ইনসাইড পলিটিক্স

ফখরুলকে নিয়ে 'আশঙ্কা' সত্যি হল!

প্রকাশ: ০৮:০৮ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

চলতির সপ্তাহের শেষে শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান মাস। রমজানের আগে গতকাল দেশের বিভিন্ন মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বিএনপির শেষ রাজপথের কর্মসূচি। কারণ চলতি সপ্তাহেই রমজান মাস শুরু হবে। এ সময় ইফতার কর্মসূচি থাকলেও রাজপথের কোনো কর্মসূচি থাকবে না এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে রমজানের পর আবার কর্মসূচি থাকবে বলে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে আগামী রমজানের পর সরকারবিরোধী কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু তার এই বক্তব্য নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং তৃণমূলের নেতাকর্মী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে নিয়ে 'আশঙ্কা' সত্যি হয়ে গেল বলে মনে করছেন। তারা বলছেন, রমজান মাসের আগ পর্যন্তই ছিল বিএনপির জন্য শেষ সুযোগ। কিন্তু এতোদিন ধরে আন্দোলন করেও দল এখন পর্যন্ত কিছুই অর্জন করতে পারেনি। বরং আন্দোলনের যে সূচনা হয়েছিল সেটিরও এখন সমাপ্ত হল। কারণ চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে পবিত্র রমজান এবং এরপর ঈদুল ফিতর এবং বর্ষা মৌসুম শুরু হবে। ফলে আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির আর বড় ধরনের আন্দোলন করার পরিস্থিতি থাকবে না। এরপরে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে বিভিন্ন পরীক্ষা বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা রয়েছে। আর নভেম্বর থেকে দেশ নির্বাচনমুখী হবে। কাজেই বিএনপি আর নতুন করে আন্দোলন করার সুযোগই পাবে না। কিন্তু মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কোনো আশঙ্কা সত্যি হল—এমন প্রশ্নে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের চলমান আন্দোলন এতো দীর্ঘায়িত হওয়ার পেছেন মির্জা ফখরুলই দায়ী। তার নেতৃত্বেই বিএনপি এখন আন্দোলন করছে। অথচ তার ভূমিকা রহস্যজনক।

বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আন্দোলনকে পরিচালনা করেছেন। যা পূর্ব পরিকল্পিত এবং সাজানো। যে কারণে চলমান আন্দোলনের শেষ পরিণতি নিয়ে এক ধরনের সংশয় ছিল। আর এখন সেই সংশয়ই বাস্তব হল। তারা বলছেন, মির্জা ফখরুল অতীতে যতবার জেলে গিয়েছেন এবং মুক্তির পাওয়া পর তিনি অসুস্থ্য হয়ে প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। বিদেশ থেকে ফিরে এসে তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন এবং আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা রয়েছে। ‍উল্লেখ্য যে, ২০১৮ নির্বাচনের আগে ওই বছর ৩ জুলাই ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হসপিটালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিলেন ফখরুল। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যোগ দিয়ে বিএনপিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিয়ে যান। তার আগে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই কারাবন্দী মির্জা ফখরুল বিদেশে চিকিৎসা করার জন্য জামিন পান। এরপর থেকে তিনি নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে কয়েকবার চিকিৎসার জন্য যান। এবারও তিনি সে রকম কিছু করবেন এমন ধারণা দলের কারো কারোর। অতীতের মতো এবারও প্রথমে তিনি জেলে গেলেন, মুক্তি পেয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হলেন। পরে আবার তিনি দেশের বাইরে (সিঙ্গাপুর) চিকিৎসার জন্য গেলেন। এভাবে তার নেতৃত্বে আন্দোলন শুধু দীর্ঘায়িত হয়েছে, কোনো ফলাফল নেই। অর্থাৎ এ যাত্রার বিএনপির আন্দোলন এখানেই শেষ হচ্ছে। রমজানের পর সরকারবিরোধী কঠোর কর্মসূচি দুসাধ্য ব্যাপার।

মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।'

আজ রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সংগে মতবিনিমকালে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিএনপির নানা বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের প্রথম সরকার, যে সরকার মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ করেছিল এবং বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল, সেই সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান একজন চাকুরে ছিলেন।'

সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি কেউ একজন মুক্তিযোদ্ধাকে পানি খাইয়েছে বা একবেলা ভাত খাইয়েছে, সেই অপরাধে পাকিস্তানিরা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে, তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, নির্যাতন করেছে। আর জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানিরা নতুন বউয়ের মতো আদর-যত্ন করে, এতেই তো প্রমাণিত হয়, জিয়াউর রহমান আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।'

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, 'বিএনপির তারা ২১ বছর ধরে ইতিহাসবিকৃতি করেছে। সেই বিকৃতি যখন ঠেকে গেছে, তখন তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে এবং সেই কারণে মির্জা ফখরুল সাহেবরা আবোল-তাবোল বকা শুরু করেছে।'



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তানি চেতনা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাকিস্তান যা বলে তারাও (বিএনপি) তাই বলে। কারণ তারা পাকিস্তানি ভাবধারায় উজ্জীবিত, তাদের হৃদয়ে পাকিস্তানি চেতনা। তারা এমনটাই বলবে এটাই হওয়া সমীচীন।

আজ রবিবার (২৬ মার্চ) ভোরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সোনার বাংলা গড়ার পথে রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এখন অন্যতম অঙ্গীকার।

এর আগে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে আবারও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

একদিকে ইফতার পার্টি, অন্যদিকে মানবতা

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরে ইফতার মাহফিল/পার্টি না করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ইফতার মাহফিল/পার্টির বাজেটের অর্থ গরীব-দুস্থ-অসহায় ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অন্যদিকে রমজানের প্রথম দিনেই মহা সমারোহে ইফতার পার্টি আয়োজন করেছে বিএনপি। 

প্রশ্ন উঠছে রমজানে রোজার মূল তাৎপর্য কি? রোজার মূল তাৎপর্য হল সংযম এবং গরীব-দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এ সময় গরীব-দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর রোজার একটি অন্যতম সৌন্দর্য। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে কারণে এবার গোটা বিশ্বে নানা রকম টানাপোড়েন চলছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। বাংলাদেশেও করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে প্রভাব পড়েছে। এমন বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা প্রদান যেমন মানবিক তেমনি সময়োপয়োগীও বটে। অর্থাৎ তিনি যে নির্দেশনা প্রদান করেছেন সেটি রোজার তাৎপর্য সে তাৎপর্য অনুসারেই করা।

অন্যদিকে বিএনপি ইফতার পার্টিতে যে রাজনীতি করছে সেটা হল এক ধরনের ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা এবং অপচয়। অথচ দলটি এখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছে। বিএনপি দাবি করছে, মানুষের নাকি ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে, মানুষ দু বেলা ঠিক মতো খাবার খেতে পারছে না। অথচ বিএনপি রমজানের প্রথম দিনেই মহা সমারোহে ইফতার পার্টি আয়োজন করেছে। যা দলটির অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বটে। এভাবে মহা সমারোহে ইফতার পার্টি আয়োজন না করে বিএনপি এই অর্থ গরীব-দুস্থ-অসহায় মানুষকে দান করতে পারতো। যাদের সারা দিন রোজা রেখে ভালো ভাবে ইফতার করার সামর্থ্য নেই। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটিই আসলে রোজার প্রকৃত তাৎপর্য। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোনো ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে না। আমাদের নেত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন। বরং সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইফতারের আয়োজন না করে পার্টির পক্ষ থেকে, যারা কষ্টে আছেন, যারা গরিব মানুষ তাদের হাতে খাবার তুলে দেবো।’

ইফতার পার্টি   রাজনীতি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সম্পর্ক উন্নয়নে এপ্রিলে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের জন্য একদিকে যেমন নিজেদের দলকে প্রস্তুত করছে অন্যদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকসংখ্যক রাজনৈতিক দল যেন অংশগ্রহণ করে সেটিও নিশ্চিত করতে চাইছে। তবে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা বা বিএনপিকে ছাড় দিয়ে আগামী নির্বাচনের মাঠে যুক্ত করার কোনো দৃশ্যমান পরিকল্পনা এখনও নেই। বিএনপি বলছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন হতে পারে না। যা কিছু হবে সংবিধানের আওতায় হবে। 

এদিকে  আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ সুষ্ঠু করার ব্যাপারে তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেই নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে সেটি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে। যে কারণে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে দেশটিতে ডেমোক্রেট ক্ষমতায় আসার পর আরও চাপে পড়ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। 

যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজিত গণতন্ত্র সম্মেলনে এবারও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও পাকিস্তান আমন্ত্রণ পেয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ১১০টি আমন্ত্রিত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ছিল না। এছাড়া র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে আরও চাপের মুখে ফেলেছে। সর্বশেষ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গত ২০ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তােই নয়, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস অনেকটা বিএনপির ভাষায় কথা বলছেন। একের পর এক বিষয় নিয়ে তিনি সরকারের সমলোচনা করে যাচ্ছেন। সেজন্য এবার কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশের দুই দিন পর আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের আমন্ত্রণে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ঈদের পর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এপ্রিলের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন। যদিও তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রধানের আমন্ত্রণে আগামী ১ মে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। কিন্তু এই সফরে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। বিশেষ করে প্রভাবশালী কয়েকজন কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আওয়ামী লীগের অনেকে মনে করছেন, আগামী নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতেই হবে। আর সে মিশন নিয়েই আওয়ামী লীগ এখন কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওয়াশিংটন   বিশ্বব্যাংক   শেখ হাসিনা   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আ’লীগ নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ শেখ হাসিনার

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরে ইফতার মাহফিল/পার্টি না করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। 

একইসঙ্গে ইফতার মাহফিল/পার্টির বাজেটের অর্থ গরিব-দুস্থ-অসহায় ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

শনিবার (২৫ মার্চ) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃচ্ছ্রতা সাধন করবেন। এই বৈশ্বিক সংকটে গরিব মানুষের জন্য ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী দলের পক্ষ থেকে তুলে দেবেন। ইফতার পার্টি করতে নেত্রী বারণ করেছেন। গণভবনেও কোনও ইফতার পার্টি হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, বড় বড় ইফতার পার্টির কোনও প্রয়োজন নেই। জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির কারণে যারা কষ্টে আছেন আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। তাদের কাছে ইফতার সামগ্রী পৌঁছাবো। দলীয়ভাবে টাকা খরচ করার কোনও প্রয়োজন নেই, এই টাকা গরিবের মাঝে বিতরণ করুন। এটা নেত্রীর নির্দেশ, আমি আপনাদের জানিয়ে রাখলাম।

আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন