যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আজকে গর্ব করে বলতে পারে, অহংকার করে বলতে পারে আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের সৎ নেতৃত্বের মধ্যে যিনি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। যিনি বাবা-মাকে হারিয়ে দিবারাত্রি এই বাংলার মানুষের জন্য ভাবেন, কিভাবে দেশের মানুষ সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে, পেটভরে দু’মুঠো ভাত খাবে, শান্তিতে ঘুমাবে। যে মানুষটি ষোল কোটি মানুষের বত্রিশ কোটি হাতকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে চায়। সেই মানুষটিকে হত্যা করার জন্য ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।’
বুধবার (২৪ মে) বিকেল ৫ টায় দৈনিক বাংলা মোড়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে আসন ভিত্তিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা এবং সঞ্চালনা করেন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে মিছিল শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এসে শেষ হয়।
তিনি বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নিখিল বলেন, ‘বাংলার সকল শ্রেণির মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে আছে। আপনাদের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। আগুন নিয়ে খেলা করবেন না, আওয়ামী লীগকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন না, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর সংগঠন। এই আওয়ামী লীগ সংগ্রাম করতে করতেই আজকে এই জায়গায় এসেছে। ৭৫ ঘটিয়েছেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট ঘটিয়েছেন। ১৭ই আগস্ট সারা বাংলাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আপনাদের কোনো প্রচেষ্টাই সফল হয়নি ভবিষ্যতেও হবে না।
তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না। ওই ক্রোধের আগুনেই আপনারা পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। কারণ বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার সাথে আছে। আমরা যুবলীগ, বাংলার যুব সমাজ, ছাত্র সমাজ আমরা শপথ গ্রহণ করেছি। যে মানুষটি নিজের সুখ-শান্তির কথা ভুলে গিয়ে, যে মানুষটি নিজের দুইটি সন্তানের চিন্তা ভুলে গিয়ে ১৬ কোটি মানুষের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন এবং তিনি সফলতার সাথে দেশকে বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছেন। সেই মানুষটিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন, হত্যার হুমকি দিবেন আর আমরা যুবলীগ চুপচাপ বসে থাকবে, বাংলার যুব সমাজ বেঁচে থাকতে তা আপনাদের ভাবাও ভুল। কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যার ভালোবাসার শিকড় অনেক গভীরে। এই শিখর উপরে ফেলার ক্ষমতা কোন বিদেশী প্রভুদের নাই। কারণ বাংলার যুবসমাজ সজাগ আছে।’
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসীরা গতকাল শান্তিপূর্ণ মিছিলের কথা বলে বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে, তারা পুলিশের গায়ে হাত দিয়েছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, ১৯৭১ সালেও পাকিস্তানীরাও রাজারবাগে পুলিশের ওপর হামলা করেছিল। আপনারাও বার বার পুলিশের উপর হামলা করেছেন।’
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, জনগণের জানমাল-সম্পদ রক্ষার্থে আমরা রাজপথে থেকে বিএনপি-জামায়াতের সকল সড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবো।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. আবদুল হাই, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মহিলা সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, মো. আতাউর রহমান উজ্জল, মো. রাজু আহমেদ, মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।