বিদ্যুৎ-গ্যাস ও দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি এবং পাঠ্যপুস্তকে ধর্ম ও জাতিসত্ত্বা বিরোধী বিতর্কিত বিষয়বস্তু সংযোজনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে সারাদেশের থানায় থানায় শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে দেশের সকল থানা, উপজেলা ও পৌরসভা পৃথক পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল পালন করে। মিছিলগুলোতে ব্যাপক সাড়া পরে এবং স্বতঃস্ফুর্তভাবে সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। ইতিমধ্যেই সারাদেশের জেলাশাখা তাদের আওতাধীন থানা শাখাগুলোর বিক্ষোভ মিছিলের কথা জানিয়ে কেন্দ্রে রিপোর্ট করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামী আন্দোলন জানায়, বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব জমায়েতে সারাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা সিলেবাসের অসঙ্গতি, ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের এ ধারাবাহিক কার্যক্রমকে শিক্ষামন্ত্রী ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মিথ্যাশ্রয়ী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছিলো। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির দু’টি বই বাতিল করে এখন শিক্ষামন্ত্রীই মিথ্যুক প্রমাণিত হয়েছেন। অতএব শিক্ষা মন্ত্রী এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না।
জমায়েতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২৩ এর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্ব অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার, পৌত্তলিক ও ব্রাক্ষণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, ইসলামকে ভিনদেশি সাব্যস্ত করা এবং প্লেজারিজমের মত নিন্দনীয় কাজের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে; যা জাতি হিসাবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার।
সপ্তম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ অনুসন্ধানী বই এর পাঠ্যসূচির অধিকাংশ অধ্যায়ে আদিম সভ্যতা, হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের শাসন ইতিহাস এবং নগরায়ণের কথা বলা হয়েছে এবং শেষের অধ্যায়ে অল্প পরিসরে সুলতানি আমলের ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। বাংলায় প্রায় ৬০০ বছরের মুসলিম শাসনকে আগেকার মৌর্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্য, সেন, পাল আমল এবং পরের ব্রিটিশ ও পাকিস্তানী শাসনের সাথে তুলনা করা হয়েছে। সবগুলোই ‘বিদেশীদের শাসন’, সবাই নিজেদের ‘ভাষা, ধর্ম, রাজনীতি’ এখানকার মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্পষ্ট করে মুসলিম শাসনামলকে দখলদারিত্ব বলা হয়েছে।
হিন্দুধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ বেদকে এক ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে গৌতম বুদ্ধের জীবনীর অনেক অনুষঙ্গ আনা হয়েছে, যা সপ্তম শ্রেণীর জন্য জরুরি নয়।‘চলো আমরা আমাদের বৌদ্ধধর্মের বন্ধুদের কাছ থেকে-বৌদ্ধধর্মের বই থেকে জাতকের গল্প পড়ে নেই’- শিরোনামে শিক্ষার্থীদের ব্যাবহারিক কাজ দেয়া হয়েছে। পাল ও সেন আমলকে ইতিহাসের প্রাচীন যুগ বলে মুসলিম শাসনকে বহিরাগত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সুলতানি শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হিসেবে জবরদখল করে শরীয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা, একনায়কতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক সুবিধাজনক অবস্থান, বর্ণভেদ চালু করা, নারীদের শোচনীয় অবস্থা ইত্যাদি বিষয় চিত্রায়ন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সব ক’টি থানায় শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
ইসলামী আন্দোলন জানায়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সবক’টি থানায় শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্দোলনের আমীর ঘোষিত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর এর বাড্ডা, ভাটারা ও গুলশান থানার বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
থানায় থানায় ইসলামী আন্দোলন বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।