সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল, দুর্বল জেনেও নারী প্রার্থী দিয়েছি। হেরে যাওয়ার রিস্ক জেনেও অনেককে মনোনয়ন দিয়েছি। একটা নারীকে দিয়ে দেখলাম রিয়্যাকশন কি।’
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘নারীদের ক্ষমতায়নে চেষ্টা করছি, যেকোনো নির্বাচনে তাদের এগিয়ে নেওয়া চ্যালেঞ্জের। অনেক পুরুষ নেতারা তাদের মেনে নিতে চায় না। সে কারণে রংপুরে অনেকে এগিয়ে আসেনি। প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হয়নি, এ নারীর কোনো বদনাম নেই, তিনি প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। মানুষ হিসেবে তার সুনাম অনেক।’
প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলে ও বাইরে একি সুর, তাহলে কি নারীরা বের হবে না? নারীকে প্রার্থী করলে তাকে যেন ভোট দেওয়া হয় সেই মানসিকতা তৈরি করুন।’
রংপুর সিটি নির্বাচন ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।