ইনসাইড পলিটিক্স

কী চায় জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি?

প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

অন্তর্বর্তীকালীন একটি জাতীয় সরকার গঠন করে সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে নাগরিক অধিকার বিষয়ক একটি সংগঠন ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নৈশভোজ করায়। এই নৈশভোজে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংগঠনটির আহ্বায়ক কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

এই নৈশভোজে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্র জানায়, এতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না), গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ পুলিশের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা অংশ নেন।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবারের নৈশভোজে সংগঠনের সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ ইনসাফ কায়েম কমিটির পক্ষে বেশ কিছু প্রস্তাব বা ইশতেহার তুলে ধরেন। সেখানে সংগঠনটির পক্ষে নতুন অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকার গঠন করে সেই সরকারকে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে অভিমত দিয়েছেন তাঁরা। সংগঠনটির আহবায়ন এবং সদস্য সচিব দাবি করেছেন, ২০১৩ সাল থেকে তারা এই প্রক্রিয়াটির জন্য কাজ করছেন এবং সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছেন সেই সময়েই। পরবর্তীতে তারা এই সংগঠনটিকে নতুন করে আবার পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এই নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। 

এদিকে এই সংগঠনটির নৈশভোজ আয়োজনের পরপরই দেশের রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে শুরু হয়েছে নানমুখী আলোচনা। গজিয়েছে প্রশ্ন এবং সন্দেহের ডালপালাও। কেউ বলছেন, রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এই আয়োজনের খরচ কোত্থেকে এসেছে এবং যারা এই আয়োজন করেছেন তারা কারা? তারা কী চায়? আবার কেউ কেউ সন্দেহ করছেন কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার এবং সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে নতুন করে রাজনীতিতে আসার ছক তৈরি করছে। দেশে বিদেশে জামায়াতের টাকার অভাব নেই। তাই এ ধরনের একটি অুনষ্ঠানের খরচ বহন করা জামায়াতের জন্য কোনো বিষয় নয়।

নৈশভোজে সংগঠনটির প্রস্তাবনায় বলা হয়, ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ তৈরি করে আজ অবধি যে গৃহদাহ জারি করা হয়েছে, তার ফলে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে বাংলাদেশের পরিগঠনকে সব সময়ই ব্যহত করা হয়েছে। শুধু ইসলাম নয়, সকল ধর্মেরই ধর্মপ্রাণ মানুষের আশা-আকাঙ্খাকে যেমন অস্বীকার করা হয়েছে, তেমনই একইভাবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশকেও ধর্মের বিপরীতে স্থাপন করে তাদের বিকাশ, পারস্পরিক সমঝোতা ও সৌহার্দ্যকে নষ্ট করে ধর্মকে স্রেফ পরিচয় সর্বস্ব সাম্প্রদায়িকতায় পর্যবসিত করা হয়েছে। এর ফলে মানুষের ইহলৌকিক বিকাশে ধর্মের ভূমিকা রুদ্ধ হয়েছে, তেমনি নৈতিক ও আত্মিক বিকাশের ক্ষেত্রগুলোকেও ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।  

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে চান। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হবে নতুন গঠনতন্ত্র বা শাষনতন্ত্র প্রণয়নের সভা আহবান করা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে নতুনভাবে একটি শাষনতন্ত্র উপহার দেওয়া। স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন এবং নির্বাচনের সময় সকল নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিয়ে আসা। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তর্বর্তী নতুন সরকার এবং নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে। নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ বলে তারা মনে করেন।  

প্রস্তাবনায় বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা না গেলে গত কয়েক দশকে গড়ে ওঠা সুবিধাবাদী, সন্ত্রাসী ও লুটেরা শক্তিকে পরাস্ত করা সম্ভব হবে না। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় নিশ্চিত না করে তথাকথিত জাতীয় বা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতা লাভের খায়েশমাত্র। তাই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে উৎখাত করে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল ছোট-বড় সব দলকে নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সভা আহ্বান করা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করা। নতুন গঠনতন্ত্রে স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনের সময় সব নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকার পদত্যাগ করবে এবং নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ।

যদিও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি বলেছে, ওই নির্বাচনে জয়ী হলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে তারা। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত জাতীয় সরকারের ২৭ দফা রূপরেখা দিয়ে কয়েকটি দল ও জোটকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপি। এর মধ্যেই ইনসাফ কায়েম কমিটি বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের অভিমত প্রকাশ করল।

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নৈশভোজে যারা অংশগ্রহণ করেছেন এবং যারা আয়োজন করেছেন, তাদের অনেকেই সরকার বিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত। এই আয়োজন এবং সংগঠনটিও সরকার বিরোধী আন্দোলনের একটি অংশ। সেখানে তারা যে ধরনের প্রস্তবনা তুলে ধরেছেন, সে ধরনের দাবি নিয়ে বিএনপি দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। এই সংগঠনটির সাথে বিএনপির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। যদি সম্পৃক্ততা নাও থাকে- তথাপিও বিএনপির দশ দফা, সরকার গঠনের রূপরেখার ২৭ দফার সঙ্গে তাদের প্রস্তাবনার যথেষ্ট মিল রয়েছে। এছাড়াও তাদের প্রস্তবনায় ইসলামী ইস্যু এবং ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে- একটি সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করতেই চেষ্টা করছেন তারা। এখন দেখার বিষয় জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির নামে জামায়াত নতুন কোনো পরিকল্পনা করছে কি না?

জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি   বিএনপি   জামায়াত   সরকার   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এই বাজেট ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট: আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০২:১২ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে। তারা লুটপাটের বাজেট বলে, যাদের অর্থনীতি ছিল লুটপাটের। তারা লুটপাটের চ্যাম্পিয়ন ছিল। তাদের মুখে লুটপাটের কথা শোভা পায় না। আমরা তাদের থেকে বড় বাজেট দিতে পেরেছি।

শনিবার (৩ জুন) সকালে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বে অস্বস্তিকর অবস্থার পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে। সোমালিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্য সংকট। সারা বিশ্বে সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান।

তিনি বলেন, এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছেন। মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিল লুটপাটের সেই বিএনপি এ বাজেটকে লুটপাট বাজেট বলে কি করে? তাদের সময় কি পরিমাণ বাজেট ছিল? আজ তা কি হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কি ছিল? বাংলাদেশ আজ ৩৫তম অবস্থানে আছে। বাজেটে কৃচ্ছতা সাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কি ছিল?শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল কিন্তু বিশ্ব সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে। তবে সব সংকটই সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত। বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে অস্থির অবস্থা। অনেক চিন্তা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়নের অবদান অস্বীকার এগুলো কি মানা যায়? অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার প্রশংসা করলেও এ দেশের বিরোধী দলের লোকরা একটা ধন্যবাদও দিতে পারে না। এ দেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধী দল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে। আর তাই এবারের বাজেটও তৈরি করেছে দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। এবারের বাজেট সাধারণ মানুষকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি কারণেই মানুষ কষ্টে আছে, সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না।

লোডশেডিং বা মানুষের নেতিবাচক সমালোচনা মোকাবিলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতিবাচকগুলোকে ইতিবাচক অবস্থায় পরিণত করতেই এবারের বাজেট। বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা করা হতো। আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ কখনো হামলা করেনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ বারবার নির্যাতিত হয়েছে কিন্তু বর্তমানে বিএনপি অবাধে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাজেট   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন আজ

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার।

শুক্রবার (২ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বাজেট নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ ভুল ড. কামালের নেতৃত্বে জোট গঠন করা: কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোট গঠন করা এবং জোটে যাওয়াকে নিজের জীবনে শ্রেষ্ঠ ভুল বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। 

তিনি বলেন, আমি ওই ভুল থেকে এটা শিক্ষা নিয়েছি। বিএনপিকে আমি আরও ১০০ বছরে যতটা চিনতে না পারতাম, জোটে গিয়ে মাস তিনেকেই চিনতে পেরেছি। বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপি হচ্ছে খালেদা জিয়া তারেক রহমানের দল।

শুক্রবার (২ জুল) সকালে গাজীপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমেরিকার ভিসার বিষয়ে বিএনপি বলছে এটা আওয়ামী লীগের ক্ষতি, আওয়ামী লীগ বলছে বিএনপিকে সোজা করার জন্য আমেরিকা ভিসার বিধি-নিষেধ দিয়েছে। কেউ একবারও ভাবে না আওয়ামী লীগ বিএনপির ক্ষতি না, ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের, ক্ষতি হচ্ছে বাঙালির, ক্ষতি হচ্ছে আমার জাতির, আমার সম্মান নষ্ট হচ্ছে। এটা কেউ চিন্তাও করে না। আমাদের জাতীয়ভাবে চিন্তা করতে হবে।

গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতার লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন অতিথিরা।

ড. কামাল হোসেন   কাদের সিদ্দিকী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন শনিবার

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।  

শুক্রবার (২ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তিনি বলেছেন, শনিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

বাজেট   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডিসেম্বরের আগে বিএনপির এক ডজন নেতা দন্ডিত হতে পারে

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail ডিসেম্বরের আগে বিএনপির এক ডজন নেতা দন্ডিত হতে পারে।

বিএনপি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। কিন্তু এই আন্দোলন করতে যেয়ে আইনী লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে বিএনপি। বিএনপির দু’জন নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত দন্ডিত করেছে। নিম্ন আদালতে দেওয়া দন্ড বহাল রাখা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু এবং কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমানের ক্ষেত্রে। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছে। যদিও বিএনপির নেতারা এই আদেশকে ফরমায়েশি আদেশ বলেছেন। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীন এবং স্বাতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। এই বাস্তবতায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো পথ নাই।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমানউল্লাহ আমান এবং ইকবাল মাহমুদ টুকুকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে এই দুই নেতাই শুধু নন, বিএনপির এরকম এক ডজন শীর্ষ নেতা রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলমান রয়েছে- হয় মামলার কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে অথবা নিম্ন আদালতের দন্ড তারা হাইকোর্টে স্থগিত রখেছেন। হাইকোর্ট এখন এটি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সরকার সাম্প্রতিক সময়ে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যে সমস্ত মামলাগুলো নিম্ন আদালতে শেষ হয়ে গেছে, সেগুলো উচ্চ আদালতে সমাপ্ত করার ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ জোরদার করা হয়েছে। আর এটি যদি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ এক ডজন শীর্ষ নেতা আইনী জটিলতায় পড়তে পারেন, তারা দন্ডিত হতে পারেন এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এরকম এক ডজন নেতার কারাগারে যাওয়ার আইনী সম্ভাবনা রয়েছে। 

এদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা এখন আইনী লড়াইয়ের শেষ ধাপে এসে উপনীত হয়েছে। এই মামলার রায়ে যদি তিনি দন্ডিত হন- তাহলে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে। একই অবস্থা বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধেও। দুর্নীতির মামলা তদন্ত শেষ পর্যাযে আছে। এই মামলাতেও তিনি যদি হেরে যান, তাহলেও তার কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মামলাও শেষ ধাপে এসে উপনীত হয়েছে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে- তারও কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম খান, মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিনসহ এক ডজন নেতা আছেন- যারা আইনী লড়াইয়ে ব্যাকফুটে রয়েছেন এবং এই সমস্ত মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। 

তবে মজার ব্যাপার হলো, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও কোনো মামলাই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নিষ্পত্তির কাছে নেই। এই মামলাগুলো বেশিরভাগই হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে। কোনো কোনো মামলা তদন্ত পর্যায়েই থেমে আছে। কাজেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন নেতাই শুধুমাত্র আইনী লড়াই থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পেরেছেন। আর অন্যান্য নেতাদের যে মামলাগুলো, সেগুলো যদি শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়, তাহলে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একটি বড় অংশই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আযোগ্য হতে পারেন। 


ডিসেম্বর   বিএনপি   নেতা   দন্ডিত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন