মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর সারা বিশ্ব বিপদগ্রস্থ। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি। সারা পৃথিবীর মানুষ বুঝে কিন্তু বিএনপি জামায়াত শক্তি তা বুঝে না। তারা এই ইস্যুটিকে সামনে এনে বর্তমান সরকারের পতন চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পতন চেয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়।’
মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘২০১৪-১৫ সালেও এই রকম দাবি তুলে তারা দেশে হরতাল অবরোধ ডাকে। সে সময় বিএনপি জামায়াত দেশের ১৬৫ জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে।’
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ও তাদের পরাশক্তি যদি আবার সেই ২০১৩-২০১৪ সালের মতো তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে, সাধারণ জনগণের ওপর হামলা করে, মানুষ হত্যা করে তাহলে তাদের সেই হাত ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়া হবে। শুধু ঢাকা শহর নয়, সারাদেশেই যুবলীগ এর জবাব দিবে। যুবলীগ বিএনপি-জামায়াতের ফখরুলদের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিবে।’
পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে আওয়ামী যুবলীগের শান্তি সমাবেশ
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় থেকে হাওয়া ভবন বানিয়ে লুটতরাজ করে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। বিদেশে পাচার করেছে। ছাত্র সমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবহার করেছিলেন। দেশের অশান্তির সৃষ্টি করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দেশের শত্রু। তারা স্বাধীনতার শত্রু। একাত্তরে তারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি। জিয়াউর রহমান সেই পরাজিত শক্তিকে, স্বাধীনতার শত্রু জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মা-বোনদের পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে তুলে দিয়েছিলেন। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিলেন। তাদের গাড়িতে এই স্বাধীন দেশের জাতীয় পতাকা উড়েছিল। এরা যখনই আবার ক্ষমতায় আসবে তখনই বাংলাদেশের মানুষ প্রশ্নবিদ্ধ হবে, জঙ্গি হামলার শিকার হবে। বাংলাদেশের মানুষ বিপথগামী হবে। অতএব তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবেনা।’
নিখিল বলেন, ‘যারা বিএনপি জামায়াত দলকে সমর্থন করে তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। যে দলের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে সে দলকে বর্তমান নেতৃত্ব দিচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। আপনারা যারা বিএনপি জামায়াতকে সমর্থন করছেন তাদের দলের জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত।’
শান্তি সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য- হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- মো. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক- কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক- জয়দেব নন্দী, উপ- দপ্তর সম্পাদক- মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা। এ সময় মহানগর ও ওয়ার্ড যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শান্তি সমাবেশ যুবলীগ মাইনুল হোসেন খান নিখিল
মন্তব্য করুন
বিএনপি ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ মির্জা ফখরুল ইসলাম
মন্তব্য করুন
পথ হারিয়ে বিএনপি পদযাত্রা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো পালিয়ে যায়নি। ওয়ান ইলেভেনে পালানোর গল্প শুধু বিএনপির আছে। রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে আছে। রিমোট কন্ট্রোলে অদৃশ্য নির্দেশে চলা আন্দোলন করে বাংলাদেশে জেতা যাবে না।’
সোমবার (৩০ জানয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'মানুষের মনের জোর যখন কমে যায় তখন গলার জোর বেড়ে যায়। বিএনপির অবস্থা তাই হয়েছে। বিএনপি নেতাদের মনের জোর কমে যাওয়ায় গলার জোর বেড়ে গেছে। পথ হারিয়ে তারা পদযাত্রা শুরু করেছে।'
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হঠাৎ বিএনপি এতো শান্ত কেনো? পথ হারিয়ে তারা পদযাত্রা শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে বিএনপির আন্দোলনের মরণ যাত্রা শুরু হয়েছে। ফখরুল ইসলামের গলার জোর বেড়ে গেছে। বিক্ষোভ কর্মসূচি এখন নিরব কেন? ফখরুল সাহেব অনেক বিষোদগার করেছেন।’
'আওয়ামী লীগের পায়ের নিচে মাটি নেই' বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কার পায়ের নিচে মাটি আছে, কার নেই তার প্রমাণের জন্য দরকার নির্বাচন। আসুন নির্বাচনে। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। খেলা হবে। নির্বাচনের খেলা হবে। তখন দেখা যাবে কার পায়ের নিচে মাটি আছে আর কার নেই।’
শান্তি সমাবেশে মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি জামায়াত আবারও বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছে। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শেখ হাসিনা সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি নাগরিকের জন্য গৃহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভাবে মানুষের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন অতীতে আর কেউ করে দেন নাই। চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছেন সেখানে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহবান জানিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ক্ষমতায় যেতে চাইলে ভোটে আসেন, অন্য কোন পথে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। রাজপথে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে রাজপথে জবাব দেওয়া হবে।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে তাদের সময় এগুলো কোথায় ছিলো। তাদের জন্যই আজ শান্তি সমাবেশ করতে হয়। তারা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা কিছুই বিশ্বাস করে না। তারা লুটপাট সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল করতে চায়। তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন পিপিলিকার মতো দল নিয়ে গঠিত জোট ভাঙার ইচ্ছে আওয়ামী লীগের নেই। বিএনপির মধ্যে ভাঙনের সুর বাজছে, আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের মধ্যেই ভাঙ্গন দেখা দেবে, অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বিএনপি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় শেখ হাসিনাকে। যখন শেখ হাসিনাকে সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সে সময় তিনি দিল্লীতে অবস্থান করছিলেন। সভাপতি হওয়ার পরপরই তিনি দেশে ফেরার জন্য প্রত্যয় ঘোষণা করেন। কিন্তু তৎকালীন স্বৈরচারী সরকার জিয়াউর রহমান তাকে দেশে ফেরা পথে বাধা তৈরি করেন। কিন্তু সমস্ত বাধা বিপত্তি, ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর সারা বিশ্ব বিপদগ্রস্থ। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি। সারা পৃথিবীর মানুষ বুঝে কিন্তু বিএনপি জামায়াত শক্তি তা বুঝে না। তারা এই ইস্যুটিকে সামনে এনে বর্তমান সরকারের পতন চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পতন চেয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়।’
রাজশাহীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা পালাই না, পালানোর রেকর্ড হলো বিএনপির।’ রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, পিছু হটে না। যারা বলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না তাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা পালাই না। আপনাদের নেতারাই পালায়।’