ইনসাইড পলিটিক্স

আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘দেশে একটি দল আছে। সেই দল স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করছে। সেই দলের মধ্যে প্রশাসন, আর্মি এবং আইনশৃংখলা বাহিনী সবাই সদস্য। সংসদ ও সংসদের স্পিকার সেই দলের হয়েই কথা বলছেন। সবাইকে সেই দলই রক্ষা করছে। বিচার বিভাগ নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। কিছু দিন আগে সরকারি দলের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে আমরা নামিয়ে দিয়েছি। কে নামিয়ে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ নামিয়ে দিয়েছে। তার মানে বিচার বিভাগকেও ঐ দলের সদস্য হতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন সবাই ঐ দলের সদস্য হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের এবং তাদের নেতা একজন। সেই নেতা যা বলেন, সবাই তাই করেন। তাই নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু হবে? সেখানে দুর্নীতিবাজরা কিভাবে শাস্তি পাবে? কীভাবে মেধাবিরা চাকরি পাবে? সবাই দলীয় আস্তরনের মধ্যে আছে। যে নির্দেশ আসে সবাই সে নির্দেশ মেনে চলে। যেভাবে বাকশাল গঠন করা হয়েছিলো, সেভাবেই বাকশালের মত সরকার গঠন করা হয়েছে। আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থার সকল প্রতিষ্ঠান একটি দলের সদস্য হয়ে গেছে। দেশের বাকি মানুষ যেনো মানুষ নয়। সাধারণ মানুষ খেলো কি খেলো না, তা দেখার কেউ নেই। বাকশালের মত একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে স্থায়ীত্ব দেয়া হয়েছে। সামনের নির্বাচনে বাকশালের মত সরকারকে চির স্থায়ীত্ব দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। দেশে বাকশালের মত দল হয়েছে, এখানে সাধারণ মানুষের কোন স্থান নেই। সাধারণ মানুষ বিচার পায় না, সাধারণ মানুষের কথা গ্রাহ্য করা হয়না, সাধারণ মানুষ নির্বাচন করতে পারে না। সাধারণ মানুষ নির্বাচন করে জিততে পারবে না, এটাই বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করছি, আমরা নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসিনি। সরকারের কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। এক দলের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশের মানুষ বেঁচে থাকার অবলম্বন পাবে। দেশকে মুক্ত করা না গেলে হাজার হাজার কোটি টাকা আবারো বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। সরকারের বিপক্ষে সত্য কথা বললে- কোনো গণমাধ্যম প্রকাশ করতে পারে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে গণমাধ্যমের গলা টিপে রাখার জন্য। শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, আগামীতে ফাঁসির ব্যবস্থা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আইন করে, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে দেশে লুটপাটের ব্যবস্থা হচ্ছে। দেশকে বাঁচাতেই আমাদের রাজনীতি। বাজেটের কারণে সামনের দিনগুলো আরও কঠিন হয়ে উঠবে। সেজন্য সরকারের কোন প্রস্তুতি নেই। সরকার জান বাঁচাতে নির্বাচন পার করতে চাচ্ছে। তারপর তারা দেখিয়ে দেবে তারা কোথায় আর জনগণ কোথায়।’   

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সামনের দিনগুলো কেমন করে চলবে- তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারণে আয় দিয়ে সংসার চালাতে পারছে না। মধ্যবিত্তরা এখন নিন্মবিত্ত নয়, দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেট কখনোই জনবান্ধব হতে পারে না। যে ট্যাক্স বিদ্যমান আছে তাই দেশের মানুষ দিতে পারছে না। কিন্তু আরো ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। মূল্যস্ফিতি আরো বাড়বে, জিনিস পত্রের দাম আরো বাড়বে। মানুষের আয় বাড়েনি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করে তারা চাকরি হারাচ্ছে। সরকার করোনা আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দোহাই দিয়ে জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়েছে। এখন আইএমএফ এর পরামর্শে আরেক দফা বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে। সারাদেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে, এ দায় সরকারের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে কিন্তু আমাদের দেশের মতো কোনো দেশের মানুষ এত অসহায় নেই। মুল্যস্ফীতির কারণে মানুষ নিস্পেষিত হচ্ছে, সামনের দিকে হয়তো অনেকেই না খেয়ে মারা যাবে।’ 

জি এম কাদের বলেন, ‘কল-কারখানা বন্ধ হচ্ছে বিদ্যুতের অভাবে। শতভাগ বিদ্যুত দেয়ার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে লক্ষ-কোটি টাকা তসরুপ করেছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছিলো দু’শো ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বিদ্যুৎ দেয়া নয়। সরকারের তেল, গ্যাস ও কয়লা কেনার পয়সা নেই। এখন হাতে পায়ে ধরে বাকিতে গ্যাস, তেল ও কয়লা কিনতে হচ্ছে। গোঁজামিল দিয়ে দেশ চলছে। সরকারের হাতে বৈদেশিক মূদ্রা নেই। বকেয়া ঋণ পরিশোধ করলে সরকারের হাতে আর টাকা থাকবে না। এ কারণে, বিদেশ থেকে মাল আনতে পারছে না সরকার। দেশের মানুষ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেননি। কিন্তু সরকার কয়লার বিল বকেয়া রেখেছেন কেন? মানুষের দুর্দশার জন্য বর্তমান সরকার দায়ী। 

তিনি বলেন, ‘সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের নামে লাখ-কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এ কারণেই বিদ্যুৎ দিতে পারছে না সরকার। কিছু কিছু কোম্পানীর সাথে সরকার চুক্তি করেছে বিদ্যুত উৎপাদন হোক বা না হোক ডলারে তাদের পেমেণ্ট করতে হবে। এলএনজি খালাস হোক বা না হোক প্রতিদিন খালাস করার জায়গার জন্য একলাখ ডলারের বেশি দিতে হচ্ছে। এসব কোম্পানী হচ্ছে সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু পরিবারের। আমরা পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার দেখেছি এখন ২২ হাজার পরিবার সৃষ্টি হয়েছে যারা সরকারের সহায়তায় লুটপাটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে।’ 

সম্মেলনে জাতীয় পার্টি মহাসিচব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘দেশের মানুষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায় ভোটাধিকার। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। গ্রামের মানুষ দিনে ৩ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পায় না। দেশের মানুষ মুক্তি চায়। বিদ্যুতের নামে সরকার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। আবার বিএনপি বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছিলো। এই দুটি দলকে দেশের মানুষ আর চায় না।’ 

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব  ফখরুল ইমাম এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন। নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. ওমর ফারুক মিয়ার সঞ্চালনায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামীম রানা ভূঁইয়া, হাজী মো. নূরুল ইসলাম, আব্দুল কাদির কিবরিয়া, মো. দেলোয়ার হোসেন, এডভোকেট সারোয়ার মোল্লা, শফিকুল ইসলাম সুমন, এডভোকেট কামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী, মো. দেওয়ান আলী গাজী, মো. হাবিবুর রহমান, হারুন অর রশিদ হিরা, এডভোকেট আবুল হাসনাত মাসুম, মো. নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, জাকির হোসেন মৃধা। 

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হেনা খান পন্নী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল হক, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মাখন সরকার, মাসুদুর রহমান মাসুম, এম এ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট রেজাউল করিম বাছেদ প্রমুখ। 


জাতীয় পার্টি   গোলাম মোহাম্মদ কাদের   সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদলের সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ করেছে বিএনপি। এ কর্মসূচি চলার সময় সংঘর্ষে জড়ায় দলটির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের দুটি গ্রুপ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকর্মী হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলে পড়ে। এ সময় মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংঘাত থামাতে চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে সংঘাতরত নেতাকর্মীদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। কিন্তু ততক্ষণে হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। 

জানা গেছে, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের বলয়ে যারা ছাত্রদলের রাজনীতি করেন তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পশ্চিম ছাত্রদলের জুয়েল রাজসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার নির্ধারিত বক্তব্য থামিয়ে বলেন, যারা সংঘাত করছে তারা সরকারের দালাল।

এদিকে, সমাবেশে খালেদা জিয়াকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

নয়াপল্টন   বিএনপি   সমাবেশ   ছাত্রদলের সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর বিএনপিতে পাঁচ শঙ্কা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের উল্লাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য লজ্জাজনক এবং এর জন্য শুধুমাত্র সরকার দায়ী। বিএনপির নেতাদের গতকালের কর্মসূচিতেই ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। তাদের মধ্যে একটা চাঙ্গা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে বিএনপির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শঙ্কা এবং উৎকণ্ঠাও তৈরি হয়েছে। 

বিএনপির নেতারা বলছেন যে, এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের বিরুদ্ধে কিছু কিছু চাপ তৈরি হচ্ছে এবং কিছু সমস্যাও তৈরি হতে পারে। এই সমস্যা এবং চাপ গুলোকে তারা কিভাবে মোকাবিলা করবে এটি এখন বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যে সমস্ত শঙ্কা বিএনপির মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা পর তৈরি হয়েছে তা হল-
 
১. নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। আর বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিএনপির ওপর চাপ দেওয়াটা সহজ হবে বলে বিএনপির অনেক নেতা মনে করছেন। বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র বলবে যে, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচনে যদি কোন কারচুপি হয় বা অন্যরকম কোনো অনিয়ম হয় কিংবা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে। কাজেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির পর যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে নির্বাচনে আনার জন্য একটি চাপ দেবে। 

বিএনপির নেতারা স্বীকার করছেন যে, এরকম চাপটি এখন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করব। তোমরা নির্বাচনে যাও। 

২. আন্দোলনের গতিধারা নিয়ন্ত্রণ করবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা: নিষেধাজ্ঞার ফলে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না, নির্বাচন হতে দেব না, নির্বাচন প্রতিহত করা হবে ইত্যাদি কথা একেবারেই নিরুৎসাহিত করছে বিএনপি নেতারা। গতকালই বিএনপি নেতাদের কথার সুর পাল্টে গেছে। বিএনপির নেতারা গতকাল বলছেন যে, সরকার চায় না বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। এখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে যদি বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও বা সহিংস আন্দোলন করতে চায় তাহলে সেটি তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে যাবে। এর ফলে বিএনপির নেতারাই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে এবং তাদের দাবি আদায় সম্ভব হবে না। 

৩. শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন: বিএনপি মনে করছে যে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা হোক আর যাই হোক না কেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিএনপির জয়লাভের কোন সম্ভাবনা নেই। আর এ ধরনের নির্বাচন হলে যত নিরপেক্ষ নির্বাচনই হোক না কেন নির্বাচনে বিএনপির পরাজয় হবে অনিবার্য। এরকম একটি নির্বাচনে বিএনপির নেতারা অংশগ্রহণে অনাগ্রহী। বিএনপির পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে যে, শেখ হাসিনা থাকলে সেই নির্বাচন বিএনপর জন্য অর্থহীন হয়ে পড়বে। 

৪. আন্তর্জাতিক চাপ: বিএনপি মনে করছে যে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার ফলে বিএনপির ওপর আন্তর্জাতিক নানামুখী চাপ বাড়বে এবং বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করবে আন্তর্জাতিক মহল। এটি বিএনপি র স্বাধীন সক্রিয় আন্দোলনের জন্য বাধা হবে। এমনকি তারেক জিয়াও এরকম একটি পরিস্থিতির দিকে দলকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করবেন।

৫. দীর্ঘমেয়াদী অনির্বাচিত সরকার: যদি দীর্ঘ মেয়াদী একটি অনির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে সেটিও বিএনপির জন্য দুর্ভাগ্যের হতে পারে বলে অনেক বিএনপি নেতা মনে করছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন পর তারা দলকে গুছিয়ে ফেলেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে যদি আবার অনির্বাচিত সরকার আসে তাহলে তাদের জন্য সেটি হিতে বিপরীত হতে পারে। এইসব শঙ্কা নিয়েই বিএনপি এখন রাজনীতির মাঠে আছে। আপাতদৃষ্টিতে বিএনপি ভিসা নীতিতে উৎসাহী, উদ্দীপ্ত হলেও ভেতরে ভেতরে তাদের মধ্যেও এক ধরনের শঙ্কা এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা   আন্দোলন   নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিল বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আল্টিমেটাম দেন। 

তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।

এর আগে দুপুরের আগ থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন দলের নেতাকর্মীরা। ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত সপ্তাহে মাত্র চার দিনের ব্যবধানে তাকে কেবিন থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) এনে চিকিৎসা দিতে হয়।

ইতোমধ্যে তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

খালেদা জিয়া   বিএনপি   এভারকেয়ার হাসপাতাল   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   নয়াপল্টন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন ভিসানীতির পর আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নানামুখী আলাপ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব তাদের কাছে সুস্পষ্ট হচ্ছে। প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের নেতারা যাই বলুক না কেন তারা প্রকারান্তে এটা স্বীকার করছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনকে নিয়ে একটি আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আর বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করবে এবং নির্বাচনের আগে নানা রকম চাপ প্রয়োগ করবে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বশক্তি নিয়োগ করতে পারে বলেও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন।

যদিও আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। এই ভিসানীতিকে একটা রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে এর ফলে বিএনপি চাপে পড়বে—এমন উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে কর্মীদেরকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব খুব স্পষ্ট এবং এব্যাপারে তাদের অবস্থানের কোনো রকম পরিবর্তন হয়নি। এরকম পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কি করবে? 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো প্রকারে নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অটল এবং অনড় অবস্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সংবিধানকে সমন্বিত রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন যে, আগামী ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর চূড়ান্ত কৌশল নির্ধারিত হবে। তবে তার আগেই আওয়ামী লীগ একটি রূপকল্পের খসড়া তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করেই এই রূপপ্রকল্পের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যার মূল বিষয় হলো যেকোনো প্রকারে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। আওয়ামী লীগ মার্কিন ভিসানীতির পর নির্বাচনের ব্যাপারে আরও বদ্ধপরিকর এবং কৌশলী ভূমিকা নেবে বলেই বিভিন্ন নেতারা জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ যে কৌশলে এগুতে চায় তার মধ্যে তার মধ্যে রয়েছে:

১. নির্বাচনের প্রশ্নে অটল থাকা: আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে সেটি নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের সাথে মিলিয়ে কাজ করবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল যেন ঘোষণা করা হয় সেটি আওয়ামী লীগ নিশ্চিত করতে চায়।

২. বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসা: আগামী নির্বাচন যেন উৎসবমুখর অংশগ্রহণমূলক হয় সেজন্য আওয়ামী লীগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। আশার কথা যে, তৃণমূল বিএনপি গঠিত হয়েছে এবং আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের মাঠে নিয়ে আসার জন্য আওয়ামী লীগ কাজ শুরু করেছে। আর এই কর্মকাণ্ড সফল হলে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের আবহাওয়া তৈরি হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন।

৩. ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানো: আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতই বলুক যে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের ফলেই একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব, কিন্তু বিএনপিকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চায়। যে নির্বাচনে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এরকম ভোটার ভোট দিলে এই নির্বাচনকে নিয়ে নতুন কোনো প্রশ্ন উঠবে না। 

৪. বিরোধী আন্দোলনকে কৌশলে দমন করা: আওয়ামী লীগ মনে করছে যে এই নির্বাচনের আগে বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি একটা বিশৃঙ্খলা এবং অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করবে। তারা নানা রকম কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হলো জনসমাবেশ, জনসংযোগ এবং জনসম্প্রীতির মাধ্যমে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করা এবং নির্বাচনের জন্য যারা বাধাগ্রস্ত হবে তাদের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অভিযোগ উত্থাপন করা। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নুতন করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ বা অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ক্ষেত্রে এক ধরনের দ্বিধা তৈরি হবে বলে আওয়ামী লীগের ধারণা।

৫. নিরপেক্ষ নির্বাচন করা: আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে যে নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। এখানে কোনো ভাবে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পক্ষপাত হবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার সবকিছু আওয়ামী লীগ করবে। মোদ্দা কথা হলো ভিসা নিষেধাজ্ঞার শর্তে আওয়ামী লীগ একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। যে নির্বাচনটি হবে অখন্ড বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়াই।

নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশে রাজনীতিকদের হাতে ১০ হাজার অস্ত্র

প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশে সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে ১০ হাজারের বেশি লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র। লাইসেন্সধারী এসব ব্যক্তিদের তিন-চতুর্থাংশই বর্তমান সরকারি দলের সঙ্গে জড়িত। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সংখ্যায় এর পরেই আছেন বিএনপির নেতারা। বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের হিসাব রাখা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ছাত্র-শ্রম বিভাগের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে থাকা লাইসেন্সের বেশির ভাগই দেওয়া হয়েছে গত ১৪ বছরে। আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি, দলের মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি কিছু কর্মীও রাজনৈতিক পরিচয়ে আবেদন করে অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। আর বিএনপির নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন দলটি ক্ষমতায় থাকাকালে।

পুলিশের বিশেষ শাখার ফায়ার আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফএএমএস) মাধ্যমে এসব অস্ত্রের হিসাব রাখা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য দেওয়ায় কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় আবেদন মঞ্জুরের আগে দায়সারাভাবে গোয়েন্দা তদন্তও হয়। এভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কেউ কেউ যে বিপথগামী হন, এমন নজিরও আছে। মাঝে মাঝে শর্ত লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের ঘটনা খুবই কম।

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬-এর ৩২ (ঞ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বিশেষ প্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তাদের লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত আয়কর পরিশোধে বাধ্যবাধকতা থাকবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুযোগই নিচ্ছেন বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

পুলিশের বিশেষ শাখার সংশ্লিষ্ট বিভাগের সূত্র বলছে, ফায়ার আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৫০ হাজার ৩১০টি। ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৪৫ হাজার ২২৬ টি। এগুলোর মধ্যে ১০ হাজার ২১৫টি রয়েছে রাজনীতিকদের নামে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হাতে রয়েছে ৭ হাজার ২১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে ২ হাজার ৫৮৭টি এবং অন্যান্য দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে মাত্র ৭৯টি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে একনলা বন্দুক ২০ হাজার ৮০৯টি, পিস্তল ৪ হাজার ৬৮৩টি, শটগান ৫ হাজার ৪৪৪টি। বাকিগুলো দোনলা বন্দুক, রিভলবার ও রাইফেল। বিভাগভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ১৪ হাজার ৬৮৩টি। সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে, ২ হাজার ১১৮টি।

তথ্যসূত্র: দৈনিক আজকের পত্রিকা

রাজনীতিক   অস্ত্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন