জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যখাত হচ্ছে দুর্নীতির বড় আখড়া। দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট আমলা ও ব্যবসায়ীরা লক্ষ-কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে। করোনা মোকাবেলায় সাফল্যের চেয়ে দুর্নীতি বেশি হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করেছে। কোভিড মোকাবেলায় আমরা নাকি প্রাইজ পেয়েছি। বিদেশ থেকে পুরুস্কার কীভাবে আসে আমরা তা জানি। দেশের মানুষ কী আপনাদের পুরুস্কার দিয়েছে? বিদেশি প্রাইজের কথা বলে দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলো, কোভিডের কথা বলেও কিছু মানুষ হাজার-হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সকল খাত থেকেই লুটপাটের টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে জড়িত ব্যবসায়ীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছে। দুর্নীতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী ডাক্তার নেই এই কথা সংসদে বললে ঐ হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা আরো কমে যায়। বাথরুমের সামনেও রোগী থাকে যেনো নারকীয় পরিবেশ।’
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. জাহিদুল বারীর নেতৃত্বে শতাধিক চিকিৎসক জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এ সময় ‘জাতীয় চিকিৎসক পরিষদ’নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান দলে যোগ দেয়া চিকিৎসকদের স্বাগত জানিয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও জাতীয় পার্টি রিচার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট উইং এর আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, ‘দেশের চিকিৎসা খাতে হ-য-ব-র-ল চলছে। দেশের মানুষ কখনোই চিকিৎসা সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। দেশের বেশির ভাগ মানুষের চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসা সরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালে ডাক্তার নেই, সেবা নেই, যন্ত্রপাতি নেই। দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নেই। সংখ্যা কম থাকায় চিকিৎসকদের ওপর বাড়াবাড়ি রকমের দাবি থাকে সাধারণ মানুষের। যেটা অনেক সময় চিকিৎসকরা ম্যানেজ করতে পারে না। এ কারণেই অনেক সময় সংঘাত সৃষ্টি হয়। প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স এবং যন্ত্রপাতি থাকেনা হানপাতালে। যন্ত্রপাতি যা দেয়া হচ্ছে তা চলছে না।’
তিনি বলেন, ‘বড় বড় অবকাঠামো বা বিল্ডিং বানানো হচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষায় উন্নয়ন করা হচ্ছে। সকল উন্নয়নের পেছনে কিছু মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে। জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে কোন উন্নয়ন করা হচ্ছে না। ডাক্তার দেয়া হলে তাদের সাহ্যায্য করার লোক নেই। যারা দায়িত্বে আছেন তাদের একটাই লক্ষ্য কি করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়া যায়। যার কারণে বেশির ভাগ মানুষ চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছে না। চিকিৎসা খাতে কোন সাফল্য নেই।’
জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তা নেই। বাবা তার ছেলেকে বা স্বামী তার স্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না। মানুষের জীবনের, সম্পদের, ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। পুরো সমাজই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। এক শ্রেণীর মানুষ যা খুশি তাই করছে, কোন জবাবদিহিতা নেই।’
জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে আসা চিকিৎসকদের বিভিন্নভাবে বাঁধা দেয়া হয়েছে একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংবিধান রাজনীতির অধিকার দিয়েছে। স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার। এই সংবিধান অর্জনের জন্য জীবন দিয়ে মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষমতায় থেকে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করাই এখন কালচার হয়ে গেছে। আমরা এমন বাস্তবতা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে প্রতিটি উপজেলায় বিশেষায়িত হাসপাতাল জরুরি। বর্তমানে সরকার সংবিধানের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানের বাইরে নির্বাচন তারা চায় না। একইভাবে বিএনপিও এক সময় সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধীতা করেছিলো। এখন বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছে। আসলে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কোন সমাধান নয়। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন করতে পারলেই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা , প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, কেন্দ্রীয় নেতা লে কর্ণেল তসলিম উদ্দিন, ড. জাফর সিদ্দিকী, যোগদানকারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. জাহিদুল বারী, ডা. মোস্তাকিমুল ইসলাম, ডা. খালেদ সুফিয়ান প্রমুখ।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বিরোধীদল উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের
মন্তব্য করুন
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘দেশে একটি দল আছে। সেই দল স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করছে। সেই দলের মধ্যে প্রশাসন, আর্মি এবং আইনশৃংখলা বাহিনী সবাই সদস্য। সংসদ ও সংসদের স্পিকার সেই দলের হয়েই কথা বলছেন। সবাইকে সেই দলই রক্ষা করছে। বিচার বিভাগ নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। কিছু দিন আগে সরকারি দলের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে আমরা নামিয়ে দিয়েছি। কে নামিয়ে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ নামিয়ে দিয়েছে। তার মানে বিচার বিভাগকেও ঐ দলের সদস্য হতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন সবাই ঐ দলের সদস্য হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের এবং তাদের নেতা একজন। সেই নেতা যা বলেন, সবাই তাই করেন। তাই নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু হবে? সেখানে দুর্নীতিবাজরা কিভাবে শাস্তি পাবে? কীভাবে মেধাবিরা চাকরি পাবে? সবাই দলীয় আস্তরনের মধ্যে আছে। যে নির্দেশ আসে সবাই সে নির্দেশ মেনে চলে। যেভাবে বাকশাল গঠন করা হয়েছিলো, সেভাবেই বাকশালের মত সরকার গঠন করা হয়েছে। আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থার সকল প্রতিষ্ঠান একটি দলের সদস্য হয়ে গেছে। দেশের বাকি মানুষ যেনো মানুষ নয়। সাধারণ মানুষ খেলো কি খেলো না, তা দেখার কেউ নেই। বাকশালের মত একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে স্থায়ীত্ব দেয়া হয়েছে। সামনের নির্বাচনে বাকশালের মত সরকারকে চির স্থায়ীত্ব দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। দেশে বাকশালের মত দল হয়েছে, এখানে সাধারণ মানুষের কোন স্থান নেই। সাধারণ মানুষ বিচার পায় না, সাধারণ মানুষের কথা গ্রাহ্য করা হয়না, সাধারণ মানুষ নির্বাচন করতে পারে না। সাধারণ মানুষ নির্বাচন করে জিততে পারবে না, এটাই বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করছি, আমরা নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসিনি। সরকারের কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। এক দলের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশের মানুষ বেঁচে থাকার অবলম্বন পাবে। দেশকে মুক্ত করা না গেলে হাজার হাজার কোটি টাকা আবারো বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। সরকারের বিপক্ষে সত্য কথা বললে- কোনো গণমাধ্যম প্রকাশ করতে পারে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে গণমাধ্যমের গলা টিপে রাখার জন্য। শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, আগামীতে ফাঁসির ব্যবস্থা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আইন করে, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে দেশে লুটপাটের ব্যবস্থা হচ্ছে। দেশকে বাঁচাতেই আমাদের রাজনীতি। বাজেটের কারণে সামনের দিনগুলো আরও কঠিন হয়ে উঠবে। সেজন্য সরকারের কোন প্রস্তুতি নেই। সরকার জান বাঁচাতে নির্বাচন পার করতে চাচ্ছে। তারপর তারা দেখিয়ে দেবে তারা কোথায় আর জনগণ কোথায়।’
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সামনের দিনগুলো কেমন করে চলবে- তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারণে আয় দিয়ে সংসার চালাতে পারছে না। মধ্যবিত্তরা এখন নিন্মবিত্ত নয়, দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেট কখনোই জনবান্ধব হতে পারে না। যে ট্যাক্স বিদ্যমান আছে তাই দেশের মানুষ দিতে পারছে না। কিন্তু আরো ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। মূল্যস্ফিতি আরো বাড়বে, জিনিস পত্রের দাম আরো বাড়বে। মানুষের আয় বাড়েনি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করে তারা চাকরি হারাচ্ছে। সরকার করোনা আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দোহাই দিয়ে জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়েছে। এখন আইএমএফ এর পরামর্শে আরেক দফা বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে। সারাদেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে, এ দায় সরকারের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে কিন্তু আমাদের দেশের মতো কোনো দেশের মানুষ এত অসহায় নেই। মুল্যস্ফীতির কারণে মানুষ নিস্পেষিত হচ্ছে, সামনের দিকে হয়তো অনেকেই না খেয়ে মারা যাবে।’
জি এম কাদের বলেন, ‘কল-কারখানা বন্ধ হচ্ছে বিদ্যুতের অভাবে। শতভাগ বিদ্যুত দেয়ার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে লক্ষ-কোটি টাকা তসরুপ করেছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছিলো দু’শো ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বিদ্যুৎ দেয়া নয়। সরকারের তেল, গ্যাস ও কয়লা কেনার পয়সা নেই। এখন হাতে পায়ে ধরে বাকিতে গ্যাস, তেল ও কয়লা কিনতে হচ্ছে। গোঁজামিল দিয়ে দেশ চলছে। সরকারের হাতে বৈদেশিক মূদ্রা নেই। বকেয়া ঋণ পরিশোধ করলে সরকারের হাতে আর টাকা থাকবে না। এ কারণে, বিদেশ থেকে মাল আনতে পারছে না সরকার। দেশের মানুষ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেননি। কিন্তু সরকার কয়লার বিল বকেয়া রেখেছেন কেন? মানুষের দুর্দশার জন্য বর্তমান সরকার দায়ী।
তিনি বলেন, ‘সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের নামে লাখ-কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এ কারণেই বিদ্যুৎ দিতে পারছে না সরকার। কিছু কিছু কোম্পানীর সাথে সরকার চুক্তি করেছে বিদ্যুত উৎপাদন হোক বা না হোক ডলারে তাদের পেমেণ্ট করতে হবে। এলএনজি খালাস হোক বা না হোক প্রতিদিন খালাস করার জায়গার জন্য একলাখ ডলারের বেশি দিতে হচ্ছে। এসব কোম্পানী হচ্ছে সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু পরিবারের। আমরা পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার দেখেছি এখন ২২ হাজার পরিবার সৃষ্টি হয়েছে যারা সরকারের সহায়তায় লুটপাটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে।’
সম্মেলনে জাতীয় পার্টি মহাসিচব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘দেশের মানুষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায় ভোটাধিকার। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। গ্রামের মানুষ দিনে ৩ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পায় না। দেশের মানুষ মুক্তি চায়। বিদ্যুতের নামে সরকার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। আবার বিএনপি বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছিলো। এই দুটি দলকে দেশের মানুষ আর চায় না।’
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব ফখরুল ইমাম এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন। নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. ওমর ফারুক মিয়ার সঞ্চালনায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামীম রানা ভূঁইয়া, হাজী মো. নূরুল ইসলাম, আব্দুল কাদির কিবরিয়া, মো. দেলোয়ার হোসেন, এডভোকেট সারোয়ার মোল্লা, শফিকুল ইসলাম সুমন, এডভোকেট কামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী, মো. দেওয়ান আলী গাজী, মো. হাবিবুর রহমান, হারুন অর রশিদ হিরা, এডভোকেট আবুল হাসনাত মাসুম, মো. নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, জাকির হোসেন মৃধা।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হেনা খান পন্নী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল হক, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মাখন সরকার, মাসুদুর রহমান মাসুম, এম এ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট রেজাউল করিম বাছেদ প্রমুখ।
জাতীয় পার্টি গোলাম মোহাম্মদ কাদের সম্মেলন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের ওপর বারবার আঘাত, হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ-খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়? আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না।’
শনিবার (৩ জুন) বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, আওয়ামী লীগ ইনস্টিটিউটের মতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদেশের উন্নতি হয়, এটাই বাস্তব। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়েই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ নামক সংগঠন এদেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সব সময় ভূমিকা পালন করেছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের কল্যাণ হয়। মানুষের কল্যাণে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা যেসব কাজ করি, আওয়ামী লীগ যেসব পরিকল্পনা নেয়, প্রকল্প নেয়, তা সুপরিকল্পিতভাবেই করা হয়। আমাদের মাটি, মানুষ, পরিবেশ, আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক অবস্থা, সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা প্রকল্প গ্রহণ করি। তার ফলে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পই সাফল্য অর্জন করে। মানুষ তার সুফল পায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ এর বাংলাদেশ কী ছিল, এখন বাংলাদেশ কী অবস্থায় আছে, কেউ তুলনাটা বিবেচনা করলেই পরিবর্তনটা দেখতে পারবেন। একই দিনে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করা, এটা কী কোনো সরকার আগে করেছে, পারেনি। কে পেরেছে? আওয়ামী লীগ। আজকে আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, এখন আমাদের বেকারত্ব মাত্র ৩ শতাংশ। সেটাও থাকবে না। যদি কেউ উদ্যোগ নেয় সেও কাজ করতে পারবে। আমরা সেই ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছি। আমাদের গ্রামের অর্থনীতি অনেক মজবুত। গ্রামের দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষকদের আমরা সব ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছি, দুই কোটি ১০ লাখ কৃষককে কার্ড দিয়েছি। ভর্তুকির টাকাটা তার ব্যাংকে চলে যায়। ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। এক কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ১৪৩ জন কৃষক পুরো বাংলাদেশে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এখন তারা সেখানে বসে টাকা পেয়ে যায়। ধান কাটার মৌসুমে মানুষ পাওয়া যায় না, মজুরের দাম বেড়ে গেছে। আমি আহ্বান করেছি আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মাঠে চলে গেছে, কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ শতভাগ দিতে পেরেছি, এখন যেহেতু তেলের দাম বেড়ে গেছে, গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে, কয়লার দাম বেড়ে গেছে, কয়লাও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে এক সময় যারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা করেছিল, তারাই এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। তার কারণে কয়লা কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে। আমি জানি মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে, আমরা তো লোডশেডিং একেবারে দূর করে দিয়েছিলাম, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ যদি না হতো আর করোনাভাইরাস যদি না দেখা দিতো, আজকে যদি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা না দেখা দিতো, মুদ্রাস্ফীতি না দেখা দিতো, তাহলে মানুষের কষ্ট হতো না। আজকে আমরা ভেতরে যতই চেষ্টা করি, যে জিনিসটা বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে, সেটা কষ্ট করে আমাদেরকে জোগাড় করতে হচ্ছে।’
জ্বালানির সুখবর জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। আমরা আরো কয়েকটা দেশের সঙ্গে করছি যাতে গ্যাস কিনতে পারি। এই কষ্ট দূর করতে পারি। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে মানুষের কষ্ট বাড়ে, বিএনপি-জামায়াতের আমলে তো বিদ্যুৎ ছিলই না। তখন মানুষ হাহাকার করত। বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণে কানসার্টে খালেদা জিয়া গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল। সারের দাবি করেছিল বলে ১৮জন কৃষক হত্যা করছিল। শ্রমিকের মজুরি দাবি করেছিল বলে ২৭ জন শ্রমিককে রোজার সময় তাদের হত্যা করেছিল।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকার আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয়
সংসদ নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে একটি রাজনৈতিক টানাপোড়ন চলছে। বিএনপি বলেছে, নির্দলীয়
নিপপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন
আওয়ামী লীগ সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, নির্দলীয় নিপপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার এখন
একটি মৃত ইস্যু। তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা কোনভাবেই সম্ভব নয়। বরং সংবিধান
অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন
অংশগ্রহণমূলক হয়, সব দল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সে জন্য আলাপ আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।
এসব আলাপ আলোচনায় সংবিধানের আওতায় একটি নির্বাচনকালীন সরকার কিভাবে গঠন করা যায় তা
বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিবেচনায় বিএনপি’র প্রধান আপত্তি প্রধানমন্ত্রী নিয়ে।
আন্তর্জাতিক
মহল বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনকালীন সরকারের একটি খসরা রূপরেখা তৈরি করেছে।
সেই রূপরেখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব
করা হয়েছে, যে নির্বাচনকালীন সরকারের ছোট একটি মন্ত্রীসভা থাকবে, মন্ত্রীসভায় বিএনপি’র
সদস্যও থাকবে। এছাড়া নির্বাচনকালীন সরকারের একটি শক্তিশালী ১০ সদস্যের উপদেষ্টা মণ্ডলী
গঠন করা হবে এবং এই উপদেষ্টা মণ্ডলীই নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে
মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকারের এই রূপরেখার একটি ব্যপারেই বিএনপি’র
আপত্তি। বিএনপি বলছে, অন্য যেকেও প্রধানমন্ত্রী হোক না কেন, নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা থাকতে পারবে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান
এবং আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রগুলো
বলছে, বিএনপি’র এখন প্রধান মাথাব্যথা হল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা মনে করছেন
যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে, সেই সরকারে
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাইস্না থাকতে পারবে না। কিন্তু সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং আইনজ্ঞরা
বলছেন, এটি অবাস্তব, অসম্ভব। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সংসদে আস্থাভাজন নেতাই প্রধানমন্ত্রী
হবেন। এর কোন বিকল্প নেই। আর তাই নির্বাচনকালীন সরকারে শেখ হাসিনার বিকল্প কোন প্রধানমন্ত্রী
করা সাংবিধানিকভাবেই সম্ভব নয়। এটি করতে গেলে সাংবিধানিক কাঠামো লঙ্ঘিত হবে। কূটনৈতিক
মহল বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাস করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রীকে রুটিন দায়িত্বের
মধ্যে সীমিত করা যেতে পারে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে অন্যকোন প্রধানমন্ত্রী করা
কোনভাবেই সম্ভব নয়। আর এটি বিএনপি’র আপত্তির কারণ।
বিএনপি’র একজন
নেতা বলেছেন যে, শেখ হাসিনা একক নেতৃত্বেই দল এবং দেশ পরিচালনা করছেন। সব সিদ্ধান্ত
তার মাধ্যমেই হচ্ছে। সবকিছুর উপর তার নিয়ন্ত্রন রয়েছে। কাজেই তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকলে
নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
বিএনপি’র আরেকজন
নেতা বলেছেন যে, বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিরঙ্কুশ। কাজেই প্রধানমন্ত্রী
যদি আওয়ামী লীগের থাকেন তাহলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করা খুব সহজ হবে।
কিন্তু পশ্চিমা
দেশগুলোর কূটনৈতিকরা মনে করছেন যে, তারা এমন কিছু বিধি ব্যবস্থা, নিয়ম নীতি তৈরি করতে
চান যে সমস্ত বিধি ব্যবস্থা নিয়ন নীতিতে কোনভাবেই নির্বাচনে কারচুপি করার সুযোগ থাকবে
না এবং প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথভাবে তাদের
দায়িত্ব পালন করবে। আর এরকম অবস্থা তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের প্রয়োজন
নেই। কিন্তু বিএনপি এখন পর্যন্ত এটি নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে। তবে কূটনৈতিক মহল আশাবাদী
যে, শেষ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হবেই এবং এই রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমেই আগামী
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘দেশে একটি দল আছে। সেই দল স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করছে। সেই দলের মধ্যে প্রশাসন, আর্মি এবং আইনশৃংখলা বাহিনী সবাই সদস্য। সংসদ ও সংসদের স্পিকার সেই দলের হয়েই কথা বলছেন। সবাইকে সেই দলই রক্ষা করছে। বিচার বিভাগ নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। কিছু দিন আগে সরকারি দলের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে আমরা নামিয়ে দিয়েছি। কে নামিয়ে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ নামিয়ে দিয়েছে। তার মানে বিচার বিভাগকেও ঐ দলের সদস্য হতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন সবাই ঐ দলের সদস্য হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের এবং তাদের নেতা একজন। সেই নেতা যা বলেন, সবাই তাই করেন। তাই নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু হবে? সেখানে দুর্নীতিবাজরা কিভাবে শাস্তি পাবে? কীভাবে মেধাবিরা চাকরি পাবে? সবাই দলীয় আস্তরনের মধ্যে আছে। যে নির্দেশ আসে সবাই সে নির্দেশ মেনে চলে। যেভাবে বাকশাল গঠন করা হয়েছিলো, সেভাবেই বাকশালের মত সরকার গঠন করা হয়েছে। আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের ওপর বারবার আঘাত, হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ-খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়? আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না।’