সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে
বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও জোট
দ্বিতীয় দিনের মতো যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল গণ-অবস্থান কর্মসূচি
পালন করেছে। গণ-অবস্থান কর্মসূচি
শেষে নতুন করে আবার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী
সমাবেশ এবং মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বিএনপির সমমনা অন্যান্য দল এবং জোটগুলোর
বিএনপি সাথে এই কর্মসূচি পালনের
ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিএনপির এ ধরনের ধীরে
ধীরে চলা নীতিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচির নামে যুগপৎ আন্দোলনকে সময় ক্ষেপন করাও অভিযোগ তুলছেন কোন কোন নেতা।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের নেতৃবৃন্দ সরকার পতনের জন্য জ্বালাময়ী বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা বলছেন, যেকোন মূল্যে সরকারের পতন ঘটাতে হবে, পিটু হটার কোন সুযোগ নেই। তারা এই আন্দোলনকে ‘ডু অর ডাই’ বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। বিএনপির নেতারা এও বলেছেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারকে আর সময় দেওয়া যায় না। এমতাবস্থায় অতিদ্রুত সরকার পতনের লক্ষ্যে এক দফার আন্দোলনে যেতে হবে। অথচ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোন কঠোর কর্মসূচি দিতে দ্বিধাবোধ করছে। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আন্দোলনের এই গতিকে বেশি কতদিন ধরে রাখা যাবে তা নিয়ে দলে প্রশ্ন উঠেছে।
দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, সরকারের পতন চাইলে মার্চ মাসের মধ্যে করতে হবে। কারণ মার্চের শেষ দিক থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। এরপর বর্ষা মৌসম শুরু হবে। ফলে এ সময় দেশের বাস্তবতায় কোনভাবেই আন্দোলন করার অনুকূল পরিবেশ থাকবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেভাবে আন্দোলনকে এগিয়ে নিচ্ছে তাতে করে এই যুগপৎ আন্দোলন রোজার আগ পর্যন্ত চলবে। এরপর দেশের বাস্তবতায় আন্দোলনের জোয়ার হারিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে আন্দোলনে এক ধরনের ঝিমানিভা এসেছে বলে মনে করছেন তারা। বিশেষ করে গত ১০ ডিসেম্বরের আগে পরে সারাদেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। এখনও অনেকে গ্রেফতারের আতঙ্কে আছেন। এমতাবস্থায় যা করতে হবে তা দ্রুত করতে হবে। কিন্তু সে ব্যাপারে দলের উদাসীনতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন দেখার বিষয় বিএনপি এই যুগপৎ আন্দোলনকে কত দূর এগিয়ে নিতে পারে।
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন