আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে সাফ কথা জানিয়ে দিয়েছেন দলীয় সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে কারো মুখ দেখে নয়, জরিপ কিংবা অতীতের আমলনামা দেখে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ সময় তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এলাকামুখী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মানুষের কাছে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলোকে জনগণের কাছে তুলে ধরার নির্দেশনা দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটির সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সভায় দলীয় সভাপতি এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব মন্তব্য করেছেন। এ সময় সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভায় উপস্থিত একাধিক সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, দেশে ২২তম রাষ্ট্রপতি কে হবেন- তা নিয়ে আলোচনা করতেই সংসদীয় কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মনোনয়নে সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব দেন উপস্থিত সকল সংসদ সদস্য।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন প্রসঙ্গটি তোলেন। এ বিষয়ে তিনি এমপিদের মতামত চাইলে শুরুতে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পদে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সে দায়িত্ব আমরা সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে আমাদের সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিতে চাই। তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন প্রয়োজন হলে আমরা সবাই তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব। এরপর উপস্থিত এমপিরা সমস্বরে সমর্থন জানান। এসময় বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক এমপি জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন বেশ কঠিন হবে। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ নেই। সহজ ভাবার কোনো সুযোগ নেই। এই নির্বাচনে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হবে, নানা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হবে। এসব বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের এলাকামুখী হতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, উন্নয়ন কাজ চলছে, চলবে। কিন্তু মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে। আমাদের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের যেসব উন্নয়ন আছে, সেসব নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেন তিনি।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে নিজের যোগ্যতায় জিতে আসতে হবে। আপনাদের সবার আমলনামা আমার হাতে আছে, অন্যান্য নির্বাচনে আমরা কেন্দ্র থেকে বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়ে তুলে এনেছি। আপনারা যেমন সাপোর্ট চেয়েছেন দিয়েছি, কিন্তু এবার কোনো রকম সাপোর্ট দেওয়া হবে না। নিজের যোগ্যতায় নিজেই জিতে আসতে হবে। আর আপনাদের আমলনামা দেখে মনোনয়ন দেওয়া হবে। জরিপের মাধ্যমে আমলনামা তৈরি করা হয়েছে। এখনই মাঠে যান, ভোটারদের কাছে ভোট চান।
জরিপ আমলনামা মনোনয়ন আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা মশিউর রহমান রাঙ্গা
মন্তব্য করুন
অক্টোবর রাজনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে রাজপথে রয়েছে বিএনপি। আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে এরই মধ্যে কিছু কিছু রদবদল হয়েছে। কেউ কেউ আবার নজরদারিতে রয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এর মধ্যে শোনা যাচ্ছে নির্বাচনের আগে বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্ভাবনার কথা। যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে নারাজ। তবে ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ষোঘণা হলে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ দলীয় পদে ফিরবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে ঘোর অন্ধকার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভয়ঙ্কর অক্টোবর আসছে। অক্টোবর মাসেই রাজনীতিতে প্রধান দুই দলের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চূড়ান্ত রূপ ধারণা করতে পারে। সহিংস হয়ে উঠতে পারে রাজনীতির মাঠ। এছাড়া অক্টোবরেই আওয়ামী লীগ-বিএনপি শক্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফয়সালাও করতে চায়। আর এ কারণেই অক্টোবর মাসে রাজনীতিতে এটা টানটান উত্তেজনা এবং সংকট ঘনীভূত হবে। তবে আশাবাদীরা মনে করছেন, অক্টোবরেই রাজনীতির আকাশ স্বচ্ছ হয়ে যাবে। এখন যে গুমোট মেঘ রয়েছে এবং যে অশনি সংকেত, দুর্যোগের ঘনঘটা তা কেটে পরিষ্কার হবে অক্টোবরেই।
বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশি নেওয়ার দাবীতে বিএনপি আল্টিমেটাম দিয়েছে। গতকাল এক সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৪৮ ঘন্টার এই আল্টিমেটাম দেন। এই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইতিমধ্যে ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। সরকার এই দাবির ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে গেলে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে এবং আদালতের মাধ্যমেই তিনি বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন।