সরকারের ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতার কারণেই ঢাকা বিপজ্জনক নগরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের র্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে শুধু বিস্ফোরণ হচ্ছে। কীভাবে বিস্ফোরণ হচ্ছে? ভবনের যে নির্মাণকাজ, সেখানে নজরদারি নেই। সরকারের যে ডিপার্টমেন্টগুলো আছে, যাদের এসব ভবন দেখাশোনা করার কথা, যাদের নজরদারি করার কথা, তারা কাজ করে না, সবাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে এসব ভবনে নিরাপত্তা নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণ প্রতিরোধ ও আগুন প্রতিরোধ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে আজ এই ধরনের ভয়াবহ বিস্ফোরণ সংগঠিত হয়ে সেখানে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, শতাধিক মানুষ আহত হচ্ছে এবং ঢাকা মহানগর এখন একটা বিস্ফোরন্মুখ নগরে পরিণত হয়েছে, বিপজ্জনক নগরে পরিণত হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা মহানগরের যে বাতাস, সেই বাতাসকে বলা হচ্ছে, পৃথিবীর সবচেয়ে দুষিত বাতাস। ইংল্যান্ডে প্রকাশিত ইকোনোমিস্ট পত্রিকায় বলা হচ্ছে যে, এই দুষিত মহানগরকে ছাড়িয়েও দুর্নীতির যে তোষণ, দুর্নীতির যে বাতাস- তা এখন বাংলাদেশকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘এরা (সরকার) সব সময় বলতে থাকে যে, এখন আমরা নাকি উন্নয়নশীল দেশ। আজ ইনকিলাব পত্রিকায় দেখলাম, জাতিসংঘের যে সম্মেলন কাতারের দোহায় হয়ে গেল, সেখানে অনুন্নত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম দ্বিতীয়। কোথায় গেলো উন্নয়ন, কোথায় গেলো ফানুস?
তিনি আরও বলেন, ‘সব সময় যে গলাবাজি করছে আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা, বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে, মালয়েশিয়া হয়ে গেছে। গেলো কোথায়? মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, ভুল বুঝিয়ে এভাবে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন, তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন, নিজেদের জীবনধারণ থেকে বঞ্চিত করছেন।’
বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে পোশাক শিল্পে শুধুমাত্র নারীদের অবদানের কারণেই রেমিট্যান্স আসছে বলে বাংলাদেশের নারীদের অভিনন্দন জানান বিএনপি মহাসচিব।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে মহিলা দলকে আরও সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি নারীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নারীরা যাতে অন্যায়ভাবে নির্যাতিত না হয়, সে বিষয়ে আপনাদের সোচ্চার হতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। কে করছে? দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারি দলের নারীরাই করছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সোচ্চার হতে হবে।’
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, জাহান পান্না, শাহানা আখতার সানু, নায়েবা ইউসুফ ও শাহিনুর নার্গিস বক্তব্য রাখেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল বর্ণাঢ্য র্যালি উপলক্ষে এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা শাড়ি পরে বেলুন ও খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে র্যালিতে অংশ নেন। র্যালিটি নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
সরকার ব্যর্থতা ঢাকা বিপজ্জনক নগর পরিণত মির্জা ফখরুল
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।