ইনসাইড পলিটিক্স

ভুল কৌশলে বিপর্যস্ত বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০৪ পিএম, ২৬ মে, ২০২৩


Thumbnail

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপি বলেছে, তাদের দাবি একটাই বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া তারা ঘরে ফিরে যাবে না। বিএনপির কোনো কোনো নেতা এটাও বলেছেন যে ডু অর ডাই। কিন্তু রাজনীতির এক গোলকধাঁধার মধ্যে পড়ে গেছে বিএনপি এবং তাদের ভুল কৌশলের কারণে একদিকে যেমন তাদের সংগঠন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে নির্বাচন ছাড়া তাদের সামনে আর কোন পথ খোলা থাকছে না। বিএনপির নেতারাও এখনও বলছেন যে তারা ফাঁদে পড়েছেন এবং এই ফাঁদ থেকে বেরোনোর পথ নেই। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিএনপির জন্য বুমেরাং হয়ে গেছে। বিএনপি মনে করেছিল যে তারা নির্বাচন বর্জন করলে এই নির্বাচন হয়ে পড়বে একটা প্রহসন। জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে না এবং অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে এটি স্বীকৃতি পাবে না। 

বিএনপির কোনো কোনো এটাও মনে করেছিলেন যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত প্রশাসন এবং সরকার প্রভাব বিস্তার করবে এবং দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করবে। তখন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতাই নির্বাচনের কারচুপির অভিযোগ আনবে। ফলে তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে। কিন্তু গাজীপুর নির্বাচনের ফলাফল হয়েছে উল্টো। এই নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি, প্রশাসন নিরপেক্ষ ছিল। নির্বাচন কমিশন শক্ত হাতে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। ফলে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মডেল হয়েছে গাজীপুর। লোকজন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছে। প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি ছাড়াও অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব এবং সেই নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলনও ঘটতে পারে। আর তাই বিএনপির জন্য চাপ বেড়ে গেল।

গাজীপুরের নির্বাচনে যদি বিএনপির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত এবং আজমত উল্লা যদি সেখানে প্রার্থী হতেন তাহলে শেষ পর্যন্ত হয়তো  বিএনপি প্রার্থীর একটি নাটকীয় উত্থান ঘটতে পারত। এটি বিএনপির রাজনীতির জন্য লাভজনক হত, নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হত, দল সংঘটিত হত। কিন্তু বিএনপির ভুল কৌশলের কারণে গাজীপুরের নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী লীগের হাতে থাকল। বিএনপি এখানে এখন সংকুচিত হতে হতে প্রায় নি:শেষ হয়ে গেল। গাজীপুর না, পুরো দেশের অবস্থাও একই রকম হয়েছে। 

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন যে ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র রাস্তা নির্বাচন। সংগঠন গড়ে তোলার একমাত্র পথ নির্বাচন। কাজেই আমরা নির্বাচনকে দূরে রেখে সংগঠন কিভাবে গুছাতে পারি সেটি এখন প্রশ্ন। বিএনপি তাদের দ্বিতীয় ভুল কৌশল করেছে বিদেশ নির্ভরতার কারণে। তারা মনে করেছিল যে পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে নির্বাচনে জিতিয়ে দেবে। আর এই কারণেই তারা বারবার মার্কিন দূতাবাসে ধরনা দিয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ মার্কিন ভিসা নীতি এবং নির্বাচন নিয়ে মার্কিন অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে যে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে সমর্থন করে না। এমনকি কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো না করলো সেটি নিয়েও তাদের মাথাব্যাথা নাই বলে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে। তারা দেখতে চায় একটি উৎসবমুখর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। 

গাজীপুরের নির্বাচন সরকারের জন্য একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। বিএনপিকে বাদ দিয়েও বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তি, দলকে নিয়ে একটি উৎসবমুখর, অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করা যায়। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে সরকার সে পথে হাঁটবে এবং সে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন না। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনে যদি কেউ বাধা দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের সময় নির্বাচন বয়কট করা, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা, জনগণকে ভোটদানে বিরত রাখা বা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে যে কোন বাধাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র বিনাশী তৎপরতা হিসেবে বিবেচনা করবে এবং সেই তৎপরতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নামবে ঐ সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের ওপর। আর এ কারণেই এখন বিএনপিকে আটসাট আন্দোলন করতে হবে, জ্বালাও-পোড়াও-সহিংসতা পথে বিএনপি যেতে পারবেনা। হাতে সময় আছে ছয় মাস। এই সময়ের মধ্যে বিএনপি কি করবে এটা এখন বিএনপির প্রশ্ন। বিএনপির পথ ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। তারা আন্দোলন করতে পারবে না, তারা নির্বাচনে যাবে না তাহলে বিএনপি কিভাবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করবে এই প্রশ্ন উঠেছে এখন বিএনপির মধ্যে।

ভুল কৌশল   বিএনপি   মার্কিন ভিসা নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন শনিবার

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।  

শুক্রবার (২ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তিনি বলেছেন, শনিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

বাজেট   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডিসেম্বরের আগে বিএনপির এক ডজন নেতা দন্ডিত হতে পারে

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail ডিসেম্বরের আগে বিএনপির এক ডজন নেতা দন্ডিত হতে পারে।

বিএনপি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। কিন্তু এই আন্দোলন করতে যেয়ে আইনী লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে বিএনপি। বিএনপির দু’জন নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত দন্ডিত করেছে। নিম্ন আদালতে দেওয়া দন্ড বহাল রাখা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু এবং কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমানের ক্ষেত্রে। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছে। যদিও বিএনপির নেতারা এই আদেশকে ফরমায়েশি আদেশ বলেছেন। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীন এবং স্বাতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। এই বাস্তবতায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো পথ নাই।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমানউল্লাহ আমান এবং ইকবাল মাহমুদ টুকুকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে এই দুই নেতাই শুধু নন, বিএনপির এরকম এক ডজন শীর্ষ নেতা রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলমান রয়েছে- হয় মামলার কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে অথবা নিম্ন আদালতের দন্ড তারা হাইকোর্টে স্থগিত রখেছেন। হাইকোর্ট এখন এটি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সরকার সাম্প্রতিক সময়ে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যে সমস্ত মামলাগুলো নিম্ন আদালতে শেষ হয়ে গেছে, সেগুলো উচ্চ আদালতে সমাপ্ত করার ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ জোরদার করা হয়েছে। আর এটি যদি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ এক ডজন শীর্ষ নেতা আইনী জটিলতায় পড়তে পারেন, তারা দন্ডিত হতে পারেন এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এরকম এক ডজন নেতার কারাগারে যাওয়ার আইনী সম্ভাবনা রয়েছে। 

এদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা এখন আইনী লড়াইয়ের শেষ ধাপে এসে উপনীত হয়েছে। এই মামলার রায়ে যদি তিনি দন্ডিত হন- তাহলে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে। একই অবস্থা বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধেও। দুর্নীতির মামলা তদন্ত শেষ পর্যাযে আছে। এই মামলাতেও তিনি যদি হেরে যান, তাহলেও তার কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মামলাও শেষ ধাপে এসে উপনীত হয়েছে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে- তারও কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম খান, মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিনসহ এক ডজন নেতা আছেন- যারা আইনী লড়াইয়ে ব্যাকফুটে রয়েছেন এবং এই সমস্ত মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। 

তবে মজার ব্যাপার হলো, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও কোনো মামলাই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নিষ্পত্তির কাছে নেই। এই মামলাগুলো বেশিরভাগই হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে। কোনো কোনো মামলা তদন্ত পর্যায়েই থেমে আছে। কাজেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন নেতাই শুধুমাত্র আইনী লড়াই থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পেরেছেন। আর অন্যান্য নেতাদের যে মামলাগুলো, সেগুলো যদি শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়, তাহলে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একটি বড় অংশই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আযোগ্য হতে পারেন। 


ডিসেম্বর   বিএনপি   নেতা   দন্ডিত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জাপায় দেবর-ভাবি'র দ্বন্দ্ব আবার প্রকাশ্যে

প্রকাশ: ০৬:৪৭ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় পার্টিতে দেবর-ভাবি'র দ্বন্দ্ব আবার প্রকাশ্যে এসেছে। মসিউর রহমান রাঙ্গাকে সরিয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমামকে বিরোধী দলের চিফ হুইপ করতে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের। অন্যদিকে মসিউরকে স্বপদে বহাল রাখতে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এখন আবার একই দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। 

জাপার দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গত ২৬ মে এক চিঠিতে জি এম কাদের জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে দলের নেতা ফখরুল ইমামকে বিরোধী দলের চিফ হুইপ করার ব্যাপারে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার জাপার একটি প্রতিনিধিদল স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি আবারও অবহিত করে। অন্যদিকে আগের দিন বুধবার স্পিকারকে পাল্টা চিঠি দেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। চিঠিতে রওশন এরশাদ চলমান একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মসিউর রহমানকে চিফ হুইপ পদে রাখার কথা জানান। 

একাদশ সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল। শুরু থেকেই মসিউর রহমান বিরোধী দলের চিফ হুইপ পদে আছেন। কিন্তু জাপার অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এবং দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন মসিউর রহমান। সেই বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর মসিউরকে দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ প্রেসিডিয়ামসহ সব পদপদবি থেকে অব্যাহতি দেন জি এম কাদের। এর কয়েক দিন পর তাঁকে বিরোধী দলের চিফ হুইপ পদ সরিয়ে জ্যেষ্ঠ নেতা কাজী ফিরোজ রশীদকে স্থলাভিষিক্ত করতে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন জাপার চেয়ারম্যান। কিন্তু সেটি তখন কার্যকর হয়নি।

দলীয় সূত্র জানায়, জাপার একজন নেতার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরকে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দায়িত্ব পালনের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছিলেন। মসিউরকে সরিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদকে বিরোধী দলের চিফ হুইপ করার ব্যাপারে স্পিকারকে যখন চিঠি দিয়েছিলেন জি এম কাদের, তখন আদালতের ওই আদেশ বহাল ছিল। সে কারণে জি এম কাদেরের সই করা চিঠি তখন কার্যকর করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কাজী ফিরোজ রশীদও দলীয় কোন্দলসহ নানা কারণে এই পদে যেতে অনাগ্রহ দেখান। এ অবস্থায় গত মে মাসে অনুষ্ঠিত দলের প্রেসিডিয়াম ও সংসদীয় দলের যৌথ সভায় ফখরুল ইমামকে স্থলাভিষিক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় জাপা। কিন্তু রওশন এরশাদ স্পিকার বরাবর এর পাল্টা চিঠি দেন। সেই চিঠি গত বুধবার মসিউর রহমান নিজেই স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেন।

জাতীয় পার্টি   দেবর-ভাবি   মসিউর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে আওয়ামী লীগ, ফলোর আহ্বান

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই অ্যাকাউন্ট অনুসরণের জন্য দলটির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২ জুন) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।

পোস্টের সঙ্গে একটি কিউআর কোডের ছবি ও টিকটকে অ্যাকাউন্টের লিংক যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পোস্টে লেখা হয়, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকটক অ্যাকাউন্ট ফলো করুন। একই সঙ্গে বন্ধুদের ইনভাইটেশন দিন।’

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের নিয়মিত সক্রিয় ভেরিফায়েড পেজসহ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করা ও সর্বস্তরে প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারই সবশেষ পদক্ষেপ দলের টিকটক অ্যাকাউন্ট।

টিকটক অ্যাকাউন্ট   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গুলশান উপনির্বাচন: শক্তিশালী বিরোধী প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে গুলশানে। চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুর কারণে ঢাকা-১৭ আসনটি শূন্য ঘোষিত হয়েছে। গতকাল নির্বাচন কমিশন এই শুন্য আসনে তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ১৭ জুলাই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাসের কম সময়ের আগে এই নির্বাচন নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এই নির্বাচনগুলো অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সরকারের ভিত শক্তিশালী হয় এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণেই পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকার অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই সমস্ত নির্বাচনগুলোতে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষপাত হয়নি। তবে শুধুমাত্র অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই হবেনা, নির্বাচনগুলো যদি অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হয় তাহলে তা আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপিকে ছাড়া অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় না এটি আরেকবার প্রমাণ হতে পারে। আর এই কারণেই নতুন একটি পদ্ধতি গ্রহণ করেছে সরকার। 

প্রত্যেকটি সিটি করপোরেশনেই আওয়ামী লীগ চেয়েছে যে একটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করুক। নির্বাচন যেন একতরফা বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না হয়। সে লক্ষ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মা প্রার্থী হয়েছেন এবং তিনি বিজয়ী হয়েছেন। বরিশাল নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছেন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা। একইভাবে অন্যান্য সিটি করপোরেশন গুলোতেও প্রার্থী দেওয়া হয়েছে এবং কেন্দ্র থেকে বারবার বলা হচ্ছে কোনো অবস্থাতেই যেন কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবার অভিপ্রায় ব্যক্ত না করে। একইভাবে গুলশান উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী প্রার্থী করতে চায়। গুলশানে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করব বলে ইতিমধ্যে জানা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টি থেকে একজন ভালো জনপ্রিয় প্রার্থীকে যেন মনোনয়ন দেয়া হয় সে ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতীয় পার্টির পাশাপাশি বিজেপির নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ গুলশানের প্রার্থী হতে পারেন কিনা সে চেষ্টা করা হচ্ছে। 

আন্দালিব রহমান পার্থ বিজেপির নেতা। তিনি গুলশান-বারিধারা এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। গত ৪ বছর ধরে তিনি ঢাকার সংগঠন গুছিয়েছেন সবার অজান্তে। সাম্প্রতিক সময় এক সমাবেশের মাধ্যমে তিনি ঢাকায় তার শক্তিশালী অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন মহল মনে করছেন যে শেষ পর্যন্ত যদি পার্থ নির্বাচনে প্রার্থী হন তাহলে এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। সেরকম বিবেচনা থেকেই পার্থকে নির্বাচনে প্রার্থী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য বিরোধী দল এবং এমনকি সমাজের পরিচিত কোনো ব্যক্তি যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তাহলে তাকেও স্বাগত জানানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিভিন্ন সরকারি সূত্রগুলো বলছে, গুলশানের নির্বাচনে যেন কোনো অবস্থাতেই বিনা ভোটে কেউ এমপি না হতে পারেন সে ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি রাখছে। কারণ বিএনপি ছাড়া অবাধ-সুষ্ঠু এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে না এই ধারণাটা আওয়ামী লীগ ভাঙতে চায়। আর এই ধারণা ভাঙার জন্য আওয়ামী লীগের সামনে আছে চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং গুলশানের উপনির্বাচন। গুলশানের উপনির্বাচনটি যেহেতু কূটনীতিকপাড়ায় অনুষ্ঠিত হবে এবং কূটনীতিকরা এটি দেখবে তাই এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য একটি মডেল টেস্ট হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

গুলশান উপনির্বাচন   আওয়ামী লীগ   আন্দালিব রহমান পার্থ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন