ইনসাইড পলিটিক্স

পুলিশকে ভয় দেখানোর নতুন কৌশলে বিএনপি


Thumbnail পুলিশকে ভয় দেখানোর নতুন কৌশলে বিএনপি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতিকে কেন্দ্র করে নতুন ষড়যন্ত্রের কূটচালে মেতে উঠেছে বিএনপি। সম্প্রতি বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেশের জেলা-উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের খুন-গুম এবং তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি ও মিথ্যা মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। 

উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদির মধ্যে মধ্যে রয়েছে- ১. মামলার সময়কার সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয়। ২. ঐ সময়কার সংশ্লিষ্ট সহকারী পুলিশ সুপার, সার্কেল পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (মেট্রোর ক্ষেত্রে- এসি- জোন, ডিসি-জোন) নাম ও পরিচয়। ৩.মিথ্যা ও গায়েবি মামলা রুজুকারী কর্মকর্তার নাম ও পরিচয়। ৪. মিথ্যা ও গায়েবি মামলা তদন্তকারী কর্মকতার নাম ও পরিচয়। এসব বিষয়ে তথ্যাদি প্রদানের জন্য জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাবেক পুলিশ কতর্মকর্তা সালাউদ্দীন খানকে মনোনীত করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) সারা দেশে গুম, খুন, অপহরণ ও গুরুতর জখমের শিকার নেতা-কর্মীদের তালিকা করার লক্ষে বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদককে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়। বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে মহানগর, জেলা, উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কতজন নেতা-কর্মী ও সমর্থক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘ক্রসফায়ারে’, নির্যাতনে বা অন্য কোনোভাবে নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছেন; কতজন অপহরণ, গুম হয়েছেন; সরকারি দলের হামলায় কতজন খুন-জখম হয়েছেন- তাঁদের দলীয় পরিচয়সহ নাম-ঠিকানা আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাতে জরুরি ভিত্তিতে অনুরোধ করা গেল।

সম্প্রতি বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এই ভিসা নীতি ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই বিএনপি এই ধরনের চিঠি দেশের জেলা-উপজেলা এবং মহানগরের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে ছড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্রটি বলছে, পুলিশকে ভয় দেখানোর জন্যই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্যে সংশ্লিষ্ট পুলিশের ওসি, এএসপি, এসপি, আ্যডিশনাল এসপি কিংবা মেট্রোপলিটনের ক্ষেত্রে এসি, ডিসি- এমনকি মামলার রুজুকারী কর্মকর্তা এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এটি বিএনপির একটি নতুন কৌশল। যে কৌশলের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর মানসিক শক্তিকে দুর্বল করার একটি ষড়যন্ত্র। কেননা বিএনপি যখন বাসে আগুন দেয়, জ্বালাও-পোড়াও করে, রাস্তা অবরোধ করে যানজটের সৃষ্টি করে, সাধারণ মানুষের জানমালের উপর নিরাপত্তা হুমকির আতঙ্ক সৃষ্টি করে, তখন একমাত্র পুলিশ বাহিনীই তাদের এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করে থাকে। যে কারণে পুলিশ বাহিনীকে আতঙ্কগ্রস্থ করতেই বিএনপি এই নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে। এ ধরনের কার্যক্রম বিএনপি দলীয়ভাবে অনেক আগে থেকে পরিচালনা করে থাকলেও মার্কিন নতুন ভিসা নীতিকে পুঁজি করে বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে এনেছে। এটি আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দমন করার একটি কৌশলমাত্র।              

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে এই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। যাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ হবে- তাদের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। 

ভিসা নীতিতে আরও বলা হয়েছে,গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

সম্প্রতি বিএনপির এই চিঠির মাধ্যমে খুন-গুম, মামলা সংক্রান্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি মার্কিন নতুন ভিসা নীতির সাথে সম্পর্কিত নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করার বিষয়টি বিএনপির অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নিমিত্তে দায়ের করা মামলার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়।

বিএনপির উল্লেখিত চিঠির বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় তথ্যাদি প্রদানের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর মনোনীত ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাবেক পুলিশ কতর্মকর্তা সালাউদ্দীন খানের সঙ্গে। ‘এসব তথ্য দিয়ে আসলে কি করা হবে?’ - এমন প্রশ্নে তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ‘এসব কার্যক্রম চলছে, এটা অনেক গোপন বিষয়। যারা নির্যাতিত হয়েছে, নির্যাতিত ব্যক্তিদের যারা নির্যাতন করেছে, মিথ্যা মামলাগুলো দায়ের করেছে- তাদের একটি তালিকা হচ্ছে। এটির কাজ সারা বাংলাদেশব্যাপী চলছে।’

তিনি বলেন, ‘ধরেন অনেক জায়গায় কোনো ঘটনাই হয়নি, মামলা হয়েছে, মামলার বাদী হয়েছেন দাড়োগা সাহেব, এসপি সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন, তারপর ওসি মিথ্যা মামলা করেছেন- এমন সমস্ত তথ্যগুলোই আমরা সংগ্রহ করছি এবং তাদের তালিকা করছি। এসব বিষয়কেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এটা উপর পর্যায়ে যাবে।’

‘উপর পর্যায়ে যাবে বলতে- কোথায় যাবে?’- এমন প্রশ্নে সালাউদ্দীন খান বলেন, ‘দেশের বাইরেও যাবে।’

‘আমেরিকান নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পরই কি আপনারা এটা করছেন? এটা কি নতুন ভিসা নীতির মধ্যে পড়ে কি না?’- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভিসা নীতি পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন। এইটা ভিসা নীতিতে পড়ে কি না। তারা জনসমাবেশে বাধা দিল, মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করলো- এগুলোতো ভিসা নীতিতে বলাই আছে। চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছে, আমাদের জনসমাবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে, পূর্বেও করেছে এবং এখনও করছে -এরকম।’                         

‘কবে থেকে এটা শুরু হয়েছে?’- প্রশ্নে তিনি জানান, এটার  কার্যক্রম আনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে অনেক পরে। এ কার্যক্রম ২০১৭ সাল থেকে শরু হয়েছে। এর আগে এটা সামনে আসেনি, কারণ হচ্ছে- এখন আমরা সারা বাংলাদেশে অফিসিয়ালি চিঠি দিয়েছি। আগে বিষয়টি গোপন ছিল, এখন সেটা প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।


পুলিশ   ভয়   কৌশল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তুরস্কের গণমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:১৯ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বেশকিছু দিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি নিয়ে রাজনীতি সরগরম। বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। মতামতের জন্য সেই আবেদন পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে। তবে আইন মন্ত্রণালয় সেটি নাকচ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তুর্কির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি।

‘বিরোধীদলীয় নেতাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিরোধীদলীয় নেত্রী ও দুইবারের প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের বরাতে বলা হয়, গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীনে রয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ফরোয়ার্ড করা আপিলকে ‘না’ জানিয়ে বলেছেন, মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তাকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিতে পারে না।‌ সরকারের আইনগত অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সব কাজ আইনি কাঠামো অনুযায়ী করতে হবে। আইনকে বাইপাস করা, যে কোনো ক্ষেত্রেই একটি খারাপ উদাহরণ তৈরি করে।

প্রতিবেদনে বলা আরও বলা হয়, ৭৮ বয়সী বেগম জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং উচ্চ লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

প্রতিবেদনে গত শনিবার ভয়েস অব আমেরিকায় প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন নেওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে অবশ্যই কারাগারে ফিরে যেতে হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়ার দল অবশ্য তার বিরুদ্ধে আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে এবং খালেদা জিয়াকে তার অবস্থা গুরুতর উল্লেখ করে অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সুপারিশ করেছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে বিদেশে একটি উন্নত মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো দরকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। কোভিড মহামারি চলাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ, বর্তমান সরকার তাকে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাড়িতে থাকা এবং দেশ ছেড়া যাবে না এই দুই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়।

গণমাধ্যম   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়া কি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন?

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আইন মন্ত্রণালয় যখন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন, তখন ধারণা করা হচ্ছে যে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সব পথ হয়তো বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সব পথ বন্ধ হয়নি। এখনও তার বিদেশে যাওয়ার একটি সহজ সুযোগ রয়েছে এবং সেই সহজ সুযোগটি হল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। 

বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ ধারায় রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৪৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।’ অর্থাৎ, বেগম খালেদা জিয়া যে একাধিক মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন সেই দন্ড মওকুফ করে দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। তবে এ ধরনের আবেদন করতে গেলে বেগম খালেদা জিয়াকে দোষ স্বীকার করতে হবে এবং তার জন্য অনুশোচনা বা দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। বেগম জিয়ার কুশলী এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করছেন যে এটি অপমানজনক, অসম্মানজনক এবং এটি কোন অবস্থাতেই বেগম খালেদা জিয়া মেনে নেবে না। কিন্তু আইন আইনজ্ঞরা বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে সহজ সমাধান। 

ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী বলেছেন যে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ করা হয়ে গেছে। কাজেই এটি এখন তামাদি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এটির মাধ্যমে তার বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করা কোনভাবেই সম্ভব না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর ৫(ক) তে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট কোনো শর্তসাপেক্ষ ক্ষমা মঞ্জুর করলে উক্ত শর্ত যে প্রকৃতিরই হোক না কেন, তা এই আইন অনুসারে কোনো উপযুক্ত আদালতের দণ্ড দ্বারা আরোপিত শর্ত বলে গণ্য হবে এবং তদানুসারে বলবৎযোগ্য হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের আইনে বলা হচ্ছে যে, সবার ওপরে সংবিধান এবং সংবিধানের সাথে যদি কোনো আইন সাংঘর্ষিক হয় সেক্ষেত্রে সংবিধানই প্রাধান্য পাবে। এরকম বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বা উন্নতি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন তাহলে ৪০১ বাধাগ্রস্ত হবে না। 

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১’এর মাধ্যমে যদি তার বিদেশ যেতে হয়, তাহলে তার এখনকার যে বিশেষ বিবেচনায় জামিন প্রদান তা বাতিল করতে হবে। এই বাতিল প্রদানের ক্ষমতা একমাত্র সরকারের রয়েছে। এটি বেগম খালেদা জিয়ার নেই। খালেদা জিয়া যদি এই জামিন বাতিল করার জন্য আবেদন করেন তাহলেও সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। সরকার তার জামিন বাতিলের আবেদন গ্রহণ করবেন কি করবেন না।

তারপরও কিছু ব্যাপার রয়েছে। তখন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিতে হবে। সেটি হয়তো বেগম খালেদা জিয়া ব্যবস্থা করতে পারবেন। তিনি যেখানে এখন অবস্থান করছেন সেখানেই বিশেষ কারাগার করে তাকে জামিনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত কি হবে না হবে সেটি যেমন অনিশ্চিত, তেমনি এই প্রক্রিয়াগুলো অনেক দীর্ঘ। তার চেয়ে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি এখনই আবেদন করেন এবং রাষ্ট্রপতি যদি বিষয়টিকে মানবিক বিবেচনা করে তার ক্ষমা প্রার্থনা মঞ্জুর করেন, তাহলে তিনি কারাগার কারামুক্ত হবেন দন্ডমুক্ত হবে। তখন তিনি বিদেশ যেতে পারবেন। তবে এই ধরণের আবেদন করলে বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দন্ডে দণ্ডিত হবেন এবং পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচনের জন্য অযোগ্য থাকবেন।

খালেদা জিয়া   বিএনপি   রাষ্ট্রপতি   আদালত   সরকার   ফৌজদারি   সংবিধান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যা করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, মিথ্যা প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিনা চিকিৎসায় সরকার হত্যা করতে চায়। তারা যে কথাগুলো বলছেন, সেটার উদ্দেশ্য একটাই তারা আসলে কাপুরুষ-ভীতু। তারা জানে খালেদা জিয়া যদি সুস্থ হয়ে যান, আবার জনগণের মধ্যে ফিরে আসেন, তার ডাকে কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। তখন তাদের ধ্বংস হয়ে যাবে। 

খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯ মাস কারাগারে বন্দি ছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি সবসময় বলি বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন খালেদা জিয়া। এই কথা বললে তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) গায়ের মধ্যে আগুন জ্বলে। কারণ তারা তো মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তারা তো সেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাতা খেয়েছিল। বাস্তব কথা বলছি। অনেকের কষ্ট হতে পারে, কিন্তু কথাটা সত্য। 

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ। 

সরকার   খালেদা জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়াকে রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

খালেদা জিয়াকে বিএনপি রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মানববন্ধনে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ‘নির্মম ফাঁসির শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা ও বিমানবাহিনীর শহিদ সদস্যদের হত্যাকারী সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে অপসারণের দাবি’ জানানো হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন বিএনপি কয়েকদিন ধরে বলছে, বেগম খালেদা জিয়ার অধিকার লংঘন করা হচ্ছে। খালেদা জিয়া যতবার অসুস্থ হয়েছেন, যতবার হাসপাতালে গিয়েছেন। বিএনপি বলেছে, তার জীবন সংকটাপন্ন, বিদেশে না নিলে উনি মারা যাবেন। কিন্তু ততবারই উনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করছে। সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। বিদেশ যাওয়াটা আদালতের এখতিয়ারে। আদালতের আদেশ ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারেন না। এই নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু সংগঠন আছে পৃথিবীতে, যারা মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করে। তারা কাউকে কিল মারলে বিবৃতি দেয়, কাউকে ঘুষি মারলেও বিবৃতি দেয়। কিন্তু তাদের আত্মীয়স্বজন কাউকে মেরে ফেললে কোনো বিবৃতি নাই। ২০১৩-১৪ সালে যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, ফিলিস্তিনের শিশুরা যখন ঢিল ছুড়ে তার প্রতিবাদে ইসরায়েলি সৈন্যরা যখন পাখির মতো শিশুদের শিকার করে, তখন কোনো বিবৃতি নাই। আপনাদের অনুরোধ জানাব, আপনারা যদি মানবাধিকার ব্যবসাটা করেন, তাহলে এই দিকগুলোর দিকেও আপনারা তাকাবেন। মায়ের কান্না যখন আপনাদের কানে পৌঁছে না, তখন আপনারা কিসের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই অগ্রযাত্রা অনেকের পছন্দ নয়। সেজন্য নানা ছল-ছুতায় প্রথমে আনে মানবাধিকার, তারপরে বলে সুষ্ঠু পথে নির্বাচন হয়নি। আমাদের দেশে অবশ্যই আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং জনগণের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে। সরকার সর্বোচ্চভাবে নির্বাচন কমিশনকে এটি করার জন্য সহযোগিতা করবে।

‘দয়া করে আমাদের কেউ গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না’, অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পার্লামেন্ট ভবনে ঘেরাও করে কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় নাই। আমাদের দেশে পরাজিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পরাজয় মেনে নেয়নি। যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান, তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এদেশের মানুষকে সংঘবদ্ধ করে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে আবার সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিএনপি আবার অগ্নিসন্ত্রাস হামলার পরিকল্পনা করেছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে, এভাবে আন্দোলন করে হেঁটে, বসে, দৌড়ে কিংবা হামাগুড়ি কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে সম্পৃক্ত করা যায়নি। তাই এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিশ্ব বেনিয়ারা যাতে ফায়দা লুটতে পারে। সেই পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য তারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তাই আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, থাকবে। কাউকে আর ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

খালেদা জিয়া   রাজনীতির খবর   বিএনপি   তথ্যমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আগামী এক মাস আওয়ামী লীগের ৫ শঙ্কা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আগামী এক মাস বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অক্টোবর মাসে অনেককিছু ঘটতে পারে। আবার অক্টোবর মাস পার করতে পারলে নির্বাচনের রোড ম্যাপ চূড়ান্ত হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এরকম একটি সমীকরণে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ অক্টোবর মাসে সবকিছু ঠিকঠাক মতো সামাল দিতে চাইছে। আর এ কারণে গোটা অক্টোবর মাস জুড়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করেছেন এবং সেখানে একাধিক বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে আওয়ামী লীগের জন্য অক্টোবর মাসে ৫টি শঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগের যে প্রধান লক্ষ্য, সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারীর মধ্যে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা, সেই লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে ৫টি ঘটনায়। আর এই শঙ্কাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১. অর্থনৈতিক সংকট: আওয়ামী লীগের জন্য এখন সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে উপস্থিত হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে। গত ৪১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছে সেপ্টেম্বরে। রপ্তানি আয়েও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে অর্থনীতিতে একটি শঙ্কার কালো মেঘ দানা বেঁধে উঠেছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য উদ্বেগের।

পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মুদ্রাস্ফীতি জনজীবনে অস্বস্তি ফেলেছে। এই সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগ মনে করে যে আগামী এক মাস অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের যথেষ্ট তৎপর হতে হবে এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

২. অভ্যন্তরীণ কোন্দল: আওয়ামী লীগ মনে করে যে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দলের ভেতরে নানামুখী সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষ করে ছাত্রলীগের বেপরোয়া হয়ে ওঠা ও কিছু কিছু স্থানীয় পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিপদসীমা অতিক্রম করা আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় ধরনের শঙ্কার কারণ।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন যদি দল ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে কোন সমস্যাই আওয়ামী লীগকে কাবু করতে পারে না। আর কারণে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাটা আগামী একমাস আওয়ামী লীগের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

৩. ব্যর্থ মন্ত্রীদের দায়: আওয়ামী লীগের জন্য আগামী এক মাস ব্যর্থ মন্ত্রীদের দায় বহন করা একই বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। এই মন্ত্রীদের ব্যর্থতার কারণেও আওয়ামী লীগের লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।

অর্থনৈতিক সংকট ছাড়াও স্বাস্থ্য খাতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যু হাজার পেরিয়ে গেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু মোকাবিলায় যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারছেন না। অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতেও সংকট দেখা দিচ্ছে। যে সমস্ত মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালনে অক্ষম তাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

৪. বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা: বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা আওয়ামী লীগের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ পাল্টে দিতে পারে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার যদি শেষ মুহুর্তে কোনো কিছু হয়ে যায় সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটা আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।

যদিও আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন তেমন কিছুই হবে না। এর আগেও বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের সময় এই ধরনের শঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। এবারও কিছুই হবে না।

৫। আন্তর্জাতিক চাপ: এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক চাপ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের জন্য শঙ্কার কারণ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অনেকে মনে করছেন যে এই সময়ের মধ্যে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সামাল না দেওয়া যায় তাহলে তারা বাংলাদেশে বড় ধরনের কোন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারে।

এই ৫ শঙ্কা কাটিয়েই আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচন মোকাবিলা করতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন যে এই মাসটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেই সব সংকট কেটে যাবে।


আওয়ামী লীগ   রাজনীতি   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন