রাজধানী ঢাকাসহ ১০ বিভাগীয় শহরে একযোগে সমাবেশ করছে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দল ও জোটগুলো। শনিবার (৪ ফ্রেব্রুয়ারি) বিএনপি তাদের সাংগঠনিক ১০টি বিভাগীয় শহরেই বড় জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছিল দলটির সংশ্লিষ্ট সূত্র। তারই ধারাবাহিকতায় সকাল থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা নয়াপল্টনে জমায়েত হন। এ সময় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত রাস্তার একপাশ ভরে যায়। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশ সফল করতে ছুটে আসেন।
বেলা দুইটায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সমাবেশ শুরু হয়। ক্ষমতাসীন দলের ‘উসকানিমূলক পাল্টা’ কর্মসূচির প্রতিবাদ, বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে এই সমাবেশ করে বিএনপি এবং তাদের সমমনা দল ও জোট। ঢাকাসহ দেশের ৮ বিভাগে বিক্ষোভ-সমাবেশও করে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটসমূহ। এরই অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতিও নেয় দলটি। সমাবেশ শেষে আসছে ১১ জানুয়ারি ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্যদিকে, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও গত বছরের (২০২২ সাল) ২৪ ও ৩০ ডিসেম্বরের পর আর কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোসহ ১০ দফা দাবিতে বিভাগীয় শহরগুলোতে শনিবারের (৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) সমাবেশের দিনও হাত গুটিয়ে থাকে দলটি। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্বের বিষয়টি জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দের কথাতেও ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। বিএনপি আলোচনা না করে কর্মসূচি দিলে জামায়াত তাতে অংশ নেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের (বিএনপির) আলোচনার কোনো পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই। বরং দূরত্ব রাখার নির্দেশনা রয়েছে। ফলে জামায়াত তাদের কর্মসূচিতে এল কি এল না, সেটা নিয়ে তারা ভাবছেন না। এবার জোট বাদ দিয়ে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে জোট ভেঙে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনও আসেনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটকে নিয়ে চারদলীয় জোট গঠন করেছিল বিএনপি। পরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জোট ছেড়ে চলে গেলেও দলের একটি অংশ ‘বিজেপি’ নামে দল গঠন করে এই জোটে থেকে যায়। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই জোট জয়ও পায়। কিন্তু ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই জামায়াত-বিএনপি-বিজেপি-ইসলামী ঐক্যজোটের ভরাডুবি হয়। এরপর বিএনপি জোটের আকার বাড়িয়ে ১৮ দলীয় এবং পরে ২০ দলীয় জোট গঠন করা হয়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই জোটের পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে আরও একটি জোট গঠন করেছিল বিএনপি। কিন্তু এসব জোটে সুবিধা করতে না পেরে, গত বছরের শেষ দিকে এসে (২০২২ সাল) বিএনপির নেতৃত্বাধীন ওই ২০ দলীয় জোটও ভেঙে দেয় দলটি। ফলে ওই জোটের দলগুলো নতুন নতুন প্লাটফর্মে, ১২ দলীয় জোট, ১১ দলীয় জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন নতুন নতুন নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।
এদিকে, ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠের বিভাগীয় সমাবেশ থেকে বিএনপি ১০ দফা দাবিতে কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ২৪ ডিসেম্বর। একই দিন গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জামায়াত। বিজ্ঞপ্তিতে তারাও বিএনপির মতোই ১০ দফা দাবি এবং ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সব জেলায় মিছিল করার সিদ্ধান্ত জানায়। তবে সেদিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের কারণে দলটির সমালোচনার মুখে ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর কর্মসূচি স্থগিত করে বিএনপি। পরদিন বিজ্ঞপ্তি আসে জামায়াতেরও। তারাও ঢাকার কর্মসূচি স্থগিত করে। ২৪ ডিসেম্বর জেলায় জেলায় বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতও মিছিল করেছে বলে গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায় দলটি।
১৭ ডিসেম্বর বিএনপি জানায়, ঢাকার স্থগিত ‘গণমিছিল’টি হবে ৩০ ডিসেম্বর। সেটি শুরু হবে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে। পরদিন আসে জামায়াতের বিজ্ঞপ্তি, তারা বায়তুল মোকাররমে জড়ো হয়ে মিছিল বের করার ঘোষণা দেয়। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দিয়ে সেখানে যায়নি জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। পরে মালিবাগে ঝটিকা মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৫ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় জামায়াতের ১৫ জনকে। এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে যুগপৎ কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে চারটি। এর মধ্যে ১১ জানুয়ারি ‘অবস্থান কর্মসূচি’, ‘বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার ও ১০ দফা দাবিতে’ ১৬ জানুয়ারি ‘বিক্ষোভ সমাবেশ’ এবং ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠার দিন ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সমাবেশ ডাকা হয় এবং চতুর্থ কর্মসূচিটি পালিত হয় আজ শনিবার (৪ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২৩)। কিন্তু এসব সমাবেশে জামায়াতের দেখা নাই। বিএনপির প্রতি অভিমানেই দূরে সরে গেছে জামায়াত। কিন্তু জোট ভেঙে দেওয়ার এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এখন দেখার বিষয় বিএনপির সাথে জামায়াতের সম্পর্কের টানাপোড়েনটা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।
যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি জামায়াত বিএনপি
মন্তব্য করুন
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আমেরিকার ভিসা নীতি আমরা ইতিবাচক ভাবেই দেখছি। কারণ, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান। যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত থাকেন অথবা নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে পারেন ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের স্বার্থ থাকে। তাদের কারো সন্তান লেখাপড়া করে আবার কেউ অবসরে ঐসব দেশে বসবাস করতে চান। তাই কেউই চাইবেন না তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হন। একারণেই, নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্থ করতে বা অনিয়ম করতে তারা দ্বিধাগ্রস্থ হবেন। আমেরিকার ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমেরিকা যথেষ্ট আন্তরিক। আমেরিকার ভিসা নীতি কতটা বাস্তবায়ন হয় বা কার্যকর হয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’
মঙ্গলবার (৩০ মেস) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সচিব-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল মনে করে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করেছে। সবাই বিশ্বাস করে, নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকার নির্বাচন করছেন। এতে অন্য কোনো দলের কিছু করার ক্ষমতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। যারা বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তারা নির্বাচনে না এলেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই সরকারের উচিত হবে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিতে বিদেশীদের প্রভাব অনেক বেশি। আমরা বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভরশীল। তাই বিদেশীদের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ আছে। আবার, আমরা নিজেরা অনেক বিষয়ে সমাধানে আসতে পারি না। এমন অবস্থায়, আমাদের দেশে যাদের বিনিয়োগ আছে তারা তাদের স্বার্থেই প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করে। সেই সুযোগটা আমরাই তৈরী করে দিচ্ছি। আমরা নিজেরা মিমাংসা করতে পারলে কেউই মাথা ঘামানো প্রয়োজন মনে করবে না।’
তিনি বলেন, ‘জবাবদিহিতা মূলক সরকার হলে সবাই নিশ্চিত মনে কাজ করতে পারেন। জবাবদিহিতা থাকলে একটা আইন, শৃংখল ও নীতি থাকে। কে কী করতে পারবেন আর কী পারবে না তা নিশ্চিত করা থাকে। যখন জবাবদিহিতাহীন সরকার তৈরী হয় তখন কোন গাইডলাইন থাকে না। আমরা সবাই একমত হলে বিদেশীরা কখনোই নাক গলাতে চেষ্টা করতো না, আবার চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারতো না।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিএনপি সরকারকে আর সময় দিতে রাজি নয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে কোণঠাসা করতে চায়। এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
আজ রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে
ওঠার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায়
বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ
আমানের ১৩ বছর এবং তার
স্ত্রীর সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একই সাথে অন্য
এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তাদেরকে
দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার জন্য বলা
হয়েছে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রাজনীতিবিদরা
রক্ষক তারা কখনও ভক্ষক
হতে পারেন না। অর্থাৎ এই
দুইটি মামলায় হাইকোর্টের দণ্ডপ্রাপ্ত হবার কারণে এ
দু'জনকে এখন জেলে
যেতে হবে। ফলে রাজনীতির
মাঠে উত্তাপ-উত্তেজনা আরো বেড়ে যেতে
পারে বলে ধারণা করা
হচ্ছে। কারণ, এই দুজন নেতা
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে বড় ভূমিকা রাখছে।
বিএনপির
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ রায়কে ফরমায়েশি
রায় হিসেবে উল্লেখ
করেছেন। ফলে বিএনপি ওই রায়ের পর রাজনীতিতে সহিংসতা
এবং বড় ধরনের গোলযোগের
শঙ্কা তৈরী হল বলেও কোন
কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন। কেউ কেউ
অবশ্য বলছেন যে, বেগম খালেদা
জিয়াকেও যখন দুর্নীতির মামলায়
দণ্ডিত করা হয়েছিল, তখনও
অনেকে মনে করেছিল যে
রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হবে। কিন্তু বেগম
খালেদা জিয়ার দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় কারান্তরীণ
থাকা অবস্থায় বিএনপি কোনো আন্দোলন গড়ে
তুলতে পারেনি। তাছাড়া দুর্নীতি দমনের মামলার রায় দেশের সর্বোচ্চ
আদালত বহাল রেখেছে। এরকম
বাস্তবতায় এই রায় নিয়ে
বিএনপির যদি কোনো বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টি করার চেষ্টা করে,
তবে সেটি সাধারণ মানুষ
গ্রহণ করবে না বলে
মনে করা হচ্ছে।
তবে
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা
হচ্ছে গত কিছুদিন ধরেই
সরকার নতুন করে বিএনপি
নেতাদের ধরপাকড় গ্রেপ্তার শুরু করেছে। বিশেষ
করে পুরনো মামলাগুলোয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নানা রকম হয়রানি
করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ
করেছে। যদিও সরকারের পক্ষ
থেকে এ ধরনের অভিযোগ
সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা
বলেছে যে, কোনভাবেই বিরোধী
দলের উপর কোনরকম দমননীতি
বা নিপীড়ন করা হচ্ছে না।
আইন সকলের জন্য সমান। যারা
আইনের দৃষ্টিতে অন্যায় করেছে বা বিভিন্ন অপরাধের
সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিচারিক
প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
কিন্তু
দুই পক্ষ যে বক্তব্যই দিকনা
কেন, নির্বাচনের আগে যখন বিরোধী
দল বিএনপি বড় ধরনের আন্দোলনের
প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এই মামলা
এবং দন্ড আন্দোলনকে প্রভাবিত
করবে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা
মনে করছেন। একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি
তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন
তারা। বিএনপি'র পক্ষ থেকে
তাদের জোট গুলোকে নিয়ে
চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে
সরকারও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সারা দেশে শান্তি
সমাবেশ এবং গণসংযোগের মাধ্যমে
রাজনীতির মাঠে নিজেদের কর্তৃত্ব
অব্যাহত রাখতে চাইছে। ফলে নির্বাচনের আগেই
একটি উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি রেমিট্যান্স ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
গাজীপুর নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আজমত উল্লা গাজীপুর সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আমেরিকার ভিসা নীতি আমরা ইতিবাচক ভাবেই দেখছি। কারণ, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান। যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত থাকেন অথবা নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে পারেন ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের স্বার্থ থাকে। তাদের কারো সন্তান লেখাপড়া করে আবার কেউ অবসরে ঐসব দেশে বসবাস করতে চান। তাই কেউই চাইবেন না তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হন। একারণেই, নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্থ করতে বা অনিয়ম করতে তারা দ্বিধাগ্রস্থ হবেন। আমেরিকার ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমেরিকা যথেষ্ট আন্তরিক। আমেরিকার ভিসা নীতি কতটা বাস্তবায়ন হয় বা কার্যকর হয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’
সম্প্রতি শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন জয়ী হয়েছেন। গাজীপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতা এবং গাজীপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। কিন্তু তিনি পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতারাও দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লা’র পক্ষে নিবাচনী প্রচারণা, নির্বাচন পরিচালনা, এমনকি সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। কিন্তু গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীর নাটকীয় পরাজয় ঘটে। কিন্তু এই পরাজয়ের কারণ কি?- এই নিয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠেছে।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে প্রতীকী প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। জায়েদা খাতুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা। প্রথমবার বহিস্কৃত হওয়ার আগে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদকের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার কারণে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও বহিষ্কৃত হন। সেই থেকেই গাজীপুর আওয়ামী লীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ে গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বিধা-বিভক্তিকেই মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।