ইনসাইড পলিটিক্স

একদিকে ইফতার পার্টি, অন্যদিকে মানবতা

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরে ইফতার মাহফিল/পার্টি না করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ইফতার মাহফিল/পার্টির বাজেটের অর্থ গরীব-দুস্থ-অসহায় ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অন্যদিকে রমজানের প্রথম দিনেই মহা সমারোহে ইফতার পার্টি আয়োজন করেছে বিএনপি। 

প্রশ্ন উঠছে রমজানে রোজার মূল তাৎপর্য কি? রোজার মূল তাৎপর্য হল সংযম এবং গরীব-দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এ সময় গরীব-দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর রোজার একটি অন্যতম সৌন্দর্য। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে কারণে এবার গোটা বিশ্বে নানা রকম টানাপোড়েন চলছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। বাংলাদেশেও করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে প্রভাব পড়েছে। এমন বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা প্রদান যেমন মানবিক তেমনি সময়োপয়োগীও বটে। অর্থাৎ তিনি যে নির্দেশনা প্রদান করেছেন সেটি রোজার তাৎপর্য সে তাৎপর্য অনুসারেই করা।

অন্যদিকে বিএনপি ইফতার পার্টিতে যে রাজনীতি করছে সেটা হল এক ধরনের ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা এবং অপচয়। অথচ দলটি এখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছে। বিএনপি দাবি করছে, মানুষের নাকি ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে, মানুষ দু বেলা ঠিক মতো খাবার খেতে পারছে না। অথচ বিএনপি রমজানের প্রথম দিনেই মহা সমারোহে ইফতার পার্টি আয়োজন করেছে। যা দলটির অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বটে। এভাবে মহা সমারোহে ইফতার পার্টি আয়োজন না করে বিএনপি এই অর্থ গরীব-দুস্থ-অসহায় মানুষকে দান করতে পারতো। যাদের সারা দিন রোজা রেখে ভালো ভাবে ইফতার করার সামর্থ্য নেই। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটিই আসলে রোজার প্রকৃত তাৎপর্য। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোনো ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে না। আমাদের নেত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন। বরং সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইফতারের আয়োজন না করে পার্টির পক্ষ থেকে, যারা কষ্টে আছেন, যারা গরিব মানুষ তাদের হাতে খাবার তুলে দেবো।’

ইফতার পার্টি   রাজনীতি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এই বাজেট ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট: আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০২:১২ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে। তারা লুটপাটের বাজেট বলে, যাদের অর্থনীতি ছিল লুটপাটের। তারা লুটপাটের চ্যাম্পিয়ন ছিল। তাদের মুখে লুটপাটের কথা শোভা পায় না। আমরা তাদের থেকে বড় বাজেট দিতে পেরেছি।

শনিবার (৩ জুন) সকালে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বে অস্বস্তিকর অবস্থার পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে। সোমালিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্য সংকট। সারা বিশ্বে সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান।

তিনি বলেন, এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট। বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছেন। মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিল লুটপাটের সেই বিএনপি এ বাজেটকে লুটপাট বাজেট বলে কি করে? তাদের সময় কি পরিমাণ বাজেট ছিল? আজ তা কি হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কি ছিল? বাংলাদেশ আজ ৩৫তম অবস্থানে আছে। বাজেটে কৃচ্ছতা সাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কি ছিল?শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল কিন্তু বিশ্ব সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে। তবে সব সংকটই সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত। বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে অস্থির অবস্থা। অনেক চিন্তা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়নের অবদান অস্বীকার এগুলো কি মানা যায়? অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার প্রশংসা করলেও এ দেশের বিরোধী দলের লোকরা একটা ধন্যবাদও দিতে পারে না। এ দেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধী দল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে। আর তাই এবারের বাজেটও তৈরি করেছে দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। এবারের বাজেট সাধারণ মানুষকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি কারণেই মানুষ কষ্টে আছে, সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না।

লোডশেডিং বা মানুষের নেতিবাচক সমালোচনা মোকাবিলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতিবাচকগুলোকে ইতিবাচক অবস্থায় পরিণত করতেই এবারের বাজেট। বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা করা হতো। আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ কখনো হামলা করেনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ বারবার নির্যাতিত হয়েছে কিন্তু বর্তমানে বিএনপি অবাধে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাজেট   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন আজ

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার।

শুক্রবার (২ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বাজেট নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ ভুল ড. কামালের নেতৃত্বে জোট গঠন করা: কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোট গঠন করা এবং জোটে যাওয়াকে নিজের জীবনে শ্রেষ্ঠ ভুল বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। 

তিনি বলেন, আমি ওই ভুল থেকে এটা শিক্ষা নিয়েছি। বিএনপিকে আমি আরও ১০০ বছরে যতটা চিনতে না পারতাম, জোটে গিয়ে মাস তিনেকেই চিনতে পেরেছি। বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপি হচ্ছে খালেদা জিয়া তারেক রহমানের দল।

শুক্রবার (২ জুল) সকালে গাজীপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমেরিকার ভিসার বিষয়ে বিএনপি বলছে এটা আওয়ামী লীগের ক্ষতি, আওয়ামী লীগ বলছে বিএনপিকে সোজা করার জন্য আমেরিকা ভিসার বিধি-নিষেধ দিয়েছে। কেউ একবারও ভাবে না আওয়ামী লীগ বিএনপির ক্ষতি না, ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের, ক্ষতি হচ্ছে বাঙালির, ক্ষতি হচ্ছে আমার জাতির, আমার সম্মান নষ্ট হচ্ছে। এটা কেউ চিন্তাও করে না। আমাদের জাতীয়ভাবে চিন্তা করতে হবে।

গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতার লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন অতিথিরা।

ড. কামাল হোসেন   কাদের সিদ্দিকী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন শনিবার

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।  

শুক্রবার (২ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তিনি বলেছেন, শনিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

বাজেট   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডিসেম্বরের আগে বিএনপির এক ডজন নেতা দন্ডিত হতে পারে

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail ডিসেম্বরের আগে বিএনপির এক ডজন নেতা দন্ডিত হতে পারে।

বিএনপি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। কিন্তু এই আন্দোলন করতে যেয়ে আইনী লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে বিএনপি। বিএনপির দু’জন নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত দন্ডিত করেছে। নিম্ন আদালতে দেওয়া দন্ড বহাল রাখা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু এবং কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমানের ক্ষেত্রে। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছে। যদিও বিএনপির নেতারা এই আদেশকে ফরমায়েশি আদেশ বলেছেন। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীন এবং স্বাতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। এই বাস্তবতায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো পথ নাই।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমানউল্লাহ আমান এবং ইকবাল মাহমুদ টুকুকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে এই দুই নেতাই শুধু নন, বিএনপির এরকম এক ডজন শীর্ষ নেতা রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলমান রয়েছে- হয় মামলার কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে অথবা নিম্ন আদালতের দন্ড তারা হাইকোর্টে স্থগিত রখেছেন। হাইকোর্ট এখন এটি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সরকার সাম্প্রতিক সময়ে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যে সমস্ত মামলাগুলো নিম্ন আদালতে শেষ হয়ে গেছে, সেগুলো উচ্চ আদালতে সমাপ্ত করার ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ জোরদার করা হয়েছে। আর এটি যদি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ এক ডজন শীর্ষ নেতা আইনী জটিলতায় পড়তে পারেন, তারা দন্ডিত হতে পারেন এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এরকম এক ডজন নেতার কারাগারে যাওয়ার আইনী সম্ভাবনা রয়েছে। 

এদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা এখন আইনী লড়াইয়ের শেষ ধাপে এসে উপনীত হয়েছে। এই মামলার রায়ে যদি তিনি দন্ডিত হন- তাহলে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে। একই অবস্থা বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধেও। দুর্নীতির মামলা তদন্ত শেষ পর্যাযে আছে। এই মামলাতেও তিনি যদি হেরে যান, তাহলেও তার কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মামলাও শেষ ধাপে এসে উপনীত হয়েছে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে- তারও কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম খান, মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিনসহ এক ডজন নেতা আছেন- যারা আইনী লড়াইয়ে ব্যাকফুটে রয়েছেন এবং এই সমস্ত মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। 

তবে মজার ব্যাপার হলো, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও কোনো মামলাই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নিষ্পত্তির কাছে নেই। এই মামলাগুলো বেশিরভাগই হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে। কোনো কোনো মামলা তদন্ত পর্যায়েই থেমে আছে। কাজেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন নেতাই শুধুমাত্র আইনী লড়াই থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পেরেছেন। আর অন্যান্য নেতাদের যে মামলাগুলো, সেগুলো যদি শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়, তাহলে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একটি বড় অংশই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আযোগ্য হতে পারেন। 


ডিসেম্বর   বিএনপি   নেতা   দন্ডিত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন