ইনসাইড পলিটিক্স

জিতেও হারলো আওয়ামী লীগ!


Thumbnail জিতেও হারলো আওয়ামী লীগ!

আজ ১৭ জুলাই (সোমবার) ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠানের (চিত্রনায়ক ফারুক) মৃত্যুর পর এই সংসদীয় আসনটি শূন্য হয়। পরে ১৭ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন দিবসের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ অরাফাত জয়ী হয়েছেন এবং একতারা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম খ্যাত ইউটিউবার আশরাফুল আলম হেরে গেছেন। মোট ১২৪টি ভোটকেন্দ্রে মোহাম্মদ এ অরাফাত নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হিরো আলম খ্যাত ইউটিউবার আশরাফুল আলম পেয়েছেন  ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। 

তবে ঢাকা- ১৭ আসনের এই উপনির্বাচন নিয়ে যেমন সাধারণ মানুষের মনে বেশ কৌতুহল ছিল, তেমনি দেশিয় রাজনৈতিক মহল এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলেরও এই নির্বাচনে ছিল তীক্ষ্ণ নজরদারি। এই পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন দিবসের শেষ সময়ে এসে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি হিরো আলম খ্যাত ইউটিউবার আশরাফুল আলমের উপর চড়াও হয়। তারা হিরো আলমকে মারধর করে, ধাওয়া দেয়- যে ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা? কেন এই মারধর? তবে কি আওয়ামী লীগ হেরে যাওয়ার ভয়ে ছিল? নাকি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে? যদি ষড়যন্ত্রও হয়ে থাকে, তবে এখানে নির্বাচনে জয়ী হয়েও ষড়যন্ত্রের কাছে হেরে গেছে আওয়ামী লীগ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।    



রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকা- ১৭ আসনের এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতবে- এটাই ছিল অবধারিত। কিন্তু এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতেও হেরে গেল। কারণ এই নির্বাচনটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে সবাই পর্যবেক্ষণ করেছে। এছাড়া এটি ছিলো একটি অভিজাত এলাকার নির্বচন, কূটনৈতিক পাড়ার নির্বাচন। ফলে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলেও ইইউ প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের উপস্থিতিতে হিরো আলমকে মারধরের ঘটনা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। ফলে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দিক থেকে আওয়ামী লীগ জয়ী হলেও কূটনৈতিক রাজনীতিতে হেরে গেল আওয়ামী লীগ।        

এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু সে চ্যালেঞ্জগুলোতে জয়ী হতে পেরেছে আওয়ামী লীগ? পারেনি। সেই প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোতেই হেরে গেছে আওয়ামী লীগ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।     

ভোটার উপস্থিতি 

ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল ভোটার উপস্থিতি। সারাদেশে আওয়ামী লীগ যে কোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জয়লাভ করেছে। ৭৯’র নির্বাচন, ৮৬’র নির্বাচন, ৯১’র নির্বাচন পর্যবেক্ষন করলে দেখা যাবে, আওয়ামী লীগ গড়ে ভোট পায় ৩৫ থেকে ৩৮ শতাংশ। কিন্তু যেখানে আওয়ামী লীগেরই ভোট আছে ৩৫ থেকে ৩৮ শতাংশ, সেখানে ঢাকা-১৭ আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ১১.২৮ শতাংশ। 

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, ঢাকা-১৭ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। আজ সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ১২৪টি ভোটকেন্দ্রে এই উপনির্বাচন অুনষ্ঠিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এই উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৬ হাজার ৬৯১টি, যা শতকরা হিসেবে মাত্র ১১.২৮ শতাংশ। তার মনে হচ্ছে এই যে, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের লোকেরাই ভোট দেয়নি। অথচ পৃথিবীতে এমন বহু দেশ রয়েছে, যেখানে ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়লে সে ভোট গ্রহণযোগ্য হয় না। উদাহরণসরূপ বলা যেতে পারে তুরস্কের কথা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ৫০ শতাংশের কম ভোট পাওয়ার কারণে তুরস্কের নির্বাচন পুনরায় দু’জন প্রার্থীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে বিবেচনায় ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ জিতলেও ভোটার উপস্থিতিতে হেরে গেছে আওয়ামী লীগ।

হিরো আলমকে ভয় না পাওয়া
 
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করেছে হিরো আলমকে ভয়ের উর্ধ্বে রাখা। আওয়ামী লীগের ভয় ছিলো, হিরো আলমের কাছে হেরে গেলে আওয়ামী লীগের মতো এমন একটি দলের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠতে পারে। সেই প্রশ্নে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি ভয়ও কাজ করছিল। কিন্তু কথা হচ্ছে- হিরো আলম হচ্ছেন একজন অখ্যাত ইউটিউবার। তাকে আওয়ামী লীগের এতো ভয় পাওয়ার কারণ কি? প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতিটা কি? আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছে দলটি। মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করে ৫৪’র নির্বাচনে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। ৭০’র নির্বাচনে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। সেই আওয়ামী লীগ কেন প্রকাশ্যে রাস্তায় একজন প্রার্থীকে পিটাবে? 

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আসলে ভোটে জিতুক বা হারুক সেটি বড় কথা নয়, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হিরো আলমকে ইউটিউবার থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে হিরো বানিয়ে দিয়েছে এবং সেই সঙ্গে নির্বাচনে জিতেও হেরে গেছে আওয়ামী লীগ।

হিরো আলম   উপনির্বাচন   ঢাকা-১৭   মোহাম্মদ এ আরাফাত   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ আসনকে স্মার্ট এলাকায় পরিণত করব: নাছিম

প্রকাশ: ০৭:৪৯ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ আসন এলাকাকে স্মার্ট এলাকায় পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেন, ঢাকা-৮ আসনের সকল থানা, ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। মানুষের ভিতরে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তারা জাতির পিতার আদর্শের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পেয়েছে এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার জন্য তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই ১৮ তারিখ থেকে নৌকার ভোটের জন্য মানুষের কাছে যাব ও দোয়া চাইব এবং ভোট প্রার্থনা করব। 

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন নাছিম।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের কাছে আমি দোয়া চেয়েছি, যাতে সকলেই আমার জন্য দোয়া করে। আমি যেন সকলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হতে পারি। আমি নির্বাচনি আচরণবিধি মেনেই আমার কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং আমাদের নেতাকর্মীরাও আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনে উৎসবমুখর করে তুলবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। ইতোমধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা শুরু করেছে। এ উৎসবকে নষ্ট করতে যারা হরতাল ও অবরোধ ডেকেছে তাদের হরতাল অবরোধ ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের কোন সমর্থন তাদের প্রতি নেই। তাই তারা চাইলেও নির্বাচনে  বানচাল করতে পারবে না। 

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চাইলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কাউকে নির্বাচন করতে বাধা সৃষ্টি করিনি। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে চাইলে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে। বিএনপি জনগণের সমর্থন পাবে না জেনেই নির্বাচন করছে না। তাদের অপকর্ম দেশের মানুষ জানে। দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সুশৃংখল রাজনৈতিক দল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এটি পরিচালনা করেন। নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যার দিকে সব বিষয়ে তাকিয়ে থাকে। তিনি যা নির্দেশ দেন সবাই তাই পালন করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। সুনির্দিষ্ট  জায়গা ছাড়া যে কোন জায়গায় ইচ্ছে মতো কেউ প্রার্থী হতে পারবে না। সময় আসলে এটি আরো সুন্দরভাবে পরিষ্কার হবে। 

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করে তিনি সেখানকার মুসল্লিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অতঃপর পায়ে হেঁটে হাইকোর্ট মাজারে যান এবং মাজার জিয়ারত করেন। মাজার জিয়ারত শেষে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াহিদ উল্লাহর জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শ্রী বিপ্লবী রানীর স্মরণ সভায় যোগদান করেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

ঢাকা-৮ আসন   আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে ছাড় দেবে বিএনপি?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

তাহলে কি আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সমঝোতা হয়েই গেল! নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি এরকম ঢিমেতালে আন্দোলন করবে এবং এই আন্দোলনের ফাঁক দিয়ে সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে। নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সমঝোতা এবং রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক দিতে পারে আওয়ামী লীগ এবং তখন বিএনপির নেতাদের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা এবং বৈঠক হতে পারে। বৈঠকের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় উপনীত হতে পারে দেশ। এমন একটি সমঝোতার কথা এখন আকাশে বাতাসে শোনা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে বিএনপির নেতা শাহজাহান ওমরের নৌকার প্রার্থী হওয়ার পর এই গুঞ্জন আরও পল্লবিত হয়েছে। যদিও বিএনপি নেতারা এ ধরনের সমঝোতার কথা অস্বীকার করেছেন। 

তারা বলছেন যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে এবং এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে এরকম নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি উপস্থিত না থাকে সেজন্য ভোটারদের ঘরে ঘরে তারা যাবেন। কিন্তু বিএনপি যে থেমে থেমে অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করছে বা হরতাল দিচ্ছে সেটি ইতোমধ্যেই অকার্যকর হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার হরতাল শেষে আজ এবং আগামীকাল দু দিনের বিরতি। রোববার থেকে আবার দেশে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে ডেকেছে বিএনপি। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই ধরনের অবরোধ মানছে না। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছাড়া এই ধরনের অবরোধের কোন কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। 

বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রথম দিকে অবরোধে দেখা গেলেও আস্তে আস্তে বিএনপির নেতাদেরকে আর দেখা যাচ্ছে না। বরং তারা ঘরেই চুপচাপ বসে আছে। আগে একটা কথা বলা হত যে, বিএনপি নেতারা আত্মগোপনে আছেন, পলাতক আছেন। এই জন্য তারা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। কিন্তু এখন সেই ভয় কেটে গেছে। বিএনপি নেতাদেরকে এখন প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তারপরও তারা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন না। নামকাওয়াস্তে একটি কর্মসূচি দিয়ে তারা চুপচাপ ঘরে বসে আছেন। তার অর্থ কি এই যে, আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলুক তারপর দেখা যাবে নাকি সরকারের সঙ্গে বিএনপির একটি সমঝোতায় এলো।

বিএনপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা এখনও বিশ্বাস করে যে সরকার শেষ পর্যন্ত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু সরকার ইতোমধ্যে আশাবাদী উল্লসিত এবং তারা নির্বাচনে যে কৌশল তৈরি করেছে সেই কৌশলে এবার ২০১৪ বা ২০১৮ এর মতো নির্বাচন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বরং এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটা বড় ফ্যাক্টর হিসাবে দাঁড়াতে পারে। কারণ আওয়ামী লীগের শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রতিপক্ষ প্রায় সব আসনেই থাকছে। এর ফলে এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কোথাও কোথাও সহিংস হয়ে উঠতে পারে। তাই এই নির্বাচনে ভোটারদেরকে দূরে সরিয়ে রাখার কৌশল পুরোপুরি ভাবে অকার্যকর হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচনে কি হয় তারপর সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছে। বিএনপিও একই রকম কৌশল নিতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। তারা মনে করছেন যে, বিএনপি আসলে আগে নির্বাচন দেখতে চায় এবং তারা মনে করছে যে, নির্বাচনের পরে পরিস্থিতি এমন হবে যে সরকার বিরোধী আন্দোলন তীব্র করার একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হবে। বিএনপি সেই সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।

নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   বিএনপি   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নিবন্ধিত হলেও নির্বাচনে যাচ্ছে না তারা

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে অংশ নিতে যাচ্ছে ৩০টি রাজনৈতিক দল। যদিও নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪টি। 

নিবন্ধিত যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না :

বিএনপি, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, সিপিবি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশ, ইনসানিয়াত বিপ্লব, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন বা এনডিএম, বাংলাদেশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ, জেএসডি (রব), বাসদ, বিজেপি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন), গণফোরাম এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী)।

উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে।

রাজনীতি   নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির যেসব হেভিওয়েট নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলটির একাধিক হেভিওয়েট নেতা দল থেকে বের হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেবল বিএনপির পদে থাকা নেতারা নন, অতীতে বহিষ্কার, পদচ্যুত অথবা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা নেতারাও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এসব নেতা দল ছাড়লেও এতদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এখন তারাই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রিক রাজনৈতির ‘অমোঘ টান’ উপেক্ষা করতে পারেননি এসব হেভিওয়েট নেতা। তাই দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর চমক দেখিয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির সঙ্গে যুক্ত প্রবীণ এই নেতা শেষ জীবনে এসে রাজনীতিতে ইউটার্ন নিয়েছেন। ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। নৌকার প্রার্থিতা জমা দেওয়ার আগে তিনি বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। বিএনপিও তাকে বহিষ্কার করেছে। 

এ আসন থেকে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ নির্বাচন করবেন কুমিল্লা-৫ আসন থেকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন মো. ইউনুস। সে বছর মনোনয়ন চেয়েও পাননি শওকত মাহমুদ।

বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এই মুহূর্তে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি সিলেট-৫ আসনে নির্বাচন করবেন। আর তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন করবেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনি আসন ব্রহ্মণবাড়িয়া-১। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে বেরিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দলটির নির্বাহী সদস্য শাহ মো. আবু জাফর। এ মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্বাচনি আসন ফরিদপুর-১।

এ আসন থেকে ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির এবং ২০০৫ সালের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবু জাফর। এবার তিনি নোঙর প্রতীকে লড়বেন।

বিএনপি থেকে ছিটকে পড়া বেশ কয়েকজন ‘হেভিওয়েট নেতা’ও এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান (কিশোরগঞ্জ-২) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। এ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা ও বাসন থানা বিএনপির সহসভাপতি জব্বার সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোজাফফর আহমেদ ও জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আব্দুল কাদির তালুকদার তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন।

দলে বড় কোনো পদ না থাকলেও বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তার নির্বাচনি আসন বগুড়া-৪। এ আসন থেকে ১৯৯৪ (উপনির্বাচন), ১৯৯৬ (১৫ ফ্রেব্রুয়ারি), ১৯৯৬ (জুন) এবং ২০০১ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব (টাঙ্গাইল-৫) এবং দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ (টাঙ্গাইল-৬) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ ছাড়া সরকার বাদল বগুড়া-৭ আসনে, দেলয়ার হোসেন খান দুল ময়মনসিংহ-৪ আসনে, ডা. আসমা শহীদ ফরিদপুর-২ আসনে, সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নীলফামারী-৪ আসনে, মাওলানা মতিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, বিউটি বেগম বগুড়া-২ আসনে, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে, শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে এবং মো. শুকরান বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাজীপুর- ১ আসনে জব্বার সরকার, ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে মোজাফ্ফর আহমেদ এবং চাঁদপুর- ৪ থেকে আব্দুল কাদের তালুকদার পাটের আঁশ প্রতীকে লড়বেন।

এর বাইরেও আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে দলে তাদের প্রভাব ও পদপদবি তেমন না থাকায় তারা আলোচনায় আসছেন না।

বিএনপি   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ শহীদ সারোয়ার দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ শহীদ সারোয়ার।

জানা যায়, শাহ্ শহীদ সারোয়ার বিএনপির দলীয় প্রতীক নিয়ে ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০৮ ও ২০১৮ সালেও দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। শাহ্ শহীদ সারোয়ার একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।  

শাহ্ শহীদ সারোয়ার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন