আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসতে চায় না। আমরা রাজনীতিকে তাদের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। চরিত্রবানরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি খারাপ হয়ে যাবে।’
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির (জেপি) ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনটি রমনার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার পর তিন তিনবার কেউ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি। যেটা আমার ভাগ্যে জুটেছে। আল্লাহর রহমত আর শেখ হাসিনার উছিলায়। আমার ১৭ বছরের মন্ত্রিত্ব, এটাও বিরল সৌভাগ্যের ব্যাপার। তিনবারের সাধারণ সম্পাদক সৌভাগ্যের ব্যাপার। উপরে আল্লাহ, নিচে শেখ হাসিনা; এত দূর পর্যন্ত আমাদের নিয়ে এসেছেন। এটা অস্বীকার করলে আমার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হবে। এটাই বাস্তবতা।’
কাদের বলেন, ‘আমরা নষ্ট রাজনীতির কাছে বারবার আত্মসমর্পণ করি। নষ্ট রাজনীতি নষ্ট মানুষের জন্ম দেয়। নষ্ট রাজনীতিবিদের জন্ম দেয়। নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে। বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছে ঠিক তাই। এজন্য তো আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। যে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ সেই বাংলাদেশ কি আমরা রাখতে পেরেছি?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজ রাজনীতিতে ভালো মানুষ আসতে চায় না। আমরা রাজনীতিকরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে পারিনি। ভালো মানুষেরা, শিক্ষিত মানুষেরা, সৎ মানুষেরা রাজনীতির ধারে কাছে আসতে চান না। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের স্বীকার করতেই হবে। একই অবস্থা আমাদের ছাত্ররাজনীতির। এটি সুনামের ধারায় আসতে পারেনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘খারাপ লোকদের কাছে রাজনীতি গেলে দেশটা খারাপ হয়ে যাবে। খারাপ লোকের কাছে রাজনীতি থাকলে তারা এমপি হবে, মন্ত্রী হবে, দেশ চালাবে। ভালো লোকদের রাজনীতিতে আনতে হবে। সৎ লোকদের আনতে হবে। মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে। তা না হলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। পৃথিবীতে যত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, কোনো হত্যাকাণ্ডে অবলা নারী, অবলা শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে টার্গেট করা হয়নি, যেটা হয়েছিল ১৯৭৫-এ। সেই হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ উল্টোপথে যাত্রা শুরু করল। বিপ্লবের বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লব হয়ে গেল। গণতন্ত্র শৃঙ্খলিত হলো।’
জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক পাটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের জাতীয় পার্টি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা মশিউর রহমান রাঙ্গা
মন্তব্য করুন
অক্টোবর রাজনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে রাজপথে রয়েছে বিএনপি। আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে এরই মধ্যে কিছু কিছু রদবদল হয়েছে। কেউ কেউ আবার নজরদারিতে রয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এর মধ্যে শোনা যাচ্ছে নির্বাচনের আগে বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্ভাবনার কথা। যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে নারাজ। তবে ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ষোঘণা হলে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ দলীয় পদে ফিরবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে ঘোর অন্ধকার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভয়ঙ্কর অক্টোবর আসছে। অক্টোবর মাসেই রাজনীতিতে প্রধান দুই দলের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চূড়ান্ত রূপ ধারণা করতে পারে। সহিংস হয়ে উঠতে পারে রাজনীতির মাঠ। এছাড়া অক্টোবরেই আওয়ামী লীগ-বিএনপি শক্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফয়সালাও করতে চায়। আর এ কারণেই অক্টোবর মাসে রাজনীতিতে এটা টানটান উত্তেজনা এবং সংকট ঘনীভূত হবে। তবে আশাবাদীরা মনে করছেন, অক্টোবরেই রাজনীতির আকাশ স্বচ্ছ হয়ে যাবে। এখন যে গুমোট মেঘ রয়েছে এবং যে অশনি সংকেত, দুর্যোগের ঘনঘটা তা কেটে পরিষ্কার হবে অক্টোবরেই।
বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশি নেওয়ার দাবীতে বিএনপি আল্টিমেটাম দিয়েছে। গতকাল এক সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৪৮ ঘন্টার এই আল্টিমেটাম দেন। এই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইতিমধ্যে ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। সরকার এই দাবির ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে গেলে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে এবং আদালতের মাধ্যমেই তিনি বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন।