চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য ‘সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী’ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (৫ মার্চ) গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নর জবাবে তিনি একথা জানান। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক হয়।
বিস্ফোরণের কারণ খুঁজতে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার ব্যর্থ হওয়ার কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যর্থ হচ্ছে, এসব মনিটরিং হচ্ছে না।’
বৈঠকে ‘সরকার পতনে’ বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। মির্জা ফখরুল ছাড়াও বৈঠকে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের পক্ষের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম ও শাহজালাল মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) সীতাকুণ্ডে এবং আজ (রোববার) ঢাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন এ বিস্ফোরণগুলো ঘটছে কেন? সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যারা এ বিষয়গুলোর দায়িত্বে রয়েছে, সবকিছু সঠিকভাবে আছে কিনা, অর্থাৎ সেখানে যেন বিস্ফোরণ না ঘটে, কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, দুর্ঘটনা ঘটলে যেন মানুষের জীবননাশ না হয়, সে ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা। সরকারি সংস্থাগুলো সে ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং সরকারের ব্যর্থতার কারণে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটছে।’
চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।
উল্লেখ্য, রোববার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে ঢাকা কলেজের উল্টো দিকে বসুন্ধরা গলির ‘শিরিন ম্যানশন’ নামক ভবনে এসির বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এর আগে গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।