তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপি-পন্থীরা ব্যালট ছিনতাই করেছে। গতকাল ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা এই যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে, বিচার বিভাগের ইতিহাসে, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে কালিমা লেপন করেছে।’
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি’র সভাপতিত্বে ও শবনম জাহান শিলা এমপির সঞ্চালনায় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে ও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম সভায় বক্তব্য দেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে, ইতিপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির দরজা লাথি মেরেছিল। গতকাল তারা ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে। তারা আসলে প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করতে চায়। কোনো প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলুক সেটি তারা চায় না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জানে যে, তারা ঢাকা বার নির্বাচনে হেরেছে, সেখানে হারার পর তারা বুঝতে পেরেছে যে সুপ্রিম কোর্টে তাদের হার নিশ্চিত। সে কারণে তারা প্রথমে ভোট বর্জনের নাটক পরে আবার ব্যালট পেপার ছিনতাই করলো। সুতরাং এভাবে তারা সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায়। তারা আগামী নির্বাচনকেও বাধাগ্রস্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকবে না ২০১৪ সালের যেমন কারো জন্য থেমে থাকে নাই, ২০১৮ সালের নির্বাচনও কারো জন্য থেমে থাকে নাই আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যে নির্বাচন কিম্বা এ বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনও কারো জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।’
সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমান নির্বাচন চায় না, বেগম খালেদা জিয়াও নির্বাচন চায় না। কারণ উনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। উনারা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এ জন্য উনারা নির্বাচন চায় না। তবে আপনাদের অনেক নেতা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও আমি বলতে পারি বিএনপির নেতারা নির্বাচন করবে। সুতরাং নির্বাচন সবাইকে নিয়েই হবে ইনশাআল্লাহ।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি মহিলা আওয়ামী লীগকে বলবো আমাদের নির্বাচন সন্নিকটে, দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী, সুতরাং নারীদের কাছে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার ইতিহাস ও বন্দনা পৌঁছে দিতে হবে, নারীদেরকে সংগঠিত করতে হবে। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে যেভাবে বদলে দিয়েছেন, নারীদের সামাজিক মর্যাদা যেভাবে উন্নীত করেছেন, এই বদলে যাওয়ার কাহিনীটা তাদেরকে শোনাতে হবে। আমরা যদি সঠিকভাবে শোনাতে পারি, নারীরা অবশ্যই অন্য কোথাও ভোট দেবে না। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাবো সেই মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম নারী চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম এনডিসি, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় কারাতে খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া, প্রথম নারী মেট্রোরেল অপারেটর মরিয়ম আফিজা ও প্রথম নারী ট্রেন অপারেটর আসমা আক্তারকে সম্মাননায় ভূষিত করেন অতিথিবৃন্দ।
তথ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন ব্যালট ছিনতাই
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।