ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের ওপর বারবার আঘাত, হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ-খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়? আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না।’

শনিবার (৩ জুন) বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, আওয়ামী লীগ ইনস্টিটিউটের মতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদেশের উন্নতি হয়, এটাই বাস্তব। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়েই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ নামক সংগঠন এদেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সব সময় ভূমিকা পালন করেছে।’ 

সরকার প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের কল্যাণ হয়। মানুষের কল্যাণে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা যেসব কাজ করি, আওয়ামী লীগ যেসব পরিকল্পনা নেয়, প্রকল্প নেয়, তা সুপরিকল্পিতভাবেই করা হয়। আমাদের মাটি, মানুষ, পরিবেশ, আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক অবস্থা, সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা প্রকল্প গ্রহণ করি। তার ফলে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পই সাফল্য অর্জন করে। মানুষ তার সুফল পায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ এর বাংলাদেশ কী ছিল, এখন বাংলাদেশ কী অবস্থায় আছে, কেউ তুলনাটা বিবেচনা করলেই পরিবর্তনটা দেখতে পারবেন। একই দিনে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করা, এটা কী কোনো সরকার আগে করেছে, পারেনি। কে পেরেছে? আওয়ামী লীগ। আজকে আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, এখন আমাদের বেকারত্ব মাত্র ৩ শতাংশ। সেটাও থাকবে না। যদি কেউ উদ্যোগ নেয় সেও কাজ করতে পারবে। আমরা সেই ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছি। আমাদের গ্রামের অর্থনীতি অনেক মজবুত। গ্রামের দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কৃষকদের আমরা সব ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছি, দুই কোটি ১০ লাখ কৃষককে কার্ড দিয়েছি। ভর্তুকির টাকাটা তার ব্যাংকে চলে যায়। ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। এক কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ১৪৩ জন কৃষক পুরো বাংলাদেশে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এখন তারা সেখানে বসে টাকা পেয়ে যায়। ধান কাটার মৌসুমে মানুষ পাওয়া যায় না, মজুরের দাম বেড়ে গেছে। আমি আহ্বান করেছি আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মাঠে চলে গেছে, কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে।’  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ শতভাগ দিতে পেরেছি, এখন যেহেতু তেলের দাম বেড়ে গেছে, গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে, কয়লার দাম বেড়ে গেছে, কয়লাও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে এক সময় যারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা করেছিল, তারাই এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। তার কারণে কয়লা কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে। আমি জানি মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে, আমরা তো লোডশেডিং একেবারে দূর করে দিয়েছিলাম, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ যদি না হতো আর করোনাভাইরাস যদি না দেখা দিতো, আজকে যদি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা না দেখা দিতো, মুদ্রাস্ফীতি না দেখা দিতো, তাহলে মানুষের কষ্ট হতো না। আজকে আমরা ভেতরে যতই চেষ্টা করি, যে জিনিসটা বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে, সেটা কষ্ট করে আমাদেরকে জোগাড় করতে হচ্ছে।’ 

জ্বালানির সুখবর জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। আমরা আরো কয়েকটা দেশের সঙ্গে করছি যাতে গ্যাস কিনতে পারি। এই কষ্ট দূর করতে পারি। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে মানুষের কষ্ট বাড়ে, বিএনপি-জামায়াতের আমলে তো বিদ্যুৎ ছিলই না। তখন মানুষ হাহাকার করত। বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণে কানসার্টে খালেদা জিয়া গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল। সারের দাবি করেছিল বলে ১৮জন কৃষক হত্যা করছিল। শ্রমিকের মজুরি দাবি করেছিল বলে ২৭ জন শ্রমিককে রোজার সময় তাদের হত্যা করেছিল।’


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদলের সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ করেছে বিএনপি। এ কর্মসূচি চলার সময় সংঘর্ষে জড়ায় দলটির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের দুটি গ্রুপ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকর্মী হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলে পড়ে। এ সময় মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংঘাত থামাতে চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে সংঘাতরত নেতাকর্মীদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। কিন্তু ততক্ষণে হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। 

জানা গেছে, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের বলয়ে যারা ছাত্রদলের রাজনীতি করেন তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পশ্চিম ছাত্রদলের জুয়েল রাজসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার নির্ধারিত বক্তব্য থামিয়ে বলেন, যারা সংঘাত করছে তারা সরকারের দালাল।

এদিকে, সমাবেশে খালেদা জিয়াকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

নয়াপল্টন   বিএনপি   সমাবেশ   ছাত্রদলের সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর বিএনপিতে পাঁচ শঙ্কা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের উল্লাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য লজ্জাজনক এবং এর জন্য শুধুমাত্র সরকার দায়ী। বিএনপির নেতাদের গতকালের কর্মসূচিতেই ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। তাদের মধ্যে একটা চাঙ্গা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে বিএনপির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শঙ্কা এবং উৎকণ্ঠাও তৈরি হয়েছে। 

বিএনপির নেতারা বলছেন যে, এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের বিরুদ্ধে কিছু কিছু চাপ তৈরি হচ্ছে এবং কিছু সমস্যাও তৈরি হতে পারে। এই সমস্যা এবং চাপ গুলোকে তারা কিভাবে মোকাবিলা করবে এটি এখন বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যে সমস্ত শঙ্কা বিএনপির মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা পর তৈরি হয়েছে তা হল-
 
১. নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। আর বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিএনপির ওপর চাপ দেওয়াটা সহজ হবে বলে বিএনপির অনেক নেতা মনে করছেন। বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র বলবে যে, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনে যদি কোন কারচুপি হয় বা অন্যরকম কোনো অনিয়ম হয় কিংবা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে। কাজেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির পর যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে নির্বাচনে আনার জন্য একটি চাপ দেবে। 

বিএনপির নেতারা স্বীকার করছেন যে, এরকম চাপটি এখন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করব। তোমরা নির্বাচনে যাও। 

২. আন্দোলনের গতিধারা নিয়ন্ত্রণ করবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা: নিষেধাজ্ঞার ফলে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না, নির্বাচন হতে দেব না, নির্বাচন প্রতিহত করা হবে ইত্যাদি কথা একেবারেই নিরুৎসাহিত করছে বিএনপি নেতারা। গতকালই বিএনপি নেতাদের কথার সুর পাল্টে গেছে। বিএনপির নেতারা গতকাল বলছেন যে, সরকার চায় না বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। এখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে যদি বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও বা সহিংস আন্দোলন করতে চায় তাহলে সেটি তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে যাবে। এর ফলে বিএনপির নেতারাই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে এবং তাদের দাবি আদায় সম্ভব হবে না। 

৩. শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন: বিএনপি মনে করছে যে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা হোক আর যাই হোক না কেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিএনপির জয়লাভের কোন সম্ভাবনা নেই। আর এ ধরনের নির্বাচন হলে যত নিরপেক্ষ নির্বাচনই হোক না কেন নির্বাচনে বিএনপির পরাজয় হবে অনিবার্য। এরকম একটি নির্বাচনে বিএনপির নেতারা অংশগ্রহণে অনাগ্রহী। বিএনপির পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে যে, শেখ হাসিনা থাকলে সেই নির্বাচন বিএনপর জন্য অর্থহীন হয়ে পড়বে। 

৪. আন্তর্জাতিক চাপ: বিএনপি মনে করছে যে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার ফলে বিএনপির ওপর আন্তর্জাতিক নানামুখী চাপ বাড়বে এবং বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করবে আন্তর্জাতিক মহল। এটি বিএনপি র স্বাধীন সক্রিয় আন্দোলনের জন্য বাধা হবে। এমনকি তারেক জিয়াও এরকম একটি পরিস্থিতির দিকে দলকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করবেন।

৫. দীর্ঘমেয়াদী অনির্বাচিত সরকার: যদি দীর্ঘ মেয়াদী একটি অনির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে সেটিও বিএনপির জন্য দুর্ভাগ্যের হতে পারে বলে অনেক বিএনপি নেতা মনে করছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন পর তারা দলকে গুছিয়ে ফেলেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে যদি আবার অনির্বাচিত সরকার আসে তাহলে তাদের জন্য সেটি হিতে বিপরীত হতে পারে। এইসব শঙ্কা নিয়েই বিএনপি এখন রাজনীতির মাঠে আছে। আপাতদৃষ্টিতে বিএনপি ভিসা নীতিতে উৎসাহী, উদ্দীপ্ত হলেও ভেতরে ভেতরে তাদের মধ্যেও এক ধরনের শঙ্কা এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা   আন্দোলন   নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিল বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আল্টিমেটাম দেন। 

তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।

এর আগে দুপুরের আগ থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন দলের নেতাকর্মীরা। ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত সপ্তাহে মাত্র চার দিনের ব্যবধানে তাকে কেবিন থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) এনে চিকিৎসা দিতে হয়।

ইতোমধ্যে তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

খালেদা জিয়া   বিএনপি   এভারকেয়ার হাসপাতাল   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   নয়াপল্টন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন ভিসানীতির পর আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নানামুখী আলাপ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব তাদের কাছে সুস্পষ্ট হচ্ছে। প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের নেতারা যাই বলুক না কেন তারা প্রকারান্তে এটা স্বীকার করছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনকে নিয়ে একটি আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আর বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করবে এবং নির্বাচনের আগে নানা রকম চাপ প্রয়োগ করবে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বশক্তি নিয়োগ করতে পারে বলেও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন।

যদিও আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। এই ভিসানীতিকে একটা রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে এর ফলে বিএনপি চাপে পড়বে—এমন উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে কর্মীদেরকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব খুব স্পষ্ট এবং এব্যাপারে তাদের অবস্থানের কোনো রকম পরিবর্তন হয়নি। এরকম পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কি করবে? 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো প্রকারে নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অটল এবং অনড় অবস্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সংবিধানকে সমন্বিত রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন যে, আগামী ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর চূড়ান্ত কৌশল নির্ধারিত হবে। তবে তার আগেই আওয়ামী লীগ একটি রূপকল্পের খসড়া তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করেই এই রূপপ্রকল্পের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যার মূল বিষয় হলো যেকোনো প্রকারে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। আওয়ামী লীগ মার্কিন ভিসানীতির পর নির্বাচনের ব্যাপারে আরও বদ্ধপরিকর এবং কৌশলী ভূমিকা নেবে বলেই বিভিন্ন নেতারা জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ যে কৌশলে এগুতে চায় তার মধ্যে তার মধ্যে রয়েছে:

১. নির্বাচনের প্রশ্নে অটল থাকা: আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে সেটি নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের সাথে মিলিয়ে কাজ করবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল যেন ঘোষণা করা হয় সেটি আওয়ামী লীগ নিশ্চিত করতে চায়।

২. বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসা: আগামী নির্বাচন যেন উৎসবমুখর অংশগ্রহণমূলক হয় সেজন্য আওয়ামী লীগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। আশার কথা যে, তৃণমূল বিএনপি গঠিত হয়েছে এবং আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের মাঠে নিয়ে আসার জন্য আওয়ামী লীগ কাজ শুরু করেছে। আর এই কর্মকাণ্ড সফল হলে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের আবহাওয়া তৈরি হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন।

৩. ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানো: আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতই বলুক যে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের ফলেই একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব, কিন্তু বিএনপিকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চায়। যে নির্বাচনে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এরকম ভোটার ভোট দিলে এই নির্বাচনকে নিয়ে নতুন কোনো প্রশ্ন উঠবে না। 

৪. বিরোধী আন্দোলনকে কৌশলে দমন করা: আওয়ামী লীগ মনে করছে যে এই নির্বাচনের আগে বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি একটা বিশৃঙ্খলা এবং অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করবে। তারা নানা রকম কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হলো জনসমাবেশ, জনসংযোগ এবং জনসম্প্রীতির মাধ্যমে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করা এবং নির্বাচনের জন্য যারা বাধাগ্রস্ত হবে তাদের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অভিযোগ উত্থাপন করা। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নুতন করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ বা অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ক্ষেত্রে এক ধরনের দ্বিধা তৈরি হবে বলে আওয়ামী লীগের ধারণা।

৫. নিরপেক্ষ নির্বাচন করা: আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে যে নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। এখানে কোনো ভাবে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পক্ষপাত হবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার সবকিছু আওয়ামী লীগ করবে। মোদ্দা কথা হলো ভিসা নিষেধাজ্ঞার শর্তে আওয়ামী লীগ একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। যে নির্বাচনটি হবে অখন্ড বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়াই।

নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশে রাজনীতিকদের হাতে ১০ হাজার অস্ত্র

প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশে সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে ১০ হাজারের বেশি লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র। লাইসেন্সধারী এসব ব্যক্তিদের তিন-চতুর্থাংশই বর্তমান সরকারি দলের সঙ্গে জড়িত। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সংখ্যায় এর পরেই আছেন বিএনপির নেতারা। বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের হিসাব রাখা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ছাত্র-শ্রম বিভাগের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে থাকা লাইসেন্সের বেশির ভাগই দেওয়া হয়েছে গত ১৪ বছরে। আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি, দলের মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি কিছু কর্মীও রাজনৈতিক পরিচয়ে আবেদন করে অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। আর বিএনপির নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন দলটি ক্ষমতায় থাকাকালে।

পুলিশের বিশেষ শাখার ফায়ার আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফএএমএস) মাধ্যমে এসব অস্ত্রের হিসাব রাখা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য দেওয়ায় কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় আবেদন মঞ্জুরের আগে দায়সারাভাবে গোয়েন্দা তদন্তও হয়। এভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কেউ কেউ যে বিপথগামী হন, এমন নজিরও আছে। মাঝে মাঝে শর্ত লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের ঘটনা খুবই কম।

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬-এর ৩২ (ঞ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বিশেষ প্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তাদের লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত আয়কর পরিশোধে বাধ্যবাধকতা থাকবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুযোগই নিচ্ছেন বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

পুলিশের বিশেষ শাখার সংশ্লিষ্ট বিভাগের সূত্র বলছে, ফায়ার আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৫০ হাজার ৩১০টি। ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৪৫ হাজার ২২৬ টি। এগুলোর মধ্যে ১০ হাজার ২১৫টি রয়েছে রাজনীতিকদের নামে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হাতে রয়েছে ৭ হাজার ২১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে ২ হাজার ৫৮৭টি এবং অন্যান্য দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে মাত্র ৭৯টি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে একনলা বন্দুক ২০ হাজার ৮০৯টি, পিস্তল ৪ হাজার ৬৮৩টি, শটগান ৫ হাজার ৪৪৪টি। বাকিগুলো দোনলা বন্দুক, রিভলবার ও রাইফেল। বিভাগভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ১৪ হাজার ৬৮৩টি। সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে, ২ হাজার ১১৮টি।

তথ্যসূত্র: দৈনিক আজকের পত্রিকা

রাজনীতিক   অস্ত্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন