সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করাসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে বুধবার (১১ জানুয়ারি) গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি জামায়াত। এ কর্মসূচিতে অংশ না নিয়ে জামায়াত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় একটি আলোচনা সভাও করেছে দলটি।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচির দিনে প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচি না দিয়ে সভার আয়োজন করেছে জামায়াত। জামায়াতের গণমিছিলে প্রতিবন্ধকতার প্রতিবাদ ও দলের আমিরসহ গ্রেপ্তার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়।
সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির এবং সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত জামায়াতের আন্দোলন চলবে। যারা গণতন্ত্র মানতে চায় না, তাদের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করবে জামায়াত।
ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম কেয়ারটেকার সরকার ফর্মুলা আবিষ্কার করেছেন। আওয়ামী লীগ সেই পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন করেছে। আবার তা হাইজ্যাক করে সেই ফর্মুলাকে নিজেদের দাবি করছে। তাও যদি হয়, তাহলে তা এখন মেনে নিচ্ছেন না কেন?’
মুজিবুর বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদের মতো কিছু উচ্চাভিলাষী সেনা কর্মকর্তার যোগসাজশে চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। মইন উ আহমেদ ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। সেদিন থেকেই এই দিনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে জামায়াতসহ অন্য অনেক রাজনৈতিক দল।
মুজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘সরকারের কাছে বিক্রীত কিছু মিডিয়া’ সাম্প্রতিক একটি মিছিলের ফুটেজ দেখিয়ে বলেছে, জামায়াত একটি কর্মসূচি পালনের সময় বাড়াবাড়ি করছে, যা সত্য নয়। তাঁর দাবি, মিছিলে পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী সদস্য হামলা চালিয়েছেন।
মুজিবুর বলেন, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান গত ১০ ডিসেম্বর ১০ দফা ঘোষণা করার পর তাঁকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষ কষ্টে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের লোকজন কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, ট্রাস্ট, স্কুল, কলেজ, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করে দখলবাজ সরকারে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও ফখরুদ্দিন মানিক।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে জামায়াত বিএনপি সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর অংশ হিসেবে প্রথম কর্মসূচি ছিল ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল। ওই দিন জামায়াতও ঢাকায় একই কর্মসূচি পালন করে। সেদিন রাজধানীর পল্টন, মালিবাগসহ কয়েকটি এলাকায় জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
মন্তব্য করুন
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আমেরিকার ভিসা নীতি আমরা ইতিবাচক ভাবেই দেখছি। কারণ, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান। যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত থাকেন অথবা নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে পারেন ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের স্বার্থ থাকে। তাদের কারো সন্তান লেখাপড়া করে আবার কেউ অবসরে ঐসব দেশে বসবাস করতে চান। তাই কেউই চাইবেন না তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হন। একারণেই, নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্থ করতে বা অনিয়ম করতে তারা দ্বিধাগ্রস্থ হবেন। আমেরিকার ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমেরিকা যথেষ্ট আন্তরিক। আমেরিকার ভিসা নীতি কতটা বাস্তবায়ন হয় বা কার্যকর হয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’
মঙ্গলবার (৩০ মেস) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সচিব-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল মনে করে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করেছে। সবাই বিশ্বাস করে, নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকার নির্বাচন করছেন। এতে অন্য কোনো দলের কিছু করার ক্ষমতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। যারা বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তারা নির্বাচনে না এলেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই সরকারের উচিত হবে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিতে বিদেশীদের প্রভাব অনেক বেশি। আমরা বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভরশীল। তাই বিদেশীদের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ আছে। আবার, আমরা নিজেরা অনেক বিষয়ে সমাধানে আসতে পারি না। এমন অবস্থায়, আমাদের দেশে যাদের বিনিয়োগ আছে তারা তাদের স্বার্থেই প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করে। সেই সুযোগটা আমরাই তৈরী করে দিচ্ছি। আমরা নিজেরা মিমাংসা করতে পারলে কেউই মাথা ঘামানো প্রয়োজন মনে করবে না।’
তিনি বলেন, ‘জবাবদিহিতা মূলক সরকার হলে সবাই নিশ্চিত মনে কাজ করতে পারেন। জবাবদিহিতা থাকলে একটা আইন, শৃংখল ও নীতি থাকে। কে কী করতে পারবেন আর কী পারবে না তা নিশ্চিত করা থাকে। যখন জবাবদিহিতাহীন সরকার তৈরী হয় তখন কোন গাইডলাইন থাকে না। আমরা সবাই একমত হলে বিদেশীরা কখনোই নাক গলাতে চেষ্টা করতো না, আবার চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারতো না।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিএনপি সরকারকে আর সময় দিতে রাজি নয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে কোণঠাসা করতে চায়। এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
আজ রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে
ওঠার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায়
বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ
আমানের ১৩ বছর এবং তার
স্ত্রীর সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একই সাথে অন্য
এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তাদেরকে
দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার জন্য বলা
হয়েছে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রাজনীতিবিদরা
রক্ষক তারা কখনও ভক্ষক
হতে পারেন না। অর্থাৎ এই
দুইটি মামলায় হাইকোর্টের দণ্ডপ্রাপ্ত হবার কারণে এ
দু'জনকে এখন জেলে
যেতে হবে। ফলে রাজনীতির
মাঠে উত্তাপ-উত্তেজনা আরো বেড়ে যেতে
পারে বলে ধারণা করা
হচ্ছে। কারণ, এই দুজন নেতা
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে বড় ভূমিকা রাখছে।
বিএনপির
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ রায়কে ফরমায়েশি
রায় হিসেবে উল্লেখ
করেছেন। ফলে বিএনপি ওই রায়ের পর রাজনীতিতে সহিংসতা
এবং বড় ধরনের গোলযোগের
শঙ্কা তৈরী হল বলেও কোন
কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন। কেউ কেউ
অবশ্য বলছেন যে, বেগম খালেদা
জিয়াকেও যখন দুর্নীতির মামলায়
দণ্ডিত করা হয়েছিল, তখনও
অনেকে মনে করেছিল যে
রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হবে। কিন্তু বেগম
খালেদা জিয়ার দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় কারান্তরীণ
থাকা অবস্থায় বিএনপি কোনো আন্দোলন গড়ে
তুলতে পারেনি। তাছাড়া দুর্নীতি দমনের মামলার রায় দেশের সর্বোচ্চ
আদালত বহাল রেখেছে। এরকম
বাস্তবতায় এই রায় নিয়ে
বিএনপির যদি কোনো বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টি করার চেষ্টা করে,
তবে সেটি সাধারণ মানুষ
গ্রহণ করবে না বলে
মনে করা হচ্ছে।
তবে
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা
হচ্ছে গত কিছুদিন ধরেই
সরকার নতুন করে বিএনপি
নেতাদের ধরপাকড় গ্রেপ্তার শুরু করেছে। বিশেষ
করে পুরনো মামলাগুলোয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হয়রানি
করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ
করেছে। যদিও সরকারের পক্ষ
থেকে এ ধরনের অভিযোগ
সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা
বলেছে যে, কোনভাবেই বিরোধী
দলের উপর কোনরকম দমননীতি
বা নিপীড়ন করা হচ্ছে না।
আইন সকলের জন্য সমান। যারা
আইনের দৃষ্টিতে অন্যায় করেছে বা বিভিন্ন অপরাধের
সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিচারিক
প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
কিন্তু
দুই পক্ষ যে বক্তব্যই দিকনা
কেন, নির্বাচনের আগে যখন বিরোধী
দল বিএনপি বড় ধরনের আন্দোলনের
প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এই মামলা
এবং দন্ড আন্দোলনকে প্রভাবিত
করবে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা
মনে করছেন। একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি
তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন
তারা। বিএনপি'র পক্ষ থেকে
তাদের জোট গুলোকে নিয়ে
চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে
সরকারও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সারা দেশে শান্তি
সমাবেশ এবং গণসংযোগের মাধ্যমে
রাজনীতির মাঠে নিজেদের কর্তৃত্ব
অব্যাহত রাখতে চাইছে। ফলে নির্বাচনের আগেই
একটি উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি রেমিট্যান্স ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
গাজীপুর নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আজমত উল্লা গাজীপুর সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আমেরিকার ভিসা নীতি আমরা ইতিবাচক ভাবেই দেখছি। কারণ, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান। যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত থাকেন অথবা নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে পারেন ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের স্বার্থ থাকে। তাদের কারো সন্তান লেখাপড়া করে আবার কেউ অবসরে ঐসব দেশে বসবাস করতে চান। তাই কেউই চাইবেন না তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হন। একারণেই, নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্থ করতে বা অনিয়ম করতে তারা দ্বিধাগ্রস্থ হবেন। আমেরিকার ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমেরিকা যথেষ্ট আন্তরিক। আমেরিকার ভিসা নীতি কতটা বাস্তবায়ন হয় বা কার্যকর হয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’
সম্প্রতি শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন জয়ী হয়েছেন। গাজীপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতা এবং গাজীপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। কিন্তু তিনি পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতারাও দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লা’র পক্ষে নিবাচনী প্রচারণা, নির্বাচন পরিচালনা, এমনকি সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। কিন্তু গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীর নাটকীয় পরাজয় ঘটে। কিন্তু এই পরাজয়ের কারণ কি?- এই নিয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠেছে।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে প্রতীকী প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। জায়েদা খাতুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা। প্রথমবার বহিস্কৃত হওয়ার আগে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদকের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার কারণে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও বহিষ্কৃত হন। সেই থেকেই গাজীপুর আওয়ামী লীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ে গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বিধা-বিভক্তিকেই মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।