ইনসাইড পলিটিক্স

গাজীপুর নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের তলব করবেন প্রধানমন্ত্রী


Thumbnail

সম্প্রতি শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন জয়ী হয়েছেন। গাজীপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতা এবং গাজীপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। কিন্তু তিনি পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতারাও দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লা’র পক্ষে নিবাচনী প্রচারণা, নির্বাচন পরিচালনা, এমনকি সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। কিন্তু গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর নাটকীয় পরাজয় ঘটে। কিন্তু এই পরাজয়ের কারণ কি?- এই নিয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠেছে।

দলের শীর্ষ পর্যায় অর্থাৎ দলীয় সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে আলোচনা করতে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নেতাদের তলব করবেন বলে জানিয়েছে একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্র বলছে, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় নেতা। দলের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গাজীপুর নির্বাচনের ব্যাপারেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। এমনকি একজন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যকেও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সার্বিক তদারকির সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

সূত্রমতে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেনসহ যারা যারা ছিলেন- তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী ডাকবেন। কি হয়েছিল গাজীপুর নির্বাচনে?- এ ব্যাপারে তিনি সবার বক্তব্য শুনবেন। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়াও গাজীপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত জেষ্ঠ্য মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেলকেও এ নির্বাচনের ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ দিতে ডাকা হতে পারে।

এছাড়াও, গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গাজীপুর আওয়ামী লীগে একটি শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র। আবার অনেকে মনে করছেন, নির্বাচনের আগে শুদ্ধি অভিযান না করে, গাজীপুর আওয়ামী লীগের বিভক্তিকে যেন প্রশমিত করা হয়। সূত্রটি বলছে, দলীয় কোন্দল, বিভক্তির কারণেই গাজীপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী মহল। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমত উল্লা খান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ সবিস্তরে তুলে ধরেছেন।   
  
উল্লেখ্য যে, গাজীপুর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে প্রতীকী প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। জায়েদা খাতুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা। প্রথমবার বহিস্কৃত হওয়ার আগে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদকের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার কারণে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও বহিষ্কৃত হন। সেই থেকেই গাজীপুর আওয়ামী লীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। 

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ে গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বিধা-বিভক্তিকেই মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বলছেন,গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনই আওয়ামী লীগের দখলে। গাজীপুর থেকে আওয়ামী লীগের দুজন মন্ত্রীও রয়েছেন। এইসব আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, মন্ত্রীরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কি করেছেন? - এটাই প্রশ্ন। গাজীপুর সিটি নির্বাচন বিষয়ে এইসব আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদেরকেও দলীয় সভাপতির দপ্তরে তলব করা প্রয়োজন।

গাজীপুর নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির অব্যাহত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে আজ শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে আট দিনের কর্মসূচি শুরু করছে দলটি।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই শান্তি সমাবেশ দুপুর আড়াইটায় শুরুর কথা রয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

এ ছাড়া শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, এস এম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা বক্তব্য দেবেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। শান্তি সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। প্রায় একই সময় থেকে শান্তি সমাবেশ করে আসছে আওয়ামী লীগ। তবে দলটির নেতাদের দাবি এগুলো পাল্টা কোন কর্মসূচি নয়, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে জনগণকে নিয়ে মাঠে রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংবাদ নির্বাচন পর্যন্ত এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   রাজনীতি   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন ভিসানীতি ভোগাস, সব ফাঁকা আওয়াজ: নাজমুল আলম

প্রকাশ: ১০:২৩ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন ভিসানীতি ভোগাস, সব ফাঁকা আওয়াজ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।

তিনি বলেন, ‘ভিসানীতি ভোগাস। সব ফাঁকা আওয়াজ, মাঠ অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা। লবিস্টের ফিস হালাল করার পাঁয়তারা।’

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সিদ্দিকী নাজমুল আলম এসব কথা বলেন।

এর আগে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর আনুষ্ঠানিক ভিসানীতি প্রয়োগে প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিবৃতিতে ম্যাথিউ মিলার বলেন, পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় তার সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

ভিসানীতির আওতায় চিহ্নিত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অতিরিক্ত ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে। 

এর মধ্যে বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিদেশে নিলেই কি বেগম জিয়ার সঠিক চিকিৎসা সম্ভব?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি হয়েছে। তাকে এখন এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার লিভারে পানি জমছে এবং এই পানি বের করতে হচ্ছে। পানি বের করতে গেলে তিনি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছেন। তখন তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এছাড়াও তাঁর হিমোগ্লোবিনও কমে গেছে। লিভার সিরোসিস এর কারণে এই ধরনের রোগীদের যে চিকিৎসা দেওয়া দরকার সব চিকিৎসাই এভারকেয়ার হাসপাতালে আছে। তবে বিএনপির চিকিৎসক এবং বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন যে, তার লিভার সিরোসিস এর চিকিৎসার জন্য লিভার প্রতিস্থাপন করা দরকার। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, ৭৮ বছর বয়সী একজন প্রবীণ মানুষের জন্য লিভার প্রতিস্থাপনের মতো জটিল কাজটা কতটুকু করা সম্ভব এবং এটি কতটা নিরাপদ সেটি আলোচনার দাবি রাখে।

একাধিক প্রবীণ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা এই বয়সে এবং এরকম শারীরিক অবস্থায় লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পক্ষপাতী নন। তাছাড়া লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার ক্ষেত্রে একজন ডোনার লাগে। সেই ডোনারের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার লিভারের ম্যাচিং করাতে হবে। সেই ম্যাচিং এর কাজটিও এখনও করানো হয়নি। তাছাড়া শুধুমাত্র লিভার সিরোসিস নয়, বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে এবং পাকস্থলীতে পানি জমার কারণে তার হৃদপিণ্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এছাড়া তার কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে। পুরোনো আথ্রাইটিস এখন বেড়ে গেছে। এত কিছু রোগ শোকের জন্য শুধুমাত্র লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে তাকে সুস্থ করা যাবে—এমন ভাবনা বিজ্ঞান সম্মত নয় বলেই মনে করছেন অনেক চিকিৎসকরা। বরং চিকিৎসকরা মনে করছেন যে, তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে আস্তে আস্তে চিকিৎসা দেওয়াটাই শ্রেয়। 

৭৮ বছর বয়সী একজন মানুষকে সার্জারি বা লিভার প্রতিস্থাপনের মতো জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতিতে নিয়ে গেলে তার আরও ঝুঁকি বাড়বে। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল যথেষ্ট নয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। তারা মনে করেন যে, বিশ্বের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে যেরকম চিকিৎসা দেওয়া দরকার সেরকম চিকিৎসা এভারকেয়ার হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে।

লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়টি নিয়ে তারা বলছেন যে, এটি একজন পেশেন্টের অভিভাবক বা তার অ্যাটেনডেন্টদের সিদ্ধান্তের বিষয়। তারা যদি মনে করেন যে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকি তারা নিতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে তারা বিদেশ নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রস্তুতি গুলো দরকার সেই প্রস্তুতিও বিএনপি বা বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। তাহলে কি বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার বিষয়টি একটি রাজনৈতিক স্লোগান? সরকারের ওপর দায় চাপানোর কৌশল হিসেবেই এই চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বলা হচ্ছে?

অনেকেই মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং তার সম্ভাব্য অনাকাঙ্খিত পরিণতিকে ঘিরে একটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় বিএনপি। এবং সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি করার প্রধান লক্ষ্য হলো সরকারকে এর দায় দেওয়া। আর সেই দায় দেওয়ার জন্যই কি তাহলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?

বেগম খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারা এখন বিএনপির পরামর্শক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আবেদনিক অর্থে তারা সুশীল বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। মুক্তবুদ্ধি চর্চা করেন, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক এবং সমাজ দর্শনকে উর্ধ্বে তুলে ধরেন, একটি সাম্য ভিত্তিক এবং সুশাসনের রাষ্ট্র চান। কিন্তু তারাই এখন আবার বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক শক্তির মদদ দাতা এবং উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীকে ইন্ধন দিচ্ছেন। তারাই এখন বিএনপির পরামর্শক হয়েছেন। বাংলাদেশের সুশীল সমাজের এই দ্বৈত আচরণ আবার নতুন করে সামনে এসেছে। বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি বড় পরিচয় ছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতার চেতনাকে তারা উর্ধ্বে তুলে রাখতে চায় এবং এগিয়ে নিতে চান। আর এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হোক, বাংলাদেশে ধর্মীয় উন্মাদনা যেন সৃষ্টি না হয়, সাম্প্রদায়িক শক্তির যেন বিষ বাষ্প ছড়াতে না পারে এরকম একটি পরিবেশ পরিস্থিতি চান। কিন্তু ইদানিং তারা বিএনপির সমর্থক হয়েছেন। 

প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, সুশীলরা বিএনপির সমর্থক হলে অন্যায় কোথায়? তারা কি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে পারেন না? উত্তর হলো যে, বিএনপির রাজনৈতিক যে আদর্শিক চর্চা এবং বিএনপির যে আদর্শগত অবস্থান তা সুশীল বুদ্ধিজীবীদের নৈতিক অবস্থানের বিপরীত। কারণ বিএনপি কখনোই অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চেতনা বিশ্বাস করে না। বিএনপি ক্ষমতায় এসেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছিল। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করে বা বিএনপিতে সাম্প্রদায়িক নেতার সংখ্যা কম না। তাছাড়া বিএনপি, জামায়াত এবং অন্যান্য উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীকে প্রকাশ্যে এবং গোপনে মদদ দেয় এবং তাদেরকে সমর্থন করে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে যে সমস্ত ব্যক্তিরা বিএনপিকে সমর্থন করছেন তারা প্রকারন্তে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন বা ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধেই অবস্থান নিচ্ছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। 

বাংলাদেশের সুশীল বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা আলোচিত এবং সমালোচিত তারা বিভিন্ন সময় বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কখনো তারা রাজনৈতিক দলের দূরত্ব থেকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেছেন। কিন্তু এখন তারা বিএনপি এবং প্রকারন্তে জামায়াতকেও সমর্থন দিচ্ছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে এই স্ববিরোধী অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং সেখানকার একজন কর্মী এলানের দণ্ডাদেশের কারণে। এই দণ্ডাদেশটি দিয়েছে আদালত এবং এটি অনস্বীকার্য যে অধিকার হেফাজতের তাণ্ডবের পর সমাবেশে যে মৃত্যুর সংখ্যা বলেছিল তা পরিকল্পিত, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সরকার ব্যবস্থাকে বিপদে ফেলার একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। এটি কোনভাবেই একটি উন্নয়ন সংস্থা বা মানবাধিকার সংস্থার কাজ হতে পারে না। বরং তারা সাম্প্রদায়িক বিষ বাষ্প উস্কে দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি বড় অংশ যারা সেকুলার রাজনীতির কথা বলেন তারা এই অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।

অধিকার বিতর্কিত আরও একটি কারণে। তা হলো তারা যেমন হেফাজতের তাণ্ডবকে সমর্থন করে তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছিল। হেফাজতের তাণ্ডবের সময় যারা সেই সময় হেফাজতের তাণ্ডব, নারীর ওপর লাঞ্ছনার নিন্দা করেছিলেন তারাই এখন আবার অধিকার এবং আদিলুর রহমানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাহলে কি সুশীলরা নিজেদের স্বার্থেই সবকিছু করতে পারেন? নিজেদের স্বার্থের জন্যই তারা এখন আওয়ামী লীগ বিরোধী প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছেন।

অধিকার   আদিলুর রহমান খান   সুশীল সমাজ   বিএনপি   অসাম্প্রদায়িক চেতনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কথা পরিষ্কার, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না: ফখরুল

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা রাস্তায় নেমেছি, পদযাত্রা করেছি, রোডমার্চ করছি। জনগণকে নিয়ে মাঠে আছি। কথা পরিষ্কার-শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।’

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একদফা দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার কাউকে ভোট দিতে দেয় না। সব কিছু জোর করে কেড়ে নেয়। বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশ যখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছে, তখন সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে যাচ্ছে। কীসের সংবিধান, যেটা তোমরা কাটাছেঁড়া করে শেষ করে দিয়েছ।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি টিম এসেছিল যে দেশে নির্বাচনের ব্যবস্থা কেমন, তা দেখতে। তারা বসেছিল দেশের রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, পত্রিকার সম্পাদক ও জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে। তারা বলেছিল, দেশে গিয়ে বলব-এ দেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবো কিনা। তারা কী বলেছে? তারা বলেছে-বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তাই তারা পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবে না। এ কথা বিশ্বের সবাই জানে, এমনকি জাতীয় পার্টি বলেছে, যদি সরকার পদত্যাগ না করে, তবে এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মা-বোনেরা জেগেছে, তারা এ সরকার আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দয়া করে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচন দিন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা তো বেশি কিছু চাইনি। শুধু চেয়েছি, সরকারকে পদত্যাগ করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   এক দফা আন্দোলন   সরকার পতন আন্দোলন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন