ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল যারা!

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক অধীনে নির্বাচনের দাবিসহ বিভিন্ন অজুহাতে একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলেও বিএনপি নেতাদের পক্ষ থেকে অনেকবার বলা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচন ব্যাবস্থা নিয়ে আজ বিএনপি’র অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচারের প্রতিভূ বিএনপি প্রহসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বর্জনের মুখে যে কয়েকটি একতরফা এবং বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে কুখ্যাত।

১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকার গঠন করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি। গণতন্ত্রের মোড়কে দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর অচিরেই ওই সরকার এক স্বৈরাচারী সরকারে পরিণত হয়। একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক শাসন টিকিয়ে রাখার অশুভ লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এক ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে। সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করলেও বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুকের ফ্রিডম পার্টিকে সাথে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে বিএনপি। ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৭৮টি আসন দখল করে বিএনপি।

দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে একসময় যেমন ব্যাপক জনসমর্থন সৃষ্টি হয়েছিল, এর বিপক্ষে দাঁড়িয়ে দেশে ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো নির্বাচন এবং স্বল্পকালীন সংসদ ও সরকার ব্যবস্থা তৈরি হয়। যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটি সরকারের পছন্দমতো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই ২০০৬ সালে চরম দুর্বলতা প্রকাশ পায়।

২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার নির্বাচনকে কলুষিত করার জন্য একটি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠন করে। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের বয়স বাড়ানো হয়, যেন তিনি তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে পারেন। প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়ানোর জন্য সেসময় সংবিধানও সংশোধন করা হয়।

২০০৬ সালে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চিত রাজনৈতিক সংঘাতে জের হিসেবে ওয়ান ইলেভেন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। সেনা সমর্থিত এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ। এই সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, কয়েকটি বিদেশি দূতাবাস, ড: কামাল হোসেন, ড. মুহম্মদ ইউনূস এবং দেশের শীর্ষ স্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকার দুই সম্পাদক। ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার দায়িত্ব নিয়েই রাজনীতিকে শুদ্ধ করার তত্ত্ব চালু করেন।

রাজনীতিবিদদের গায়ে দুর্নীতিবাজের তকমা লাগিয়ে তাঁদের সামাজিকভাবে হেয় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ সময় আসে ‘মাইনাস ফর্মুলা’। ‘দুই নেত্রীকে সরে যেতে হবে’ শিরোনামে এক সম্পাদকীয় লিখে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ প্রকাশ করেন। দুই নেত্রীকে নানা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে সংস্কার প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ তখন সফল হয়নি। দু’বছরের মাথায় নির্বাচন দিয়ে সরে যেতে হয় ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকারকে। নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এমন বিরাজনীতিকরন যেন না হয়, কোন অগণতান্ত্রিক সরকার যেন দেশের ক্ষমতা দখল করতে না পারে সেই উদ্যোগ নেয় এবং সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের আইন পাস করে এবং পরবর্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগ।

দেশের নির্বাচন ব্যাবস্থাকে ধ্বংস করে, নির্বাচনকে কলঙ্কিত করে আজ বিএনপি’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাওয়াকে অসাংবিধানিক বলেই গণ্য করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


১৯৯৬ সাল   ১৫ই ফেব্রুয়ারি   নির্বাচন   বিএনপি   রাজনীতি   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ০৮:৪৮ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।

১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।

এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায় এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা। সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে। 

এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।


কৃষক লীগ   প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের ভাই, ভাতিজা, মামা, শ্যালকদের কী হবে?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। 

উল্লেখ্য, এবার উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক মন্ত্রী-এমপি তাদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাতিজা, শ্যালক, মামা, ভাগ্নে এবং অন্য আত্মীয়স্বজনকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। যারা এরকম পরিবারতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন তার মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। তিনি তার খালাতো ভাইকে উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। শাজাহান খান তার ছেলেকে মাদারীপুরের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান তার ছেলেকে, বগুড়ার সাহাদারা মান্নানের ছেলে এবং ভাই দুইজনই বগুড়ার দুটি উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। 

এ রকম দীর্ঘ তালিকা তালিকায় দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক মন্ত্রী-এমপি তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনকে প্রার্থী করেছে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অবস্থান গ্রহণ করেছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে কেউ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না এবং দলগতভাবে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না মর্মেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারা তার নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তি বা মাইম্যানদেরকে জয়ী করাতে মাঠে নেমে পড়ে এবং এর ফলে তৈরি হয় নতুন সংকট। 

একদিকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি উপজেলাতেই তিন বা ততোধিক প্রার্থী রয়েছে, তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে- এটিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানিয়েছে পরোক্ষভাবে। কারণ আওয়ামী লীগ মনে করে, যেহেতু বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, কাজেই আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, একটা নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির কঠোর নির্দেশনা ছিল যে, মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কিন্তু মন্ত্রী-এমপিদের পক্ষ থেকে এই বাণীকে কর্ণপাত করা হয়নি। বরং তারা তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনকে নির্বাচনের মাঠে নামিয়েছে তাদের এলাকায় পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আর এর ফলে আওয়ামী লীগ সভাপতি একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

প্রশ্ন হল, শেষ পর্যন্ত যদি দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপি এবং প্রভাবশালী নেতাদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হন, সে ক্ষেত্রে কী হবে? আওয়ামী লীগ কী কঠোর হতে পারবে?

অতীতে দেখা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থান গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সেই কঠোর অবস্থান শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচন করে এবং পরবর্তীতে তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। এবার জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রবেশ দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। ফলে ৫৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এবার উপজেলায় আওয়ামী লীগের এই আত্মীয় স্বজনকে প্রার্থী করা যাবে না- এই নির্দেশনা কয়জন মানবেন এটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ ব্যাপারে যদি আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে না যায় তাহলে আওয়ামী লীগের ভেতর এক ধরনের গুমোট পরিবেশ তৈরি হবে। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় জমিদারি প্রথা চালু হবে এবং মাইম্যানদের দাপটে সাধারণ জনগণ এবং অন্যান্য কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। এটা আওয়ামী লীগের জন্য একটা বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ১০:১৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সোয়া ১২টায় বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে বিএনপি মহাসচিবের গাাড়ি প্রবেশ করে। এক ঘণ্টা ৭ মিনিটে হা্ইকমিশন থেকে মহাসচিবের গাড়ি বেরিয়ে আসে।

বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সাথে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। 

ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে বিএনপির তিন নেতার সাথে হাইকমিশনারের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেছে। ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক। 

তবে বৈঠক শেষে বিএনপির নেতারা বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কোনো কথা বলেননি।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার   বিএনপি   আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী   শামা ওবায়েদ   সারাহ কুক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় কেন 'মাইম্যান' চান মন্ত্রী-এমপিরা?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কেউ মন্ত্রী হয়েছেন, কেউ সংসদ সদস্য। কেউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, এমনকি প্রেসিডিয়াম সদস্য। তারপরেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এই প্রভাবশালী নেতাদের এত আগ্রহ কেন? এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক মুখরোচক আলোচনা চলছে। অনেকেই এ নিয়ে কৌতুকও করেছেন। 

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এটি একটি নতুন উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, এমপি এবং নেতা-পাতি নেতারা এলাকায় নিজস্ব ব্যক্তিদেরকে শুধু প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন না, তাদেরকে নির্বাচিত করতে চাচ্ছেন। কেন মাইম্যানদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করতে আগ্রহী মন্ত্রী-এমপিরা?

এই প্রশ্নের উত্তরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, একাধিক কারণে উপজেলায় মাইম্যানদেরকে চাচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিরা। প্রথমত, এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মধ্যে সুস্পষ্ট বিভক্তি হয়েছে। যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন সেখানে ওই প্রার্থীর বিরোধীপক্ষ নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছেন। সেই কারণে এলাকায় তাদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের বিরোধ এমপি-মন্ত্রীদেরকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। এ কারণে কর্তৃত্ব রক্ষার জন্য তারা নিজস্ব লোকজনকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য মাঠে নেমেছেন। 

দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষকে দমন। এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এখনও কোন্দলে বিভক্ত আওয়ামী লীগের যারা জিতেছেন বা হেরেছেন তাদের প্রতিপক্ষরা শক্তিশালী। প্রতিপক্ষকে দমনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণটা অত্যন্ত জরুরী। আর এই কারণেই প্রতিপক্ষকে দমনের লক্ষ্যে উপজেলায় চোখ গেছে মন্ত্রী-এমপিদের।

তৃতীয়ত, দুর্নীতি এবং অনিয়ম। উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনেক বরাদ্দ থাকে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে টেন্ডার এবং অন্যান্য কার্যক্রমগুলো উপজেলায় সংঘটিত হয়। আর একারণেই নিজের ব্যক্তি উপজেলার চেয়ারম্যান হলে এমপিদের পক্ষে অনিয়ম এবং দুর্নীতি করাটা সহজ হয়। আর এ জন্যই তারা অন্য কারও ওপর ভরসা করতে পারছেন না। নিজের আত্মীয়স্বজনকে উপজেলায় বসিয়ে অনিয়ম এবং দুর্নীতি করার ক্ষেত্র উন্মুক্ত করতে চাচ্ছেন।

চতুর্থত, ভবিষ্যতের রাজনীতি। যারা তাদের পুত্র এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে রয়েছে সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য। এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পরের বার এমপি। বিশেষ করে যাদের বয়স বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রাজনীতিতে আগামীতে নাও থাকতে পারেন এমন আশঙ্কা রয়েছে, তারাই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য সন্তান এবং নিকট আত্মীয়দেরকে রাজনীতির মাঠে নিচ্ছেন। যেমন- সাহাদারা মান্নান তার পুত্রকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন। ভবিষ্যতে যেন তিনি এমপি হতে পারেন। একই অবস্থা সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নানের ক্ষেত্রেও। শাজাহান খানের ক্ষেত্রেও সে রকম একটি কৌশলই দৃশ্যমান হচ্ছে।

সবকিছু মিলিয়ে এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা, প্রভাব বিস্তার এবং পুরো এলাকায় নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্যই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা এবার উপজেলার দিকে ঝুঁকেছে। উপজেলাগুলোর মাধ্যমে তাদের নিজেদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার অভিযান শুরু করেছেন মন্ত্রী-এমপিরা। এখন দেখার বিষয়, উপজেলায় মাইম্যান বসিয়ে মন্ত্রী-এমপিরা কি অর্জন করতে পারেন।

উপজেলা নির্বাচন   মন্ত্রী-এমপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পরিবারতন্ত্রের কবলে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জোর প্রচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন এলাকায় মন্ত্রী এমপিরা তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করে ক্ষমতার শিকড় আরও গভীর করতে চাইছেন। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চাইছেন। 

প্রায় অর্ধশত এমপি তাদের নিকট আত্মীয়কে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছেন এবং তাদের জন্য নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেছেন। এর ফলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পরিবারতন্ত্রের কবলে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাতিজা, শ্যালক, মামা, ভাগ্নেসহ আত্মীয় স্বজনও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন এবং এ সমস্ত আত্মীয় স্বজনকে জয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এমপি ও নেতারা তাদের অনুগতদের মাঠে নামিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত যদি তাদের আত্মীয় স্বজনরা বিজয়ী হন তাহলে ওই সমস্ত উপজেলা গুলোতে আওয়ামী লীগ থাকবে না, সেখানে পরিবার লীগ প্রতিষ্ঠিত হবে। 

তবে ইতোমধ্যে পরিবারতন্ত্রের ব্যাপারে কঠোব সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। উপজেলা নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–এমপিদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা ভোটে অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখন দেখার বিষয় যে, যে সমস্ত মন্ত্রী–এমপিদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তারা এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মানেন কিনা কিংবা নির্বাচন থেকে সরে যান কিনা। 

বগুড়ার সারিয়াকান্দি এবং সোনাতলা উপজেলায় এমপি সাহাদারা মান্নান তার ছেলে সাখাওয়াত সজল হোসেন এবং ছোট ভাই মিনহাজ জাহানকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। সোনাতলার প্রার্থী হচ্ছেন ছোট ভাই আর সারিয়াকান্দিতে প্রার্থী হয়েছেন তার ছেলে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে তীব্র কোন্দল এবং অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সাহাদারা মান্নান বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি এবং এই দুই উপজেলায় যদি তার ভাই এবং ছেলে চেয়ারম্যান হন তাহলে বগুড়া-১ আসনে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। 

টাঙ্গাইলে-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলায় দুইজন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনীত করছেন। এই প্রার্থীরা তার ঘনিষ্ঠ এবং মাইম্যান হিসাবে পরিচিত। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ধনবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এই লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার আপন খালাতো ভাই এবং নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী করেছেন। 

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় লুৎফুল কবির হাবিবকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের শ্যালক। 

মাদারীপুর সদর উপজেলায় নিজের ছেলে আসিবুর রহমান খানকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। 

এই সমস্ত এলাকাগুলোতে যখন শ্যালক এবং সন্তানরা বিজয়ী হবে তখন তাদের একক রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। 

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মান্নানের ছেলে সাদাত মান্নানকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। এম এ মান্নান নিজেও বিভিন্ন আয়োজনে ছেলের পক্ষে প্রচারণা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর ফলে সুনামগঞ্জে মান্নান তন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। 

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা এবারও প্রার্থী। তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। একই উপজেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার বেগমের ছেলে যুবলীগের নেতা ফজলে রাব্বি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। 

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন। তিনি মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুপাতো ভাই।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মাহবুব উল আলম হানিফ এর চাচাতো ভাই আতাউর রহমান বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি আবারও নির্বাচন করছেন।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলীকে, সুবর্ণচর উপজেলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলের হয়ে প্রচারণা অংশগ্রহণ করছেন। 

নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী এলাকা। তার নির্বাচনী এলাকায় এমপিরা পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছেন।

মৌলভিবাজার বড়লেখা উপজেলায় নির্বাচনে ভাগ্নে সোয়েব আহম্মেদকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন মৌলভিবাজার-১ আসনের এমপি সাহাবুদ্দিন। 

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগার টগর তার নির্বাচনী এলাকা দামুরহুদা উপজেলায় আপন ভাই আলী মনসুর বাবুকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছেন। 

নরসিংদী-৩ আসনে এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার নির্বাচনী এলাকা শিবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হবেন তার স্ত্রী ফেরদৌসি ইসলাম। তিনি তাকে সমর্থন জানাবেন। 

এভাবে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে পল্লবিত হচ্ছে পরিবারতন্ত্র। আগে ‘মাইম্যান’ কে বসানো হত, এবার সেই লজ্জা শরমের মুখোশ খুলে ফেলে আওয়ামী লীগের এমপি এবং মন্ত্রীরা তাদের নিজের আত্নীয় স্বজনকেই উপজেলা চেয়ারম্যান করতে চাচ্ছেন এলাকায় নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এটি কীভাবে প্রতিহত করেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।

পরিবারতন্ত্র   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন