বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম ফল পাল্টানোর যে অভিযোগ করেছেন, তার ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ইসি রাশেদা সুলতানা।
বৃহস্পতিবার হিরো আলমের এই অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে তাঁর দপ্তরে কথা বলেন ইসি রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন, এর কোনো ভিত্তি নাই। আমরা বগুড়ার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রত্যেকের সঙ্গে স্যার (সিইসি) নিজে কথা বলেছেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন এ ধরনের কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই। ফলাফল শতভাগ ঠিকভাবে হয়েছে।’
গতকাল বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন হিরো আলম। ফলাফল ঘোষণার পর হিরো আলম অভিযোগ করেছেন, উপনির্বাচনের ফলাফল কারচুপি করা হয়েছে। এ সময় ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতেও যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনের এ ফল নিয়ে আর কোনো তদন্তে যাবেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন,‘না। আমরা সন্তুষ্ট। ফলাফলের শিটগুলো আমরা নিজেরাও মিলিয়ে দেখেছি। সেখানে কোনো ব্যত্যয় নেই। একজন প্রার্থী যখন হেরে যায়, আমাদের দেশের কালচার এমনই। একজন প্রার্থী হেরে গেলে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটা প্রবণতা আছে। এটা কেবল হিরো আলম নন, যতগুলো নির্বাচন করেছি, সব জায়গাতেই একই অবস্থা লক্ষ করেছি।’
এদিকে গতকাল বুধবার ( ১ ফ্রেব্রয়ারি) ফলাফল ঘোষণার আগেও অনিয়মের অভিযোগ করেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘দুই উপজেলার ১১২টি কেন্দ্রেই এজেন্ট দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ফলাফলের স্বাক্ষরিত কপি দেওয়া হয়নি।’
হিরো আলমের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, উনি নন্দীগ্রামে খুব একটা এজেন্ট দেননি। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি নিজেও অনেকগুলো কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে ওনার এজেন্ট পাইনি। কাহালুতে ওনার কিছু এজেন্ট ছিল। যেহেতু সেটা ওনার নিজের এলাকা। ওনার বাড়ি কাহালুতে। নন্দীগ্রামে ওনার বাড়ি নয়। যে কারণে খুব একটা এজেন্ট ছিল না।’
গতকাল বুধবার দুপুরে কাহালু-নন্দীগ্রামের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘোরার পর হিরো আলম বলেছিলেন, ‘কাহালু-নন্দীগ্রামের অনেক কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেকচি। ভোট খুব সুষ্ঠু হচ্চে। মাঠের অবস্থা খুবই ভালো। কাহালু-নন্দীগ্রামের নিশ্চিত এমপি হচ্চি।’
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘উনি হেরে গেছেন, এখন এসব অভিযোগ করছেন। টেলিভিশনে দেখেছি উনি বরাবরই বলেছেন ভোট ভালো হয়েছে। একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হেরে গেলে কীভাবে নেবেন, উনি বলেছেন হেরে গেলে ফলাফল মেনে নেবেন। এখন উনি হেরে গেছেন। ওনার কষ্ট হয়েছে। কষ্ট নানাভাবে প্রকাশ করছেন। এটা উনি করতেই পারেন। একজন কিছু বললেই তো হয়ে যায় না। প্রমাণ থাকতে হবে।’
ফলাফল পাল্টে দেওয়া হিরো আলম অভিযোগ ভিত্তি ইসি রাশেদা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।