তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।'
আজ রোববার
(২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস
উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলীয়
নেতৃবৃন্দের সাথে জাতির পিতার
প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সংগে
মতবিনিমকালে তিনি এ কথা
বলেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম আমিন এবং কেন্দ্রীয়
নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত
ছিলেন।
জিয়াউর
রহমানকে নিয়ে বিএনপির নানা
বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের
প্রথম সরকার, যে সরকার মুজিবনগরে
শপথ গ্রহণ করেছিল এবং বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ
পরিচালনা করেছিল, সেই সরকারের অধীনে
জিয়াউর রহমান একজন চাকুরে ছিলেন।'
সম্প্রচারমন্ত্রী
হাছান বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি কেউ
একজন মুক্তিযোদ্ধাকে পানি খাইয়েছে বা
একবেলা ভাত খাইয়েছে, সেই
অপরাধে পাকিস্তানিরা তাকে ধরে নিয়ে
গিয়ে হত্যা করেছে, তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে
দিয়েছে, নির্যাতন করেছে। আর জিয়াউর রহমান
রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর তার
স্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানিরা নতুন বউয়ের মতো
আদর-যত্ন করে, এতেই
তো প্রমাণিত হয়, জিয়াউর রহমান
আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ
করেছেন।'
হাছান
মাহমুদ আরও বলেন, 'বিএনপির
তারা ২১ বছর ধরে
ইতিহাসবিকৃতি করেছে। সেই বিকৃতি যখন
ঠেকে গেছে, তখন তাদের মাথা
খারাপ হয়ে গেছে এবং
সেই কারণে মির্জা ফখরুল সাহেবরা আবোল-তাবোল বকা
শুরু করেছে।'
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।