আওয়ামী
লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন
ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়।
তাই নির্বাচনে নিজেদের ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র শুরু
করেছে বিএনপি।
রোববার
(৫ মার্চ) আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই
কথা জানান তিনি।
বিএনপির
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের
নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতি আহ্বান জানায়, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে
গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসুন; নির্বাচনে
অংশগ্রহণ করুন।
বিবৃতিতে
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের পুরনো অপকৌশল অবলম্বন করে নির্বাচন ও
নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা শুরু
করেছে। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, এদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে
প্রহসনে পরিণত করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সামরিক ফরমান জারি করে জিয়াউর
রহমান জোরপূর্বক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিল। রাষ্ট্রপতি হতে জিয়াউর রহমানের
কোনো প্রস্তাবক ও সমর্থকের প্রয়োজন
ছিল না। একই সাথে
অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও প্রধান সামরিক
আইন কর্মকর্তা পদে থেকে হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন
করে। যা সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক
এবং বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী বিধিমালা পরিপন্থী। জিয়াউর রহমান জাতিকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল এবং সামরিক আইন
বহাল রেখে ১৯৭৭ সালে
হ্যাঁ/না ভোট, ১৯৭৮
সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন
করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ
করে জিয়া পরবর্তী বেগম
খালেদা জিয়া। যার ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রক্ষমতা
কুক্ষিগত করার অভিপ্রায়ে খালেদা
জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫
ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল; বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসিয়ে মহান
জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল।
বিবৃতিতে
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
বলেন, বিএনপি এদেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার
প্রধান প্রতিবন্ধক; বাংলাদেশের রাজনীতির সকল অশুভ শক্তির
প্রতিভূ। জনগণ কর্তৃক বার
বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি আজ
তাদের ব্যর্থতার দায়ভার জাতির উপর চাপাচ্ছে। এমনকী
নিজেদের দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বকে জায়েজ করতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র
পরিবর্তন করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব এক সংকটকাল অতিক্রম
করছে। এই সংকটের মধ্যেও
জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের
জনগণের সুরক্ষা দিয়ে চলেছেন। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায়
বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) সভাপতি সাবা করোসি মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং এটি অলৌকিক
ঘটনার মতো বলে উল্লেখ
করেছেন। অন্যদিকে লন্ডনভিত্তিক দ্যা ইকোনোমিস্ট-এর
এক নিবন্ধে সংকটে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মিরাকেল তুলে ধরা হয়েছে।
ওই নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের
উন্নয়নের মডেল বিশ্বজুড়ে ব্যাপক
প্রশংসা কুড়িয়েছে।’ সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
বাংলাদেশের বিস্ময়কর এই অগ্রগতি ও
উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করাই বিএনপির রাজনীতির
একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হয়ে
দাঁড়িয়েছে। তাই তারা দেশের
ভিতরে ও বাইরে একের
পর এক ষড়যন্ত্র করে
যাচ্ছে।
বিবৃতিতে
তিনি বলেন, দেশের সংবিধান মেনেই আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে। বিএনপি নেতৃবৃন্দের বোধগম্য হওয়া উচিত নির্বাচন
প্রতিহত এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে
প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করে
কোনো লাভ নেই। জনগণের
রায়ে সাংবিধানিক উপায়েই ক্ষমতা পরিবর্তন হবে।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি গণতন্ত্র নির্বাচন
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।