জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আমেরিকার ভিসা নীতি আমরা ইতিবাচক ভাবেই দেখছি। কারণ, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান। যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত থাকেন অথবা নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে পারেন ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের স্বার্থ থাকে। তাদের কারো সন্তান লেখাপড়া করে আবার কেউ অবসরে ঐসব দেশে বসবাস করতে চান। তাই কেউই চাইবেন না তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হন। একারণেই, নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্থ করতে বা অনিয়ম করতে তারা দ্বিধাগ্রস্থ হবেন। আমেরিকার ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমেরিকা যথেষ্ট আন্তরিক। আমেরিকার ভিসা নীতি কতটা বাস্তবায়ন হয় বা কার্যকর হয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’
মঙ্গলবার (৩০ মেস) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সচিব-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল মনে করে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করেছে। সবাই বিশ্বাস করে, নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকার নির্বাচন করছেন। এতে অন্য কোনো দলের কিছু করার ক্ষমতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। যারা বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তারা নির্বাচনে না এলেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই সরকারের উচিত হবে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিতে বিদেশীদের প্রভাব অনেক বেশি। আমরা বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভরশীল। তাই বিদেশীদের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ আছে। আবার, আমরা নিজেরা অনেক বিষয়ে সমাধানে আসতে পারি না। এমন অবস্থায়, আমাদের দেশে যাদের বিনিয়োগ আছে তারা তাদের স্বার্থেই প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করে। সেই সুযোগটা আমরাই তৈরী করে দিচ্ছি। আমরা নিজেরা মিমাংসা করতে পারলে কেউই মাথা ঘামানো প্রয়োজন মনে করবে না।’
তিনি বলেন, ‘জবাবদিহিতা মূলক সরকার হলে সবাই নিশ্চিত মনে কাজ করতে পারেন। জবাবদিহিতা থাকলে একটা আইন, শৃংখল ও নীতি থাকে। কে কী করতে পারবেন আর কী পারবে না তা নিশ্চিত করা থাকে। যখন জবাবদিহিতাহীন সরকার তৈরী হয় তখন কোন গাইডলাইন থাকে না। আমরা সবাই একমত হলে বিদেশীরা কখনোই নাক গলাতে চেষ্টা করতো না, আবার চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারতো না।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ বিএনপি
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি আন্দোলন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
বিএনপি আন্দোলন এক দফা সুশীল সমাজ
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশি নেওয়ার দাবীতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল দলটি। ইতোমধ্যে সেই ৪৮ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হয়েছে। বিএনপির এ আল্টিমেটামে কোনো সাড়া দেয়নি সরকার। এখন বিএনপি কি করবে সেই প্রশ্নটি সামনে এসেছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আরও কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
সরকারের
পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে,
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে
হলে আদালতের মাধ্যমে জামিন নিতে হবে। শর্তযুক্ত
মুক্তিতে তাকে বিদেশে পাঠানো
কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
অন্যদিকে
বিএনপি নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়া যে অত্যন্ত
অসুস্থ, সরকার তা কর্ণপাত করছে
না। সে কারণে দলের
পক্ষ থেকে সরকারকে ৪৮
ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া
হয়েছিল। তারপরও সরকার সাড়া দেয়নি। ফলে
বর্তমানে খালেদা জিয়া যেভাবে হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন, সেটিই চালিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি তার
মুক্তির দাবিতে নতুন করে কর্মসূচি
দেওয়া হতে পারে। যদিও
কর্মসূচির বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়।
একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা
হবে।
বিএনপির
বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময়ের
ব্যাপারে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি
কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী
খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তযুক্তভাবে স্থগিত
করা হয়েছিল। তাই তাকে বিদেশে
পাঠানোর ব্যাপারে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর
কিছু করার নেই।
এদিকে
চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো নয়। ওষুধ
দিয়ে তার রোগ যতটুকু
নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেই
চেষ্টাই করে যাওয়া হচ্ছে।
তারপরও মাঝে-মাঝে তার
অসুস্থতা মারাত্মক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আসলে,
তার মূল সমস্যা হচ্ছে
লিভার জটিলতা। এটির কারণে অন্যান্য
রোগগুলো অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের
বাইরে চলে যায়। তখন
অনেক সময় ওষুধেও কাজ
হয় না।
খালেদা
জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম
বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে।
কোনো উন্নতি নেই।
তিনি
বলেন, ম্যাডামের এখন মূল সমস্যা
হচ্ছে লিভারের জটিলতা। এটির সঙ্গে সংযুক্ত
অন্যান্য রোগগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আসলে
তাকে দেশে চিকিৎসা দেওয়ার
মতো কিছু বাকি নেই।
কেননা, তার চিকিৎসার জন্য
যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার, সেসব দেশে নেই।
ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে আরও
উন্নত সুবিধা সংবলিত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে (অ্যাডভান্সড সেন্টার) নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া
অতি জরুরি।
গত ৯ আগস্ট রাতে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে
এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর
থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে তাকে দুইবার করোনারি
কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।
গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার
এনজিওগ্রাম করা হলে তার
হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।
এর একটিতে রিং পরানো হয়।
এছাড়া খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে
আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন।
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস সময় রয়েছে। নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা আশাবাদী। তারা বলছেন, নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বড় ধরনের চমক দেবে। কি সেই চমক তা নিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে।
এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করেছিল বিএনপি তিন মাস আগে। কিন্তু এক দফা আন্দোলন ঘোষণার পর বিএনপি আন্দোলন জমাতে পারছে না। আন্দোলনের সনাতন পদ্ধতির বদলে বিএনপি জনসংযোগ মূলক কর্মসূচি করছে। বিএনপির নেতারাই বলছেন, আন্দোলন জমছে না। জনগণ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে না। শুধু বিএনপির মধ্যেই হতাশা নয় বরং বিএনপিকে যারা আন্দোলনের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছিলো সেই সুশীল সমাজ এবং কিছু কিছু বিদেশি কূটনীতিকরাও বিএনপির আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি দেখে হতাশ। মূল পরিকল্পনায় বিএনপি পার্শ্ব চরিত্র।