ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিকে সুশীলদের আল্টিমেটাম

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩১ মে, ২০২৩


Thumbnail

আন্দোলন জমাতে পারছে না বিএনপি। সরকারের বিরুদ্ধে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর নেই। জনমনে অনিশ্চয়তা, আতঙ্কও নেই। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচন করতে সরকারকে বেগ পেতে হবে না। আর তাই বিএনপিকে দ্রুত আন্দোলনে গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে সুশীলরা। পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে রাষ্ট্র মেরামত কাঠামো চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া এবং জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করার জন্য চাপ দিচ্ছে সুশীলরা। আর এটি না হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সহানুভূতি প্রত্যাহার হয়ে যেতে পারে এমন কথাও বলছেন সুশীলরা।

সাম্প্রতিক সময়ে সুশীলদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের একাধিক গোপন বৈঠক হচ্ছে। এ সমস্ত বৈঠকগুলোতে কিভাবে সরকারকে হটিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা যায় সে সুশীলরা ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দকে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান সহ ৫জন বিএনপির নেতার সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, বুদ্ধি পরামর্শ দিচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ একেবারে পুরোপুরি বিএনপি। যেমন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আসিফ নজরুল এরা পরোক্ষভাবে বিএনপির রাজনীতি করে এবং বিএনপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত। আবার কেউ কেউ আছে যারা বিএনপির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন, তবে আওয়ামী লীগ বিরোধী হিসেবে তারা পরিচিত। এরা যেকোনো মূল্যে দেশে একটি অনির্বাচিত সরকারকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এরা সবাই এখন বিএনপিকে মদদ দিচ্ছে এবং বিএনপিকে আন্দোলন তীব্র করার ঘোষণা দিচ্ছে। আর সে কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলন গুলো চলছে সেই আন্দোলনগুলোর ওপর কড়া নজর রাখছেন সুশীলরা। তারা মনে করছেন যে এখন যদি তী্রব বেগবান আন্দোলন না করা যায় তাহলে পরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। 

গত বছরে ডিসেম্বরে টার্গেট দিয়েছিল সুশীলরা। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়েছিল। বিএনপি তাদেরকে আশ্বস্ত করেছিল যে ডিসেম্বরের মধ্যেই আন্দোলনের একটা চূড়ান্ত রূপ তারা দেখতে পাবে। কিন্তু ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে ঢাকা অচল করে দেয়ার যে পরিকল্পনা তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃঢ়ায় ভেস্তে হয়ে যায়। আর এরপর পরই বিএনপি আবার নতুন করে সংঘটিত হয় এবং আন্দোলন শুরু করার চেষ্টা করে। কিন্তু সুশীলরা যেরকম ভাবে আন্দোলন চাচ্ছেন জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে একটি অস্থির অবস্থা দেশে তৈরি হোক এমনটি চাচ্ছেন। কিন্তু সেই অবস্থাটি তৈরি হচ্ছে না।

ফলে সুশীলরা এখন বিএনপির ওপরই বিরক্ত হয়েছে। কারণ তারা মনে করছেন যে দেশে যদি একটি অনির্বাচিত সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে হয় তাহলে রাজপথে বড় ধরনের ঘটনা ঘটাতে হবে, একটি উত্তেজনা তৈরি করতে হবে। রাজপথে উত্তেজনা এবং ঘটনা না ঘটিয়ে কোনো অবস্থাতেই বড় ধরনের আন্দোলন করা সম্ভব নয়। আর তাই দেশের সুশীল সমাজরা এখন বিএনপিকে বেশি করে তাগদা দিচ্ছে। তবে বিএনপির মধ্যে আন্দোলন এবং নির্বাচনের ব্যাপারে দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে। আন্দোলনের ফসল কার ঘরে উঠবে? আরেকটি এক-এগারো আসলে বিএনপি লাভ না ক্ষতি হবে ইত্যাদি জটিল অঙ্কের হিসেব-নিকেশে ব্যস্ত এখন বিএনপি। তাই শেষ পর্যন্ত সুশীলদের প্রস্তাব অনুযায়ী ধ্বংসাত্মক, জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতিতে বিএনপি আবার ফিরে যাবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। 

বিএনপি   সুশীল   আন্দোলন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রস্তুত আওয়ামী লীগ, সময়মতোই খেলা হবে: ডা. মুরাদ

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, জামায়াত-বিএনপিকে প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে। সময়মতোই খেলা হবে। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে  তিনি এ কথা বলেন। 

‘বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের’ প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদ। বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বের হয়ে শিমলা বাজারসহ প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা চত্বরে পথসভায় মিলিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডা. মুরাদ হাসান।

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য কখনোই পূরণ হবে না।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের নির্দেশ দেন। পরে অশালীন ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যের ঘটনায় তাকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ডা. মুরাদ হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগে বড় চমক দেবে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস সময় রয়েছে। নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা আশাবাদী। তারা বলছেন, নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বড় ধরনের চমক দেবে। কি সেই চমক তা নিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা একটা বিষয়ে একমত যে, বর্তমান রাজনৈতিক অচল অবস্থা কাটানো দরকার। এই অচল অবস্থা কিভাবে কাটতে পারে তা নিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে নানা রকম আলাপ আলোচনা আছে। অনেকেই বলছেন, প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা এবং সংলাপ প্রয়োজন। যেমনটি হয়েছিল ২০১৮ নির্বাচনে। ২০১৪ নির্বাচনের আগেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে সংলাপের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সংলাপের প্রস্তাব বেগম জিয়া প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এবার কি তেমন কিছু হবে?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য হলো আগামী নির্বাচন করা এবং সেই নির্বাচন যেন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক  ভাবে গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য আওয়ামী লীগ সবকিছুই করবে। আর তাই নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বেশ কিছু বড় ধরনের চমক আসতে পারে। তবে কি ধরনের চমক সেটি সম্পর্কে কেউই জানেন না। কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক এই নিয়ে অনুমান করতে পারেন।

১. বিরোধী দলের সাথে সংলাপ: প্রতিটি নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। যদিও এই সংলাপের আগে বলা হয়েছে, আমরা এ ধরনের সংলাপ করবো না, কিসের সংলাপ ইত্যাদি। কিন্তু একটা সময় নাটকীয় ভাবে সংলাপের প্রস্তাব লুফে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালের কথাই যদি আমরা ধরি সেই সময় ড. কামাল হোসেন সরকারের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কিসের আলোচনা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় এই প্রস্তাবটি লুফে নিয়েছিলেন এবং গণভবনে সবাইকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। ওই আলাপ আলোচনার ভিত্তিতেই নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হয়। এবার যদিও সংলাপ নিয়ে একটি নেতিবাচক অবস্থান রয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংলাপ হবে এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগকে দৃশ্যত বিএনপির সঙ্গে একটি সমঝোতার চেষ্টা দেখাতেই হবে।

আওয়ামী লীগ আন্তরিক ভাবে চেয়েছিল বিএনপি নির্বাচনে আসুক। তাদেরকে সমঝোতার জন্য ডাকা হয়েছিল, সংলাপের জন্য ডাকা হয়েছিল কিন্তু তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। এটি যদি আওয়ামী লীগ প্রমাণ করতে পারে তাহলে সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের জন্য বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করার পথ প্রশস্ত হবে। আর সে কারণেই আওয়ামী লীগের বড় চমক হতে পারে যে সংলাপের জন্য বিএনপিকে প্রস্তাব দেওয়া বা এ ধরনের প্রস্তাবকে প্রশ্রয় দেওয়া। 

২. সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা: নির্বাচনের তফসিলের আগেই সরকার তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য চেষ্টা করবে এবং এটি একে নাটকীয় সিদ্ধান্ত হতে পারে। অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসছে এখন শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার রদবদল করবেন না। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রগুলো মনে করছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে সরকারের ইমেজ পুনরুদ্ধার বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ইত্যাদি নানা বিষয়ের দিকে সরকার নজর দিবে এবং একটি নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রিসভায় বা সরকারের ভিতর বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে এবং সেটি হবে একটি বড় ধরনের চমক। 

৩. মনোনয়নের ব্যাপারে নাটকের সিদ্ধান্ত: আগামী জাতীয় সংসদের মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যারা বিতর্কিত, যারা অজনপ্রিয় তাদেরকে বাদ দিয়ে এমন জনপ্রিয় ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনের মাঠে নামাতে পারে তা যা দেখে ভোটাররা উৎসাহিত হয় এবং ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়। এরকম একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া দিতে পারে বলেই অনেকে ধারণা করছে। তবে কি ধরনের চমক হবে বা কি ধরনের নাটকীয়তা হবে সেটি বড় বিষয় না। আওয়ামী লীগ অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটা রাস্তা খুঁজে বের করবে।

নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কয়েক দিনের মধ্যে দেশের ভাগ্য নির্ধারণ হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কয়েক দিনের মধ্যে দেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আগামী দিনের দেশ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে আগামী কয়েক দিনের ওপর। 

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আ স ম হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এ স্মরণসভা হয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। সেই কারণে এদেশের কোনো মানুষ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। সমস্ত রাজনৈতিক দল একই কথা বলছে। তারপরও দেখেন এই আওয়ামী লীগ সরকার কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে, তারা দল ভাঙ্গার চেষ্টা করে। আমাদের দল যাদের বহিষ্কার করেছিল তাদের দিয়ে। এগুলো করে লাভ হবে না। মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। মানুষ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চায়। এই দাবিতে আমরা রাজপথে আছি। যতই নির্যাতন করুক আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।

সংগঠনের আহ্বায়ক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মজিবুর রহমানের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা বেনজির আহমেদ টিটু, হুমায়ুন কবির খান, কৃষক দলের ওমর ফারুক শাফিন, প্রয়াত হান্নানশাহ’র পুত্র শাহ রিয়াজুল হান্নান, ডিইউজের একাংশের সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   আন্দোলন   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আন্দোলন জমছে না কেন

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করেছিল বিএনপি তিন মাস আগে। কিন্তু এক দফা আন্দোলন ঘোষণার পর বিএনপি আন্দোলন জমাতে পারছে না। আন্দোলনের সনাতন পদ্ধতির বদলে বিএনপি জনসংযোগ মূলক কর্মসূচি করছে। বিএনপির নেতারাই বলছেন, আন্দোলন জমছে না। জনগণ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে না। শুধু বিএনপির মধ্যেই হতাশা নয় বরং বিএনপিকে যারা আন্দোলনের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছিলো সেই সুশীল সমাজ এবং কিছু কিছু বিদেশি কূটনীতিকরাও বিএনপির আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি দেখে হতাশ। মূল পরিকল্পনায় বিএনপি পার্শ্ব চরিত্র।

সুশীল সমাজ এবং কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা বিএনপিকে বলেছিল যে আন্দোলন তীব্র করতে হবে, জোরালো করতে হবে, তাহলেই অন্যদিক থেকে চাপ আসবে। আর এই দ্বিমুখী চাপে সরকার স্যান্ডউইচ হবে। কিন্তু বাইরে থেকে যে চাপগুলো আসছে সেই চাপের সাথে তাল মেলাতে পারছেন না বিএনপি। বিএনপির মধ্যে কর্মসূচি নিয়ে দ্বিধা, দ্বন্দ্ব, নানা রকম টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে। ফলে এই সমস্ত কর্মসূচিগুলো এখন কর্মী সমাবেশে পর্যবেসিত হচ্ছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যই স্বীকার করেছেন যে, আন্দোলনের প্রধান সমস্যা হলো, তারা জনগণকে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করছেন না। তারা ধারণা করেছিলেন যে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে জনগণ সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির আন্দোলনে যুক্ত হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে,মানুষের মধ্যে ক্ষোভ অসন্তোষ আছে বটে কিন্তু তা বিএনপি পকেট ভর্তি করতে পারছে না। বিএনপির এই ব্যর্থতার জন্য আন্দোলন জমছে না। তাছাড়া বিএনপির একটা বড় সমস্যা হলো সাংগঠনিক দুর্বলতা। দীর্ঘ সতেরো বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে দলটি। বিএনপির জন্মই হয়েছিল ক্ষমতার গর্ভে। কাজেই সবসময় ক্ষমতার হালুয়া রুটি খাওয়া নেতাকর্মীরা যে এখনো অটুট আছে, এখনো যে বিএনপি ভাঙ্গেনি এটাকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা একটা বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন। 

তারা বলছেন যে, আন্দোলন করার মত যে কৌশলগত দক্ষতা দরকার তা বিএনপির নেই। কারণ একক ভাবে কখনো আন্দোলন করে বিএনপি জয়ী হতে পারেনি। নব্বই এর গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগের পার্টনার হিসেবে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল। আর চৌদ্দ এবং পনেরোতে আন্দোলন করে বিএনপি সফল হতে পারেনি। তাই মাঠের আন্দোলনের অনভ্যস্ততার কারণে বিএনপি আন্দোলন জমাতে পারছে না বলে কেউ কেউ মনে করেন। তাছাড়া বিএনপির নেতৃত্বের সংকট এবং একজন নেতা যিনি জনগণকে উদ্বেলিত করবে, তার অভাব আন্দোলনের মুখ থুবড়ে প্রভাব পরার অন্যতম কারণ। 

নব্বইয়ের এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির অবিসংবাদিত নেতা। তার জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন বিএনপিতে সেরকম জনপ্রিয় নেতা নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত। কিন্তু জাতীয় ভাবে তার জনপ্রিয়তা বা ওই মাপের জাতীয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সক্ষমতা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। অন্য নেতাদেরও অবস্থা তাই। 

বিএনপি মূলত একটি পরিবার কেন্দ্রিক দল। বেগম খালেদা জিয়ার পর তারেক জিয়াই বিএনপির প্রধান নেতা। কিন্তু তারেক জিয়া এখন পলাতক জীবন যাপন করছেন। লন্ডনে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে নেতৃত্ব একটা বড় ফ্যাক্টর। একজন নেতার নির্দেশে বা নেতার প্রতি আনুগত্যে মানুষ উদ্বেলিত হয়। এইরকম কোনো নেতা বিএনপিতে নাই। সবকিছু মিলিয়ে বিএনপির আন্দোলন শুধু রোডমার্চ আর সমাবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে। এরকম আন্দোলন করে আর যাই হোক সরকারকে চাপে ফেলা যাবে না। এটা বিশ্বাস করছেন বিএনপির নেতারাও।

বিএনপি   আন্দোলন   এক দফা   সুশীল সমাজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ, এবার কী করবে বিএনপি?

প্রকাশ: ০৯:২৭ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশি নেওয়ার দাবীতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল দলটি। ইতোমধ্যে সেই ৪৮ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হয়েছে। বিএনপির এ আল্টিমেটামে কোনো সাড়া দেয়নি সরকার। এখন বিএনপি কি করবে সেই প্রশ্নটি সামনে এসেছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আরও কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হলে আদালতের মাধ্যমে জামিন নিতে হবে। শর্তযুক্ত মুক্তিতে তাকে বিদেশে পাঠানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়া যে অত্যন্ত অসুস্থ, সরকার তা কর্ণপাত করছে না। সে কারণে দলের পক্ষ থেকে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও সরকার সাড়া দেয়নি। ফলে বর্তমানে খালেদা জিয়া যেভাবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, সেটিই চালিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি তার মুক্তির দাবিতে নতুন করে কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। যদিও কর্মসূচির বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা হবে।

বিএনপির বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময়ের ব্যাপারে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। তাই তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।

এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো নয়। ওষুধ দিয়ে তার রোগ যতটুকু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেই চেষ্টাই করে যাওয়া হচ্ছে। তারপরও মাঝে-মাঝে তার অসুস্থতা মারাত্মক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আসলে, তার মূল সমস্যা হচ্ছে লিভার জটিলতা। এটির কারণে অন্যান্য রোগগুলো অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন অনেক সময় ওষুধেও কাজ হয় না।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে। কোনো উন্নতি নেই।

তিনি বলেন, ম্যাডামের এখন মূল সমস্যা হচ্ছে লিভারের জটিলতা। এটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য রোগগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আসলে তাকে দেশে চিকিৎসা দেওয়ার মতো কিছু বাকি নেই। কেননা, তার চিকিৎসার জন্য যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার, সেসব দেশে নেই। ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে আরও উন্নত সুবিধা সংবলিত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে (অ্যাডভান্সড সেন্টার) নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া অতি জরুরি।

গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে তাকে দুইবার করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।

গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এছাড়া খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন