আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি সমঝোতা আনার চেষ্টা করছে। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ এ প্রক্রিয়ার অংশ। আলাদা আলাদাভাবে তারা এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিয়েও বৈঠক করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানকে একটি সমঝোতাপূর্ণ অবস্থায় নিয়ে আসার জন্যও তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। এ অবস্থা থেকে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই একটি সমঝোতার জন্য পথ খোঁজা হচ্ছে এবং এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন এখন কূটনৈতিক পড়ায় ঘোরাফেরা করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা হলো নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচনকালীন সরকারের একটি খসড়া রূপরেখা বিভিন্ন কূটনৈতিক মহলের কাছে পৌঁছে গেছে বলে জানা গেছে।
সেই প্রস্তাবটিতে কি আছে? একাধিক সূত্রও বলছে এই প্রস্তাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ছোট নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা হয়েছে- যে নির্বাচনকালীন সরকারে ১০ থেকে ২০ জন মন্ত্রী রাখার কথা বলা হয়েছে। যেখানে মন্ত্রীদের মধ্যে জাতীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী সকল রাজনৈতিক দলের অন্তর্ভূক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ বিবেচনায়। বিএনপিরও কাউকে কাউকে মন্ত্রীসভায় নেয়া যেতে পারে বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে। তবে এই মন্ত্রীরা রুটিন কাজ করবেন এবং তারা থাকবেন ক্ষমতাহীন। শুধুমাত্র উপদেষ্টাদের পরামর্শেই তারা কাজ করবে। এই প্রস্তাবের সবচেয়ে বড় দিক হলো, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি উপদেষ্টামণ্ডলী গঠন করা। এই উপদেষ্টামণ্ডলী হবেন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর যে উপদেষ্টামণ্ডলী রয়েছেন, সেই উপদেষ্টামণ্ডলী নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না বা তাদেরকে সরে যেতে হবে। পাশাপাশি এই নতুন নির্দলীয় ব্যক্তিদের দিয়ে উপদেষ্টামণ্ডলী মূলত নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে সরকার পরিচালনায় সহায়তা করবে। প্রস্তাবের মধ্যে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র রুটিন দায়িত্বের বাইরে কোনো কাজ করবেন না এবং সমগ্র কর্মকাণ্ড উপদেষ্টামণ্ডলীর পরামর্শে করবেন। উপদেষ্টারা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিবেন এবং প্রধানমন্ত্রী সেই পরামর্শের আলোকেই নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এই উপদেষ্টারা কারা হবেন তা ঠিক করা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ- আলোচনায় এবং নির্বাচন কমিশনের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে।
উপদেষ্টামণ্ডলীর সাথে পরামর্শ করে অন্যান্য মন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করবেন। এছাড়া যে সমস্ত মন্ত্রীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং তারা নির্বাচনী প্রচারণার কাজে অংশগ্রহণ করলে, তারা কোনো সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করতে পারবেন না। পাশাপাশি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য উপদেষ্টামণ্ডলী একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবেন এবং এই নীতিমালার আলোকেই নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালিত হবে।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, নির্বাচনের প্রধান বিষয় হলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সর্বময় ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত। কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে রেখে যে ব্যবস্থাই হোক না কেন, তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আন্তর্জাতিক মহল মনে করছেন যে, এটি ভালো একটি সমাধান। এই নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েই আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসার জন্যই তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নির্বাচন সরকার মন্ত্রীসভা উপদেষ্টা
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।