রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষ অংশ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি বলেন, ‘জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষ এই জনসভায় অংশ নেবেন বলে আমরা আশা করছি।’
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) জনসভার আগের দিন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের কাছে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বিভিন্ন রংয়ের পোশাক আর টুপিতে রঙিন হয়ে উঠবে পুরো মাঠ। রাজশাহীর জন্য তিনি যা করেছেন তার জন্য জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, ধন্যবাদ জানাতে চাই আমরা।’
রোববার রাজশাহী সফরে গিয়ে নগরীর মাদ্রাসা মাঠে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যেই রাজশাহীতে পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মেয়র লিটন। এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে সেটা চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে খেলেই জিততে চায়। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া যেকোনো রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। তবে, নির্বাচন বানচালে ২০১৩-১৪ সালের মতো করার চেষ্টা করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু পাকিস্তানে হয়। বিএনপি তো পাকিস্তানকে অনুকরণ করে; তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। কিন্তু বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইভিএমে ভোট হয়। সে কারণে এটা আমাদের দাবি ছিল। কিন্তু বিশ্ব প্রেক্ষাপটে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প পাস করে ইভিএম কেনা এখন ঠিক হবে না। ফলে বাস্তবতার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সব আসনে ইভিএম দিতে পারছে না। নির্বাচন কমিশন যত আসনে ইভিএম দেবে আমরা মেনে নেব।’
খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী মেয়র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভা
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।