বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ-জামায়াত জোট বারবার বলেছিল, ‘এই মুহূর্তে দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার।’ আজকের প্রধানমন্ত্রীও চিরদিনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে বলেছিলেন। কিন্তু আজ ক্ষমতায় এসেই একনায়কতন্ত্র কায়েম করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিলেন। এখন বলেন, এটা কোর্টের রায়। কোর্টের রায়ে বাংলাদেশের জনগণ সব সময় চলে না। কোর্টের রায়ে রাজনীতি নির্ধারণ হয় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী নগরীর সোনাদিঘীর মোড়ে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির এই সংগ্রাম জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। বিএনপি আজ জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য, গুম-খুন বন্ধের জন্য লড়াই করছে। আমরা যখন রাজপথে কোনো প্রোগ্রাম করি তখন আওয়ামী লীগের বুকে কম্পন ধরে। আওয়ামী লীগ এটাকে বলে, ‘বিএনপির মরণযাত্রা।’ এটা বিএনপির মরণযাত্রা নয়, এটা আওয়ামী লীগের অগ্রিম শবযাত্রা। যেটা সারা বাংলাদেশে শুরু হয়েছে।
রাজশাহী নয়, পুরো বাংলাদেশ বিএনপির ঘাঁটি দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতারা এসে বললেন, রাজশাহী আগে বিএনপির ঘাঁটি ছিল, এখন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হয়েছে। আমি বলি, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। পুরো দেশ বিএনপির ঘাঁটি হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ টাকা কেজি চাল ও ঘরে ঘরে চাকরির নির্বাচনী ইশতেহারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের চাকরি হয়নি। আওয়ামী লীগের এক শ্রেণির লোকের চাকরি হয়েছে। আজকে তারা বলে, চাকরির পেছনে না ছুটে স্বাবলম্বী হোন। কীভাবে স্বাবলম্বী হবে? আওয়ামী লীগ তো দুর্নীতি, চাঁদাবাজি করে ব্যবসাকে নষ্ট করে ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ধাক্কা দিয়ে সরকারকে সরাতে চাই না। আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে সরকার গঠন করতে চাই। যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে।
এসময় আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতির সমালোচনা করে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ১০ দফার দাবির ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতিটি ইউনিয়নে পদযাত্রা কমসূচির ঘোষণা করেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. মিজানুর রহমান মিনু। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভাকেট মো. এরশাদ আলী ঈশা। সঞ্চালনায় ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বাবু বিশ্বনাথ সরকার।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন বিএনপি মির্জা আব্বাস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।