কুরুচিপূর্ণ
মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ
করতে বাধ্য হয়েছিলেন জামালপুর-৪ আসনের সংসদ
সদস্য ডা. মো. মুরাদ
হাসান। পরে জেলা আওয়ামী
লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক
সম্পাদকের পদ থেকে ২০২১
সালের ৭ ডিসেম্বর তাকে
অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি এই আলোচিত-সমালেচিত
নেতাকে সাধারণ ক্ষমা করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ
থেকে সাধারণ ক্ষমা পেয়ে পুরষ্কৃত উল্লেখযোগ্য
নেতাদের মধ্যে তিনি একজন।
এদিকে
ক্ষমা পাওয়ার পর পরই বৃহস্পতিবার(২৬ জানুয়ারি) ২৩
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত
ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় দেখা যায়
তাকে। এ সময় সাংবাদিকদের
প্রশ্ন ছিল, আওয়ামী লীগের
অনেককেই ক্ষমা করা হয়েছে, আপনি
ক্ষমা পেয়েছেন কিনা?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে
মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমি আবেদন করেছিলাম।
আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে
জানতে পেরেছি কিন্তু এখনো চিঠি আনতে
যাইনি। মেয়র জাহাঙ্গীর আরও
গুরুতর কথা বলেছিলেন, তাই
তিনি চিঠিটা দ্রুত নিয়েছেন।’
এর আগে গত ১
জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ব্যক্তিগতভাবে
গাজীপুরের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে
ক্ষমার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। ২০২১ সালের
সেপ্টেম্বরে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের
একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক
শহীদ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে
কটূক্তি করতে শোনা যায়
মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে। এ ঘটনায় ওই
বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে
দল থেকে বহিষ্কার করা
হয়। পরে বেশকিছু অভিযোগের
পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর তাকে
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র
পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত
করা হয়।
আওয়ামী
লীগের একাধিক সূত্র জানায়, ডা. মুরাদ হাসানকে
সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হয়েছে। এর
ফলে ডা. মুরাদ ফের
আওয়ামী লগের রাজনীতিতে সক্রিয়
হতে পারবেন। আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের
আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির সভায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী
কর্মকাণ্ডের কারণে অব্যাহতিপ্রাপ্তদের ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
হয়। সে মোতাবেক তাকে
দলীয় বিধি ভঙ্গের অভিযোগ
থেকে অব্যাহতি দিয়ে সাধারণ ক্ষমা
করা হয়েছে।
সূত্রমতে,
২০১৯ সালে সরকার গঠনের
সময় ডা. মুরাদ হাসানকে
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫
মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯
মে তার দফতর পরিবর্তন
করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা
হয়। পরে তার আপত্তিকর
মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের
কারণে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে
পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। গত ২২ ডিসেম্বর
মুরাদ হাসান তাকে ক্ষমা করে
দিতে আবেদন জানান।
সাধারণ
ক্ষমার আবেদনে মুরাদ বলেন, ‘আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের
সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর
রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের
প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের
স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক
হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২১ সালে ৭
ডিসেম্বর ওই পদ থেকে
আমাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। আমি
একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দৃঢ়প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করিতেছি যে- ভবিষ্যতে এমন
কোনো কর্মকাণ্ড করব না, যার
ফলে আপনার বিন্দুমাত্র সম্মানহানি হয়। অতএব বিনীত
নিবেদন এই যে, বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রমে অংশগ্রহণের
সুযোগ প্রদান করে বাধিত করবেন।’
মুরাদ হাসান রাজনীতি আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।