ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিনা ওয়ারেন্টে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া রমজান মাসে দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে ডিএমপির সহায়তা চেয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান এ কথা জানিয়েছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে দাবি করে আমান বলেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসন আবারও গ্রেপ্তার শুরু করেছে। আপনারা দেখেছেন, বিনা ওয়ারেন্টে যুবদলের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বনানীর একটি ক্লাবে সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে ৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনিভাবে অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, রমজানে বিনা ওয়ারেন্ট নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে।
তিনি বলেন, যেখানে কথা বলছি, সবাই বলছে ওপরের নির্দেশে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা বলেছি, এই গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। যদি ওয়ারেন্ট থাকে দেখিয়ে গ্রেপ্তার করবেন। যাদের নামে ওয়ারেন্ট নেই, বাসায় ঘুমাচ্ছে তাদের রাত ৩টায় তুলে নিয়ে আসবেন, এটা হবে না।
আমান আরও বলেন, রমজান মাসে বিভিন্ন থানায় আমাদের ইফতার মাহফিল হবে। সেই ইফতার মাহফিলে আমাদের জাতীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সেটা যেন বিনা বাধায় করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়তা চেয়েছি। কমিশনার সাহেব বলেছেন তিনি দেখবেন।
এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নিলে সতর্ক করে তিনি বলেন, সরকার যদি গ্রেপ্তার-নির্যাতনের পথ বেছে নেয়, পুলিশ যদি নিরপেক্ষ না হয়, সে ব্যাপারে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
পুলিশ নিরপেক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ আমান
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।