ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতে চিঠি দিচ্ছে ইসি!


Thumbnail বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানাতে চিঠি দিচ্ছে ইসি!

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে মাঠের আন্দোলনে সক্রিয় বিএনপি। তবে রমজানের রোজা চলে আসায় এই আন্দোলন এখন কেবল ইফতার অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্রটি বলছে, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বিএনপির এই চলমান আন্দোলন। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার স্পষ্ট ঘোষণাও দিয়েছে দলটি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদের সব ধরণের আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করে আসছে বিএনপি। তবুও আগামী নির্বাচন নিয়ে দলটির নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করার উদ্যোগ নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য চিঠির খসড়াও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

সূত্র জানায়, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে চায় ইসি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংলাপের গুঞ্জনের মধ্যেই এই চিঠির তথ্য পাওয়া গেছে। আগামী সপ্তাহের সোমবারের (২৭ মার্চ) মধ্যে বিএনপির কাছে এই চিঠি যেতে পারে বলে জানা গেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কেউ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। ইসির পক্ষ থেকে বরাবরই নির্বাচনে কারা অংশ নেবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য আসছিল। শুধু তাই নয়, কাউকে ভোটে আনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয় বলেও বক্তব্য এসেছে কমিশনের পক্ষ থেকে। 

সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কাউকে ভোটের মাঠে দাঁড় করিয়ে, মানে আনতেই হবে এটা কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাজ না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের আহ্বান করে থাকি, করতে পারি। কিন্তু তারা আসবে কি, আসবে না, আইনতেই হবে; এই বিষয়টা কিন্তু আমাদের কাজও না। এটাই হলো আসল কথা।’

ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে চার কমিশনার চিঠির ড্রাফট প্রস্তুত করেছেন। যা চূড়ান্ত করার পর ইসি সচিবালয়ের মাধ্যমে চিঠি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পৌঁছানো হবে। চিঠিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার লিখেছেন, ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর ধারাবাহিকভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন করে আসছি। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংসদ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আসছে।  

এছাড়াও খসড়া চিঠিতে বর্তমান ইসি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থানের কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বর্তমান কমিশনের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আপনারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও আপনাদের এমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশলের বিষয়ে কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই।

চিঠিতে সিইসি বলেন, আপনাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হলেও কমিশন মনে করে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা বা মতবিনিময় হতে পারে। আপনাদের নির্বাচন কমিশনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সদয় সম্মত হলে দিনক্ষণ আলোচনা করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করছি।

এদিকে একই দিনে ইসি রাশেদা সুলতানার কাছে প্রশ্ন ছিল- নতুন করে কাউকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন কিনা? অবশ্য এমন প্রশ্নের জবাবে কিছুটা কৌশলী উত্তর দেন এই কমিশনার। তিনি বলেন, সংলাপ কাজের সুবিধার জন্য হয়। এটা করার জন্য আইনে কিছু বলা নেই। এইটুকু বলতে পারি প্রয়োজন হলে নিশ্চয় আবার আমরা বসব।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করে। যা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। ইভিএম নিয়ে আলাপে বিএনপির পাশাপাশি তাদের তখনকার জোটভুক্ত দলগুলো অংশ নেয়নি। দলটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটের কথা বলছে। বর্তমান কমিশন ভেঙে দেওয়ারও কথা বলেছেন বিএনপি নেতারা। 

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে আমন্ত্রণ জানাতেই পারে ইসি। যেহেতু বিএনপি ইসির নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। সেহেতু বিএনপিকে সংলাপে বসতে চিঠি দিতেই পারে ইসি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি করছে, তা পূরণ করা ইসির পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়াও বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। সেক্ষেত্রে এই নির্বাচন কমিশনের সাথে বিএনপি সংলাপে বসবে কি না, সেটাও যেমন দেখার বিষয়, তেমনি ইসির আমন্ত্রণকে বিএনপি কতটুকু গুরুত্ব দেয় সেটাও এখন দেখার বিষয়।  


বিএনপি   সংলাপ   আমন্ত্রণ   চিঠি   সিইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আর কারা ছিলেন কিংস পার্টির ষড়যন্ত্রে

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

মেজর হাফিজ এবং সাকিব আল হাসানের ভাইরাল ছবির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে নির্বাচনের আগে বিএনপির অনেকেই নির্বাচনে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল। তারা বিএনএম বা কিংস পার্টি গঠনেও তৎপর ছিলেন। মেজর হাফিজ সুবিধা করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বিএনএমে যোগ দেননি। এখন তিনি আবার সাচ্চা বিএনপির সাজার একটি নাটক করছেন। তবে সুযোগ সুবিধা পেলে কে কি করতে পারে তার একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশিত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিনের ছবিতে।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মেজর হাফিজ একা না, বিএনপির অনেক নেতাই কিংস পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তারা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। অনেকে বিভিন্ন মোটা অঙ্কের টাকাও চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিংস পার্টিতে যেতে পারেননি। কারণ লাভ ক্ষতির হিসেব মিলিয়ে বা যে পরিমাণ টাকা পয়সা তারা দাবি করেছিলেন, সেই পরিমাণ টাকা পয়সা না পাওয়ার কারণে তারা কিংস পার্টির মিশন থেকে সরে এসেছেন। এরকম তালিকায় বেশ কিছু বিএনপির শীর্ষনেতার নাম রয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মেজর হাফিজ এর যেমন কিংস পার্টি বিএনএম এর চেয়ারপার্সন হওয়ার কথা ছিল ঠিক তেমনই ভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যাওয়ার কথা ছিল বিএনপির আরেকজন স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নজরুল ইসলামের। তাকেও এ নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনিও প্রস্তাবটি ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সেখান থেকে সরে আসেন। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতারও তৃণমূল বিএনপিতে যোগদানের তথ্য ছিল। তবে একাধিক সূত্র বলছে, শাহজাহান ওমর যেমন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, বিএনপিতে দুই রকমের মতামত ছিল। তার মধ্যে একটি মতামত ছিল তারা নতুন একটি মোর্চা করবেন। এই মোর্চা গঠনের ক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ ছিল ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গঠিত দল তৃণমূল বিএনপি। এই দলে যাওয়ার জন্য বিএনপির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা প্রায় মুখিয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও বিএনপির সাবেক ছাত্রদল নেতা এবং বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমানের নাম পাওয়া গেছে। এছাড়া আসাদুজ্জামান খান রিপনের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদানের কথা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

তবে এরা প্রত্যেকেই এ ধরনের যোগদানের খবর অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে বিএনএমে মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন, বিএনপির সাবেক নেতা শওকত মাহমুদের যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত ছিল। এ ছাড়াও বিএনপির আরেক নেতা এহসানুল হক মিলন বিএনএমে যোগ দেবেন বলে গুঞ্জন ছিল এবং তাদের সাথে কথাবার্তাও প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। এ ছাড়াও বিএনপির আরেকজন নেতা শামসুজ্জামান দুদুর বিএনএমে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। দুদুর সঙ্গে মেজর অবসর প্রাপ্ত হাফিজের বৈঠকের কথাও এখন বাজারে চাউর হয়েছে। তবে মেজর হাফিজ যেমন এই ঘটনাকে এখন অন্য খাতে ধামাচাপা দিচ্ছেন, তাকে নিয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঠিক তেমনই যেসমস্ত নেতাদের বিএনএমে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। 

তবে এদের কারও ব্যাপারে সরকারের খুব একটা আগ্রহ ছিল না। সরকারের আগ্রহ ছিল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যাপারে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে আলাদা একটি বিএনপি করার ব্যাপারে সরকারের আগ্রহ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। আর  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে না পাওয়ার পর ক্ষমতাসীন সরকারও বিএনএম বা তৃণমূল বিএনপি নিয়ে খুব একটা আগ্রহী হননি। ফলে তাদেরকে পৃষ্টপোষকতা করা থেকেও সরে আসে। হালুয়া রুটির ভাগ পাবেন না এটা জানার পর মেজর হাফিজ সহ অন্যান্য বিএনপি নেতারা কিংস পার্টির ষড়যন্ত্র থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নেন। তবে এই ষড়যন্ত্রের সব তথ্যই এখন ফাঁস হয়ে গেছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরাই কি বিএনপিতে আগামী দিনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিবে—এটিই এখন কর্মীদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

বিএনপি   কিংস পার্টি   মেজর হাফিজ   সাকিব আল হাসান   নজরুল ইসলাম খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইফতার পার্টির নামে গিবত পার্টি করছে বিএনপি: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সংযমের এই রমজান মাসে ইফতার পার্টির নামে বিএনপি গিবত পার্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শ্রমিক লীগ এবং কৃষক লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ। এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, এটাকে ইফতার পার্টি বলবো নাকি গিবত পার্টি বলবো। আওয়ামী লীগের গিবত করার জন্যই ইফতার পার্টি। স্রষ্টার প্রশংসার জন্য নয়, ইফতার পার্টির নামে ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনএম ও সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে মুখ খুললেন মেজর হাফিজ

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বাসায় গিয়ে কিংস পার্টিতে যোগ দেওয়ার ফরম পূরণ করেছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান-এমন একটি সংবাদ ও ছবি তোলপাড় সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন মেজর হাফিজ নিজেই।

তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। আমার কাছে উৎসাহ না পেয়ে তিনি চলে যান। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে বনানীতে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মেজর (অব.) হাফিজ।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনের ৪ থেকে ৫ মাস আগে আমার কাছে আসেন সাকিব। সেসময় তার সঙ্গে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ছিলেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিটি নিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম মাঝে মাঝে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে। সাকিবের সঙ্গে আমার ছবিটি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে, তা জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি এমন কিছু করিনি যার জন্য লজ্জ্বিত হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি ৩২ বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে রয়েছি। আমার পক্ষে দল ত্যাগ করা সম্ভব নয়। বয়স হয়েছে আমি আর কিছুদিনের মধ্যে অবসরে যাবো। সামরিক বাহিনীর কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার কাছে আসে নতুন একটি দল খোলার জন্য। তারা হয়তো ভেবেছে আমি বিএনপি ত্যাগ করতে পারি। কারণ বিএনপির সঙ্গে মাঝে মাঝে আমার দ্বিমত থাকে। কিন্তু এ ধরনের কোনো বিষয় নেই। আমি বিএনপির সঙ্গেই আছি। আমি বিএনএমে যোগ দেইনি।

সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন পরিচিত কর্মকর্তা নতুন দল গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তাদের বলেছি, রাজনীতিতে কোনো শর্টকাট নেই।’

দেশে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাস ছয়েক আগে থেকেই সরকারি দল করা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যোগাযোগ করা শুরু করে জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তারা দেখেছে বিএনপির নীতিনির্ধারণী বিষয়ে আমার মাঝে মাঝে দ্বিমত থাকে। তারা ধরে রেখেছিল যে বিএনপি ত্যাগ করার জন্য আমি উন্মুখ।’ তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলেছিলাম, আমার পক্ষে ৩২ বছর পর দলত্যাগ করা সম্ভব নয়। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। শিগগিরই রাজনীতি থেকে অবসর নেব।’

বিএনএম   সাকিব আল হাসান   মেজর হাফিজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন কাদের

প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার, বাংলাদেশ ক্রিকেটের রত্ন সাকিব আল হাসান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নমিনেশন নিয়ে হয়েছেন মাগুরা-১ আসনের এমপি। তবে এরই মাঝে ভিন্ন এক সমালোচনার জন্ম নিয়েছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে।

গুঞ্জন উঠেছে, দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্বে ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন একটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। সাবিকের এমন কাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করে জয় লাভ করেছে। এর আগে সে কোনো দল করেছে কি না সেটা আওয়ামী লীগের কাছে বিবেচ্য নয়।

কাদের আরও বলেন, নমিনেশন চাওয়ার আগে সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তাকে প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে।

তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন ছাড়া সরকারে কেউ ক্ষমতা বসাতে পারবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


সাকিব   ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা এবং দণ্ড স্থগিতের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

চলতি বছরের ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ও তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

জানা যাই, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুই শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ইতোপূর্বে আটবার বাড়ানো হয়েছে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মত খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়। যার মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।

গত বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে বাসায় নেওয়া হয়।


বিএনপি   খালেদা জিয়া   মুক্তিবিষয়ে সিদ্ধান্ত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন