ইনসাইড পলিটিক্স

২৫ শে মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে: শেখ পরশ

প্রকাশ: ০৭:৫৭ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটা রাত, ২৫ মার্চের কালরাত। অষ্ট্রেলিয়ার ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে, ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। সেই থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর ঐই দিনের হত্যাকাণ্ডের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল আমাদের দেশেরই রাজাকারদের দল। নিজের পরিবার, প্রতিবেশী অথবা নিজ দেশের নাগরিকের উপর পরিকল্পিতভাবে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সহযোগিতা করে মানুষ হিসাবে ওরা সমগ্র মানুষ জাতিকে কলঙ্কিত করেছে, ছোট করেছে।’

শনিবার (২৫ মার্চ) পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন ও জাতীয় গণহত্যা দিবস। ভয়াল সে কালরাত্রিতে স্বাধীনতাকামী শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে ‘কালরাত্রি স্মরণ’- শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এসব কথা বলেন।  


যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ১৪ দল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত প্রাক্তন অধিনায়ক রকিবুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সৌভাগ্য আমাদের দেশে জন্মেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, যার অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদ ও সাহসী সংগ্রামের ফলে আমরা আমাদের এদেশের মানুষকে ওই সকল হায়নাদের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।’ 

তিনি বলেন, ‘আজকের অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-সামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নি সন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল প্রশ্রয়দাতাদের ভূমিকা কি ছিল? নিশ্চয়ই তারা প্রশ্রয় দিয়েছেন। কেন এখোনো ২৫ মার্চ গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় না? এসব ব্যাপারে তারা কি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন তুলে? বা প্রতিবাদ করে? আমি সেটা জানতে চাই। এমনকি ২০০১ সালেও ওই জামাত-বিএনপি সরকার যখন সেই পাকিস্তানী কায়দায় যখন আমাদের হিন্দু ভোটারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে তাদেরকে উৎখাত করেছিল তখনো কি এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন? বাংলাদেশে প্রায় এক যুগের বেশি সময় যে অগণতান্ত্রিক মিলিটারি শাসকদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছিল। সে ব্যাপারে এবং সেই সময়ও কি তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের রক্ষক হিসাবে সরব ছিল?’ 

পরশ বলেন, ‘১৫ই আগস্টে যখন নারী শিশু হত্যা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া ছিল কিনা, আমার বড্ড জানতে ইচ্ছে করে। কেন এখনো ২৫ মার্চের হত্যাকাণ্ড- আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তরুণ প্রজন্মের নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে এবং তাঁর উদার গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ করতে হবে। তা না হলে আমরা একটা উন্নয়নশীল, মর্যাদাশীল জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারব না। আমাদের লক্ষ্য একটা সুখী-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল বাংলাদেশ।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে এবং একই সাথে শুধু দেশপ্রেমী নয়, বাঙালি সংস্কৃতির ও ইতিহাসের অনুরাগী হতে হবে। শুধু আবেগ নির্ভর রাজনীতি নয়, নৈতিক এবং যুক্তিশীল রাজনীতি করতে হবে। একই সাথে বাঙালি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে হবে। নিজেকে জানতে হবে এবং আত্মসমালোচনাও করতে হবে। কেবল তাহলেই শহীদের আত্মত্যাগের সম্মান আমরা দিতে পারব। ভুলে গেলে চলবে না, এদেশ সহজে স্বাধীন হয় নাই, বহু বাঙালির মা-বাবা, ভাই-বোনদের রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং একই সাথে দায়িত্বশীল হতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৌলবাদী ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে প্রতিহত করে একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান-ভিত্তিক, গঠনমূলক রাজনীতি তরুণ প্রজন্ম বেছে নিবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সারা জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ তখন বাঙালি জাতিকেই পাকিস্তানী শাসকরা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাই বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যেই ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ইতিহাসের কলঙ্কময় গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি হায়নারা।’ 

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের গৌরব এই সমস্ত গণহত্যা, নারি ধর্ষণের মত জঘন্যতম ঘটনাকে ধামা চাপা দিয়ে এই দেশটাকে নব্য পাকিস্তানে রূপান্তরিত করেছিল খুনি জিয়া। আমরা যদি ২৫ মার্চ গণহত্যার সঠিক ইতিহাস মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি তাহলে রাজাকার আলবদরদের মানুষ যেভাবে ঘৃণা করে ঠিক সেইভাবে ঘৃণা করবে বিএনপি-জামাতকে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে যখন বার বার প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়? তিনি তো কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে টানাটানি করেন না। শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণেই তার প্রাণ নাশের চেষ্টা, যে কারণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। একাত্তরের পরাজিত শত্রুরাই বার বার হত্যা চেষ্টা করছে। আজকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, এ ষড়যন্ত্র দেশের বিরুদ্ধে, দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুনতাসির মামুন বলেন, ‘আজকে আমি যুবলীগের প্রোগ্রামে আসার অন্যতম কারণ সেটা হল সংবাদ পত্রে গত ১ থেকে ২ বছর যুবলীগের নামে কোন নেতিবাচক সংবাদ দেখি নাই। সংগঠনের জন্য ইতিবাচক সংবাদ সবসময় আনন্দদায়ক। পৃথিবীর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে গণহত্যা হয়েছে। কিন্তু সময়ের পরিসরে যদি চিন্তা করেন তাহলে বাংলাদেশের গণহত্যার চেয়ে বড় গণহত্যা আর কখনো হয়নি; আর কখনো হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমি কখনো ভাবি নাই যে, এই বাংলাদেশে মানুষ দুবেলা খেতে পাচ্ছে, দুটো পোশাক গায়ে দিচ্ছে আর এক জোড়া স্যান্ডেল পায়ে দিচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে। এটার ভিত্তি তৈরি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার দেখানো পাথেই আজকের বাংলাদেশ।’ 


সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘২৫ মার্চ, ১৯৭১ পৃথিবীর ইতিহাসে একটি জঘন্যতম নির্মম হত্যাকাণ্ড। এদিন ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির উপর সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই রাতেই তারা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আজকের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন কিন্তু সেদিন ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালি জাতির উপর সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী হামলা করে নির্বিচারে বাংলার মানুষকে হত্যা করেছিল। তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবতা, তখনতো আপনারা পাকিস্তানি বাহিনীকে হুমকি দেন নাই। তাদের প্রতি কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি।’ 

তিনি বলেন, ‘আসলে আপনারা কি চান, আপনারা চান বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। আর বিএনপি-জামাতও চায় বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ কারো কাছে মাথা নত করবে না।’ 

তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় রাজপথে যুবলীগের বন্ধুদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রকিবুল হাসান, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম মিল্টন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান প্রমুখ। 


যুবলীগ   চেয়ারম্যান   শেখ ফজলে শামস্ পরশ   যুবলীগ   অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এই বাজেট ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট: আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০২:১২ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে। তারা লুটপাটের বাজেট বলে, যাদের অর্থনীতি ছিল লুটপাটের। তারা লুটপাটের চ্যাম্পিয়ন ছিল। তাদের মুখে লুটপাটের কথা শোভা পায় না। আমরা তাদের থেকে বড় বাজেট দিতে পেরেছি।

শনিবার (৩ জুন) সকালে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বে অস্বস্তিকর অবস্থার পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে। সোমালিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্য সংকট। সারা বিশ্বে সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান।

তিনি বলেন, এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছেন। মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিল লুটপাটের সেই বিএনপি এ বাজেটকে লুটপাট বাজেট বলে কি করে? তাদের সময় কি পরিমাণ বাজেট ছিল? আজ তা কি হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কি ছিল? বাংলাদেশ আজ ৩৫তম অবস্থানে আছে। বাজেটে কৃচ্ছতা সাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কি ছিল?শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল কিন্তু বিশ্ব সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে। তবে সব সংকটই সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত। বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে অস্থির অবস্থা। অনেক চিন্তা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়নের অবদান অস্বীকার এগুলো কি মানা যায়? অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার প্রশংসা করলেও এ দেশের বিরোধী দলের লোকরা একটা ধন্যবাদও দিতে পারে না। এ দেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধী দল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে। আর তাই এবারের বাজেটও তৈরি করেছে দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। এবারের বাজেট সাধারণ মানুষকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি কারণেই মানুষ কষ্টে আছে, সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না।

লোডশেডিং বা মানুষের নেতিবাচক সমালোচনা মোকাবিলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতিবাচকগুলোকে ইতিবাচক অবস্থায় পরিণত করতেই এবারের বাজেট। বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা করা হতো। আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ কখনো হামলা করেনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ বারবার নির্যাতিত হয়েছে কিন্তু বর্তমানে বিএনপি অবাধে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাজেট   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন আজ

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার।

শুক্রবার (২ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বাজেট নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ ভুল ড. কামালের নেতৃত্বে জোট গঠন করা: কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোট গঠন করা এবং জোটে যাওয়াকে নিজের জীবনে শ্রেষ্ঠ ভুল বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। 

তিনি বলেন, আমি ওই ভুল থেকে এটা শিক্ষা নিয়েছি। বিএনপিকে আমি আরও ১০০ বছরে যতটা চিনতে না পারতাম, জোটে গিয়ে মাস তিনেকেই চিনতে পেরেছি। বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপি হচ্ছে খালেদা জিয়া তারেক রহমানের দল।

শুক্রবার (২ জুল) সকালে গাজীপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমেরিকার ভিসার বিষয়ে বিএনপি বলছে এটা আওয়ামী লীগের ক্ষতি, আওয়ামী লীগ বলছে বিএনপিকে সোজা করার জন্য আমেরিকা ভিসার বিধি-নিষেধ দিয়েছে। কেউ একবারও ভাবে না আওয়ামী লীগ বিএনপির ক্ষতি না, ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের, ক্ষতি হচ্ছে বাঙালির, ক্ষতি হচ্ছে আমার জাতির, আমার সম্মান নষ্ট হচ্ছে। এটা কেউ চিন্তাও করে না। আমাদের জাতীয়ভাবে চিন্তা করতে হবে।

গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতার লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন অতিথিরা।

ড. কামাল হোসেন   কাদের সিদ্দিকী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন শনিবার

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।  

শুক্রবার (২ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তিনি বলেছেন, শনিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

বাজেট   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডিসেম্বরের আগে বিএনপির এক ডজন নেতা দন্ডিত হতে পারে

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail ডিসেম্বরের আগে বিএনপির এক ডজন নেতা দন্ডিত হতে পারে।

বিএনপি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। কিন্তু এই আন্দোলন করতে যেয়ে আইনী লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে বিএনপি। বিএনপির দু’জন নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত দন্ডিত করেছে। নিম্ন আদালতে দেওয়া দন্ড বহাল রাখা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু এবং কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমানের ক্ষেত্রে। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছে। যদিও বিএনপির নেতারা এই আদেশকে ফরমায়েশি আদেশ বলেছেন। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীন এবং স্বাতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। এই বাস্তবতায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো পথ নাই।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমানউল্লাহ আমান এবং ইকবাল মাহমুদ টুকুকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে এই দুই নেতাই শুধু নন, বিএনপির এরকম এক ডজন শীর্ষ নেতা রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলমান রয়েছে- হয় মামলার কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে অথবা নিম্ন আদালতের দন্ড তারা হাইকোর্টে স্থগিত রখেছেন। হাইকোর্ট এখন এটি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সরকার সাম্প্রতিক সময়ে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যে সমস্ত মামলাগুলো নিম্ন আদালতে শেষ হয়ে গেছে, সেগুলো উচ্চ আদালতে সমাপ্ত করার ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ জোরদার করা হয়েছে। আর এটি যদি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ এক ডজন শীর্ষ নেতা আইনী জটিলতায় পড়তে পারেন, তারা দন্ডিত হতে পারেন এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এরকম এক ডজন নেতার কারাগারে যাওয়ার আইনী সম্ভাবনা রয়েছে। 

এদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা এখন আইনী লড়াইয়ের শেষ ধাপে এসে উপনীত হয়েছে। এই মামলার রায়ে যদি তিনি দন্ডিত হন- তাহলে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে। একই অবস্থা বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধেও। দুর্নীতির মামলা তদন্ত শেষ পর্যাযে আছে। এই মামলাতেও তিনি যদি হেরে যান, তাহলেও তার কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মামলাও শেষ ধাপে এসে উপনীত হয়েছে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে- তারও কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম খান, মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিনসহ এক ডজন নেতা আছেন- যারা আইনী লড়াইয়ে ব্যাকফুটে রয়েছেন এবং এই সমস্ত মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। 

তবে মজার ব্যাপার হলো, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও কোনো মামলাই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নিষ্পত্তির কাছে নেই। এই মামলাগুলো বেশিরভাগই হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে। কোনো কোনো মামলা তদন্ত পর্যায়েই থেমে আছে। কাজেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন নেতাই শুধুমাত্র আইনী লড়াই থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পেরেছেন। আর অন্যান্য নেতাদের যে মামলাগুলো, সেগুলো যদি শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়, তাহলে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একটি বড় অংশই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আযোগ্য হতে পারেন। 


ডিসেম্বর   বিএনপি   নেতা   দন্ডিত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন