জেলা বিএনপির নেতা আবু সাইদ
চাঁদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাজশাহীতে বিএনপির
পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বিএনপি
নেতা আবু সাইদ চাঁদের ইস্যুকে কেন্দ্র করে জরুরি সংবাদ
সম্মেলন ডাকেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
তবে সংবাদ সম্মেলনের বাইরে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর
দেননি রুহুল কবীর রিজভী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা
সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বিএনপি কার্যালয়ে দল অঙ্গ ও
সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা-
হয়রানি, পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী
দিয়ে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন করেন তিনি।
রিজভী
বলেন, এত ভয় কীসের?
এতো নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার কেন? সারাদেশে ৬৮০
জন নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে।
সরকার ভয় পেয়েছে। তাদের
কাণ্ডজ্ঞান লোপ পেয়েছে। তাই
তারা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলছে। দলীয়
চেতনায় পুলিশ তৈরি করেছে। তারা
মিছিলে পাখির মতো গুলি করে
অনেক নেতাকর্মীদের অন্ধ করেছে। আহত
করেছেন এবং পৃথিবীর মায়া
ত্যাগ করাচ্ছে। এরপরও আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে। তিনি বলেন, অত্যাধুনিক
অস্ত্র দিয়ে বিএনপি অফিস
ঘিরে রাখা হয়েছিলো। এটা
কেন? কোন সংবিধানে এ
অধিকার আছে?
বিএনপির
এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরো বলেন,
যখন চারবারের প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মা সেতু থেকে পদ্মা
নদীতে চুবিয়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি
দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তখন তো কোনো
কথা ওঠেনি। তাই চাঁদ ইস্যুতেও
আমি কোনো কথা বলতে
পারব না। সংবাদ সম্মেলনে
রুহুল কবীর রিজভী রাজশাহী
শহরে যেসব বিএনপি নেতাকর্মীদের
নামে মামলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের
মুক্তির দাবি জানান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক
সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য
সচিব মামুনুর রশিদসহ জেলা ও মাহানগর
বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,
প্রধানমন্ত্রীর হুমকিদাতা বিএনপি নেতা আবু সাঈদ
চাঁদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা
১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর
কোর্ট ভেড়িপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার
করা হয়। গ্রেপ্তারের পর
তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।