প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৫ টায় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে রাজধানী ঢাকায় এই আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’- শীর্ষক বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
সমাবেশে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এত বড় বাজেট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখছেন। এ বাজেট মানবতার বাজেট, এ বাজেট মানুষের অধিকারের বাজেট, এ বাজেট মানুষের কল্যাণের বাজেট। এ বাজেটকে সামনে রেখে একটি কুচক্রীমহল মানুষের মনে নানা ধরনের ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। মনে রাখবেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এই উন্নয়নমুখী বাজেট নিয়ে যদি জামায়াত-বিএনপি ও কুচক্রীমহলের লোকেরা কোনো ধরণের ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে যুবলীগ।’
নিখিল বলেন, ‘যদি একজন দক্ষ, সৎ নিষ্ঠাবান মানুষের হাতে দেশ থাকে, সে দেশ সম্মানের সাথে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবেই; সেটি আজ প্রমাণিত। আজকের বাজেটকে সারা দেশের যুবসমাজ স্বাগত জানাচ্ছে। এই বাজেটে দেশের সাধারণ মানুষ আনন্দিত, উৎফুল্লিত। প্রতিটি মানুষ এই বাজেটের মাধ্যমে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করছেন। আজকের এই আনন্দ মিছিল থেকে সারা দেশের যুবসমাজের পক্ষ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি স্মার্ট বাজেট পেশ করায় মানবিক প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও অভিবাদন জানাচ্ছি।’
সমাবেশ এবং আনন্দ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাবিবুর রহমান পবন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আবদুর রহমান, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, সহ-সম্পাদক বাবলুর রহমান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. শওকত হায়াত, ইঞ্জি. মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, বজলুল করীম মীরসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।