ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল, তখন তো কোনো কথা ওঠেনি: রিজভী

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ২৫ মে, ২০২৩


Thumbnail

জেলা বিএনপির নেতা আবু সাইদ চাঁদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাজশাহীতে বিএনপির পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদের ইস্যুকে কেন্দ্র করে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তবে সংবাদ সম্মেলনের বাইরে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি রুহুল কবীর রিজভী।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বিএনপি কার্যালয়ে দল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা- হয়রানি, পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন করেন তিনি।

রিজভী বলেন, এত ভয় কীসের? এতো নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার কেন? সারাদেশে ৬৮০ জন নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। সরকার ভয় পেয়েছে। তাদের কাণ্ডজ্ঞান লোপ পেয়েছে। তাই তারা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলছে। দলীয় চেতনায় পুলিশ তৈরি করেছে। তারা মিছিলে পাখির মতো গুলি করে অনেক নেতাকর্মীদের অন্ধ করেছে। আহত করেছেন এবং পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করাচ্ছে। এরপরও আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে। তিনি বলেন, অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে বিএনপি অফিস ঘিরে রাখা হয়েছিলো। এটা কেন? কোন সংবিধানে এ অধিকার আছে?

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরো বলেন, যখন চারবারের প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মা সেতু থেকে পদ্মা নদীতে চুবিয়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তখন তো কোনো কথা ওঠেনি। তাই চাঁদ ইস্যুতেও আমি কোনো কথা বলতে পারব না। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবীর রিজভী রাজশাহী শহরে যেসব বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদসহ জেলা ও মাহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর হুমকিদাতা বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কোর্ট ভেড়িপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পুতুলের রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে যা বললেন শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ০৩:৪৮ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরবর্তী উত্তরাধিকারী কে হবেন?-এ প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দেশে-বিদেশে সার্বক্ষণিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা যায়। অনেকে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী তাকে রাজনীতির অনেক বিষয় শেখাচ্ছেন। তবে শেখ হাসিনা বলেছেন, পুতুলের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।

ভবিষ্যতে কে নেতৃত্বে আসবেন সেটি বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করবে, আর ঠিক করবে আমার দল। ছেলেমেয়েকে শিক্ষা দিয়েছি। তাদের শিক্ষাটাই একমাত্র সম্পদ। তাদের বলেছি, যে শিক্ষা দিয়েছি, সে শিক্ষা অনুযায়ী দেশের কল্যাণে কাজ করতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একজন অটিজম বিশেষজ্ঞ। সারা বিশ্বেই সে অটিস্টিক শিশুদের অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। 

জয়ের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়ের কাছ থেকে শেখা। জয়ই আমাকে এ ব্যাপারে সব রকম পরামর্শ দিয়েছিল।


সায়মা ওয়াজেদ পুতুল   আওয়ামী লীগ   রাজনীতি   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

৫২ বছরে আমাদের অর্জন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আর ভিসা নীতি: দুদু

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ৫২ বছর বয়স বাংলাদেশের। এই ৫২ বছরে আমাদের অর্জন হচ্ছে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আর ভিসা নীতি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা থাকা অবস্থায় ভিসানীতির কার্যকারিতা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই, মানুষের মানবাধিকার নেই, মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। 

তিনি বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এখন ভিসা নীতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, সরকারি দলের অনেক নেতা, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা এই ভিসা নীতির আওতায় পড়েছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সু-চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে পাঠানো এবং আমান উল্লাহ আমান, সালাউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিনসহ জাতীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সরকার দলীয় নেতারা আতঙ্কে রয়েছে জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এটা কোনো আনন্দের সংবাদ নয়। যেই দেশ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, গণতন্ত্র-মানবাধিকারের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে, সেই দেশে এখন গণতন্ত্র-স্বাধীনতা নেই। আপনারা (সরকার) বহু টাকা ইতোমধ্যে লুটপাট করেছেন। লক্ষ-হাজার কোটি টাকা আপনারা দেশ থেকে বিদেশে নিয়ে গেছেন। ভিসা নীতির আওতায় যদি আপনি পড়ে যান, তাহলে আমেরিকায় যদি আপনার বাড়ি, টাকা থাকে, সেটা তো ভোগ করতে পারবেন না। আমি জানি আপনারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কিন্তু এই যে অন্যায় করেছেন, এর জন্য আমাদের লজ্জা হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় এক-দুই দিন থাকার কথা। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এই পুরো মাস তিনি সেখানে থাকবেন। কেন, কিসের জন্য তিনি থাকবেন সেটি রাষ্ট্রীয়ভাবে ও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়নি। আবার শোনা যাচ্ছে তিনি অতি তাড়াতাড়ি চলে আসবেন। আসেন, দেশে দাঁড়িয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তাহলে কিছুটা হলেও রক্ষার পথ পাওয়া যাবে। মানুষ, দেশ, জনগণ চায় আপনি পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবেন। আর যদি না করেন, দেশের মানুষ আপনাদের বাধ্য করবে পদত্যাগ করতে।

চারদিকের অবস্থা ভালো না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, যে দিনই বিএনপি ও বিরোধী দল মিটিং ডাকে, সেদিন লাখ লাখ মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়। আন্দোলনের এখনো কিছু দেখেননি। সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবর আসবে। অক্টোবর হবে মুক্তির মাস, অক্টোবর হবে জালিমের পতনের মাস, অক্টোবর হবে স্বাধীনতা-মানবাধিকারের মাস। এই অক্টোবরেই সরকারের সঙ্গে দেনা-পাওনার সব কিছু মীমাংসা হয়ে যাবে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা   ভিসা নীতি   শামসুজ্জামান দুদু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির অব্যাহত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে আজ শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে আট দিনের কর্মসূচি শুরু করছে দলটি।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই শান্তি সমাবেশ দুপুর আড়াইটায় শুরুর কথা রয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

এ ছাড়া শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, এস এম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা বক্তব্য দেবেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। শান্তি সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। প্রায় একই সময় থেকে শান্তি সমাবেশ করে আসছে আওয়ামী লীগ। তবে দলটির নেতাদের দাবি এগুলো পাল্টা কোন কর্মসূচি নয়, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে জনগণকে নিয়ে মাঠে রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংবাদ নির্বাচন পর্যন্ত এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   রাজনীতি   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন ভিসানীতি ভোগাস, সব ফাঁকা আওয়াজ: নাজমুল আলম

প্রকাশ: ১০:২৩ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন ভিসানীতি ভোগাস, সব ফাঁকা আওয়াজ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।

তিনি বলেন, ‘ভিসানীতি ভোগাস। সব ফাঁকা আওয়াজ, মাঠ অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা। লবিস্টের ফিস হালাল করার পাঁয়তারা।’

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সিদ্দিকী নাজমুল আলম এসব কথা বলেন।

এর আগে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর আনুষ্ঠানিক ভিসানীতি প্রয়োগে প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিবৃতিতে ম্যাথিউ মিলার বলেন, পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় তার সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

ভিসানীতির আওতায় চিহ্নিত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অতিরিক্ত ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে। 

এর মধ্যে বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিদেশে নিলেই কি বেগম জিয়ার সঠিক চিকিৎসা সম্ভব?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি হয়েছে। তাকে এখন এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার লিভারে পানি জমছে এবং এই পানি বের করতে হচ্ছে। পানি বের করতে গেলে তিনি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছেন। তখন তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এছাড়াও তাঁর হিমোগ্লোবিনও কমে গেছে। লিভার সিরোসিস এর কারণে এই ধরনের রোগীদের যে চিকিৎসা দেওয়া দরকার সব চিকিৎসাই এভারকেয়ার হাসপাতালে আছে। তবে বিএনপির চিকিৎসক এবং বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন যে, তার লিভার সিরোসিস এর চিকিৎসার জন্য লিভার প্রতিস্থাপন করা দরকার। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, ৭৮ বছর বয়সী একজন প্রবীণ মানুষের জন্য লিভার প্রতিস্থাপনের মতো জটিল কাজটা কতটুকু করা সম্ভব এবং এটি কতটা নিরাপদ সেটি আলোচনার দাবি রাখে।

একাধিক প্রবীণ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা এই বয়সে এবং এরকম শারীরিক অবস্থায় লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পক্ষপাতী নন। তাছাড়া লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার ক্ষেত্রে একজন ডোনার লাগে। সেই ডোনারের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার লিভারের ম্যাচিং করাতে হবে। সেই ম্যাচিং এর কাজটিও এখনও করানো হয়নি। তাছাড়া শুধুমাত্র লিভার সিরোসিস নয়, বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে এবং পাকস্থলীতে পানি জমার কারণে তার হৃদপিণ্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এছাড়া তার কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে। পুরোনো আথ্রাইটিস এখন বেড়ে গেছে। এত কিছু রোগ শোকের জন্য শুধুমাত্র লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে তাকে সুস্থ করা যাবে—এমন ভাবনা বিজ্ঞান সম্মত নয় বলেই মনে করছেন অনেক চিকিৎসকরা। বরং চিকিৎসকরা মনে করছেন যে, তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে আস্তে আস্তে চিকিৎসা দেওয়াটাই শ্রেয়। 

৭৮ বছর বয়সী একজন মানুষকে সার্জারি বা লিভার প্রতিস্থাপনের মতো জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতিতে নিয়ে গেলে তার আরও ঝুঁকি বাড়বে। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল যথেষ্ট নয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। তারা মনে করেন যে, বিশ্বের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে যেরকম চিকিৎসা দেওয়া দরকার সেরকম চিকিৎসা এভারকেয়ার হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে।

লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়টি নিয়ে তারা বলছেন যে, এটি একজন পেশেন্টের অভিভাবক বা তার অ্যাটেনডেন্টদের সিদ্ধান্তের বিষয়। তারা যদি মনে করেন যে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকি তারা নিতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে তারা বিদেশ নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রস্তুতি গুলো দরকার সেই প্রস্তুতিও বিএনপি বা বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। তাহলে কি বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার বিষয়টি একটি রাজনৈতিক স্লোগান? সরকারের ওপর দায় চাপানোর কৌশল হিসেবেই এই চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বলা হচ্ছে?

অনেকেই মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং তার সম্ভাব্য অনাকাঙ্খিত পরিণতিকে ঘিরে একটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় বিএনপি। এবং সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি করার প্রধান লক্ষ্য হলো সরকারকে এর দায় দেওয়া। আর সেই দায় দেওয়ার জন্যই কি তাহলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?

বেগম খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন