ইনসাইড পলিটিক্স

স্বাস্থ্যখাত হচ্ছে দুর্নীতির বড় আখড়া: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যখাত হচ্ছে দুর্নীতির বড় আখড়া। দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট আমলা ও ব্যবসায়ীরা লক্ষ-কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে। করোনা মোকাবেলায় সাফল্যের চেয়ে দুর্নীতি বেশি হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করেছে। কোভিড মোকাবেলায় আমরা নাকি প্রাইজ পেয়েছি। বিদেশ থেকে পুরুস্কার কীভাবে আসে আমরা তা জানি। দেশের মানুষ কী আপনাদের পুরুস্কার দিয়েছে? বিদেশি প্রাইজের কথা বলে দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলো, কোভিডের কথা বলেও কিছু মানুষ হাজার-হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সকল খাত থেকেই লুটপাটের টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে জড়িত ব্যবসায়ীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছে। দুর্নীতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী ডাক্তার নেই এই কথা সংসদে বললে ঐ হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা আরো কমে যায়। বাথরুমের সামনেও রোগী থাকে যেনো নারকীয় পরিবেশ।’   

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. জাহিদুল বারীর নেতৃত্বে শতাধিক চিকিৎসক জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এ সময় ‘জাতীয় চিকিৎসক পরিষদ’নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান দলে যোগ দেয়া চিকিৎসকদের স্বাগত জানিয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও জাতীয় পার্টি রিচার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট উইং এর আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, ‘দেশের চিকিৎসা খাতে হ-য-ব-র-ল চলছে। দেশের মানুষ কখনোই চিকিৎসা সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। দেশের বেশির ভাগ মানুষের চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসা সরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালে ডাক্তার নেই, সেবা নেই, যন্ত্রপাতি নেই। দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নেই। সংখ্যা কম থাকায় চিকিৎসকদের ওপর বাড়াবাড়ি রকমের দাবি থাকে সাধারণ মানুষের। যেটা অনেক সময় চিকিৎসকরা ম্যানেজ করতে পারে না। এ কারণেই অনেক সময় সংঘাত সৃষ্টি হয়। প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স এবং যন্ত্রপাতি থাকেনা হানপাতালে। যন্ত্রপাতি যা দেয়া হচ্ছে তা চলছে না।’

তিনি বলেন, ‘বড় বড় অবকাঠামো বা বিল্ডিং বানানো হচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষায় উন্নয়ন করা হচ্ছে। সকল উন্নয়নের পেছনে কিছু মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে। জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে কোন উন্নয়ন করা হচ্ছে না। ডাক্তার দেয়া হলে তাদের সাহ্যায্য করার লোক নেই। যারা দায়িত্বে আছেন তাদের একটাই লক্ষ্য কি করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়া যায়। যার কারণে বেশির ভাগ মানুষ চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছে না। চিকিৎসা খাতে কোন সাফল্য নেই।’ 

জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তা নেই। বাবা তার ছেলেকে বা স্বামী তার স্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না। মানুষের জীবনের, সম্পদের, ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। পুরো সমাজই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। এক শ্রেণীর মানুষ যা খুশি তাই করছে, কোন জবাবদিহিতা নেই।’ 

জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে আসা চিকিৎসকদের বিভিন্নভাবে বাঁধা দেয়া হয়েছে একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংবিধান রাজনীতির অধিকার দিয়েছে। স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার। এই সংবিধান অর্জনের জন্য জীবন দিয়ে মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষমতায় থেকে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করাই এখন কালচার হয়ে গেছে। আমরা এমন বাস্তবতা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে চাই।’ 

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে প্রতিটি উপজেলায় বিশেষায়িত হাসপাতাল জরুরি। বর্তমানে সরকার সংবিধানের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানের বাইরে নির্বাচন তারা চায় না। একইভাবে বিএনপিও এক সময় সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধীতা করেছিলো। এখন বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছে। আসলে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কোন সমাধান নয়। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন করতে পারলেই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।’ 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা , প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, কেন্দ্রীয় নেতা লে কর্ণেল তসলিম উদ্দিন, ড. জাফর সিদ্দিকী, যোগদানকারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. জাহিদুল বারী, ডা. মোস্তাকিমুল ইসলাম, ডা. খালেদ সুফিয়ান প্রমুখ।


জাতীয় পার্টি   চেয়ারম্যান   বিরোধীদল   উপনেতা   গোলাম মোহাম্মদ কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণবহিষ্কারের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির তৃণমূলে গণবহিষ্কারের আশঙ্কা করছেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে দলটিতে। গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা এই রাজনৈতিক দলটি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

উল্লেখ্য যে, প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। এর মধ্যে ১২০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৩৪ ও জামায়াতের ১৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, যে সমস্ত উপজেলা গুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় নেতা। জনগণের মাঝে তাদের আলাদা একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে জনপ্রিয়তায় এড়িয়ে রয়েছেন বলে ভোটাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এবং উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকেও এক ধরনের চাপ রয়েছে। ফলে এ রকম পরিস্থিতি জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে যদি বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে বিএনপিতে গণবহিষ্কারের একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে, বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে দলের মধ্যে এক ধরনের অস্পষ্টতা ছিল। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না কিংবা কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেবে না এরকম সিদ্ধান্ত হলে বিএনপির মধ্যে এই অস্পষ্টতা তৈরি হয়। এরকম পরিস্থিতি দলের কেউ নির্বাচন করলে সেটাকে উপেক্ষা করার নীতিগত কৌশল গ্রহণ করেছিল বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বিভিন্ন সময় এ ধরনের ইঙ্গিত দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিয়েছিলেন। ফলশ্রুতি সারাদেশে বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও এতদিন বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন এবং কৌশলগত অবস্থানে ছিলেন। কিন্তু এখন আবার হঠাৎ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও বর্জন করার ঘোষণা দিলেন। এখন বিএনপি যদি এই অবস্থানে অটল থাকেন তাহলে দলটিতে গণবহিষ্কারের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকই দলে জনপ্রিয় এবং নির্বাচন করার ব্যাপারে তাদের ওপর এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপও রয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনাই তাদের মধ্যে বেশি। আর এ রকম বাস্তবতায় দল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিএনপি

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভাচুর্য়াল সভাটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৮ মে থেকে শুরু হওয়া আসন্ন চার ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের নিকট জবাবদিহি করে সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংসাত্মকরূপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে। এদের আমলে কখনোই জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসকগোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।

বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সকল জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

দলের পক্ষে বলা হয়, অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরও তারা আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেওয়া, ইন্টারনেটের গতি স্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনবিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগেও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে বাধা প্রদান করা হয়। কিছু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও পরক্ষণেই তাদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, এরা একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনো কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গুম, খুন অব্যাহত থাকে।

দলীয় সরকাররের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি যাবে না জানিয়ে বলা হয়, বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কশাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৮ মে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপও থাকবে না। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তরসম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


উপজেঃলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপি-জামায়াত নেতারাও হচ্ছেন প্রার্থী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের বেশ কয়েকটিতে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতা। তারা অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন করে আসছে বিএনপি ও জামায়াত। কিন্তু এবার নির্বাচন বর্জনে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই ওইসব উপজেলায় দল দুটির নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। তবে কত উপজেলায় মোট কতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়নি।

গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয়েছে। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। 

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৫০টি উপজেলায় মোট ১৮৯০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন রয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনই বাগেরহাট সদর ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২টি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছেন। বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। 

বাগেরহাট সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হতে যাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন। এ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিজিয়া পারভীনও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এর আগের নির্বাচনেও তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন। তবে এ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী হয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনিছুজ্জামান আনিস একক প্রার্থী হিসাবে আবারও নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাহেনা বেগম হাছনা। এ নিয়ে টানা চতুর্থবার জয় পেতে যাচ্ছেন তিনি।

এছাড়া কক্সবাজার সদর ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

এছাড়াও কুষ্টিয়া সদর, চাঁদপুরের মতলব উত্তর, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও ঠাকুরগাঁওর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছেন।

প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ১৮৯০ জনের মনোনয়নপত্র দাখিলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, ‘অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল হওয়ায় কোথাও উল্লেখ করার মতো আচরণবিধি লংঘনের খবর পাওয়া যায়নি। প্রার্থীরা সহজেই অনলাইনে আবেদন করতে পেরেছেন’।  

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এবারই প্রথম পুরোপুরি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এ কারণে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরগুলোতে শোরগোল ছিল না, আচরণ বিধিমালা লংঘনেরও খবর পাওয়া যায়নি। গত নির্বাচনে অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল। তখন অনলাইনে তেমন সাড়া মেলেনি।

তারা আরও জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ জমা হওয়া মনোনয়নপত্র আগামীকাল বুধবার যাচাই করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বাছাইয়ে বৈধ বা বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮-২০ এপ্রিল। ওইসব আপিলের ওপর শুনানি হবে ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল। নির্বাচনি এই প্রক্রিয়ায় প্রার্থীর সংখ্যা আরও কমবে। তখন একক প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে।

তারা জানান, ১৬টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুজন করে প্রার্থী হয়েছেন। এসব উপজেলায় একজন প্রত্যাহার করলেই অপরজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।

গত ২১ মার্চ ১৫২টি উপজেলা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফশিল ঘোষণার পর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সরিয়ে নেওয়া হয়। আর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন আইনি জটিলতায় স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৫০টিতে ভোট হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ২২টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি উপজেলাগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় দলীয় প্রতীক থাকলেও এবার প্রার্থী মনোনয়ন দেবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়।

অপরদিকে নির্বাচন কমিশনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধান শিথিল করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধান বাতিল করা হয়। তবে জামানতের বিধানে কড়াকড়ি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় অনেক উপজেলায় বিপুলসংখ্যক প্রার্থী হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১১ জন করে প্রার্থী হয়েছেন। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ১০ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বিএনপি ও জামায়াত নেতারা যেসব উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এ উপজেলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন, তার ছেলে মাহমুদুল হাসান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান।

প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে না। তাই আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। আল্লাহতায়ালা যাকে নির্ধারণ করে রেখেছেন তিনিই নির্বাচিত হবেন। আমি জনগণের খেদমত করে যাচ্ছি। এটাই আমার মূল লক্ষ্য’।  

এছাড়া নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আয়েন উদ্দিন ডালিম; মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু; কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন; একই উপজেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আশরাফ হোসেন আলিম ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাইহান; ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মোহাম্মদ বাবর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ইয়াজদানী আলীম আল রাজী; ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। 

একইভাবে নাটোর সদর উপজেলায় বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও বিএনপি কর্মী সাবেক ভিপি মো. ইসতেয়াক আহম্মেদ (হিরা); একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সরদার আফজাল হোসেন; পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফায়জুল কবির তালুকদার; বান্দরবন সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ; নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভাস চেয়ারম্যান গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।  
সেইসাথে আরও অনেক উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। 

জামায়াত

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আব্দুর রশিদ পাটোয়ারী, নাটোরের ধামইরহাট উপজেলায় নায়েবে আমির মাওলানা মো. আতাউর রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির ওলিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক জামায়াত নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, দিনাজপুরের বিরামপুরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হক, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান এবং সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। 


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   জামায়াত   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ছেলের সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্যের মনোনয়নপত্র জমা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশীক আলী। আয়েশা ফেরদৌস এর আগে দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন। তার ছেলে আশীক আলী হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) মা-ছেলে মনোনয়নপত্র জমা দেন। একই পদে প্রার্থী হতে মুশফিকুর রহমান নামে আরেক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তবে তার কোনো পদ–পদবি নেই। মুশফিকুর রহমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন।

ছেলের সঙ্গে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস বলেন, ‘এটি আমাদের পরিবারের নিয়ম। একজন কোনো পদে প্রার্থী হলে তাঁর সঙ্গে ডামি হিসেবে পরিবারের আরেকজন সদস্য প্রার্থী হন। সেই হিসাবে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। পরিস্থিতি দেখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেব।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দুজন এবং ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে চারজন করে আটজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া দুজন হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান এইচ এ এম খায়রুল আনম চৌধুরী এবং নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী।

এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি একই উপজেলার চর বাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ৪০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলে দীর্ঘদিন ধরে  খায়রুল আনম চৌধুরী ও একরামুল করিম চৌধুরীর বিরোধ রয়েছে। এর জেরে খায়রুল আনমের বিরুদ্ধে ছেলে আতাহার ইশরাককে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন একরামুল। আতাহার ইশরাক কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর গ্রামের বাসিন্দা। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার উদ্দেশ্যে তফসিল ঘোষণার কয়েক মাস আগে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে সুবর্ণচরের চর জুবলীতে স্থানান্তর করেছেন তিনি।

জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম বলেন, হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলায় মোট ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   মনোনয়নপত্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন