সরকার প্রশাসনকে কোনোভাবেই দলীয়করণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন,‘সরকার তো প্রশাসন নিয়েই কাজ করে। সরকারের রাজনৈতিক অংশ এবং প্রশাসনিক অংশ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং একসঙ্গেই কাজ করতে হয়। সরকার প্রশাসনের মাধ্যমেই তার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। আমাদের সরকার প্রশাসনকে কোনোভাবেই দলীয়করণ করেনি এবং করার কোনও পরিকল্পনাও আমাদের নেই।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের সমাপনী দিনে বক্তব্য ও মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
এছাড়া, জেলা পর্যায়ে অনিবন্ধিত অনলাইন, আইপিটিভি ও ইউটিউব চ্যানেলের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া অনিবন্ধিত পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও ভুল তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা ও করণীয় বিষয়ে ডিসিদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১৬২টি অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, ১৬৯টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল, ১৫টি টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টাল ও ১৪টি আইপিটিভিকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, সেটি জেলা প্রশাসকদের জানানো হয়েছে। বাকি সবগুলো রেজিস্ট্রেশনবিহীন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যারা ডিসি হয়েছেন কিংবা বিভাগীয় কমিশনার বা যারা সচিব হয়েছেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে এসএসবির মাধ্যমে এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদেরকে পদায়ন করা হয়েছে। সুতরাং, প্রশাসনকে আমরা কখনও দলীয়করণ করিনি বরং ইতোপূর্বে বিএনপি বিভিন্ন সময় যখন ক্ষমতায় ছিল, জিয়াউর রহমানের সময়, খালেদা জিয়ার সময়, সাত্তার সাহেবের সময়, আর এরশাদ সাহেব যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছিল।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে আজকে এখানে আলোচনা হয়নি। কারণ, সরকার নির্বাচন আয়োজন করে না। নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসনকে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও নির্দেশনা দিতে হলে, সেটি নির্বাচন কমিশনই দেবে। সেটি আমাদের আলোচ্য বিষয় নয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সিনেমা হল পুনর্নির্মাণ, পুনরায় চালু করা, আধুনিকায়ন ও নতুন সিনেমা হল নির্মাণের জন্য যে ১ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে, সেটি মাঠ পর্যায়ে সবাইকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে উপজেলা পর্যায়ে তথ্য অফিস করার প্রস্তাবও এসেছে। তবে আমি মনে করি, উপজেলা পর্যায়ে সব মন্ত্রণালয়ের অফিস থাকতে হবে তা নয়, ক্রমাগতভাবে সরকারের আকার বড় করা সমীচীন নয়, সেটি তাদেরকে বলেছি।’
ডিসি সম্মেলন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।