ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের হাতে গণতন্ত্র বারবার নিহত হয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের হাতে গণতন্ত্র বারবার নিহত হয়েছে। সেটা পুনরুদ্ধার করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশমাতা খালেদা জিয়া।

রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে মতিঝিলে হোটেল পূর্বানীর হলরুমে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘কর্তৃত্ববাদের উত্থান ও বিপন্ন গণতন্ত্র: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সংকট হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থায়, আমরা একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে এ রাষ্ট্র লাভ করেছি। সেই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব, রাজনৈতিক অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। সংকটটা ওই জায়গায়। এবং বিপন্ন হবার কারণ হচ্ছে ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় যে কমিটমেন্ট, যে প্রতিশ্রুতি আমরা জনগণের সামনে দিয়েছিলাম, তৎকালীন যারা নেতৃত্বে ছিলেন, তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আজকের এই ৫২ বছর সমস্ত কমিটমেন্ট, প্রতিশ্রুতি তারা নস্যাৎ করে দিয়ে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা দ্বিতীয়বারের মতো ছদ্মবেশে নিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, যেটা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেনি। দেশে কোনো আইনের শাসন নেই। পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ারেন্টে, বিনা মামলায় তুলে নিয়ে গিয়ে একই কায়দায় নাশকতা, বিস্ফোরণের মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখায়। মামলায় ১০০ জনের নাম দেয় ওই এলাকায়, যারা বিএনপির নেতাকর্মী। বাকি দেয় ১০০০ অজ্ঞাতনামা। পঞ্চগড়ে দিয়েছে ১৬ হাজার অজ্ঞাতনামা। এতে দুটি কাজ হয়, ওই মানুষগুলো ঘরছাড়া হয়ে যায়। বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়। আরেকটি হলো বিরাট বাণিজ্য শুরু হয়ে যায়, যারা ভুক্তভোগী তারাই এটা জানে।

তিনি বলেন, আমাদের ১০ দফায় পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, বর্তমান সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। কারণ এ সংসদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংসদ নয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কীভাবে নির্বাচন হয়েছে, সেটা আপনারা জানেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সকল দলের রাজনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে একটি কেয়ারটেকার সরকার তৈরি করতে হবে। তাদের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সে নির্বাচন কমিশন নতুন করে নির্বাচন ব্যবস্থা করবে। সে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট হবে, নতুন সরকার গঠন করা হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের এই সংকট উত্তরণে শুধু বিএনপির দায়িত্ব নয়। এটা সকল রাজনৈতিক দলের সকল মানুষের দায়িত্ব। দেশকে বাঁচাতে জাতিকে বাঁচাতে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে, একটি মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন একটা কর্তৃত্ববাদী শাসনের দেশ। বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। মাঝে মাঝে অনেকেই প্রশ্ন করেন, আপনারা কী নির্বাচনে আসবেন না, আপনারা নাকি ৮০ সিট নিয়ে আলোচনা করছেন, পাচ্ছেন? কীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। আচ্ছা বলেন তো, সিট দেয়ার মালিক কে? দেশের জনগণ ছাড়া কি কেউ এর মালিক, জনগণ ছাড়া তো কাউকে দেখি না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ দলটাই একটা স্বৈরাচারী দল, এরা আসলে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। কিছু বললেই এরা মারতে আসবে। আর জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে দেশকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। এখন আমরা নিরাপত্তা হারিয়ে ফেলেছি। ২০১৪ সালের পর থেকে এটা শুরু হয়েছে। সুশাসনের জন্য যে জিনিস দরকার সেগুলো বাংলাদেশে আর নাই। আমি শঙ্কিত এ দেশের জন্য। এ দেশকে নতুন করে গড়তে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আব্দুল লতিফ মাসুম, জিয়া পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর এম সলিমুল্লাহ খান, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট ও জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।


আওয়ামী লীগ   গণতন্ত্র   নিহত   মির্জা ফখরুল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে মির্জা ফখরুলদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল আলমগীরের মর্মবেদনা আমরা বুঝি। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মির্জা ফখরুলদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। সুদূর লন্ডন থেকে যে ওহি নাযিল হয় কিংবা যে সিদ্ধান্ত আসে, তা মুখ বুজে মেনে নিতে বাধ্য হন ফখরুল সাহেবরা।’

শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত হয় বিএনপি; অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি ভাঙে-গড়ে, বহিষ্কার-পুরস্কার নির্ধারিত হয় এবং কমিটি ও মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য চলে। আয়নার সামনে নিজের অসহায়, নিরুপায় ও পরাধীন চেহারা দেখতে দেখতে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল সাহেব জনগণের বাক-স্বাধীনতাকে ওই একই ফ্রেমে বন্দী করে ফেলেছেন। তাই মির্জা ফখরুল সাহেব তোতা পাখির মতো সরকারের বিরুদ্ধে বিষাদ্গারে লিপ্ত থাকেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য ভূতের মুখে রাম রাম ছাড়া কিছু নয়। কারণ বিএনপি কখনোই জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও জনমতকে ধারণ করেনি। বিএনপির জন্মই হয়েছিল বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে অবৈধ ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অবাধ সুযোগ প্রতিষ্ঠায় অবিরাম আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।’

‘শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুসংহত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে মত প্রকাশের অনিরুদ্ধ দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। অর্ধ-শতাধিক বেসরকারি টেলিভিশন, এফএম রেডিও,কমিউনিটি রেডিও ও সহস্রাধিক সংবাদপত্রের নিবন্ধন দিয়ে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্প্রসারিত করেছে। সেই সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার দুয়ার উন্মুক্ত হয়েছে। বরং এই সুযোগের অপব্যবহার করে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত চিরায়ত ভঙ্গিতে সরকারের বিরুদ্ধে নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। শুধু বাক-স্বাধীনতা ভোগ করাই নয়, নিজেদের ইচ্ছেমতো মনগড়া অপপ্রচার চালাতেও তারা কুণ্ঠাবোধ করে না।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণে, গণ-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে ধারণ করেই সরকার পরিচালনা করে আসছেন। মানুষকে নির্বাক করে রাখতে নয়, গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনিকে প্রতিষ্ঠা করতেই পরিচালিত হয় সরকারের সব উদ্যোগ। অথচ বিএনপি আমলে জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও ন্যূনতম নাগরিক অধিকারও ছিল না। বিএনপি রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।’

‘বিএনপির শাসনামলে বিদ্যুতের দাবি করায় নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা,বেতন-বোনাস দাবি করায় পবিত্র রমজান মাসে মিছিলে গুলি চালিয়ে শ্রমিক হত্যাসহ জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালানোর মধ্য দিয়ে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত করেছিল বিএনপি।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থা যে গণমুখী ও কল্যাণকর হতে পারে তার স্বরূপ প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতি হলো ক্ষমতাকে সেবার সুযোগ হিসেবে দেখা। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের অর্থনীতি মজবুত ভীতের ওপর দাঁড়িয়েছে ও সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ মানবিক-কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। জয় আমাদের হবেই।’

বিএনপি   মির্জা ফখরুল   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইসির সংলাপে যাবে না বিএনপি

প্রকাশ: ১২:৩৪ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে বিএনপিকে এ চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। 

ইসির চিঠি পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমরা নির্বাচন কমিশনে কোনো আলোচনায় যাব না। 

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে ইসির সঙ্গে আলোচনা অনর্থক বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এ সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

এর আগে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সঙ্গে বিভিন্ন দলের সংলাপের সময়ও বিএনপি অংশ নেয়নি। এমনকি নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সংলাপেও অংশ নেয়নি তারা।

গত ১০ ডিসেম্বর থেকে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইনসাফ কায়েম কমিটির নৈশভোজ, বিএনপির আপত্তি কোথায়?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail ইনসাফ কায়েম কমিটির নৈশভোজ, বিএনপির আপত্তি কোথায়?

গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির এক সুধী সমাবেশ ও নৈশভোজ অুনষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির আহ্বায়ক বিতর্কিত বিএনপিপন্থী সুশীল ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই বিএনপির সন্দেহের সৃষ্টি হয় এবং এ কারণেই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

তবে এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়েছে বিভিন্ন প্রশ্নের ডালপালা, চলছে নানা গুঞ্জন। প্রশ্ন ওঠেছে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি নৈশভোজের আয়োজন করেছে, তাতে বিএনপির আপত্তি কোথায়? রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সেখানে বিএনপির প্রায় ২৭ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অবশ্য তারা কেউ সেই নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু সেখানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি একটি ইশতেহারও পাঠ করেছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ইশতেহার বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিএনপি এবং সমমনা না দলগুলো যা আশা করে, তারাও তা ইশতেহারে উল্লেখ করেছেন। সেক্ষেত্রে বিএনপির কি আপত্তি? একটি নৈশভোজ ঘিরে বিএনপির এত সন্দেহ কেন? 

সূত্রমতে, ওই নৈশভোজে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদেরও অনেকের ব্যাপারে বিএনপি নেতৃত্বের এক ধরনের সন্দেহ রয়েছে বলে মনে হয়। গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ পুলিশের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছিলেন ওই নৈশভোজে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাও ওই নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য বলেছেন, তিনি আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু নৈশভোজের কারণ বা আলোচনার বিষয় সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না।

সূত্র জানায়, বিএনপি এই আয়োজনকে শুধু ভোজের আসর হিসেবে দেখতে রাজি নয়। দলটি এটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে এবং মনে করছে, এর পেছনে কোনো শক্তির হাত রয়েছে। তাঁদের এই আয়োজনের ব্যাপারে বিএনপিতে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এ আয়োজন নৈশভোজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। আয়োজকেরা একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন। তাদের প্রস্তাবটি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা। সেই সরকার নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে এবং তারপর জাতীয় নির্বাচন দেবে। এই রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে এমন রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে দুজন ব্যক্তির একটি সংগঠনের পাঁচতারা হোটেলে নৈশভোজ আয়োজনের অর্থের উৎস কী? -এই প্রশ্নও উঠেছে।  

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নৈশভোজে উত্থাপিত রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়েই মূল আপত্তি বিএনপির। দলটি এখন সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে। তারা নির্বাচনে জয়ী হলে তখন জাতীয় সরকার গঠন করবে। এ ঘোষণা বিএনপি দিয়েছে সমমনা বিভিন্ন দল ও জোটের সঙ্গে আন্দোলন শুরু করার আগে। কথা বলে আসছে। কিন্তু নির্বাচনের আগেই জাতীয় সরকার গঠনের যে প্রস্তাব করা হয়েছে ইনসাফ কায়েম কমিটির নৈশভোজে, সেটাকে বিএনপি তাদের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে করছে।

সন্দেহ-অবিশ্বাস থেকেই বিএনপি শওকত মাহমুদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ ছাড়া ওই নৈশভোজে রাজনীতিক যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রায় সবাই বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছেন। তাঁদের ব্যাপারেও বিএনপি সতর্ক রয়েছে। দলটির আরও কেউ ইনসাফ কায়েম কমিটির সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ত আছে কি না, সেটাও বিএনপি খতিয়ে দেখছে। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।   

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের যে কোনো বিষয়ে মতামত দেওয়ার বা প্রস্তাব তোলার অধিকার দেশের সংবিধানে রয়েছে। তাহলে ইনসাফ কায়েম কমিটির নৈশভোজের বক্তব্য নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন? - এই প্রশ্ন অনেকেই তুলতে পারেন। মূলত বিএনপির অভ্যন্তরে সন্দেহ আর অবিশ্বাস দানা বেঁধে ওঠেছে। সন্দেহ আর অবিশ্বাস নিয়ে কোনো দল বা গোষ্ঠী কোনোদিন টিকে থাকতে পারেনি। বিএনপিও এভাবে সন্দেহ আর অবিশ্বাসের দাবানলে দাহ হতে হতে একদিন নিঃশেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এখন দেখার বিষয়- এই সমস্যা সমাধানে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।


ইনসাফ কায়েম কমিটি   নৈশভোজ   বিএনপি   আপত্তি   শওকম মাহমুদ   ফরহাদ মজহার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মানুষের কথা কর্তৃত্ব করে, মানুষের কথা নেতৃত্ব দেয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ভেজাল, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আটটি বিদেশি ভাষায় উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের কথা কর্তৃত্ব করে, মানুষের কথা নেতৃত্ব দেয়। সবার কথা কর্তৃত্ব করে না, সবার কথা নেতৃত্ব দেয় না। আজ আমরা সেই মানুষটির কথা বলবো, যার কথায় সাড়ে সাত কোটি স্বাধীনতা পাগল বাঙালি সেদিন উজ্জীবিত হয়েছি স্বাধীনতার মন্ত্রে। এই মানুষটির বয়স কত ছিল, কত বছর তিনি বেঁচেছেন। ৫৪ বছর ৬ মাস ৭ দিন। এই হলো তার বয়সসীমা। এই মানুষটি এই ৫৪ বছরে জেল খেটেছেন ৪ হাজার ৬৮২ দিন।

তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষেরা রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। কত মাতার অশ্রুধারা, কত বীরের রক্ত ধারায় এ বাংলার মাটি বারে বারে রঞ্জিত হয়েছে স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি।

হাজার বছর পর এই বৃহত্তর ফরিদপুরের টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতি নদীর তীরে এক বীর প্রসূবীনী মা যাকে জন্ম দিয়ে আমাদের ধন্য করেছেন, যিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের পরাজয় অপমান রক্তের প্রতিশোধ নিয়ে ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে যুক্ত করেছিলেন বাংলা নামে এ দেশ। এজন্য আজ আমরা স্বাধীন। আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রে আমরা তাকে হারিয়েছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমি এখানে বক্তৃতা করার জন্য নয়, বক্তৃতা শোনার জন্য এসেছি। বক্তৃতা শিশুরা করেছে। বিভিন্ন ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনতে শুনতে আমি বিমোহিত হয়েছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। জেলা প্রশাসকের স্বাগত বক্তব্য শেষে শুরু হয় আটটি বিদেশি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ উপস্থাপন। 

যারা আটটি বিদেশি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ উপস্থাপন করেন তারা হলেন, জাপানি ভাষায় দিলিপ মন্ডল, স্প্যানিশ ভাষায় তানভীন ইসলাম, ফারসি ভাষায় নাজমুল ইসলাম, আরবিতে সাইফুল ইসলাম, ফ্রেন্স ভাষায় কৌশিক মালো, ইংরেজিতে ফারহানা জানাম, চীনা ভাষায় মারুফ আহমেদ ও হিন্দিতে শ্রেয়া তুলশিয়ান।

স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির একটি ঐতিহাসিক দিন। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে জাতির পিতার ঐতিহাসিক এ ভাষণটি ছড়িয়ে দিতেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার এই ভাষণটি বিভিন্ন ভাষায় উপস্থাপন করার লক্ষ্যই হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ভাষণটি শুনে উদ্বুদ্ধ হবে। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের এ ভাষণটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাক এবং এই দিনটি ‘আর্ন্তজাতিক ভাষণ দিবস’ হিসেবে পরিগণিত হবে। 


আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতে চিঠি দিচ্ছে ইসি!

প্রকাশ: ০৮:১৯ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতে চিঠি দিচ্ছে ইসি!

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে মাঠের আন্দোলনে সক্রিয় বিএনপি। তবে রমজানের রোজা চলে আসায় এই আন্দোলন এখন কেবল ইফতার অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্রটি বলছে, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বিএনপির এই চলমান আন্দোলন। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার স্পষ্ট ঘোষণাও দিয়েছে দলটি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদের সব ধরণের আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করে আসছে বিএনপি। তবুও আগামী নির্বাচন নিয়ে দলটির নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করার উদ্যোগ নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য চিঠির খসড়াও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

সূত্র জানায়, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে চায় ইসি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংলাপের গুঞ্জনের মধ্যেই এই চিঠির তথ্য পাওয়া গেছে। আগামী সপ্তাহের সোমবারের (২৭ মার্চ) মধ্যে বিএনপির কাছে এই চিঠি যেতে পারে বলে জানা গেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কেউ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। ইসির পক্ষ থেকে বরাবরই নির্বাচনে কারা অংশ নেবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য আসছিল। শুধু তাই নয়, কাউকে ভোটে আনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয় বলেও বক্তব্য এসেছে কমিশনের পক্ষ থেকে। 

সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কাউকে ভোটের মাঠে দাঁড় করিয়ে, মানে আনতেই হবে এটা কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাজ না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের আহ্বান করে থাকি, করতে পারি। কিন্তু তারা আসবে কি, আসবে না, আইনতেই হবে; এই বিষয়টা কিন্তু আমাদের কাজও না। এটাই হলো আসল কথা।’

ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে চার কমিশনার চিঠির ড্রাফট প্রস্তুত করেছেন। যা চূড়ান্ত করার পর ইসি সচিবালয়ের মাধ্যমে চিঠি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পৌঁছানো হবে। চিঠিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার লিখেছেন, ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর ধারাবাহিকভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন করে আসছি। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংসদ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আসছে।  

এছাড়াও খসড়া চিঠিতে বর্তমান ইসি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থানের কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বর্তমান কমিশনের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আপনারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও আপনাদের এমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশলের বিষয়ে কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই।

চিঠিতে সিইসি বলেন, আপনাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হলেও কমিশন মনে করে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা বা মতবিনিময় হতে পারে। আপনাদের নির্বাচন কমিশনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সদয় সম্মত হলে দিনক্ষণ আলোচনা করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করছি।

এদিকে একই দিনে ইসি রাশেদা সুলতানার কাছে প্রশ্ন ছিল- নতুন করে কাউকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন কিনা? অবশ্য এমন প্রশ্নের জবাবে কিছুটা কৌশলী উত্তর দেন এই কমিশনার। তিনি বলেন, সংলাপ কাজের সুবিধার জন্য হয়। এটা করার জন্য আইনে কিছু বলা নেই। এইটুকু বলতে পারি প্রয়োজন হলে নিশ্চয় আবার আমরা বসব।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করে। যা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। ইভিএম নিয়ে আলাপে বিএনপির পাশাপাশি তাদের তখনকার জোটভুক্ত দলগুলো অংশ নেয়নি। দলটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটের কথা বলছে। বর্তমান কমিশন ভেঙে দেওয়ারও কথা বলেছেন বিএনপি নেতারা। 

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে আমন্ত্রণ জানাতেই পারে ইসি। যেহেতু বিএনপি ইসির নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। সেহেতু বিএনপিকে সংলাপে বসতে চিঠি দিতেই পারে ইসি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি করছে, তা পূরণ করা ইসির পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়াও বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। সেক্ষেত্রে এই নির্বাচন কমিশনের সাথে বিএনপি সংলাপে বসবে কি না, সেটাও যেমন দেখার বিষয়, তেমনি ইসির আমন্ত্রণকে বিএনপি কতটুকু গুরুত্ব দেয় সেটাও এখন দেখার বিষয়।  


বিএনপি   সংলাপ   আমন্ত্রণ   চিঠি   সিইসি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন