বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ভেজাল, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আটটি বিদেশি ভাষায় উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের কথা কর্তৃত্ব করে, মানুষের কথা নেতৃত্ব দেয়। সবার কথা কর্তৃত্ব করে না, সবার কথা নেতৃত্ব দেয় না। আজ আমরা সেই মানুষটির কথা বলবো, যার কথায় সাড়ে সাত কোটি স্বাধীনতা পাগল বাঙালি সেদিন উজ্জীবিত হয়েছি স্বাধীনতার মন্ত্রে। এই মানুষটির বয়স কত ছিল, কত বছর তিনি বেঁচেছেন। ৫৪ বছর ৬ মাস ৭ দিন। এই হলো তার বয়সসীমা। এই মানুষটি এই ৫৪ বছরে জেল খেটেছেন ৪ হাজার ৬৮২ দিন।
তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষেরা রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। কত মাতার অশ্রুধারা, কত বীরের রক্ত ধারায় এ বাংলার মাটি বারে বারে রঞ্জিত হয়েছে স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি।
হাজার বছর পর এই বৃহত্তর ফরিদপুরের টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতি নদীর তীরে এক বীর প্রসূবীনী মা যাকে জন্ম দিয়ে আমাদের ধন্য করেছেন, যিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের পরাজয় অপমান রক্তের প্রতিশোধ নিয়ে ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে যুক্ত করেছিলেন বাংলা নামে এ দেশ। এজন্য আজ আমরা স্বাধীন। আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রে আমরা তাকে হারিয়েছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমি এখানে বক্তৃতা করার জন্য নয়, বক্তৃতা শোনার জন্য এসেছি। বক্তৃতা শিশুরা করেছে। বিভিন্ন ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনতে শুনতে আমি বিমোহিত হয়েছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। জেলা প্রশাসকের স্বাগত বক্তব্য শেষে শুরু হয় আটটি বিদেশি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ উপস্থাপন।
যারা আটটি বিদেশি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ উপস্থাপন করেন তারা হলেন, জাপানি ভাষায় দিলিপ মন্ডল, স্প্যানিশ ভাষায় তানভীন ইসলাম, ফারসি ভাষায় নাজমুল ইসলাম, আরবিতে সাইফুল ইসলাম, ফ্রেন্স ভাষায় কৌশিক মালো, ইংরেজিতে ফারহানা জানাম, চীনা ভাষায় মারুফ আহমেদ ও হিন্দিতে শ্রেয়া তুলশিয়ান।
স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির একটি ঐতিহাসিক দিন। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে জাতির পিতার ঐতিহাসিক এ ভাষণটি ছড়িয়ে দিতেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার এই ভাষণটি বিভিন্ন ভাষায় উপস্থাপন করার লক্ষ্যই হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ভাষণটি শুনে উদ্বুদ্ধ হবে। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের এ ভাষণটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাক এবং এই দিনটি ‘আর্ন্তজাতিক ভাষণ দিবস’ হিসেবে পরিগণিত হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
গাজীপুর নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আজমত উল্লা গাজীপুর সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
আমেরিকা রেমিট্যান্স মির্জা ফখরুল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন জয়ী হয়েছেন। গাজীপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতা এবং গাজীপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। কিন্তু তিনি পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতারাও দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লা’র পক্ষে নিবাচনী প্রচারণা, নির্বাচন পরিচালনা, এমনকি সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। কিন্তু গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীর নাটকীয় পরাজয় ঘটে। কিন্তু এই পরাজয়ের কারণ কি?- এই নিয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠেছে।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে প্রতীকী প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। জায়েদা খাতুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা। প্রথমবার বহিস্কৃত হওয়ার আগে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদকের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার কারণে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও বহিষ্কৃত হন। সেই থেকেই গাজীপুর আওয়ামী লীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ে গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বিধা-বিভক্তিকেই মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান হেরে গেছেন। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের কাছে ১৬ হাজারের বেশি ভোটে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা আজমত উল্লা পরাজিত হয়েছেন। এই পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগ নানা রকম হিসেব-নিকেশ করছে। যদিও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার কারণে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটা আত্মতুষ্টি রয়েছে এবং এটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।